নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“আমি আপনার কথার সাথে দ্বিমত পোষণ করতেই পারি কিন্তু আপনার কথা বলার স্বাধীনতা রক্ষার প্রয়োজনে জীবনও উৎসর্গ করতে পারি”

রুপম হাছান

‘‘আত্মত্যাগ সব সময় ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিকরও বটে...’’

রুপম হাছান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাতিষ্ঠানিক সুশিক্ষা এবং পারিবারিক নীতি-নৈতিকতায় পারে সমাজ থেকে দুর্ণীতি দূর করতে

২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫



আজকের সমাজ ব্যবস্থায় সততার বড়ই অভাব, যেখানে টিকে থাকতে হলে নীতি-নৈতিকতার বিসর্জন দিতে হয়। তাই এই মুহুর্তে ‘সৎ থাকার কোনো যুক্তিই আমি দেখিনা’...?! অথচ সৎ থাকার কতই না অহেতুক চেষ্টা করছি প্রতিনিয়তই...

কথায় তো বলে গোড়ায় গলদ। সেই গোড়ায় গলদের কারণে আমরা প্রতিনিয়তই দুর্ণীতির ফাঁক-ফোকরে আটকা পড়ে যাচ্ছি। এর মূল কারণ হচ্ছে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আজ পর্যন্তু যত জন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি তৈরি করেছে তার সিকিভাগও সৎ লোকের সৃষ্টি করতে পারেনি! কারণ আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নীতি-নৈতিকতা ও দেশ প্রেমের শিক্ষা দেওয়া হয় না। আমার সামান্য শিক্ষা জীবনে ও খুব কম শিক্ষককে পেয়েছি যিনি আমাদেরকে দেশ প্রেম এবং নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দিয়েছেন।

স্যারেরা ক্লাসে এসে তাদের নির্ধারিত একটা টপিকের উপর আলোচনা করেই দায়িত্ব শেষ করতেন। অথচ আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার নাকি ঢাকা কলেজে বেশিরভাগ সময় ছাত্রদের নীতি-নৈতিকতা বিষয়ক জ্ঞানের আলোই বিতরণ করেছেন। এমন শিক্ষকের ছাত্র হতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম।

চাকরি জীবনে এমনকি সাংগঠনিক দায়িত্বে থেকে যে কয়জন ট্রেনার বা শিক্ষক দেখেছি তাদের অনেকেই সৎ এবং এবং খুব দক্ষ ছিলেন। তারা নিয়মিত দায়িত্বে ঠিকতে পারতেন না। কারণ আশ-পাশে অসৎ লোকের খবরদারিই ছিলো চোখে পড়ার মতো! আর এদেরকে সরাসরি সেইসব লোকেরাই পরিচালনা করেন কিংবা এরাই তাদেরকে পরিচালিত করেন, ক্ষেত্রেবিশেষে! তাই দেশের মানুষ সৎ এবং ন্যায়পরায়ণ মানুষ চোখে দেখে না। সৎ সরকারি চাকুরীজীবী মানুষদের দেখে না। আমি একজন ম্যাজিস্ট্রেট এর নাম জানি যিনি একটা এয়ারপোর্ট এর চিত্রটাই পালটে দিয়েছেন নিজের সততার বলে (যতটা সম্ভব)।

বেশ কিছুদিন আগে মসজিদের হুজুর ওয়াজ করলেন দেশের আইন না মানা, মানেই দেশের সাথে ওয়াদা ভঙ্গের শামিল। তিনি যে ফতোয়া দিলেন তার সারমর্ম হল এই, আপনি যদি রাস্তার উল্টো পথে চলেন তাহলেও আপনি আল্লাহর নিকট ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন। আপনি যতই ঈমানদার হোন না কেন আল্লাহ আপনাকে ওয়াদা ভঙ্গকারী হিসেবেই বিবেচনা করবেন। এবার চিন্তা করেন ওয়াদা ভঙ্গকারী কি কখনো জান্নাতে যেতে পারবে? অথচ ভেবে দেখুন আমরা কদমে কদমে ওয়াদা ভঙ্গকারী!

এই দেশে যারাই দুর্নীতি করে তারা কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সব থেকে ভালো ছাত্রদের একজন। কারণ ভাল ছাত্র ছাড়া ভাল চাকরী করা সম্ভব নয়। যারা একটু পিছিয়ে তারা বাস্তব জীবনে বড় কোনো চাকরী পায় না। আর যদি পায় ও তবে বুঝতে হবে সেখানেও ন্যায়ের কোনো ছাপ নেই আছে মামা-খালুর তদবির!

বড় চাকরি বেশিরভাগ পায় মেধাবীরা। আমার দেশের কৃষকেরা দুর্নীতি করে না। কুলিকামার দুর্নীতি করে না। এরা দুর্নীতির শিকার হয়। দুর্নীতির কারণে এদের স্বপ্নভঙ্গ হয়। তবু তারা জমির খাজনা দিয়ে দেশে শিক্ষিত সমাজ সৃষ্টি করে। দেশের সব থেকে মেধাবীরা ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হয়। তার পরের স্থরের মেধাবীরা হয় সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। রাজনীতিবিদগনও মেধাবী উচ্চশিক্ষিত। যদিও আজ-কালকের সময়ে এই রাজনীতিবিদদের মাঝেও নিম্ন শ্রেণীর প্রবেশ অবাধ করা হয়েছে! যেখান থেকেও আপনি ন্যায় আশা করতে পারেন না। কারণ এখানেও এক ধরণের অসৎ লোকের বাজার খোলা হয়েছে।

যদিও এই রাজনৈতিকদের বিরাট একটা অংশ মহান মুক্তিযোদ্ধে আত্মত্যাগকারী, জীবন উৎসর্গকারী বীরদের সন্তানও আছেন। তবুও দেশে অনিয়ম কমে না। দুর্নীতি কমে না। তার কারণ কি? তাহলে কি ধরেই নিবো যতবড় মেধাবী ততবড় দুর্ণীতি?! আমার মধ্যে যতটুকুই (অতি সামান্য) সততা এবং নৈতিকতা আছে তার বেশিরভাগ আমি আমার পরিবার থেকে পেয়েছি কিংবা শিখেছি। আমি দেখেছি আমার বাবা সর্বোচ্চ সুযোগটুকু পেয়েও অসৎ উপায় অবলম্বন করেন নি। নিজের সম্পত্তি নষ্ট করেছেন কিন্তু সততা নষ্ট করেন নি। ইলিশ মাছ নিয়ে কারো বিচার-সালিশে অংশ নেননি।

আমি আজ যতটুকু অসৎ কিংবা চরিত্রহীন হয়েছি তা আমি রাষ্ট্র এবং তার সিস্টেমে পরিচালিত পরিবেশ থেকে শিখেছি। আমি দেখেছি এই দেশে শত অনিয়ম করার পরেও সবাই তাকেই সম্মান করে। আমি দেখেছি অদক্ষ, অযোগ্য, অশিক্ষিত হয়েও যাদের টাকা আছে এবং সেই টাকাই ক্ষমতা কিনে নিয়ে সমাজ নিয়ন্ত্রণ করছে, তারাই সমাজের কাছে সম্মানিত বনেছেন! যেকোনো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন সেই অখ্যাত ব্যক্তিই অলংকৃত করেন! যে কোনো কাজে সমাজ তাকেই বেশি প্রাদান্য দেয়!

তাহলে আমি বা সে যারাই চাকরিতে আসেন তারা সৎ থাকবেন কেন?! সৎ থাকার কোনো যুক্তিই আমি এখন পর্যন্ত এই সমাজ থেকে দেখতে পাইনি। আমি ভালো থাকতে চেয়ে হয়তো আমার পরিবারের সদস্যদের কোনোদিন ভাল কাপড়ও দিতে পারবো না কিংবা তাদের ভাল কোনো স্কুলে পড়াতে পারবো না। অথচ চোখের সামনেই অফিসের সব থেকে কম বেতন পাওয়া কর্মচারিও হয়তো তার পরিবারের সদস্যদের বাজারের সব থেকে ভালো জামা-কাপড় কিনে দিবে কিংবা শহরের দামি স্কুলে পড়াবে!

হয়তো আমি কোনো রকম একটি বাসা বাড়া নিয়ে থাকতে পারবো! অথচ একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে অফিসের একজন পিয়নেরও হয়তো একটা বড় সড় বাড়ি থাকবে! আমি ঠিকমত ডাল ভাত খেতে পারবো না অথচ আমার সামনেই এমএলএসএস বাজারের সব থেকে বড় মাছটা কিনে নিবে! এই সৎ থাকার কি যুক্তি আছে...?!

আমি মনে করি, আজকে যারা সমাজে অশান্তি তৈরি করছেন কিংবা অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করছেন তার জন্য রাষ্ট্র ততটা দায়ী যতটা দায়ী হচ্ছে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। কারণ আমরা আমাদের নীতিগত শিক্ষায় কোনো আদর্শ ধারণ করিনি কিংবা শিখিনি। এর বড় প্রাপ্তি হচ্ছে একটি আদর্শিক পরিবার, যেখানে কখনোই দুর্ণীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হয়না বরং দুর্ণীতি রোধে ভূমিকা রাখতে শিখানো হয়। আর যে যতটুকু সৎ তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব কেবল তার এবং তার নিজের পরিবারের। কৃতিত্ব আরেক জন সৎ লোকের।

আমার এই লেখাটা সেই সব বীরদের জন্য যারা চোখের সামনে টাকা উড়তে দেখেও চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে নেয়। আমার লেখায় কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে দুঃখিত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

বিজন রয় বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি কষ্ট পাইনি।

এরকম অনেক পাবেন।

২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

রুপম হাছান বলেছেন: হা হা হা। ভালো লাগলো যেনো অনেককেই সাথে পাই। ধন্যবাদ জানবেন আপনার মন্তব্যটি প্রথমেই তালিকায় অন্তভূক্তির জন্য। ভালো থাকুন।

২| ২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: যথেষ্ট জ্ঞানীর কথা।
আসলে আমাদের সমস্যা হচ্ছে আমাদের গোড়ায় গলদ, হোক শিক্ষাক্ষেত্রে বা অন্য কোন সেক্টরে। সব জায়গায় একই চিত্র।
আমরা নৌকায় ভোট দিই। অথচ প্রার্থী জীবনে নৌকা চালায়নি। তার কোন অভিজ্ঞতা নাই।
আমরা ধানের শিষে প্রার্থী নির্বাচন করি অথচ সে ধান বুনতে জানে না বা চাষাবাদে তার কোন অভিজ্ঞতাই নাই।
লাঙ্গলে ভোট দিই অথচ সে লাঙ্গল দিয়ে কিভাবে হাল চাষ করতে হয় তাও জানেনা।
এ টু জেড সবই তো গোড়ায় সমস্যা। আল্লাহ মালুম, কি হবে আমাদের ।

২৮ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

রুপম হাছান বলেছেন: খুব ভালো উদাহরণ দিয়েছেন বটে। ভালো লাগলো। আসলে যে কর্মের সাথে আমরা জড়িত নই কিংবা যে পথে আমরা কখনোই যায়নি অথচ আমরা সেসব কাজ করতে চাই কিংবা সেই পথে চলতে চাই, তাহলে তো আমাদের কাজে ভুল হবেই কিংবা আচাড় খেয়ে গর্তে পড়তে হবে। তাই আজকে আমাদের সমাজ তথা দেশটা গর্তে আচাড় খেয়ে পড়েছে। এজন্য সমাজ তথা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সুনীতিবান কিংবা বিবেকবান মানুষের অতীব প্রয়োজন।

মহান আল্লাহপাক আমাদের রাষ্ট্রকে পরিচালনা করার জন্য সেই রকম সুনীতিবান কিংবা বিবেকবান মানুষকে দায়িত্বে অংশীদারিত্ব দান করুন। আমীন।

ধন্যবাদ জানবেন আপনার সুন্দর যুক্তিপুর্ণ মন্তব্যটির জন্য। ভালো থাকুন।

৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত।
পারিবারিক নীতি-নৈতিকতায় পারে সমাজ থেকে দুর্ণীতি দূর করতে।
বাবা মাকে সচেতন হতে হবে।

২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২২

রুপম হাছান বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন ভাই রাজীব নূর আপনার সহমত জানিয়ে আমাকে কৃতার্থ করার জন্য। আমরা ও চাই প্রতিটি পরিবার হউক সুশিক্ষা ও নীতি-নৈতিকতার আঁতুরঘর। ভালো থাকুন এবং সকল ভালোর সাথেই থাকুন এমনটাই প্রত্যাশা রাখি।

৪| ২৮ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নীতি নৈতিকতার পাশাপাশি আইন ও বিচারটাও শক্ত করতে হবে। কারণ, মেধাবী বা মুক্তিযোদ্ধারা যখন জেল খাটবেন তখন কৃষকের সন্তানও দুর্নীতি করতে ভয় পাবে...

২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

রুপম হাছান বলেছেন: আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের জাতীয় জীবনে একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য সুদৃষ্টি দিবেন।

ভালো থাকুন এবং সকল ভালোর সাথেই থাকুন, এমনটাই প্রত্যাশা রাখি।

৫| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: শিশুর জীবন ও নৈতিকতার শিক্ষা তার পরিবার থেকেই প্রথমে শুরু হয়। তাই পরিবারের পিতামাতা যদি শিশুকে সেভাবে বড় করেন তাহলে শিশু বড় হয়েও সেই নৈতিকতার চর্চা ধরে রাখে। এর পরের গুরু দায়িত্ব হলো শিক্ষা ব্যবস্থার তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর যে করুন দশা তাতে সুশিক্ষা পাওয়াটা কঠিন। কারণ এখানে এখন নৈতিকতার চর্চা করা হয় না। বরং এ প্লাস পাওয়ার চর্চা করা হয়। তাই অনৈতিকতাও এখন এখানে বৈধ হয়ে গেছে।

২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

রুপম হাছান বলেছেন: আমরা চাই প্রতিটি পবিরার হউক প্রতিটি শিশুর জন্য একটি আদর্শিক পরিবার। যেখান থেকে প্রতিটি শিশু, রাষ্ট্র/সমাজ/তথা জাতির ভালো-মন্দ নিয়ে একটি সুদৃঢ় পজেটিভ ধারণা গ্রহণ করে বেড়ে উঠতে পারে। অতঃপর সেই শিশুর বাস্তব জীবনে সুশৃঙ্খল চিন্তা-ভাবনায় নীতি-নৈতিকতা চর্চায় একটি ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে আমাদের শিক্ষকদের ভুমিকাও অপরিহার্য।

ধন্যবাদ জানবেন আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য। ভালো থাকুন এবং সকল ভালোর সাথেই থাকুন, এমনটাই প্রত্যাশা রাখি।

৬| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

গরল বলেছেন: ঠিকই ধরেছেন, গোড়ায় গলদ। আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থাকেই আগে পাল্টাতে হবে অথচ এই শিক্ষা নিয়েই দূর্নিতী সবচেয়ে বেশী। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড এই কথা গুণীলোকজন এমনি এমনি বলে যায়নি, এর মর্মার্থ আমরা এখনও উপলব্ধি করতে পারিনি।

০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

রুপম হাছান বলেছেন: অনেক সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে ধন্যবাদ জানবেন। তবে আমি সব সময় দ্বিমত পোষণকারীদের শ্রদ্ধার সাথে উত্তর দিয়ে থাকি। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু মন্তব্যকারীকে দেখি আমাকে বুঝতে পারেনা কিংবা আমার লিখার তাৎপর্য বুঝতে পারেনা, তাই ভেবে কষ্টও লাগে। তবে লিখে নিজের প্রতিবাদ অভ্যাহত রাখি কারণ আমাকে মরতে হবে আর আমার সামনে ঘটে যাওয়া অন্যায় সমূহকে নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করা হলে আমি যেনো নির্ভয়ে সেদিন পার হয়ে যেতে পারি; এই ভেবে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করি।

যে যেই দল করুক না কেনো, সত্য বুঝে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মতো জ্ঞান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে দান করেছেন। আর শেষ বিচারের দিন এই জ্ঞানেরই বিচার করা হবে। সেদিন আমি নির্ভয়ে থাকতে চাই বলে আজ ঘটে যাওয়া অন্যায়গুলোকে যারা প্রশ্রয় দেয় তাদের সাথে তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি।

আপনার সুন্দর মন্তব্যটির জন্য আবারো ধন্যবাদ জানবেন। ভালো থাকুন সব সময় এবং সকল ভালোর সাথেই থাকুন, এমনটাই প্রত্যাশা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.