নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-বাস ড্রাইভাদের কৃর্তি বনাম জাতীয় সম্পদ ধ্বংস!-

১৩ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০



গত কয়েকদিন আগে দুইজন বাস ড্রাইভারের শাস্তি হয়েছে, এই নিয়ে সারা দেশে তুলকালাম কান্ড করেছে ইউনিয়নের নেতারা সহ দেশের সকল বাস-মালিক সমিতির লোকজন। ভোগান্তিতে রেখেছিলো সারা দেশের বিভিন্ন গন্তেব্যে আসা-যাওয়া ইচ্ছুক মানুষদেরকে। ঐ আচরণ ছিলো মহামান্য আদালতের উপর এক ধরনের হস্তক্ষেপ।

একজন বাস ড্রাইভার তার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে গিয়ে হয়তো রাস্তায় কোনো গাড়ীর ক্ষতি করে বসেন/নতুবা রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া পথচারীর জীবনাবসান ঘটান। আবার কখনো বা তারা নিজেরা নিজেরা ধাক্কাধাক্কি করতে গিয়ে রাস্তা মাঝে আইল্যান্ডে উঠে পড়েন এবং যাত্রীর গন্তেব্যে যাওয়ার প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে বসেন। এটা এখন তাদের রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে।

আজকে যখন পল্লবী থেকে আসছিলাম, তখন পল্লবী বাস স্ট্যান্ডে দন্ডায়মান ছিলো বিহঙ্গ পরিবহন। এক দৌঁড়ে উঠে পড়লাম কিন্তু অফিস টাইম জেনেও ড্রাইভার ষ্টপেজে বসে ছিলো; না হলে ১৫মিনিট। কথা একটা, সেটা হলো খালি গাড়ী। তাড়া থাকলে সিএনজি নিয়ে যান! অদ্ভুত আচরণ। কে, নিজের খেয়ে শুধু শুধু তাদের সাথে ঝগড়া করতে যাবে।



যাই হোক, নির্দিষ্ট সময় পর গাড়ী সামনে চলতে থাকলো এবং যাত্রীও উঠল বেশ। কিন্তু দশ নম্বর আসার সাথে সাথেই হাতে গোন ৫-৭জন যাত্রী বাদে বাকী যাত্রীরা সব নেমে গেলো। ড্রাইভার সেটা তেমন গুরুত্ব না দিয়ে সামনে চলে আসে এবং বলতে থাকে হায় হায় যাত্রী কই!? পুরা রাস্তা দেখি খালি! যখন কাজীপাড়া আসলাম ঠিক তখন দেখি সামনে আরেকটি বিহঙ্গ কিন্তু ঐ গাড়ীটিও প্রায় খালী অর্থাৎ যাত্রী কম। এটা দেখে তো দুই ড্রাইভারের মাঝে এক ধরনের প্রতিযোগিতা লেগে গেলো। এখন, কে/কাকে পিছনে রাখবে এই নিয়ে ডানে-বামে তাকানোর সময় কই। কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই আমাদের গাড়ীটি সামনের গাড়ীটিকে পিছনের ফেললো। যখন আগারগাঁও আসলাম এবং বামে মোড় নিলো ঠিক তখন দেখি পুরো রাস্তা জ্যাম এবং সামনে আরো দুটো বিহঙ্গ পরিবহন।

ভীষণ মজার ব্যাপারও বটে। মাঝে মাঝে একটাও দেখা যায় না আর এখন চারটা গাড়ী একসাথে। কখনো প্রায় পাশাপাশি আবার কখনো পিছন পিছন। এরই মাঝে নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে আসার পর সামনের দুটো গাড়ীর মধ্যে ভীষণ ঠেলা-ঠেলি অবস্থা! একটা খালী আর অপরটি ভরা গাড়ী। তো, খালি গাড়িটি ঠেলে ভরা গাড়ীটিকে প্রায় আইল্যান্ডেই তুলে দিয়েছিলো! কোনো মতে সেভ হয় ঐ গাড়ীর সকল যাত্রী। আমাদের গাড়ীর ড্রাইভার তখন বলছিলো ওদের ভাগ্য ভালো যে, ডান পাশে কোনো গাড়ী ছিলো না কিংবা একটি মোটরবাইক থাকলেও হইতো! তাহলেই টের পেতো!



হয়তো তখন পাশে কোনো গাড়ী ছিলো না কিংবা কোনো একজন ড্রাইবার একটু শান্ত হওয়াতেই ব্যাপারটা সামলে ছিলো।কিন্তু যখন বিজয় স্বরণী মোড় নিলো তখন বাঁধলো বিপত্তি। সেটা আমাদের গাড়ীতে নয়। একই রুটের ভিন্ন দুটি কোম্পানীর গাড়ীর প্রতিযোগিতায় পরপর ছয়টি গাড়ী ধ্বংস! পিছনের অগ্রদূত সামনের হিমাচলকে ওভারটেক করতে গিয়ে মাঝে থাকা একটি এলিয়ন একটি সিএনজি দুইটি নোয়াভক্সি এবং হিমাচল সহ সবগুলো গাড়ীকে একসাথে বসিয়ে দেয়! এখন বলতে পারেন কিভাবে ঘটলো একান্ডটি?

খুব দ্রুততার সাথে চলতে থাকা সামনের গাড়ীটি যখন কষিয়ে ব্রেক করলো তখন অগ্রদূত পিছন থেকে কঠিন ভাবে ধাক্কা দেয় সামনে থাকা এলিয়ন কে! আর এই ধাক্কার ঠেলা যতদূর পর্যন্ত বলবৎ ছিলো ঠিক ততদূরের ভিতরে যে কয়টি গাড়ী ছিলো, সবগুলোর; কারো পিছনের দিক ভিতরে ঢুকে গেছে/কারো সামনের পুরো গ্লাস খুলে রাস্তায় পড়ে গেছে কারো পুরো বড়ি চেপে গেছে। এই নিয়ে ‍তুলকালাম সকাল বেলার বিজয় স্বরণীর সড়ক। সেখানে থাকা আমাদের কয়েকজন লোকও আহত হয়েছেন। আর এর মাশুল দিচ্ছেন সাধারণ যাত্রী কিংবা নিরাপরাধ অন্যরা। এই ড্রাইভারদের ইচ্ছার মূল্য দিতে গিয়ে, কত সাধারণ মানুষ বেঘোরে জীবন দিচ্ছেন তার কোনো ইয়াত্তা নেই। অথচো ভালো-মন্দ বাচ-বিচার না করে আমাদের ইউনিয়ন লিডাররা ঐসকল অপরাধী ড্রাইভার/হেল্পারদের হয়ে ওকালতি করতে আসেন।



অনেক হয়েছে! আর নয়, সময় এসেছে-মটরযানের জন্য নির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করার এবং আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেয়ার। আর সাথে সাথে যা করা উচিত, প্রতিটি কোম্পানীর গাড়ীকে এক কোম্পানীভুক্ত করে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করা। যিনি আগে আছেন তিনি সব সময় আগে যাবেন/কোনো ওভারটেক চলবে না। যিনি এই আইন ভঙ্গ করবেন তিনিই শাস্তিযোগ্য অপরাধ করবেন। আর যাতে করে, ড্রাইবার/হেল্পার/মালিক সমিতি কিংবা ইউনিয়ন লিডারদের খেয়াল খুশির মূল্য দিতে গিয়ে কোনো যাত্রী সাধারণের জীবন দিতে না হয় কিংবা পথচলার ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

সত্যের ছায়া বলেছেন: 8-| কি আর করবেন!

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১১

রুপম হাছান বলেছেন: ভাইরে কিছু করার নাই বলেই, গতকালকে এই পোষ্টটি দিয়ে আজকে নিজেই ব্রেক খেলাম! অতঃপর বাম হাতের তর্জনীতে ব্যাথা পেয়েছি। ভাবা যায়!

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: বিদেশে এমন আইনকানুন আছে। আমাদের দেশেও থাকতে পারে

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

রুপম হাছান বলেছেন: আমাদের দেশে এটা কখনো হবে কি না জানি না তবে আগামী দশ বছরেও যে হবে না তা হলফ করে বলে দিতে পারি। কারণ, যারা মন্ত্রীত্ত্ব চালান তারাই আমার ইউনিয়ন চালান। তো কে/কাকে কেয়ার করবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.