নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-নারায়নগঞ্জ সিটি নির্বাচন : আমার ভাবনা এবং পরবর্তী ঘটনা-

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১১



সদ্য নারায়ণগঞ্জে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হলো এবং সেখানে এক প্রকার ঝামেলা বিহীন নির্বাচন হয়েছে বলেই আমরা বিশ্বাস করেছি। সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন দেখে খুশিও হয়েছি কারণ এটা ওনার প্রাপ্য। গত দুই সেশনে ক্ষমতায় থেকেও তেমন কোনো অনৈতিক কর্ম-কান্ডে নিজেকে বিলিয়ে দেননি কিংবা জড়িত হননি। এমনকি নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ৭ হত্যা মামলাতেও অনেক সহযোগিতা করেছেন প্রশাসনকে এবং সেখানেও দলীয় কাউকে ছাড় দিয়ে কখনো সভা-সমাবেশ কিংবা গোপন বৈঠক পর্যন্ত করেননি। বরং নিজ দলের অন্যদের সাথেও বিবাধে জড়িয়েছেন ন্যায় বিচার অাধায়ের স্বার্থে। সর্বোপরি তিনি এক এবং অনন্য। দেশের রাজনীতিতে ঠিক এমন লোকেরই দরকার। যারা প্রতিনিয়ত ন্যায় কে ন্যায় এবং অন্যায়কে অন্যায় বলে নির্ধিদ্বায় স্বীকার করে নিতে পারেন। এটা আমরা দেখেছি তিনি যখন দলীয়ভাবে নৌকা প্রতীকে নমিনেশন পেয়েছিলেন ঠিক তখন তাঁর দলের অন্যরা তাঁর পক্ষ সমর্থন পর্যন্ত করেন নি এমনকি তার নাম পর্যন্ত কেন্দ্রে পাঠান নি।

হয়তো অন্যরা ভেবেছিলেন উনার মতো (সেলিনা হায়াত আইভী) লোক দলে থাকলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হবে। নেত্রী হয়তো অনেকের চেয়ে বেশী বিচক্ষণ বলে তিনি ভালো আর মন্দের তফাৎ বুঝে সেলিনা হায়াত আইভীকে দলীয়ভাবে নমিনেশন দিয়েছিলেন। এবং সেলিনা হায়াত আইভীও তাঁর যথাযথ সম্মান রাখতে পেরেছেন।



এখানে, সেলিনা হায়াত আইভী’র ব্যাপারে তেমন কোনো অভিযোগ সাধারণ জনগণ হয়ে করছি না, কারণ তিনি যথেষ্ট সৎ, মেধাবী এবং যোগ্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি। যিনি প্রতিনিয়ত নিজ দলের লোকের সাথেও কখনো আপোষ করেননি বরং বারবার তাঁকে নিজ দলের লোকের সাথে বিরোধে জড়াতে হয়েছে এমন কি শুনতে হয়েছে অনেক বিতর্কিত কথা। যাই হোক, দলের স্বার্থ দেখা/দলের হয়ে জোর খাটানো কিংবা পক্ষপাতিত্ব করে অন্যের চাওয়া-পাওয়াকে ভুলুন্ঠিত করা কখনো এক হতে পারেন না। গণতন্ত্র বলতে আমরা সাধারণ যা বুঝি তা হচ্ছে- যেখানে সব দলের লোকেদের জন্য থাকবে সমান সুবিধা। এখানেও আমরা ভোট পরবর্তীতে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি এবং দেখেছি ভোটের দিন এবং তার পূর্বে কিভাবে এক তরফা ভোট দলীয় ভাবে ব্যালট পেপারে মারা হয়েছিলো। যেখানে একজন নারী ভোটার ৫০০ অধিক ভোট দিয়েছেন। আমরা দেখেছি জনাব শামীম ওসমান সাহেব নৌকায় ভোট প্রদান করে তা বাহিরে এনে সাংবাদিকদের দেখাচ্ছেন। যা বাহিরে আনা কিংবা কাউকে দেখিয়ে প্রলুদ্ধ করা কখনো সম্ভব হওয়ার কথা না কিন্তু সেটাই হয়েছে বা করেছে।

মোদ্দাকথা হচ্ছে, সহনশীল আচরণের মধ্যেও আমরা ঘাতকব্যাধী আচরণ দেখলাম যা গণতন্ত্রের জন্য কখনো সুখকর হতে পারেনা। একজন ভালো রাজনৈতিকের চরিত্রেও কালিমা লেপন করা হলো এর মাধ্যমে।

আরো জানতে দেখতে পারেন : ০১। লাইভ ভোটের হালচাল
০২। লাইভ ভোটের হালচাল

আমরা সব সময় সত্যের পক্ষে কখনো অন্যায়কে সমর্থন করি না করবো না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:



নারায়নগঞ্জ মাফিয়া দ্বারা চালিত হচ্ছে, কে এলো, কে গেলো, এটা খেলাধুলা; সবাই মাফিয়ার আয় থেকে ভাগ পাচ্ছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

রুপম হাছান বলেছেন: জানি না ভাই চাঁদগাজী। তবে তুলনামূলক আইভী অনেক ভালো আছেন বলেই মনে হচ্ছে।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একজন ভালো রাজনৈতিকের চরিত্রেও কালিমা লেপন করা হলো এর মাধ্যমে।

কেও হঠাৎ উদ্দেশ্য প্রনোদিত কোন কাজ করলে তার দায়ে কি ভালো রাজনৈতিকের চরিত্রেও কালিমা লেপন করা হলো বলা যায়?

কালিমা কি ভাল রাজনৈতিকের চরিত্রে লাগল না যে কাজটি করল তার চরিত্রে লাগল , যে কাজটি করেছে তাকে কেও কোন দিন ভাল রাজনৈতিক বলেনা ।।
তাই এই লিখাটির শেষ এই বাক্যটি দিয়ে কি ঈঙ্গীত দিতে চাওয়া হয়েছে একটু পরিস্কার করে বললে ভাল হত বলে মনে হয় ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ডাঃ এম এ আলী আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার সাথে শেয়ার করার জন্য। তবে জানেন তো, নকল করে পাশ করলে তাকে সবাই ভালো জানে আর যে ভালো পড়াশোনা করেও ফেল করে তাকে অনেকেই হেয় করে কথা বলে। এটাই বাস্তবতা।

সত্যকে স্বীকার করা এখন একটা কঠিন সময় বলে আমি মনে করি। ব্যাপারটি হচ্ছে ঐ ভালো রাজনৈতিক যখন বুঝতে পারলো যে, কোনো একটি কেন্দ্রে (১০০০) এক হাজার ভোট কাস্ট হওয়ার পর যোগফলে দেখা গেলো, নৌকা পেলো (৮০০) আটশত ভোট আর ধাঁনের শীষ পেলো (৫০০) পাঁচশত ভোট! এখানে যোগফলটা তাহলে কি দাঁড়ালো!? এটা তিনি যেমন জানতেন ঠিক এই ভোট পদ্ধতির সাথে জড়িত যারা ছিলেন তারাও জানতেন। অথচো এই ভূল ফলাফলেন জন্য কোনো প্রতিবাদ কিন্তু এই ভালো রাজনৈতিক করেন নি। আর আমরা বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে দেখলাম তার ভিডিও রেফারেন্স।

মোদ্দাকথা হচ্ছে, অন্যায় জেনেও যিনি অন্যায়কে বহন করেন তিনিও অন্যায়কারী। অতএব, একজন ভালো রাজনৈতিক কিছু সময়ের জন্য হলেও কুরাজনীতি করেছেন সকলের সাথে। ধন্যবাদ আবরো, আমার আঙ্গিনায় আমন্ত্রণ গ্রহণ করার জন্য।

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে বলেছেন: সেলিনা হায়াৎ আইভী বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন শুনে অনেক খুশিও হয়েছি কিন্তু দু:খের বিষয় হল যে , সনারায়নগঞ্জ বাবার আওয়ামী লীগ নেতা শামিম সেমান মাফিয়া দ্বারা সাত খুন পর্যন্ত চালিত হচ্ছে, খেলাধুলা সবাই মাফিয়ার আয় থেকে ভাগ পাচ্ছে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

রুপম হাছান বলেছেন: হা হা হা। ধন্যবাদ ভাই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে! হা হা হা। (প্রথম হাসলাম আপনার লিখাটি পড়ে এবং দ্বিতীয়বার হাসলাম আপনার নিক পড়ে)।

মোদ্দাকথা হচ্ছে, খারাপের মধ্যে কিছু লেভেল থাকা দরকার। হয়তো আইভী’র মধ্যে সেই লেভেলটি আছে বলেই আমার মনে হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে, আপনার মতামত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আবারো আমার আঙ্গিনা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.