নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-খুব রাগ লাগে বিশ্ব মোড়লদের খামখেয়ালী আচরণের প্রতি-

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

মুসলিম জাতির সম্মান/অধিকার/সম্পদ নষ্ট করে যারা, তাদের আরেক নাম জাতিসংঘ! এরা মূলত মুসলিম জাতি নিধনসহ তাদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে ভুমি দখল করতে পুরো বিশ্বকে উৎসাহিত করার কাজটুকুই স্বপ্রণোদিত হয়েই করে থাকে! অথচো ইরান, উত্তর কোরিয়া, ফিলিস্তিন তো কারো উপর জুলুম করছে না কিন্তু জাতিসংঘসহ সর্বস্তরের প্রভাবশালী দেশগুলো এক হয়ে অবরোধ, নিষেধাজ্ঞার মতো অমানবিক কাজগুলো করে যাচ্ছে নিয়মিত!

ভাবতে অবাক লাগে, তারা আবার মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে! আজকে ইরাক, লিবিয়িা, সিরিয়া, ইয়েমেন সহ প্রায় মুসলিম দেশগুলোকে তারা জাহান্নাম বানিয়ে রেখেছে, শুধুে ঐসব দেশের সরকার তার দেশের নাগরিকদের অধিকার হরণ করছে তার সুতো দেখিয়ে। যাকে এক কথায় বলা হয় মানবাধিকার লঙ্গন!

এখানে মুসলিম বিশ্ব কি করছে!? ওআইসির কাজ কি!? কেনো হাজার হাজার মুসলিম নিধনে বিশ্ব প্রতিনিধিদের কারো মুখে কোনো সামান্য নিন্ধার প্রকাশ পর্যন্ত নাই!? কেনো ঐসকল প্রভাবশালী দেশে এই বর্বর দেশের সরকারের দূতদেরকে তলব করা হয় না!? কেনো বর্বর দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল করা হয় না!? তাহলে প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো মানবাধিকার বলতে কি বুঝায়!? আজকের দিনে আমরা মনে করি, বিশ্ব বিবেক শুধু মুসলিম ছাড়া বাকীদের জন্যিই সংরক্ষিত করা হয়েছে! এবং তাতে সহযোগিতা এবং অনুদান যোগানের দায়িত্ব পালন করছে আজকের এই জাতিসংঘ!

যে ইজরাইলের এই বিশ্বের বুকে কোনো যায়গা ছিলো না সে ইহুদিবাদী ইজরাইল আজ একটি মুসলিম দেশকে পিষ্ট করে তাদের দুনিয়া বানিয়ে নিয়েছে! এবং গর্ব করে বলছে এটা তাদের দেশ! প্রশ্ন জাগে, এখানে কি করছে জাতি সংঘ!? ওদের কাজটা কি!? অথচো সামান্য মরণঘাতী অস্ত্রের দোহায় দিয়ে মুসলিম অধ্যূষিত ইরাকের মানুষের উপর কি অমানবিক অত্যাচার করলো এই জাতি সংঘসহ প্রভাবশালী দেশগুলো! তারপর একেরপর এক লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেনসহ প্রায় মুসলিম দেশগুলোতে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে এই জাতি সংঘ! ওরা মূলত মুসলিম ছাড়া আর বাকী ধর্মালম্বীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে।

আমরা মুসলিম হিসেবে প্রশ্ন করছি-মুসলিমদের জন্য আলাদা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়া প্রতিষ্ঠান ওআইসি কি করছে!? কেনো তাদের জম্ম হয়েছে!? কি উদ্দেশ্যে নিয়ে তারা বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করলো!? কেনো বর্বর জাতিদের মাধ্যমে মুসলিম দেশেগুলো হরদম আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হবে!? এবং এব্যাপারে কোনো প্রভাবশালী দেশের সরকাররেরা টু-শব্দটিও করবে না!? আর যখন মালোয়েশিয়ার সরকার বিক্ষোভ করার কথা প্রকাশ্যে ঘোষণা করলো তখন বর্বর জাতির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হলো! তাহলে এই জাতি সংঘ দিয়ে কোন জাতির উন্নয়ন তরান্বিত করা হচ্ছে!?

খুব রাগ নিয়ে বলছি, সকল মুসলিম দেশগুলোর উচিত; জাতিসংঘ নামক সংগঠন থেকে একযোগে বেরিয়ে আসা। এবং নিজেদের জন্য আলাদা একটি সংগঠন তৈরি করে, তার কার্যক্রম তরান্বিত করা। যার মাধ্যমে পুরো বিশ্ব একটি ব্যালেসিং পর্যায়ে থাকতে পারবে। কেউ কারো উপর অহেতুক এমনকি কোনো দেশের সরকার তার দেশের নাগরিকদের উপর কামান দাগানোর সুযোগ পাবে না। যার মাধ্যমে পুরো পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে মানবাধিকার নামে মৌলিক শব্দটি।

আরো পড়তে চাইলে ক্লিক করুন : রহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মালোয়েশিয়াকে হুমকি দিলো মায়ানমার

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২০

রুপম হাছান বলেছেন: খুব রাগ লাগে। যখন দেখি অন্যায় করার পর আবার নিজের প্রতি সাফাই গায়। যেখানে সুচি তো দুরের কথা তার বাপের বাপও জম্ম নেয় নি ঠিক তখনও এই আরাকান রাজ্য শাসন করেছে মুসলিম রহিঙ্গারা। আজকে সুচি বলে এই রহিঙ্গারা নাকি বাংলাদেশের লোক! প্রশ্ন জাগে, সুচির সূচিপত্রেও মনে হয় ভুল আছে! ভুল আছে তার ইতিহাস সম্পর্কে ধারণার। কারণ তখন বাংলাদেশের জম্ম তো দূরের কথা, বাংলাদেশ নামক একটি দেশ হবে এমন কোনো ধারণাও কারো মনে ছিলো না। যেটা গত দুই থেকে আড়াইশ বছরের ইতিহাস। সেখানে সুচির বড়জোর বয়স হয়েছে ৬৫! আর বাংলাদেশের বয়স মাত্র ৪৬ বছর। এই সুচি কিভাবে নোবেল পেলো আমার মাথায় ধরে না! কারাই বা এমন নোবেল দেয়, সেটাও মাথায় ধরে না। খুব রাগ হয়। খুব রাগ হয়।

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: খুব রাগ লাগে বিশ্ব মোড়লদের খামখেয়ালী আচরণের প্রতি...

+++

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৫

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বিদ্রোহী আপনার সহমত পোষণ করার জন্য। উপায় নাই তবুও রাগ হয়।

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০০

আহলান বলেছেন: সেই সব বীর মুসলিমেরা কি আর কখনোই ফিরে আসবে না? রাজা গৌঢ় গোবিন্দকে তাড়িয়ে শান্তি স্থাপন করার মতো কি আর কোন হযরতের আগমন ঘটবে না পৃথিবীর এই কোনে? :(

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৭

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আহলান, আপনার অপেক্ষার দিনের প্রতি বাসনা রাখার জন্য।

নিশ্চয় সেই দিন খুব বেশি দূরে নয়। কারন রাত যত গভীর হয় দিনের প্রহর ততই ঘনিয়ে আসে। তাই ধর্য্যহারা হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আমরা আমাদের যায়গা থেকে সব সময় অন্যায়ের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেই যাবো। ইনশাল্লাহ।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসল সমস্যা নিরূপণ করা সম্ভব নয়, যখন কাজই হলো অন্যকে দোষ দেয়া।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫

রুপম হাছান বলেছেন: অন্যায় যত ছোটই হোক সেটা অন্যায়। সমস্যা যখন চলছে তখন নিরুপণ করা না করা সেটা বিষয় হতে পারে না। যখন নিজ ঘরে কেউ খারাপ আচরণের শিকার হয় তখন নিশ্চয় সেটা নিরুপণযোগ্য মনে হবে না। সেটা বিচারযোগ্যই মনে হবে। আজকে বাংলাদেশে হাজার হাজার রোহিঙ্গা এসে উদ্বাস্তশিবির গুলোতে আশ্রয় নিচ্ছে সেটা নিশ্চয় হিসেবে আনার প্রয়োজন রয়েছে। এখানে খামখেয়ালিপূর্ণ আচরণের কোনো সুযোগ নেই।

ভাই চাঁদগাজী, এখন আর কেউ সস্তায় বিকায় না। কম ঠেলায় এখন আর কেউ নিজ ঘর ছেড়ে রাতের অন্ধকারে সমুদ্র ডিঙ্গায় না ব্রাদার। কথায় তো বলে-কম ঠেলাম বিড়াল মান্দার গাছে উঠে না! অতএব, যার কিছু গেছে সে বুঝে সে কি হারিয়ে এসেছে। এখানে অন্যকে দোষের মাঝে কোনো অজুহাত দেখানোর সুযোগ নেই। সুযোগ তৈরি হয়ে আছে শুধু বিচারের। তাই সবাইকে সত্যি জেনে, সত্যের পক্ষে অবস্থান নেয়ারও প্রয়োজন রয়েছে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী আপনার চিন্তিত মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.