নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা বিবেচনায় নেয়া উচিত দেশ ও জাতির উন্নয়নের স্বার্থে

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫



দেশে কোটা নিয়ে গতকালকে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে শাহবাগ এবং টিএসসি’তে যা ঘটে গেলো তা অকল্পনীয়! আমাদের বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে, আমরা সবাই মেধাকে মূল্যায়ন করতে চাই কিন্তু একজন মেধাবীকে যায়গা তৈরি করে দিতে কখনোই প্রস্তত নই! যদিও পুলিশি আচরণে ডিএমপি কমিশনার দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথাপি এটা কি পুলিশের কাজ ছিলো?!

আমাদের দেশের নির্বাহীরা কিংবা প্রশাসনে থাকা কর্তাব্যক্তিরা কি এই ব্যাপারে ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করতে পারতেন না? কিন্তু সেটা না করে বরং রাতের আঁধারে একটি মেধাবী গোষ্ঠীর উপর বর্বর আচরণ করা হলো, এটা কি পাকিস্তানিদের পক্ষ থেকে বাঙ্গালীদের উপর চালানো বর্বরতার চেয়ে কোনো অংশে কম হবে কি?!

যাই হোক পরিশেষে আন্দলোনরত সকল ছাত্র/ছাত্রীদের আশা জাগিয়ে কোটা প্রথা নিয়ে কেবিনেট সবিচ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন ব্যাপারটা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। কিন্তু বিধিবাম ছাত্র/ছাত্রীদের তথা মেধাবীদের প্রতি কোটা প্রথার মূল্যায়ন সরকার এই মুহুর্তে করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলো!!!

অধ্যাপক আসিফ নজরুলের ভাষ্যমতে- ১৯৭২ সালের সংবিধানে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা সম্পর্কে কিছু বলা নেই। এই সংবিধান প্রণীত হয়েছিল যে গণপরিষদে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চাকরিতে কোটা প্রদানের কথা উত্থাপিতই হয়নি।

গণপরিষদে কেবল সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান প্রসঙ্গে পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় (বাংলাদেশ গণপরিষদের বিতর্ক, দ্বিতীয় খণ্ড, ১৯৭২, পৃষ্ঠা ৪৭০-১)।
সামাজিক নিরাপত্তার উদার ব্যাখ্যা করলে শুধুমাত্র পঙ্গু বা নিহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য চাকরিতে কোটা সংরক্ষণ বৈধ হতে পারে, অন্যদের জন্য নয়। জনসংখ্যার অনুপাতে এই কোটা হতে পারে বড়জোর ১ শতা‌ংশ। বাকী ৯ শতাংশ হতে পারে নারী, প্রতিবন্ধী আর ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য।

কোটা কোনভাবেই মোট চাকরীর ১০ শতাংশের বেশী হোয়া উচিত না। এটাও উচিত না, কোটা পুরন না হলে পদ শুন্য রেখে দেয়া। মুক্তিযোদ্ধারা এজাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সম্মানিত করতে হবে অন্যভাবে। আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি, ঢালাও ভাবে কোটা বরং অসম্মানিত করে তাঁদের।

এখন দেখা যাক এই দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা কত জন মেধাবী কোন খাতে তাদের ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে কোটা বাঁধার সম্মুখীন হতে পারেন...

পরিকল্পণা মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যা এই মুহুর্তে ১৫,২৫,১৮১৫০ জন। তবে ওয়ার্ল্ডওমিটার ইনফোর হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের এই মুহুর্তে মোট জনসংখ্যা ১৬,৬৩,৬৮১৪৯ জন। যদি আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী কোটার শতকরা হিসেব দেখি তাহলে কি দাঁড়ায় নিচে দেখা যাক...

দেশের মোট জনসংখ্যা = ১৫,২৫,১৮১৫০ জন।
----------মুক্তিযোদ্ধা = ২ লাখ। কোটা = ৩০%
প্রতিবন্ধী = ২০লাখ ১৬ হাজার। কোটা = ১%
উপজাতি = ১৫ লাখ ৮৬ হাজার। কোটা = ৫%
-------------- দেশের মোট নারীর কোটা = ১০%
--------------------------- জেলা কোটা = ১০%
------------------ সংরক্ষিত মোট কোটা = ৫৬%

৯৭.৩৭% মানুষের জন্য কোটা ৪৪%! আর মাত্র ২.৬৩% মানুষের জন্য কোটা ৫৬%! এখন মনে করুন ৩৮ তম বিসিএস-এ সরকারীভাবে ২০২৪ জন ক্যাডার নিয়োগ দেয়া হবে। তাদের ইন্টারভিউ কল করা হয়েছে। যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের মধ্যে-
মুক্তিযোদ্ধা =২ লাখের জন্য =৩০% কোটা
প্রতিবন্ধী =২০লাখ ১৬ হাজারের জন্য =১%
উপজাতি =১৫লাখ ৮৬ হাজারের জন্য =৫%
নারীদের জন্য =১০% এবং
বিশেষ জেলার জন্য =১০% নির্ধারিত, তাহলে থাকলো বাকি কত?

সর্বমোট ২.৬৩% মানুষের জন্য = ৫৬% কোটা = ১১৩৪ টি বিসিএস ক্যাডার পদ বরাদ্দ। আর সাধারন প্রতিযোগী মেধাবী ৯৭.৩৭% মানুষের জন্য ৪৪% কোটা = ৮৯০ টি পদ বরাদ্দ।

এর মানে আপনি যত মেধাবীই হোন না কেন, চাকরি পাবেন না। আপনার চেয়ে কম মেধাবী, তার জন্য কোটা খালি থাকার কারনে চাকরি পেয়ে যাবে অনায়াশেই।

২.৬৩% লোক ১১৩৪ টি পদ পাবে বিনা কন্ট্যাস্টে। আর ৯৭.৩৭% লোক ৮৯০ টি পদের জন্য লড়তে হবে। এরপর ঘুষ, মামা, খালু তো লাগবেই।

তাই কোটা সংস্কার সময়ের দাবী বলে মনে করি। অথচ সেদিন দেখলাম এক ব্যক্তি জাফর ইকবালের উপর হামলা করল! আর সাথে সাথে কিছু ঢেউটিন মার্কা পাবলিক চেতনারদন্ড খাড়া কইরা টাইমলাইনে ভাসাই দিয়েছিল...এ বলিই য়া যে-
"যে জাতি গুণির কদর করে না; সেখানে গুনির জম্ম হয় না"! কিন্তু গতকাল রাতের আঁধারে এতোগুলি গুণির উপর নির্বিচারে হামলা হইলো, অথচ তাদের চেতনারদন্ড আজ নিথর হয়ে আছে!

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে মেধাবী নেই, আছে পড়ুয়া, ভালো ছাত্র, ও না-পড়ে পাশ করা ছাত্র।

বিসিএস ক্যাডার হিসেবে, তথাকথিত "মেধাবীদের" চাকুরী দেয়া অনুচিত।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

রুপম হাছান বলেছেন: কোনো প্রতিযোগী যদি প্রতিযোগিতায় টিকে থেকে সত্যিকারের মেধার পরিচয় দিতে সক্ষম হয় তবে তাদের চাকুরী দেয়া উচিত। কিন্তু কোটা ভিত্তিক মেধার মূল্যায়ন করে পদবী পুরণ করায় এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যথাযথ মেধার অবমূল্যায়ন করছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

সৈয়দ তাজুল বলেছেন: তথ্যবহুল ব্লগ-পুস্ট।
সরকারের উচিত এই সুশিক্ষিত জাতির প্রতি সুদৃষ্টি দেয়া। এখন সময় সংস্কারের, জাতিকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়ার। আশাকরি প্রশাসন আন্দোলনকারীদের মধ্যেই নিজের রক্তের ঘ্রাণ পাবে। আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণ তাদের মোটেই উচিৎ হচ্ছে না।

সরকারকে এখন সঠিক।সিদ্ধান্ত নিতে হবে সুদীর্ঘ ও সুস্পষ্ট ভবিষ্যৎ নির্ধারণে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৭

রুপম হাছান বলেছেন: আপনার মন্তব্যে সহমত থাকলো। আমরাও চাই সরকার দেশ ও জাতির উন্নতি সাধনে যুগপোযোগী ভুমিকা নেবে এবং সকল প্রকার হটকারী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে। ধন্যবাদ জানবেন আপনার পোষ্টের জন্য।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: জেলা কোটা রাখা যেতে পারে ।রিমোট এরিয়াতে ভালো শিক্ষকের অভাব। এমন জায়গায় সেসমস্ত জায়গার কোটা থাকলে শিক্ষকের অভাবে পড়া বন্ধ হবে না ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩১

রুপম হাছান বলেছেন: যুক্তি সংগত কারণে হয়তো এটি প্রয়োগ করা যেতে পারে।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্তই কোটার সংস্কার... / কোটা পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য অনানুষ্ঠানিক নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী; মন্ত্রীপরিষদ সচিব

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০০

রুপম হাছান বলেছেন: হুম। কিন্তু সেটা না করে বরং একটি গন্ডোগোল না পাঁকানো পর্যন্ত কিংবা কিছু রক্ত না ঝরা পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে আমরা কোনো সময় জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখিনি! আর যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো তা ১ ঘন্টার মধ্যে জানিয়ে দেয়া হলো যে এই মুহুর্তে কোটা সংস্কার সরকারের সিদ্ধানে নেই!!! অবাক লেগেছে...

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: নিরীহ ছাত্রদের উপর হারামি পুলিশদের আক্রমনের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ, ধিক্কার, --- ও প্রতিবাদ জানাচ্ছিX(X(

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

রুপম হাছান বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি আপনার মন্তব্যে।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

ক্স বলেছেন: এসব অঙ্কে কোন কাজ হবেনা। চেতনা বড় বালাই। চেতনার জোয়ারে ভেসে যায় সব নিয়ম নীতি নৈতিকতা বিচার আচার বিবেচনা বিবেকবোধ। চেতনা নাই তো রাজাকারের দল। চেতনা নাই তো যুদ্ধাপরাধীদের সহযোগী।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

রুপম হাছান বলেছেন: হা হা হা। ভাইরে একটু কম বলেন, না হলে বুঝেন তো... হুম! ... হয়ে যাবেন!!! মহান আল্লাহ পাক কর্তৃপক্ষের চেতনায় বিশুদ্ধতা দান করুন। আমীন। আপনার পোষ্টে সহমত জানবেন। ভালো থাকুন।

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫

রুপম হাছান বলেছেন: এই মুহুর্তে এটাই সর্বোত্তম পন্থা। হা হা হা। ভালো থাকুন।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সোহানী বলেছেন: নিরীহ কিছু সাধারন মানুষ এর উপর অমানুষ কিংবা পশুর আক্রমনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কোন অসভ্য দেশে বাস করছি.... ছি: চেতনাধারী, ছি: মুক্তযুদ্ধের স্বপক্ষের দাবীদারদের ............

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

রুপম হাছান বলেছেন: কয়েক দিন আগের কথা। সেদিন ছিলো পহেলা বৈশাখ! হয়েছিলো ৭১, বর্তমান বাংলাদেশে সেই নারীদের ওপর বর্বর হামলা!!! এবারও হয়তো পহেলা বৈশাখের পূর্বে নতুন কোনো দুর্ঘটনা ঘটার পূর্বাভাস দিয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় দুষ্টু চক্র সাথে আমাদের কতৃত্ববাদী পুলিশ প্রশাসন! অসহাস দুর্বল এই জনগোষ্ঠী দুর্শাসনের কাছে! জিম্মি দেশের সকল স্তরের নাগরিক সমাজ।

আমার প্রায় লিখনীতে বলে থাকি ৭১ এবং ১৭ মিলেমিশে একাকার হয়েগেছে যেখানে তার ছায়া তো কিঞ্চিৎ জাতি দেখতে পায়! তবুও আমরা একটি ভালো জবাবদিহি মূলক সরকারের আশাবাদী। নিশ্চয় একটি সুন্দর জাতি গঠনে আমাদের কর্তৃপক্ষের চেতনায় বিশুদ্ধতার আলো পৌঁছাবে, এমনটাই প্রত্যাশা রাখি। ভালো থাকবেন।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রুপম হাছান ,




সুন্দর বিশ্লেষণ ।
আমার তো মনে হয় , কেবলমাত্র পঙ্গু ও নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্যে কোটা হতে পারে, তাদের নাতিদের জন্যেও নয় । সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে নয় কারন বাংলার আপামর মুক্তিযোদ্ধারা দেশের কাছে কিছুই চায়না আর চায়ওনি । তাই ৭২ এর সংবিধানে এ ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি সঙ্গত কারনেই ।
আমাকে বলুন, কোটি কয়েক মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের চাকুরীর সুযোগসৃষ্টি করে ঘরে ঘরে চাকুরী দেয়ার মতো আর্থিক সামর্থ ও কর্মসংস্থানের জায়গাটি কিম্বা তেমন কোনও অবকাঠামো আমাদের আছে কিনা ? এই না থাকার পরেও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে ( একটি সংবেদনশীল জায়গা ) নিজেদের আখের গোছানোর অস্ত্র হিসেবে কায়েমী স্বার্থবাদী চক্র কোটা পদ্ধতির ধূঁয়ো তুলছে বারবার কারন তারা মনে হয় সবাই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট বগলদাবা করে আছে ।
একজন পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ ( আপনার পরিসংখ্যানে দেয়া আছে সংখ্যায় এরা ২ লাখের মতো ) মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের বয়স এখন নূন্যতম ভাবে ৩৫/৪০ বছর । এরা কি সবাই বেকার ? এদের কি এখনও চাকুরীর প্রয়োজন আছে ? এই অংক কি কেউ বোঝেনা ? তা হলে বাকী থাকলো কারা ? বাকী থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ভাঙিয়ে খাওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর চেলা-চামুন্ডারা । এরাই মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে বারবার ।

আর বেশীকিছু বলতে চাইনে । চোখ খোলা রেখে যদি কেউ অন্ধ সাজে, বুদ্ধিবৃত্তিকে ঘোমটা পড়িয়ে যদি কেউ বলদ সাজার ভান করে তবে এমন লোকজনদের ( আইন প্রনয়নকারীগণ যারা জনগণের ভোটে ঐ পদে নির্বাচিত ) কিছুতেই আপনি কিছু বোঝাতে পারবেন না । এরা সবাই ধান্ধাবাজ ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

রুপম হাছান বলেছেন: আপনার এমন সুন্দর যুক্তিপূর্ণ মন্তব্য একমত না হয়ে পারিনি। এবং আপনি যথার্থই বলেছেন। সত্যিকারর্থে মুক্তিযোদ্ধারা কখনোই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা চাইনি বরং রাষ্ট্রকে একটি সুন্দর জাতি গঠনে ভুমিকা রাখতে সহায়ক ভুমিকা পালন করেছিলেন। আর আজ যেসব মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে চক্রান্ত করছেন মূলত আপনার দৃষ্টিতে নয় গোটা জাতির দৃষ্টিতে বলতে পারি এরা সুযোগ সন্ধানী সার্টিফিকেট ধারী ধান্ধাবাজ মুক্তিযোদ্ধা!!!

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। ভালো থাকুন এবং সকল ভালোর সাথেই থাকুন, এমনটাই প্রত্যাশা।

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরীপ্রার্থীরা সরকারের আশ্বাসে আগামী এক মাসের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

রুপম হাছান বলেছেন: সরকার এটা কোনো ভাবেই মেনে নেবে না কারণ এই আন্দোলন স্থগিত করার পেছনে একটি হাইব্রিড গোষ্ঠীকে দাঁড় করানো হয়েছে ছাত্র/ছাত্রীদের মনোবৃত্তিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার জন্যে। হয়তো আমার এই কথা আপনি আগামীতে দেখতে পাবেন। কারণ গতকালকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মন্ত্রীপরিষদ সচিবের নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১ঘন্টার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সাব জানিয়ে দিলো এই কোটা সংস্কার নিয়ে এই মুহুর্তে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই!!! তাহলে কিভাবে জানবেন আপনি ছাত্র/ছাত্রীদের এই নায্য দাবী আগামী এক মাস পর ঠিক হয়ে যাবে? কথায় তো বলে- কাজির গরু কিতাবে আছে কিন্তু গোয়ালে নেই!!!

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ১৯৮৬-৮৭ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-২০০১ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন! ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আরেকদফা তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জনে!! বিগত দশ-বারো বছরে সংখ্যটি যে আরো বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই!!!

এই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেহাল দশা।

হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!

এটা কোন যুক্তি বলে কোন লেভেলের বিশেষজ্ঞরা করেছেন জানি না। যারা করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।

চরম বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে তাঁদের সন্তান ও নাতিপুতিদের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করেননি। তাদের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ ছিল সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে বাঙালিদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।

কোটা পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে। সরকার প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে যে সম্মানী দেন তার একটি বড় অংশ ভূয়াদের পেটে যায়।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

রুপম হাছান বলেছেন: সত্যি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এসব ভাবতে বিস্ময়কর লাগে!!! আর এর পিছনের কারিগর যারা, তাদের চেনা খুবই সহজ। এনারাই আবার কোটা বৈষম্য সমাধান না করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপিও প্রদান করতে দেখা যায়!

তাহলে কি প্রমাণ হয় না এরা রাজনীতির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ক্রয় করে একটি জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে?!

যে কারণে পাকিস্তান ছেড়ে বাংলাদেশের জম্ম হলো সেই একই কারণে একজন সচেতন বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে আমি লজ্জিত!!! আপনার সুন্দর যুক্তিপূর্ণ তথ্য প্রকাশে কৃতার্থ করার জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তার মানে বৈষম্যের হার ৪৩৫৫.২৭ %ভাগ। এটা কি মগের মুল্লুক নয়? এটা কি স্বাধীনতা পূর্ব বাংলাদেশ। কোটা ধারিরা কি এই দেশ শাসন করে। বাকিরা পরাধীন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০২

রুপম হাছান বলেছেন: একদম তাই। এমনি এমনি কি আর লক্ষ লক্ষ ছাত্র/ছাত্রী রাস্তায় নেমে জীবন দিতে চলে আসে? ৭১রে ও তাই করেছিলো পাকিদের বিরুদ্ধে এই দেশের দেশপ্রেমিক সন্তানেরা। আর আজ বাংলাদেশে ঠিক একই কাজ করে যাচ্ছে দেশ প্রেমিক সন্তানেরা। অথচ ৭১ সালে পাকিরা যেটা পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)কে গিলিয়েছিলো আর আজ বাংলাদেশের সরকারও ঠিক সেটাই গিলাচ্ছে দেশের জনগণকে। পার্থক্য শুধু দেশ ও ক্ষমতার রদবদল!!! শাসন ব্যবস্থা কিন্তু পুর্বের ন্যায় চলমান... অর্থাৎ জাতি এখনো পরাধীন!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.