নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

গন

গন › বিস্তারিত পোস্টঃ

Basic Structure লংঘিত হওয়ায় অবিলম্বে তত্ববধায়ক সরকার পুনং প্রবর্তন করা উচিত।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮

বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের তত্ববধায়ক সরকার বাতিল করে দেওয়া রায় অর্থ্যাৎ সিভিল আপিল নং ১৩৯/২০০৫ (আব্দুল মান্নান খান বনাম রাষ্ট্র) এর লিভ-টু-আপিলের রায়ের পর্যালোচনায়(observation) এ বলেছিলেন-
সংবিধান সাধারন কোন দলিল নয়। উহা জনগনের আশা,আখাঙ্খা ও নির্দেশনাকে প্রতিফলিত করে। এখানেই এই দলিলের শ্রেষ্ঠত্ব নিহিত রহিয়াছে। একটি রাষ্ট্রের জীবনে যত কিছু সমস্যা তাহা এই মহান দলিলের মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব ও শ্রেয় এই কারনেই সংবিধানের ব্যাখ্যা ও বিশেষন সময় ও সমাজ পরিবর্তন ও বিবর্তনের সহিত সঙ্গতিপূর্ন হইয়া থাকে। এই কার্যটি রাষ্ট্রের পক্ষে বিচার বিভাগ করিয়া থাকে। জনগনের কারনে প্রয়োজনে সংবিধানও সংশোধন করা যায়,কোন সংশোধনীই জনগনের সার্বভৌমত্ব কখনই কোন ভাবে ক্ষুন্ন করে নাই।
জনাব বিচারপতি এই ক্ষেত্রে Basic Structure এর পরিবর্তনকে প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করে তত্ববধায়ক সরকার বাতিল করেছেন।
বিচারপতি এবিএম খাইরুল হক,বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন,বিচাপতি একে সিনহা এবং সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তত্ববধায়ক সরকার বাতিলের পক্ষে থাকলে বিচারপতি এম এ ওয়াহাব মিয়া ,বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা এবং বিচারপতি ইমান আলী বিপক্ষে রায় দেন। সংখ্যাগরিষ্ট রায় হলেও ঐ রায়টি খুবই দূর্বল একটি রায় ছিল। তার মধ্যে খায়রুল হকই পর্যালোচনায বলেছেন- সংবিধান সাধারন কোন দলিল নয়। উহা জনগনের আশা,আখাঙ্খা ও নির্দেশনাকে প্রতিফলিত করে। এখানেই এই দলিলের শ্রেষ্ঠত্ব নিহিত রহিয়াছে।
সুতারং ঐ বিচারপতির রায়ের পর Basic Structure এখন কোথায় গেল? ১৫৩ আসনে কোন ভোট নাই। বাকী আসনে কুকুর ছিল। সুতারং Basic Structure এর পরিবর্তনের কথা বলে তত্ববধায়ক সরকার বাতিল করে কি Basic Structure প্রতিষ্ঠিত করলেন? কোথায় গেল জনগনের মতামত? কোথায় গেল জনগনের সার্বভৌম? তত্ববধায়ক সরকার যখন ছিল তখন তো অন্তত মানুষ নিশ্চিতে্ ভোট দিতে পেরেছে। জনাব খায়রুল হক খাল কেটে কুমির আনার ব্যবস্থা করে কিভাবে Basic Structure প্রতিষ্ঠিত করলেন? সুতারং ওনার পর্যালোচনার আলোকেই বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব-জনাব খাইরুল হক সাহেব্ই বলেছেন- সংবিধান সাধারন কোন দলিল নয়। উহা জনগনের আশা,আখাঙ্খা ও নির্দেশনাকে প্রতিফলিত করে। এখানেই এই দলিলের শ্রেষ্ঠত্ব নিহিত রহিয়াছে।প্রয়োজনে সংবিধানও সংশোধন করা যায়,কোন সংশোধনীই জনগনের সার্বভৌমত্ব কখনই কোন ভাবে ক্ষুন্ন করে নাই। একটি রাষ্ট্রের জীবনে যত কিছু সমস্যা তাহা এই মহান দলিলের মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব ও শ্রেয়।
সুতারং সময়ের প্রয়োজনেই সংবিধান সংশোধন সম্ভব এবং বর্তমানে দায়িত্বরত বিচাপতিরা তত্বাবধায়ক সরকার পুনং প্রবর্তন করে সুয়োমটো এই কাজটি করতে পারেন। এতে দেশ মহা সংকট থেকে রেহাই পাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কবি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.