নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি সর্ব মহলের শ্রদ্ধা রাখা জরুরী-

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

যারা দাবা খেলা বুঝেন তারা হয়তো জানবেন যে, মন্ত্রী কিভাবে রাজা কে বিপদে ফেলেন। কখনো কখনো মন্ত্রী এক চেকেই রাজার কার্যক্রম শেষ করে দেন। অর্থাৎ খেলার সমাপ্তি ঘটিয়ে ফেলেন। সেক্ষেত্রে আমি বলবো-প্রধানমন্ত্রী (রাজা) যেনো এসব মন্ত্রীদের কিছু সময়ের জন্য হলেও মুখে ফেভিকল না হলেও কসটেপ মেরে রেখে দেন। উনি (অর্থমন্ত্রী) যেভাবে দেশের প্রধান বিচারালয় নিয়ে উচ্চবাচ্য করতেছেন এতে করে দেশের প্রচলিত কথাও (আদালত অবমাননা করা) উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে আমার কাছে মনে হয়। মনে রাখতে হবে, এই আদালতই বড় বড় দস্যুদের ফাঁসির আদেশ দিয়ে তা কার্যকরও করেছিলেন। কেউ কেউ যাবৎ জীবন কারাভোগও করছেন। অতএব, উনি মন্ত্রী বলে দেশের উচ্চ আদালতের প্রতি রাগ ঝাড়া কিংবা মহামান্য আদালতের সম্মানের হেয় প্রতিপন্ন করার সুযোগ কখনোই রাখেন না। ওনাকে বুঝতে হবে, বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগণের জন্য একমাত্র আদালত আর উনি কিন্তু কিছু সময়ের জন্য মন্ত্রী। মন্ত্রীদের লাগামহীন কথাবার্তা দেশের অন্যান্য নাগরিকদেরও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করার হার বেড়ে যেতে পারে। যা পুরো দেশের জন্য একটি অনাঙ্খাকিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। যার জন্য দায়ী থাকবে বর্তমান সরকারী দল।

ভিডিওটি দেখতে না পেলে লিংক দেয়া হলো : ষোড়শ সংশোধনী বিষয়ে যা বললেন অর্থমন্ত্রী



আশা করছি, দেশের মানুষের কাছে নিজের ভুলের ব্যাপারে ক্ষমা চেয়ে নিবেন এবং দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন। দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের প্রতি দলীয় নেতা/এমপি/মন্ত্রীদের যে অবজ্ঞাসুলভ আচরণ তা পুরো দেশের মানুষের আস্থার যায়গাকে আরো দুর্বল করে দিবে বলে আমি মনে করি। তাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমুহের প্রতি সম্মান রেখে অতি বালখিল্যতা বন্ধ করে দেশের মানুষের মঙ্গল হয় এমন মন্তব্য করে দেশের মানুষের মন জয় করবেন বলে প্রত্যাশা রাখি।

পরিশেষে বলবো- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেনো অতি উৎসাহী নেতা/এমপি/মন্ত্রীদের সার্বজনীন বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য না করে মুখে কূলুপ এঁটে থাকতে নির্দেশ প্রদান করেন। যদি নিতান্তই মন্তব্য করতে হয় তবে অতিব সতর্কতার সহিত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে এবং দেশের মানুষের আস্থায় ছিঁড় না ধরে সেসব দিকে নজর রেখে বক্তব্য প্রদান করবেন। আশা করছি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আশু প্রদক্ষেপ গ্রহণ করতঃ সারা দেশের মানুষকে খুশি করবেন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: রায় যদি সরকার মেনে নেয় সেটাই হবে সঠিক পদক্ষেপ। চাইলে সংসদে রায় নিয়ে আলোচনাও চলতে পারে। কিন্তু রায়কে অসম্মান করে কথা বলা কিংবা ভ্রুকুটি দেখানো সরকারের ভাবমূর্তিকে আরো বেশী প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০২

রুপম হাছান বলেছেন: আমরাও সেটাই চাই যেনো সরকারী দলের কোনো ব্যক্তি তাদের নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত কে বিতর্কিত না করেন। ধন্যবাদ ভাই উম্মু আব্দুল্লাহ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.