নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভোগান্তির আরেক নাম নগর-যানবাহন

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮



দৈন্দদিন নগর জীবনে যানবাহনে যাতায়াতের পদ্ধতিতে আমার মতো লক্ষ লক্ষ যাত্রী এক নিদারুণ যন্ত্রণা ভোগ করতেছেন প্রতিনিয়তই। এই যন্ত্রণাদেয়া পদ্ধতির মধ্যে একটি হলো ০১। লোকাল বাস সার্ভিস, এবং অন্যটি হলো ০২। সিটিং বাস সার্ভিস। যদিও এর পুরো সিস্টেমটাই মালিক-শ্রমিক কর্তৃপক্ষের মনগড়া!

গত বছর (২০১৭ সালে) বিআরটিএ এবং বাস মালিক সমিতির যৌথ উদ্দেগ্যে সকল রুটের বাসকে লোকাল সার্ভিস হিসেবে ঘোষণা করা হলো। সেই ঘোষনার পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কিছুদিন আমরা লোকাল যাত্রী হিসেবে সিটির সকল বাসেই ভ্রমণ করেছি এবং কিছুটা সস্তা ভাড়ায় নির্দিষ্ট গন্ত্যব্যে যাওয়া-আসা করতে পেরেছি। মূলত সিটির সকল বাস সার্ভিসকে লোকাল সার্ভিস ঘোষণা করার কারণ হচ্ছে সকল যায়গা থেকে সকল যাত্রী তার নিজস্ব গন্তব্যে নির্দিদ্বায় যাতে যাতায়াত করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্যই। তারপর হঠাৎ একদিন আবার তা ঘোষণা দিয়ে ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করে পূর্বের ন্যায় সিটিং সার্ভিস চালু করা হলো। যদিও কর্তৃপক্ষের বেধে দেয়া ঘোষণা আজও সেই ১৫ দিন শেষ হয়নি!

তাতে করে কি লাভ হয়েছে কর্তৃপক্ষের জানেন কি?
মূলত সিটির সকল বাস সার্ভিসকে লোকাল ঘোষণা করে পরবর্তীতে আবার সেই লোকাল বাসগুলোকে সিটিং সার্ভিস দেখিয়ে সার্ভিস চালু রাখাতে বাস মালিক সমিতি এবং বিআরটিএ এর উভয়ের মুনাফা বেড়েছে। যেমনঃ মিরপুর ১২ থেকে বিহঙ্গ গাড়ীগুলো গুলশান পর্যন্ত সিটিং সার্ভিস চালু অবস্থায় ভাড়া আদায় করে জনপ্রতি ২০টাকা করে। আবার সেই বিহঙ্গ গাড়ী যখন লোকাল হিসেবে ঘোষনা করা হলো ভাড়া আদায় করতো ১৫টাকা করে। অথচ আবার যখন সেই লোকাল সার্ভিসকে সিটিং সার্ভিস বলে ঘোষণা করা হলো, দেখা গেলো পূর্বের ন্যায় গাড়ী লোকাল হচ্ছে কিন্তু ভাড়া আদায় করা হচ্ছে ২০টাকা করে। যা এখন পর্যন্ত বলবৎ আছে। আমার মনে হয় সিটির অন্যান্য রুটেও একই চিত্র দেখা যাবে।

যতদ্দুর বুঝতে পারি এর প্রতিবাদ করে কোনো লাভ কিংবা মুনাফা আশা করতে পারিনা। বরং কষ্ট করে গাড়ীতে আসা যাওয়া করবো কিন্তু ভাড়া দিবো আরামদায়ক গাড়ীর, সেটা সত্যি খুবই বিরক্তিকর বটে। আর এ নিয়ে প্রতিদিন বাদানুবাদের শেষ থাকেনা। আর এর একটি সুন্দর ও সঠিক বিহীত আশা করছি। বিশেষ করে যারা এর দায়িত্বে রয়েছেন তাদের কাছে।

এখন এই লোকাল গাড়ীকে সিটিং কিংবা সিটিং গাড়ী লোকাল বলে যাত্রীর নিকট থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করার যে রেওয়াজ শুরু হয়েছে তা বন্ধ করার জন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের দৃষ্টি কামনা করছি। আমি জানি, এক্ষেত্রে যাত্রীর সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে বাসের মুনাফার সাথে জড়িত কোনো ব্যক্তি কিংবা সংগঠন এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে না। যদি ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট এই সমস্যা সমাধানে ভুমিকা রাখে তাহলেই কেবল এই সমস্যা সিটি সার্ভিস থেকে একেবারে স্বমূলে নিপাত হতে পারে।



বাংলাদেশ ট্রাফিক পুলিশের ডিআইজিকে (বিভিন্ন সিটির অধীনে) অনুরোধক্রমেঃ
০১। আপনারা সকল সিটির সকল গাড়ীর তালিকা বুঝে নিন। কোন গাড়ীটি লোকাল হিসেবে চলে আর কোনটি সিটিং।

০২। লোকাল গাড়ীর ব্যাপারে প্রতিটি ষ্টেশন নির্দিষ্ট করে দিন এবং ড্রাইভারকে লেন মেনে চলতে বাধ্য করুন। যাতে করে প্রতিটি নির্দিষ্ট ষ্টেশনে যাত্রী উঠানো নামানো সহজ করা যায়। আর যাত্রী গাড়ী থেকে নামার সময় অবশ্যই সেভ জোনে গাড়ী পার্কিং এর সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে যাত্রী সাধারণের রাস্তায় নেমে হেঁটে যাওয়া ঝুঁকিমুক্ত হয়। রাস্তার মাঝঁখানে যাত্রী উঠানো-নামানো যাবে না। এর মাধ্যমে কিছু হলেও যানযট কমে যাবে বলে মনে করি। সব সময় এসব তদারকি করুন।

০৩। যাত্রা শুরু হওয়ার পর প্রতিটি স্টপেজ থেকে ভাড়া নির্দিষ্ট করে দিন। লোকাল এবং সিটিং উভয় ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করুন।

০৪। সিটিং সার্ভিস এর ক্ষেত্রে গাড়ীর যাত্রা (শুরুর) অবস্থান থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি গাড়ীতে নজর রাখুন, যেনো প্রতিটি সিটের বিনিময়ে একজন যাত্রীই শুধু বহন করা হয়। যাত্রী না পেলে গাড়ী খালি যাবে কিন্তু অতিরিক্তি যাত্রী কোনো ভাবেই বহন করা যাবে না। সেটা গাড়ীর যাত্রা শুরু হওয়ার পর থেকেই শেষ পর্যন্তই নজরদারীতে রাখতে হবে।

০৫। কোনো ভাবেই দাঁড়িয়ে যাত্রী বহন করা যাবে না। যদি সিটিং সার্ভিস গুলোতে দাঁড়িয়ে যাত্রী বহন করতে দেখা যায়, তাহলে অতি দ্রুত ট্রাফিক আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। প্রয়োজন হলে নতুন করে সুনির্দিষ্ট আইন তৈরি করুন।

০৬। দাঁড়িয়ে থাকা প্রতি যাত্রীরই জরিমানা করিয়ে দিন। উদাহরণ স্বরুপ বলছি, যদি গাড়ীটি মিরপুর-বাড্ডা পর্যন্ত যায় তবে সেক্ষেত্রে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো ভাড়ার বিপরীতে ৩গুন আদায় করুন। যাত্রী যেখানেই নামুক, সেই দিকে নজর না দিয়ে বরং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভাড়া আদায় করা হউক। যেমনঃ মিরপুর-বাড্ডা পর্যন্ত ভাড়া হলো-৩০টাকা। জরিমানা করুন ৯০টাকা। এভাবে প্রতিটি রুট অনুসরণ করে তদারকি করুন।

০৭। সাথে সাথে ড্রাইবার এবং হেল্পারের পুরো দিনের উপরি আয়সহ মুজুরীটাও জরিমানা করে দিন। যেমন, ড্রাইভারের প্রতিদিনের হাজিরা (শহর কেন্দ্রিক প্রতি ট্রিপে প্রকার ভেদে- ২৫০/৩০০/৩৫০ এবং হেল্পারের ১৫০/২০০/২৫০ টাকা এবং প্রত্যেকের উপরি আয় আরো গড়ে ২৫০/১৫০ টাকা করে) ন্যুনতম ৭৫০ + ২৫০ = ১০০০ টাকা। হেল্পারের ৪৫০ + ১৫০ = ৬০০ টাকা রুট ভেদে কার্যকর হবে (আসা-যাওয়া গড়ে ৩ ট্রিপ হিসেবে)।

০৮। গাড়ীর মালিকের ৩ দিনের জমার সমান টাকা জরিমানা করে দিন। যদি প্রতিদিন জমা ২৫০০ টাকা হয় সে হিসেবে ৭৫০০ টাকা জরিমানা করিয়ে দিতে হবে।

০৯। ৭ দিনের জন্য ড্রাইভারের লাইসেন্স বাতিল/স্থগিত করে দিন। এবং

১০। কোনো ভাবেই উল্টোপথে গাড়ী টার্ণ করা যাবে না কিংবা উল্টোপথে চালানো যাবে না। এ অবস্থায় গাড়ী জব্দসহ ড্রাইভার ও মালিকের উভয়ের জরিমানা নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিন পর্যন্ত ঐ গাড়ী রাস্তায় চলতে পারবে না মর্মে জব্দ থাকবে। যে কয়দিন জব্দ তালিকায় গাড়ীটি রাখা হবে ঠিক সেই কয়দিন নির্দিষ্ট হারে গাড়ীর জরিমানাও গুনতে হবে মালিককে।
এছাড়া আরো কয়েকটি বাড়তি সতর্কতা মেনে চলা সবার জন্য খুবই জরুরী। ট্রাফিক আইনে এই নির্দেশনাগুলো উপস্থিত থাকা দরকার বলে মনে করি।




নির্দেশনাগুলো নিম্নরুপঃ
০১। সাধারণ পথচারীদের যত্রতত্র দিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়া যাবে না যদি ফুটওভার ব্রিজ না থাকে তবে জেব্রা ক্রসিং দিয়ে পারাপার হতে বাধ্য করুন। এবং পথচারী পারাপারে ট্রাফিক সিগন্যাল না পড়া পর্যন্ত পথচারীকে অপেক্ষা করতে কিংবা মেনে চলতে বাধ্য করুন। এর জন্য পুলিশ মাইকিং করে পথচারীদেরকে সহায়তা অভ্যাহত রাখা খুবই জরুরী।

০২। বাসের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা যাবে না যদিও সেই বাস লোকাল হয়।

০৩। বাসের গতি সীমিত রাখার পরামর্শ দিন এবং ড্রাইভারের কাগজপত্র পরীক্ষাসহ গাড়ীর গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে বাসের পিটনেস পরীক্ষা করুন প্রতিনিয়তই।

০৪। রাস্তায় চলমান অবস্থায় নিজ গাড়ীর সাথে অন্য গাড়ীর প্রতিযোগিতা কখনোই করা যাবে না। যিনি আগে আছেন, তাকে আগে যেতে দিন মর্মে নির্দেশ প্রদান করুন। এই রকম মানসিকতা ও অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার জন্য অনেকাংশে দায়ী। এবং

০৫। প্রতিটি ড্রাইভার গাড়ীতে ধুমপান মুক্ত থাকবেন অন্যথায় যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাফিক আইনে জরিমানার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এই শর্তগুলো ট্রাফিক বিভাগ থেকে নিয়মিত কিছুদিন প্রচার করুন (সকল টিভি চ্যানেল সহ মিড়িয়ার মাধ্যমে) এবং প্রয়োজনে নাগরিকদের বুঝার সুবির্ধাতে লিপলেট বিতরণ করুন। যাতে করে নগরে বসবাসকারী সবাই ট্রাফিক বিভাগ সম্পর্কে সুন্দর ধারণা পোষণ করতে পারেন। এবং যাত্রীসহ নগরের বসবাসকারীরা যাতে কোনো প্রকার অনাকাঙ্খিত সমস্যার মুখোমুখি পড়তে না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিন।

উপরে উল্লেখিত ১০ টি নিয়ম এবং ০৫ টি নির্দেশনা যদি পরিপূর্ণ ভাবে ট্রাফিক পালন করে তাহলে আমি আশা করছি, যাত্রী পথচারীসহ সকল গাড়ীর ড্রাইবার হেল্পার সবাই সচেতন হয়ে যাবে। কারণ, শেষের দিকে গাড়ীতে ওঠা যাত্রী নিজেই যখন বুঝতে পারবেন যে তিনি সিটিং গাড়ীতে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করছেন তখনই তিনি নিজ উদ্দেগ্যে বাস থেকে নেমে যাবেন। এমনকি আমরা মাঝে মাঝে পথে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদেরকে গাড়ীতে ধাক্কা-ধাক্কি করে উঠতে দেখি। এটা রাস্তায় দুর্ঘটনার আরো একটি কারন হতে পারে। যদি ট্রাফিক বিভাগ উল্লেখিত এই ১০ টি নিয়ম এবং ০৫ টি নির্দেশনা পরিপূর্ণ ভাবে পালনে সবাইকে বাধ্য করেন তবেই হয়তো রাস্তায় চলাফেরা এবং গাড়ীতে ভ্রমণ সবার জন্য অনেকাংশে নিরাপদ হয়ে উঠবে। আর এরকম অনিয়ম দেখলেই অভিযানের মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থে সরকারেরও রাজস্ব বেড়ে যাবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

সে।হ।গ বলেছেন: বেশিরভাগ ড্রাইভার স্টাফ দিন ভিত্তিক নিয়োগ ও মজুরি পায়। এ ক্ষেত্রে ড্রাইভারের দায়ব্ধতা এবং মালিকের কন্ট্রোল উভয় সীমিত।
শুধুমাত্র ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে নিয়োগ ও প্ৰচলিত আইন দিয়ে সব কমপ্লায়েন্স মেইনটেইন করা এই লাইনে সম্ভব না।
একজন ড্রাইভার:তার মানসিক অবস্থা , এডিকশন , শিক্ষাগত যোগ্যতা, এক্সিডেন্ট হিস্টোরি এগুলো ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সাথে রেটিং ট্যাগ থাকা উচিত।যা দিয়ে তাকে মেজার করা যাবে।রাস্তায় অনেক কিছুই ড্রাইভার তার নিজের মত করে করে এখানে মালিকের কিছুই হাত থাকেনা। ঢাকাতে বাস ব্যবসা প্রতিনিয়ত ও সবচে রিস্কি ফ্যাক্টরগুলোর সাথে জড়িত যেমনঃ দুর্ঘটনা,আপোষ জরিমানা, তেল চুরি, নন ডিউরাবেল পার্টস, অদক্ষ মেকানিক, বেহাল রাস্তা, জ্যাম ঘটিত বেশি ফুয়েল কঞ্জাম্পশন, মালিক সমিতি চাঁদা, পূলিশ, মামলা, রেকার, ডাম্পিং, টার্মিনাল ও রুট ওনারের চাঁদা।
ঢাকার বাস ব্যবসাতে দিন শেষে এখানেও মধ্যস্বত্ত্ব ভোগীরা লাভবান -রুট ওনার কোম্পানি, বিভিন্ন চাদাবাজি সংগঠন, ট্রাফিক কন্ট্রোলিং ডিপার্টমেন্ট,তেল পাম্প, বাস ইম্পোর্টার, ড্রাইভার স্টাফ, ম্যানেজার, মিস্ত্রি, ওয়ার্কশপ, রাস্তার চেকার, লাইনম্যান।
ঢাকাতে বাস চালানোর জন্য যে ইকো সিস্টেম আছে তা দিয়ে জনগণ এর কাঙ্খিত কল্যাণ সম্ভব না।।

সম্ভাব্য সমাধান:
১.ঢাকাতে বাস কোম্পানি সীমিতকরন করা ২.যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ ৩. ড্রাইভার রেটিং সিস্টেম ৪. ড্রাইভারদের ইউনিফর্ম রাখা ৫. সব ধরনের পুলিশি জরিমানা ইলেক্ট্রনিক্যালি নেয়া। ৪. সব ধরনের চাঁদা বন্ধ করা ৫. রুট রি এলাইন করা ৬. যাত্রীদের আইন মেনে চলা -ব্যাক্তিমালিকাধীন বাস সেবা অন্যান্য সেবার মতই একটা পেইড সার্ভিস এবং এভাবেই সহযোগী হওয়া।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

রুপম হাছান বলেছেন: যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা প্রদানে কতৃার্থ করার জন্য ধন্যবাদ জানবেন। সচেতনা সবার মাঝে বেড়ে উঠুক এমটাই প্রত্যাশা রাখি। ভালো থাকুন।

২| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

জাতির বোঝা বলেছেন: নগর যারা পরিচালনা করেন তাদেরকে এই সব পরিবহনে চড়তে হয় না বলে তারা এগুলো নিয়ে কখনোই্ চিন্তিত নন। তারা থাকেন আরামে। আম জনতা কষ্ট পেলে তাদের কিছু যায় আসেনা। তাদেরকে টলানো বা তাদের মন গলানো যাবে না। বড়ই কঠিন জিনিস।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৩

রুপম হাছান বলেছেন: আজকে মালোয়েশিয়াতে রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে শুধু মাত্র দুই সরকারের কাজের পার্থক্যের কারণে। যদিও রাজাকের দলের লোকেরা দাবী করে তারা বংশগত মালোয়েশিয়ান আর মাহাতির হচ্ছে চায়না প্রোডাক্ট! তবুও মালোয়েশিয়ার জনগণ আজকে সেই চায়না প্রোডাক্টটাই বেচে নিয়েছে কারণ তারা দেখেছে রাজাক বংশগত মালাই হলেও তুলনায় মাহাতির থেকে কম দেশপ্রেমিক।

তাই আমাদেরকেও একই চিন্তায় অগ্রসর হতে হবে। তুলনামূলক যে ব্যক্তি রাষ্ট্র এবং তার নাগরিকের জন্য মঙ্গলজনক তাকেই রাষ্ট্রের অনুকূলে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এবং সাথে সাথে নগর জীবনে বসবাস করার শ্রেষ্ঠ উপায়গুলো প্রতি সচেতনা সবার মাঝে জাগ্রত করতে হবে।

ধন্যবাদ জানবেন আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য। ভালো থাকুন।

৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: নগরবিদরা এই নগর নিয়ে যতটা না চিন্তিত তার চেয়ে বেশি চিন্তিত আপনার আমার মতো সাধারন ব্লগাররা।

নাগরিক সমস্যা নিয়ে ব্লগার সমতকার সব পষ্ট দিয়েছেন। পত্রিকাতে এত সমস্যা নিয়ে লেখা হয় না। কিন্তু সরকার ব্লগারদের পরামর্শ গ্রহন করে না।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১০

রুপম হাছান বলেছেন: অথচ সরকার সব সময় বলে আসছে তারা জনগণের চিন্তা-ভাবনায় বিশ্বাসী! নিশ্চয় এটা জনগণের সাথে এক ধরণের ধোঁকাবাজি। আমরা আশাবাদী সরকার তার নিজের প্রয়োজনে রাষ্ট্রের অনুকূলে জনগণের মতামতকে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করবে। সেটা রাষ্ট্রের কল্যাণে জনগণের মতামত যেই বিভাগ থেকে উচ্চারিত হউক না কেনো।

ধন্যবাদ ভাই রাজীব সাহেব আপনার অভিযোগটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। ভালো থাকবেন আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য।

৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

*** হিমুরাইজ *** বলেছেন: সোহাগ ভাই ভাল বলেছেন।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১১

রুপম হাছান বলেছেন: সহমত প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ জনবেন আপনার মন্তব্যর জন্য।

৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: আপনার পোস্টটি উপকারী, এবং সুচিন্তিত ভাবে লিখেছেন। এত ভালো পোস্টে পাঠক সংখ্যা এত কম কেন জানিনা। তবু আপনি লিখতে থাকুন, এমন সব চমৎকার পোস্ট।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৭

রুপম হাছান বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিচ্ছি আমাকে শুভকামনা জ্ঞাপনে কতৃার্থ করার জন্য। আমি সব সময় চেষ্টা করছি আমার প্রতিটা লেখায় প্রতিবাদমূলক/গঠনমূলক/সময়োপযোগী/জনগণের কল্যাণে প্রয়োজন সেসব বিষয় নিয়ে। আশা করছি ভবিষ্যতেও আমি লিখে যাবো যেটা রাষ্ট্রের ও জনগণের প্রয়োজন বলে আমার কাছে মনে হবে।

আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সকল ভালোর সাথেই থাকুন, এমনটাই প্রত্যাশা।

৬| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: প্রথমে আপনাকে একটা ধন্যবাদ দিলাম সুন্দর একটি লেখার জন্য।

ভাই আমাদের দেশে এগুলো কিছুই হবেনা কারণ যখন শ্রমিক নেতা মন্ত্রী হয় তখন সে তো শ্রমিকের কথাই বলবে। গাড়ীর মালিক-পুলিশ-বিআরটিএ এই তিনের শখ্যতা যতদিন থাকবে তত দিন কিছুই হবেনা; এতে জনগনের কি হলো আর নাহলো তাতে কিছু আসে যায়না সরকারের এ নিয়ে কোন চিন্তাও নেই। সরকার চিন্তায় আছে কি ভাবে বিরোধী পক্ষ্যকে দমানো যা্বে আপনার আমার সমস্যার কথা সরকারের মাথায় নেই। :(

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

রুপম হাছান বলেছেন: সরকারের যেহেতু এসব সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামায় না সেহেতু আমরা জনগণেরও কিছু দায় আছে মাথা ঘামানোর। অতএব সেই দায়টা যদি সঠিক ভাবে প্রয়োগ করা যায় তবে সরকার পাবে একটি নতুন সিস্টেম আর জনগণ পাবে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার কাঠামো। তবেই হয়তো একজন মন্ত্রী হয়ে শ্রমিকের পক্ষাবলম্বন করার সুযোগ থাকবে না। যেখানে শ্রমিকের জন্য শ্রমিক নেতা প্রয়োজন সেখানে শ্রমিক নেতার যায়গায় মন্ত্রী কখনোই গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হতে পারবেন না। তবেই হয়তো শহর-বন্দর-নগর সবকিছুতেই নাগরিক পাবে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে বসবাস করার মতো ঝামেলাবিহীন একটি সুন্দর পরিবেশ।

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ রইল কষ্ট করে পড়ে আবার সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকুন সব সময় এবং সকল ভালোর সাথেই থাকুন, এমনটাই প্রত্যাশা।

৭| ১৩ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

বিপরীত বাক বলেছেন: আগে যাত্রীগুলা রে পিটায়া ঠিক করেন। তারপর পরিবহনের লোকজনকে। নিজেরা ঠিক না হয়ে অন্যকে ঠিক হবার পরামর্শ দেয়া অপরাধ।

১৪ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪

রুপম হাছান বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত পোষণ করছি। এই রকম হাজারো দিন অনেকের সাথে আমার ঝগড়া হয়েছে। এমনকি অনেক মেয়েকে ও আমি রাগ করেছি সিটিং গাড়ীতে দাঁড়িয়ে যাবে বলে জোর করে গাড়ীতে উঠার কারণে।

একটি শৃঙ্খল পরিবেশে চলার জন্য সকল নাগরিকের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.