নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আদালতের কালো অধ্যায় শুরু হয়েছে!

১৪ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫



এখানে প্রধান বিচারপতি যে পাবলিক পারসেপশন তোয়াক্কা না করেই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তা কোনো ভাবেই সঠিক নয়। কারণ পাবলিক পারসেপশনের বাহিরে আদালত নয়। আদালত পাবলিক পারসেপশনের ভিত্তিতেই কাজ করে। আমরা বিগত দিনে তাকালে দেখতে পাবো- শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের সৃষ্টি পারসেপশনকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টের একটি রায়কে পরিবর্তনের জন্য রাতারাতি আইনও পাশ করতে হয়েছিলো। যার ফলে ঐ দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির যাবৎজীবন কারাদন্ড শেষ পর্যন্ত ফাঁসিতে কার্যকর করা হলো!

এখন আজকের প্রধান বিচারপতি বলবেন কি, সেটা কি তাহলে আইনি বিধানের বাধ্যবাধকতা ছিলো নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিলো?! আজকের প্রধান বিচারপতি এই কথা বলে সংবিধান তথা দেশের প্রচলিত আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে দিলেন। এবং আসামী পক্ষের কোনো বক্তব্য না শোনেই এক তরফা ভাবে সিদ্ধান্ত দিলেন যা আদালতের কালো অধ্যায় বলে ধরে নিতে পারি। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম বিতর্কিত সিদ্ধান্ত আর কোনো প্রধান বিচারপতি দিয়েছিলেন কিনা জানা নাই। যার ফলে তিনি আর সংবিধান মোতাবেক আইনের রক্ষক থাকতে পারেন না বলে আমার কাছে মনে হয়।

অতএব, আজকের পর থেকে তিনি এক রকম দালাল পরিচয়ে আমাদের কাছে পরিচিত হয়ে থাকবেন।

বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুনঃ ০১। আদালতেই প্রধান বিচারপতিকে দালাল বললেন খালেদার আইনজীবীরা এবং
০২। প্রধান বিচারপতির একতরফা শুনানি, পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিচার পতিকে দালাল বলা ঠিক নয়।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

রুপম হাছান বলেছেন: যখন কোনো মানুষের নায্য পাপ্য মানুষ পরিশোধ করতে কিংবা সুযোগ দিতে কার্পন্য করে অথবা রহিত করে তখনই মানুষ আর প্রকৃত অর্থে মানুষে থাকেনা। তখন তিনি যে কোনো উপাধিপ্রাপ্ত পরিচয়ে অন্য মানুষের সামনে হাজির হয়। হয়তো সেই দুঃখে ক্ষোভে একদল এই বিচারপতিকে দালাল বলছেন এবং বলবেন।

ধন্যবাদ ভাই রাজীব নূর আপনার পছন্দের মূল্যায়ন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে। ভালো থাকবেন।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: হুম আইন চলুক আইনের গতিতে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

রুপম হাছান বলেছেন: না ভাই চলছে না তো! এটা যখন যে দখল করতে পারে তখন সে তার মতো করেই পরিচালিত করে। আর এর জন্যই তো আমাদের এত কথা বলতে কিংবা লিখতে হয়।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বেগম জিয়া, তারেক, ও ৪০ দস্যুদের পতনের জন্য এগুলো দরকার আছে; বেগম জিয়া এভাবেই এসেছিলেন, ডাকাতী করেছেন, এভাবেই জেলে থাকবেন।

বাংলাদেশের আইন ইত্যাদি সুনাগরিকের জন্য, ডাকাতদের এই রকম ব্যবস্হার দরকার।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

রুপম হাছান বলেছেন: অন্যায় করলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তিনি শাস্তিও প্রাপ্য হবেন। এটা আমরা সাধারণদের প্রাণের দাবী। তবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ যখন অপরাধীকেও দেয়া হয় সেক্ষেত্রে আদালত তা করতে অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন বলেই আদালতের প্রতি সাধারণ মানুষের এক রকম আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করি।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

বারিধারা ৩ বলেছেন: পাবলিক যদি আওয়ামী দালাল শাহবাগী হয়, তবে প্রধানমন্ত্রী বিচারককে অনুরোধ করেন, রায় দেবার সময় জনগণের প্রতিক্রিয়ার দিকে খেয়াল রাখতে। আর পাবলিক বলতে যদি সাধারণ মানুষ হয়, তবে আদালত তার তোয়াক্কা করবেনা - এটাই স্বাভাবিক।

কাদের মোল্লার সময় আইন পরিবর্তনের আগে বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেছিলেন, রেট্রোস্পেক্টিভ ইফেক্ট হয় - এরকম রায়ের কোন উদাহরণ আছে কিনা। প্রসিকিউটর এরকম কোন দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেনি। তাতে কিন্তু কাদের মোল্লার ফাঁসি আটকে থাকেনি।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

রুপম হাছান বলেছেন: আদালত ইচ্ছে করলে তার নিজের মর্জি মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেই পারেন কিন্ত আমরা সাধারণরা কিন্তু আদালতের ন্যায় বিচারের দিকেই তাকিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে আদালতেরও কিছু দায় থাকে পাবলিক পারসেপশেরন ব্যাপারে। যা আদালত উপেক্ষা করে গেছে এবং করতেছে। এটা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না। এর ফলে স্বাভাবিক বলা যায় ন্যায় বিচার পক্ষাঘাত গ্রস্থ হয়।

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ থেকেই আদালতের কালো অধ্যায় শুরু হয়েছে। আর প্রধান বিচারপতিদের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত অনেক বার দেখা গেছে। বিচার বিভাগ এখন মগজহীন ডানাকাটা পাখি(পরী নয় কিন্তু:P)।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

রুপম হাছান বলেছেন: সহমত থাকলো। ধন্যবাদ জানবেন ভাই নিজাম উদ্দিন মন্ডল আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্যে। ভালো থাকবেন।

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:



আইনকে ফাঁকি দিয়ে যেন হাই-প্রোফাইল আসামী বের হয়ে যেতে না পারে, সেটাও বিচারকের কাজ

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৬

রুপম হাছান বলেছেন: আমরা কিন্তু অনেক হাই-প্রোফাইল আসামীদেরকে আসামী ভাবতেই পছন্দ করি না বলে তাদের নামে সাধারণ ওয়ারেন্টও ইস্যু করা হয় না। উদাহরণ দিয়ে বলতে পারি- জনাব বারাকাত সাহেব ৫৪০৫ কোটি টাকা লোপাট করার পরেও দিব্বি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। এখানেই আমাদের বিরোধিতা করতেই হয়। আদালতের কিছু দায় থাকে দেশের জন্যে সেটা তো আদালত দেখায় না। অথচ সামন্য রাজনৈতিক কারণে অনেক কিছুকেই উলোট-পালোটও করে দিতে দেখি। যেটা কাম্য নয়। আইনের সমান প্রয়োগ সবার বেলায় সমান ভাবে কাম্য। ধন্যবাদ জানবে ভাই চাঁদগাজী আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্যে। ভালো থাকবেন।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৬

আবু তালেব শেখ বলেছেন: অদ্ভুত শাষনে দেশ

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

রুপম হাছান বলেছেন: হীরক রাজার দেশে আছি।

ধন্যবাদ জানবেন ভাই আবু তালেব শেখ আপনার সুন্দর অভিব্যক্তি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে। ভালো থাকবেন।

৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কুবের যেমন বলিয়াছিল, ভগবান থাকেন ওই পাড়ায়, কুবের বাস্তব চরিত্র হইলে বলিত আইন থাকে ক্ষমতা ও পয়সাওয়ালার খাটে ! সেই পাকি আমল হইতেই সব সরকারি খাটেই আইন শুইয়াছে ! শুধু ক্ষমতা আর পয়সাহীনের খাটে আইন শোয় না ! পাকি আমলে নেসেসিটি ডক্ট্রিন , ৭৫ এ ইনডেমনিটি, অনির্বাচিত সরকারগুলোর শপথ পড়ানো, সরকারগুলোর অপকর্মে সহায়তা, হালালকরণে সহায়তা সব ক্ষেত্রেই আইন অগ্রগামী ! এ আর নতুন কি ? ভবিষ্যতে অন্য সরকার অসিলেও দেখিবেন!

তবে প্রধান বিচারপতি সত্য বলিয়াছেন ! পাবলিক পার্সেপশনে আদালত চলিতে পারে না, চলা উচিত নহে ! পাবলিক পার্সেপশনে বিচার হইলে প্যাট্রিয়টের মতন সব রাজনীবিদকেই একসময় ফাঁসিতে ঝুলিতে হইবে !

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

রুপম হাছান বলেছেন: হা হা হা। ভালোই বলিয়াছেন আপনি। তবে প্রধান বিচারপতি যে সত্য বলিয়াছেন তা কিছুটা রহিত করিলে ভালো হইতো মর্মে ধারণা করিয়াছিলাম বটে। কারণ সত্য/আইন তখনই সত্য বলে প্রচার পাইবে যখন চলমান ইস্যুগুলোর ব্যাপারে সমান বাক্য/আইনের প্রয়োগ আদালত কর্তৃৃক প্রয়োগ হইবে। সেটা করিতে আমরা প্রধান বিচারপতিকে দেখিতে পাই নাই। তাই, ইহা একদিকে সাধারণ জনগণের কাছে ভুল বার্তা হিসেবে লিখিত হইবে। ইহা কোনো ভাবেই কাম্য নহে।

আপনার এমন সুন্দর অভিব্যক্তি জানিয়া মর্মে খুশি হইলাম। ধন্যবাদ জানিবেন।

৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদেশের সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার
বিশেজ্ঞরা যেমন, রুগী দেখে বলে কান্সার
হয়েছে। আর এক বিশেজ্ঞ বলে না ক্যান্সার
হয় নাই। ঠিক তেমনি কোর্টের বিশেষ আইনজ্ঞ
রা, একজন এক আইনে জামিন দিলেন
আর একজন বললেন এই জামিন হবেনা
স্থগীত। বিশেষ আইনজ্ঞরা একজন আরেক
জনের প্রতি যদি সম্মান না দেখান তাহলে
পাবলিক কোর্ট কাচারীর আইনজ্ঞদের উপর
আস্থা রাখবে কেমনে। সরকারী হাসপাতাল
কোর্ট একই অবস্থা।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

রুপম হাছান বলেছেন: যথা বলেছেন বৈকি। এটা কোনো ভাবেই কাম্য হতে পারে না। কারণ, একই অপরাধের জন্য দুই জন ব্যক্তির দুই রকম শাস্তি হতে পারে না। এটা আইনের ব্যতয়। আর এটা সংরক্ষণ করার অধিকার রাখেন একমাত্র দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আমরা যখন দেখি সেই আদালত কর্তৃক দলীয় ব্যক্তিরা (সরকার সমর্থক) একই অপরাধের অভিযোগ থেকে খালাসের সার্টিফিকিট পায় আর রাজনৈতিক মতৈক্যর কারণে কেউ সাজা পায় সেটা সত্যি আমাদের ভাবায়। এটা আইনের শাসনের পরিপন্থি। এর একটি সুষ্ঠু বিহীত কাম্য।

ধন্যবাদ জানবেন বোন কানিজ রিনা আপনার সুন্দর গোছালো মন্তব্যর জন্য। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.