নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-নির্বাচন নিয়ে সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটি গঠন এবং আমার পর্যালোচনা-

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০



প্রাত্তন স্পীকার বর্তমান দেশের প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ আব্দুল হামিদ এর ব্যাপারে আমার ব্যাক্তিগত শ্রদ্ধা রয়েছে কারণ তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রবীণ একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তি হওয়া সত্ত্বেও কখনো বিরোধী দলের সাথে তাঁর খারাপ সম্পর্ক হয়নি। এমনকি তিনি সংসদ চলাকালীন সময়েও সবাইকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করতেন। এখনো তিনি সবার কাছে সর্বজন শ্রদ্ধেয় স্বীকৃত ব্যাক্তি বলেই আমি বিশ্বাস করি।

১৯৭১ সালের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে কোনো প্রেসিডেন্টের সাথে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে এতো বেশি আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তিঁনি বর্তমান সময়কে একটি রাজনৈতিক সংকট মনে করে যে উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেছেন তা সর্বজন প্রশংসীয় হয়েছে। একদিকে তিঁনি সকল রাজনৈতিক দলের চিন্তা-চেতনাকে প্রাধান্য দিয়েছেন অন্যদিকে দেশে গণতন্ত্রের যে একটি শূণ্যতা তৈরি হয়েছিলো তা উপশমে ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করেছেন। যারফলে তিঁনি এক এক করে বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ-আলোচনা করে একটি নির্বাচন কালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে রীতিমত সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে আমি মনে করি।

আমি আশা করেছিলাম দেশের এই ক্নান্তি লগ্নে আমাদের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য এমন কিছু নিষ্পাপ ব্যাক্তিকে (এতো দিনের আলোচনায় উঠে আসা কিছু সর্বজন স্বীকৃত ব্যাক্তি) দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন করবেন, যা সবার কাছে একবাক্যে গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু এখন আমি কি শুনলাম আর কি দেখলাম---!?

এখন প্রশ্ন হচ্ছে – যাঁদেরকে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছে, (সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটি) সেখানে টিম প্রধান কাকে রাখা হয়েছে? তিঁনি কি সর্বজন স্বীকৃত কোনো ব্যাক্তি? নাকি বিতর্কিত ব্যাক্তি? আমি সেটা খুব ভালো বলতে পারবো না।

যদিও এই কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগসহ অন্য দলগুলো ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলে আমি পত্রিকার মাধ্যমে জানলাম।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতির দীর্ঘ আলোচনার পর গতকাল অনুসন্ধান কমিটির প্রধানসহ অন্য সদস্যদের নাম চূড়ান্ত করা হয়। তর্কে উঠে এসেছে- রকিব উদ্দিন কমিশন গঠনের সময়ও অনুসন্ধান কমিটির প্রধান ছিলেন নাকি বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন! যদিও তখন অনুসন্ধান কমিটি ছিল চার সদস্যের আর এখন ছয়। তবুও এটা কতটা যুক্তি সংগত এবং লেভেল হয়েছে বলে আপনি মনে করেন!? যিনি পূর্বেও ছিলেন বর্তমানেও আছেন! আমার কাছে মনে হয় নি।

অনুসন্ধান কমিটি কমপক্ষে একজন নারীসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার নিয়োগে প্রতিটি শূন্য পদের বিপরীতে দুজন ব্যক্তির নাম বাছাই করে সুপারিশ করবেন। আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সম্মানিত রাষ্ট্রপতির কাছে বাছাই করা নামসহ সুপারিশ করতে হবে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।

আবারো প্রশ্ন হচ্ছে-যাঁকে এতোদিন নিরপেক্ষ ব্যাক্তি হিসেবে ভেবে এসেছি শেষ পর্যন্ত তিঁনিও কি একই পথে হাঁটতে শুরু করেছেন? নাকি এর ভেতর থেকে তিঁনি আরো ভালো কিছু সবার জন্য দিতে সক্ষম। যা সবার জন্য সমান ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বিশ্বাস করবে জনগণ। নাকি শেষঅব্দি আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন সবার জন্য অপেক্ষা করছে?

অর্থাৎ দল যা বলবে তার মধ্যে থেকে বিবেচনায় নেয়া হবে প্রায় সব। অন্যদের সাথে শুধু মুখ রক্ষা! আমার বিশ্বাস, নিশ্চয় এটা বঙ্গবন্ধু তথা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আদর্শের সাথে যাবে না। তাই বিনীত অনুরোধ থাকবে-আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা এই ব্যাপারে যথাপোযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সকল স্তরের রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের পছন্দের মূল্যায়নের মাধ্যমে আগামীর নির্বাচন কে কূলশমুক্ত করতে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবেন। রাজনৈতিক ইতিহাসে যা সবার জন্য এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪

রুপম হাছান বলেছেন: উল্টো প্রবাদ চলছে এখন- বিশ্বাসে হারায় বস্তু, তর্কে কাছাকাছি। আলোচনা-পর্যালোচনা (তর্ক) করে এখন ভালোটা পাওয়া যায় আর বিশ্বাস করে হারাতে হয় সবকিছু। তাই আলোচনা-পর্যালোচনা তে ভালোটা গ্রহণ করাই কাম্য। যা সবার জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে বলে বিশ্বাস করি এবং করবো। কারণ আমি একচোখা দলীয় নীতি বিশ্বাস করি না। ভালো হলে গ্রহণ করি আর খারাপ মনে করলে তা প্রতিবাদ করি। কারণ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগই পারে প্রতিবাদীদের প্রতি সম্মান জানাতে। এটাও আমার বিশ্বাস।

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার বিশ্বাস ঠিক আছে; আপনার বিশ্বাসে সাথে যোগ করতে পারেন, "বোবার শত্রু থাকে না; এবং বোবার দ্বারা কোন বড় কাজও হয় না"।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭

রুপম হাছান বলেছেন: হয়তোবা সঠিক কিন্তু মাঝে মাঝে বোবারাও অনেক ভালো কাজ করেন। যাই হোক-

ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই আপনাকে। অত্যন্ত সহমর্মী ও সুন্দর একটি মতামত আমার সাথে যোগ করার জন্য।

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

ভাবুক কবি বলেছেন: সবকিছু মিলিয়ে আমরা যা আশাকরেছিলাম তা পুরন হয়নি বা হবে বলে স্বপ্নও দেখতে ইচ্ছে হয়না। আর চাঁদগাজী ভাইয়ের কথার সাথে একমত পোষন করলাম।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২১

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভাবুক কবি আপনার সুচিন্তিত মনোভাব আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। জানেন তো, একমাত্র তারাই সঠিক কাজটা করতে জানে যারা মূলত তার সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস অটুট রাখে। মিথ্যা কে মিথ্যা আর সত্যকে সত্য বলতে জানে।

আপনাদের দুই জনকেই (চাঁদগাজী ভাই এবং আপনি) অসংখ্য ধন্যবাদ থাকলো।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভোটে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েছে, বিএনপি ভোটে গেলে কয়েক সীট পাবে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

রুপম হাছান বলেছেন: এমনটা যেনো না হয়! কারণ শক্ত বিরোধীদল না থাকলে সেখানেও গণতন্ত্র সঠিক থাকতে পারে না। আর এজন্য সবার উচিত জেনে বুঝে দেশের স্বার্থে নিজের ক্ষমতা (ভোট) প্রয়োগ করা। ধন্যবাদ ভাই চাঁদগাজী আপনার ফিরতি মন্তব্যর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.