নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আইনের সমতা রক্ষা করা খুবই জরুরী-

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭



দেশের হাইকোর্ট আর সুপ্রিম বলতে যদি কিছু থাকে তবে সেটা হচ্ছে সরকার!!! কারণ দেশের এই সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আইনি প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে রুপায়ন করা হয়েছে। কখনো কখনো দেখেছি কোর্ট থেকে রায় বের হওয়ার আগেই তা বাস্তবায়ন করেছে সরকার আবার কখনো কখনো দেখেছি রায় বের হয়ে তামাদি হয়ে যাওয়ার পরেও তা বাস্তবায়নে আলোর মুখও দেখেনি! যখন কোনো দলীয় ব্যক্তির বিরোদ্ধে রায় এসেছে তবে সেটাকে সরকার তথা সরকারী দলের পক্ষ থেকে সব সময় বিতর্কিত করা হয়েছে কিংবা বলা যায় সেই সব রায়ের প্রতি সরকার বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছে সরকার!

আর বিরোধীপক্ষের কারো হলেই তা গর্ভে থাকতেই বাস্তবায়ন করেছে! উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি, এই হাইকোর্ট থেকে যখন সরকার দলীয় তিনজন মন্ত্রীকে সাজা দেয়া হলো তখন তাদের মন্ত্রীত্ব নিয়েও কথা উঠেছিলো। তবে, তারা তো মন্ত্রীত্ব হারান নি বরং বহাল তবিয়তেই আছেন এখনো!? এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংবিধানে নাকি এই ব্যাপারে সঠিক ভাবে কিছু বলা নেই। বলা হলো মন্ত্রীত্ব থাকবে, না যাবে; এটা নির্ধারণ করবে সরকার কিংবা সরকারী দল!!! তাহলে ব্যক্তি দোষী হলেও কি আর না হলেও কি!? সিদ্ধান্ত যখন সরকারই দিবে? যেখানে মায়া চৌধুরী কে ১৩ বছরের জেল দেয়া হলো সেখানে মায়া চৌধুরী এখনো মন্ত্রী রয়েছেন কিভাবে? একই ভাবে মন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং আ ক ম মোজাম্মেল হক কেও ৭ দিনের জেল দিয়েছিলো দেশের সর্বোচ্চ কোর্ট, তবে কেনো তারা এখনো মন্ত্রী থাকলেন?

এই থেকে কি এমনটা প্রতিয়মান হয় না যে, কোনো কারণে বিএনপি তথা বিএনপি’র সমর্থিত ব্যাক্তি বিশেষ কেউ কোনো কারণে সাজা পেয়ে গেলে তারা নির্বাচনে আসতে কোনো দ্বিধা নেই কিংবা আইনি কোনো জটিলতা নেই!? যেটা ঐ তিন মন্ত্রীর ব্যাপারে করা হয়েছে? কারণ এক সংবিধানে তো দুই ব্যক্তির জন্য দুই রকমের আইন প্রণয়ন করা হয়নি? মন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হয়ে যদি মন্ত্রীত্ব বজায় থাকতে পারে, তবে রাজনৈতিকরা কেনো দোষী সাব্যস্ত হলে নির্বাচনে আসতে পারবে না?

এদেশের মিডিয়ার মানুষগুলো কি সঠিকটাও সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে জানে না, নাকি জেনেও না জানার ভান করে? অথচো বিরোধী পক্ষের জন্য পরিচালিত আজকের বেশির ভাগ মামলা কিন্তু ১/১১ সরকারই দিয়েছিলো। এবং সরকারী দলের বিরুদ্ধে বিএনপির তুলনায় কয়েকগুণ বেশি মামলায় দিয়েছিলো। যদিও আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসে তার বিরুদ্ধে দেয়া সকল মামলা প্রত্যাহার করে নিলো আর বিএনপির বিরুদ্ধে সকল মামলা সচল করে রাখলো! আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যা পরিপূর্ণভাবে অন্তরায়! এটা বিচার করার জন্য নিশ্চয় পাকা বুদ্ধির লোক হওয়ার দরকার নেই। তাই নিজের বিবেকের কাছেই না হয় প্রশ্নটা রেখে দিলাম।

বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন : বিএনপির দুশ্চিন্তা ১/১১র মামলায়

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪

রুপম হাছান বলেছেন: মিডিয়ার সঠিক ভুমিকা আশা করি। দল করলে দলের সবকিছু ভালো বলতে হবে এমনটা হলে গণতন্ত্র বিকশিত হওয়ার পথ চিরদিনের জন্য রুদ্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করি। তাই সঠিক গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে এমন আজব মার্কা গণতন্ত্র বিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সব সরকারের আমলে তাই হয়,
এ নিয়ে ভাবনা গতস্য শোচনা নাস্তি

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

রুপম হাছান বলেছেন: আপনি যথার্থই বলেছেন। সহমত থাকলো।

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনার মূল মন্ত্র, উন্নয়নের গনতন্ত্র।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

রুপম হাছান বলেছেন: হা হা হা। উন্নয়নের জোয়ারে উড়াল সেতুর উদ্ভোধনীতে চেয়ারগুলো নাকি আকাশে ভাসছিলো! আর এসব করেছে খোদ নিজ দলের গণতন্ত্রকানা লোকগুলো! হরিবোল হরিবোল/উন্নয়নের রোল মড়েল/গর্তের থেকে তোল//হরিবোল/হরিবোল। হা হা হা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.