নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা জরুরী-

১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮



গত পরশুদিন আমাদের মাননীয় টাকারমন্ত্রী বললেন, সুইচ ব্যাংকে আমাদের তেমন টাকা পাচার হয়নি! জবাবদিহিতা থাকলে হয়তো এমন কথা উনি বলতে পারতেন না। আর তখনই জনগণের কাছে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে যদি সঠিক নিয়মে একটি সঠিক সিস্টেম দাঁড় করানো যায়।

তাই বলবো-
এই মুহুরতে জনগণের প্রয়োজন ও প্রত্যাশা-একটি নিরবাচন সহায়ক সরকার। যেখানে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিদন্ধিতা সমান সুযোগহারে নিশ্চিত করা যাবে। যদিও আমরা ভুল করে সব সময় শুধু ব্যক্তিকে নিরপেক্ষ করতে চাই, অথচ দরকার একটি সিস্টেমকে নিরপেক্ষ করা। ব্যক্তির নিরপেক্ষতা সব সময় একটা অনিরণেয় ও তরকের বিষয়। এক্ষেত্রে যার গলার জোর বেশি, তার দাবিই টিকে যায়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কনসেপ্ট ছিলো মূলত একটি সিস্টেম নিরপেক্ষ করা। এই কনসেপ্টের ওপর ভর করে যে ক’টি সরকার এই পরযন্ত গঠিত হয়েছে, সেসব উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে সব পক্ষই কখনোই একযোগে সন্তুষ্ট ছিলো না। কিন্তু তাদের সারবিক ফলাফল সব সময় নিরপেক্ষ হয়েছে। এবং উভয় দলের মাঝে একটি সমঝোতা কিংবা বুঝাপোড়াও হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছিলো। কারণ এই মেকানিজমটি দু’টি দলের প্রত্যাশার কাছাকাছি ছিলো।

অথচ বরতমান সরকারে থাকা সংসদীয় ব্যক্তিগণ আগামী নিরবাচন প্রক্রিয়ার যে রুপরেখা দাঁড় করিয়েছেন তা একটি প্রতিষ্ঠিত সিস্টেম এর কনসেপ্টকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আগামী নিরবাচন পরবরতী প্রাপ্ত সংসদ কখনো সাধারণ জনগণের প্রতি তাদের দায়বদ্দতার প্রতি ভ্রুপেক্ষও করবেনা বলে আমার কাছে মনে হয়। যার কিঞ্চিৎ আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মন্ত্রীদের মুখ থেকে শুনতে পাই।

নিশ্চয় আমরা এমটি কখনোই চাইনি, আর চাইবোও না। যারা পারিবারিক কিংবা দলীয় স্বারথের এজেন্ডা দিয়ে রাষ্ট্রীয় অরথ খরচে তাদের মনের বাসনা পূরণ করতে দেশের জনসাধারণকে পুঁজি করেন। যতদিন পরযন্ত দেশে একটি মানবীয় গুণাবলী সমৃদ্ধ সঠিক সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন পরযন্ত রাজনৈতিকদের মুলা ঝুলিয়ে ভোট আদায়কে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
আমরা দেখেছি- প্রতিবেশি দেশ ভারতে তেলের দাম বাড়ার কারণে এবং রেল বিভাগে দুরনীতির কারণে সেদেশের বিভাগীয় মন্ত্রী পদত্যাগ করছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় সামান্য জাহাজডুবির কারণে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিবেকের তাড়নায় পদত্যাগ করেছেন! এমনকি বান্ধবীর অরথ কেলেঙ্কারী নিয়ে কথা ওঠায় প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেছেন। কারণ সেসব দেশে একটি সঠিক এবং নিয়মমানা একটি সিস্টেম চালু আছে। যার কারণে রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিগণ সামান্য অজুহাতে তাদের দেশের জনগণের কাছে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য থাকেন বিধায়, জাতি এবং দেশ হিসেবে তারা অনেক বেশি আমাদের তুলনায় উন্নত।

তাই আমাদের দেশেও ঠিক এমন একটি সঠিক ও নিয়ম মাফিক সিস্টেম দাঁড় করানো উচিত, যেখানে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা তাদের দুরবলতা কিংবা অসদ উপায় অবলম্বন করলে তাদের দেশের জনগণকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য থাকবেন।

(বাংলায় সমস্যা হচ্ছে তাই কিছুক্ষেত্রে শব্দের শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়েছে, তাই দুঃখ প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ।)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

ইসমাইল আব্দুল্লাহ বলেছেন: সহমত

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

রুপম হাছান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মানিজার বলেছেন: কোথায় যেন পড়লাম । দলভিত্তিক গণতন্ত্র বাদ দিয়ে ব্যক্তিজনপ্রিতাভিত্তিক গনতন্ত্র চালু করা উচিত।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

রুপম হাছান বলেছেন: সেটা হলে হয়তো অনেক বেশি গণতন্ত্রপূর্ণ রাষ্ট্র পাওয়া যেতো। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই মানিজার আপনাকে।

ভালো থাকবেন এবং সব সময় ভালোর সাথে থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.