নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

গন

গন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই লোখাটি পড়লেই বুঝতে পারবেন-খালেদা জিয়া আসলেই এতিমের টাকা চুরি করেছেন কিনা?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮


জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত একটি বানোয়াট মামলার রায়ে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন কারান্তরীণ। বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য পদাধিকারীরা জোরছে আওয়াজ করে বেড়াচ্ছেন- ‘খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করে খেয়েছেন, তাই তার জেল হয়েছে।’ বিনা ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে এমন কথাও বলছেন, ‘তাঁর রাজনীতি শেষ করে দেয়া হয়েছে, তিনি আর কখনও নির্বাচন করতে পারবেন না, ক্ষমতায় আসতে পারবেন না!’ ৭৩ বছর বয়স্ক একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দু’শ বছরের পুরাতন এক নির্জন এলাকার পরিত্যাক্ত বাড়িতে সলিডারি কনফাইনমেন্টে রাখার পরেও কত প্রতিহিংসা-জিঘাংসার উৎকট রূপ দেখল জাতি! এরা নাকি রাজনীতিবিদ! খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেছেন, কী করেননি সে প্রশ্নের উত্তরে পরে আসছি। তবে সংসদে যে কথা বলা হয়েছে ‘খালেদা জিয়ার রাজনীতি শেষ করে দেয়া হয়েছে’, এটাই বোধ হয় আসল টার্গেট। সত্য উদঘাটন বা ন্যায় বিচার করা নয়, বর্ণিত লক্ষ্য অর্জন মূল উদ্দেশ্য।

প্রথমেই নিজের পরিচয় দিয়ে নিই। যে সময়কার ঘটনা ১৯৯১ সালে ৯ জুন, আমি তখন প্রধানমন্ত্রীর অফিসে সহকারী সচিব পদে কর্মরত। ঐ অফিসে তখন মাত্র ৮ জন সরকারি কর্মকর্তা ছিলাম আমরা। ভারপ্রাপ্ত সচিব কামাল সিদ্দিকী, সাবিহউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর পিএস-১, উপসচিব ম. সাফায়েত আলী (মরহুম), এম এ মোমেন প্রধানমন্ত্রীর এপিএস, তাজুল ইসলাম তথ্য অফিসার, তিনজন সহকারী সচিব আবদুজ জাহের (৮২ ব্যাচ, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব), আমি শামসুল আলম, এবং আলী আহমেদ। আমাদের অফিস ছিল বাংলাদেশ সচিবালয়ের ১ নম্বর বিল্ডিংয়ে। প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বসতেন চার তলার অফিস কক্ষে (সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টের অফিস), আমরা বসতাম দোতলায়।

তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান (মরহুম) কুয়েতের আমিরের নিকট থেকে একটি ফান্ড আনেন শহীদ জিয়ার নামে এতিমখানা বানানোর উদ্দেশ্যে। কুয়েতের আমিরের সৌদি কমার্শিয়াল ব্যাংকের হিসাব হতে প্রেরিত ১২ লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলারের ডিডিতে ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ লেখা ছিল বটে, কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশ সরকারের ঐরূপ কোনো ফান্ড ছিল না। ওটা একটা বেসরকারি অনুদান হওয়ার পরেও প্রেরকের ভুলের কারণে ঐরূপ হয়। ভারপ্রাপ্ত সচিব কামাল সিদ্দিকীকে ঐ ডিডি দেয়া হলে তিনি তা ভাঙানোর নিমিত্ত সোনালী ব্যাংক রমনা শাখায় একটি চলতি হিসাব খোলেন। পরে ঐ টাকা (৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা) তুলে সেভিংস/এসটিডি/এফডিআর হিসাব খোলা হয়। ১৯৯৩ সালে সুদসহ তুলে পুরো টাকাটা ২ কোটি ৩৩ লাখ করে সমান দু’ভাগ করে এতিমখানা নির্মাণের নিমিত্ত বাগেরহাট এবং বগুড়ায় দুটি ট্রাস্টকে প্রদান করা হয়। এই চেক দু’টিতে সই করেন একাউন্ট হোল্ডার কামাল সিদ্দিকী। এর আগে দু’টি ট্রাস্ট গঠন ও রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়। বাগেরহাটের জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সেটেলার হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এবং বগুড়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের সেটেলার হন তারেক রহমান। বাগেরহাটে মোস্তাফিজুর রহমান সাহেব জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টের নামে এতিমখানা নির্মাণ করে যথারীতি পরিচালনা করেন। দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা নূর আহমেদ ১১/৬/২০০৮ তারিখে জমা দেয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ট্রাস্টটি বেসরকারি ট্রাস্ট, এবং ‘বর্ণিত ট্রাস্টের নামে একটি এতিমখানা স্থাপন করা হয়েছে, যা চলমান রয়েছে বিধায় প্রাথমিক অনুসন্ধানে উক্ত ট্রাস্টের কোনো অর্থ আত্মসাতের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে দুদকের মামলার অভিযোগকারী এবং তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদও তা মেনে নেন। ফলে বাগেরহাটের এই খন্ড নিয়ে কোনো অভিযোগ উত্থাপন করা হয়নি বা মামলাও হয়নি (এটা মাথায় রাখবেন)।

এবারে বগুড়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট নিয়ে আলোচনা। বগুড়ার জন্য বরাদ্দ করা ২.৩৩ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকায় ট্রাস্টের নামে বগুড়াতে ২.৭৯ একর ধানি জমি ক্রয় করা হয়। বাদ বাকি সব টাকা ট্রাস্টের একাউন্টে আছে, তা স্বীকার করেছেন মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। ট্রাস্টির সদস্যদের কর্মব্যস্ততার কারণে এই টাকা ব্যবহার করে এতিমখানা নির্মাণ করা হয়নি সত্য, তবে তারেক রহমান এতিমখানার ঐ টাকাকে উচ্চ মুনাফাধারী বিভিন্ন ব্যাংকে রেখে তা তিন গুণ বর্ধিত করেন। ট্রাস্টের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের পরিচিত সলিমুল হক কামালকে দায়িত্ব দেন ঐ টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য। কামাল সাহেব তার নিজের নামে এবং তার পরিচিত গিয়াসউদ্দিন ও সৈয়দ আহাম্মদ নামে এফডিআর করেন পরে লাভসহ ভাঙ্গিয়ে সম্পূর্ণ টাকা ট্রাস্টের একাউন্টে জমা করা হয়।

২০০৬ সালে এতিমখানার জন্য ঢাকার কাছে আশুলিয়ায় জমি কেনার উদ্দেশ্যে জনৈক শরফুদ্দিনের সাথে বায়না করে ২টি এফডিআর মূলে অর্থ দেয়া হয়, যাতে মেয়াদান্তে ২.৫০ কোটি পাওয়ার কথা। কিন্তু ১/১১র পরে দেশে ধরপাকড় ও আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে এবং পরে তারেক রহমান গ্রেফতার হলে ঐ জমির রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। ফলে শরফুদ্দিন উক্ত এফডিআর ভেঙে ২.১০ কোটি টাকা ট্রাস্টকে ফেরৎ দান করেন। মূলত এটাই হলো মামলার ২.১০ কোটি টাকার উৎস। বাস্তবে ট্রাস্টের কাছে এখনও ৬ কোটির বেশি টাকা আছে ব্যাংকে। এখানে দুর্নীতির মামলা হলে ৬ কোটির জন্যই হওয়ার কথা। আর কুয়েতি অনুদান সংক্রান্তে মামলা হলে ১২.৫৫ লাখ ডলার বা ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকার উপরে হওয়ার কথা। এর একটিও হয়নি। অর্থাৎ মামলাটি বস্তুনিষ্ট হয়নি, বরং বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের উদ্দেশ্যে দায়ের করা হয়েছে!

মামলার শুরুতে অভিযোগ আনা হয় যে, অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। পরে আদালতে সাক্ষ্য প্রমাণাদিতে যখন প্রমাণ হয় যে, কোনো টাকা কেউ আত্মসাৎ করেনি, তারপরে সরকারি পক্ষ সেটি ঘুরিয়ে দেয় অন্য দিকে। সরকারি তহবিলের অর্থ ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রাইভেট ট্রাস্টকে দেয়ার অভিযোগ আনা হয় এবং সেই কারণ দেখিয়ে বানোয়াট কাগজপত্র ও সাক্ষী দিয়ে ধারণার বশবর্তী হয়ে বেগম জিয়াকে সাজা দেয়া হয়।

প্রকৃতপক্ষে, ১৯৯১ সালে ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম ফান্ড’ নামে সরকারি কোনো তহবিল ছিল না, এখনও নাই। ১৯৯১ সালের জুন মাসে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে প্রধানমন্ত্রীর কোনো নির্বাহী ক্ষমতা ছিল না। তাই ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বরং এমন কোনো তহবিল সৃজন করতে হলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের (এতিমখানা এই মন্ত্রণালয়াধীন) অনাপত্তি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন দেয়ার আবশ্যকতা ছিল। ঐভাবে কোনো তহবিল সৃষ্টি করা হয়েছিল কি? আদতে তেমন কিছু ঘটেনি। ফলে ‘প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিল’ নামে কোনো সরকারি তহবিল ছিল না। ফলে ঐরূপ কোনো ফান্ডের টাকা আত্মসাত বা ক্ষমতার অপব্যবহার করে টাকা সরানো স্রেফ কল্পনাপ্রসূত অভিযোগ ছাড়া আর কিছু নয়।

কেউ যদি অভিযোগ করে, আমার পকেট থেকে কেউ টাকা চুরি করেছে। পরে খুঁজে দেখা গেলো তার কোনো পকেটই নেই। তাহলে চুরির প্রশ্ন আসবে কী করে? এখানেও তেমন ঘটনা ঘটেছিল। প্রধানমন্ত্রীর এতিম ফান্ড ছিলই না, তাহলে টাকা তছরুপ হবে কী করে? ঐ ফান্ড কে সৃষ্টি করলো? এরকম কিছু গঠন হয়ে থাকলে সরকারি গেজেট কোথায়? অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি কোথায়? রাষ্ট্রপতির অনুমোদন কোথায়? সরকারি ফান্ড হলে প্রতিবছর তার অডিট হওয়ার কথা। এমন কিছু হয়েছিল কি? কোনো নিরীক্ষা হয়েছিল কি? হয়ে থাকলে সেই অডিট রিপোর্ট কই? আছে কি এমন কিছু? কিছুই নেই। তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ নিজেও তা স্বীকার করেছেন।

(চলবে)
উৎসঃ ইনকিলাবের সম্পাদকীয়

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। সময় করে পড়ে নেব।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: যদি বানোয়াট মামলাই হবে তাহলে তার ক্ষমতার সময় কেন শেষ করলো না মামলাটি ?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

গন বলেছেন: ভাইজান মামলা হয়েছে ফখরুদ্দীন এর আমলে।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো বক্তব্য দিয়েছেন । =p~

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:২২

তানভির জুমার বলেছেন: তথ্যগুলো যদি সত্য হয় তাহলে মামলাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বুঝাই যাচ্ছে।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

অগ্নিঝরা আগন্তুক বলেছেন: ধরেই নিলাম তিনি নির্দোষ কিন্তু ২০১৪ সালে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষ হত্যার মতো ঘটনাগুলোর দায় তার উপর কিছুটা হলেও বর্তায় , তাই বলি ভাই পাপ বাপকেও ছাড়ে না।
[ বি:দ্র : আমি কোনো দল অথবা মতের পক্ষে নই , বাংলাদেশের রাজনীতি কলুষিত ]

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৯

গন বলেছেন: ভাই আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে, ২০১৪ সালের ঘটনার সাথে খালেদা জিয়া জয়িা বা তার দল জড়িত। পুরো জাতি দেখছে আওয়ামী লীগ যে কূট রাজনীতিতে ওস্তাদ তার শত শত প্রমান। যে দল পুরো জাতিকে বোকা বানিয়ে বিনা ভোটে পাঁচ বছর দেশ চালাতে পারে,সেই দলের পক্ষে সব কূট কৌশল অবলম্বন করাই সম্ভব। বিএনপি কে হাত পা বেঁধে বলা হল তুমি সাতার কাট। এটা কি সম্ভব। এখনো বলছে একই কথা। আশা করি ব্যাপরটা বুঝতে পেরেছেন।

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনার জন্মদিন নিয়ে ভাবেন, কোথায় কিভাবে পালন হবে!

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২১

গন বলেছেন: ওনার টা বাদ দেন। আপনি নিজে বাঁচার চেষ্টা করেন। কারন আপনি চেষ্টা করেন যেন আপনার কোন সন্তানের জন্ম যেন ১৫ আগষ্ট না হয়। কিংবা আপনার আত্নীয় স্বজনের বিবাহ যাহাতে ১৫ আগষ্ট না হয়। ১৫ আগষ্ট হলে কিন্তু আপনার খবর---------------------????/

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: এ নিয়ে লেখার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। কিছু ব্যাপার আরো একটু খোলাসা করে বলা প্রয়োজন।

২.৩৩ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকায় ট্রাস্টের নামে বগুড়াতে ২.৭৯ একর ধানি জমি ক্রয় করা হয়।

এই ধানী জমিটি কি উদ্দেশ্যে কেনা হয়েছিলো? যারা এই টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের সাথে কোন চুক্তি হয়েছিলো এই ব্যাপারে?
ধানী জমির ফসল কি এতিমদের জন্যে ব্যবহার করা হয়েছিলো?

যারা টাকা দিয়েছিলেন, এতো বড় প্রজেক্ট পরিচালনা করার জন্যে কোন এডমিনিস্ট্রেটিভ খরচ এই টাকা থেকে নিতে বলেছিলেন কি?

ধন্যবাদ।



৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

নূর আলম হিরণ বলেছেন: টাকা গুলি কুয়েতের শেখ সরকারী কোষাগারে দেয়নি এটা প্রমান করতে বেশি কিছু লাগে না, তৎকালীন কুয়েতের হাইকমিশনারকে তারা সাফাই সাক্ষী হিসাবে দেখাতে পারতো তারা তা করেনি! নামমাত্র তারা একটা চিঠি কুয়েত থেকে এসেছে বলেছে আদালতে। আদালত বলেছে চিঠিটি কুয়েতের দূতাবাস হয়ে আসিনি! সেখানে কোন সিল স্বাক্ষর নেই কুয়াতের দূতাবাসের! এটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

গন বলেছেন: কুয়েত থেকে টাকা এসেছে এটা প্রমানের দরকার নাই,কারন দুদুকের আইনজীবি-ই এটাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৫৫

তপোবণ বলেছেন: লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। তবে এই স্বৈরাচার হাসিনারও কঠিন বিচার হবে একদিন।

১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৭

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: চালুনি সুই কে বলে তোর পেছনে ছিদ্র কেন ?

১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:৪৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিচারের রাজনৈতিক মোটিভ বা উদ্দেশ্যের বিতর্কে না গিয়ে বলা যায়, এই বিচার হয়ে একদিকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভালোই হয়েছে | বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতাই চরম দুর্নীতিবাজ, এরা কেউই ধোয়া তুলসী পাতা নয় | বর্তমানে যেহেতু খালেদাকে এখন ২ কোটি টাকার মামলায় শাস্তি পেতে হচ্ছে, ভবিষ্যতে শেয়ার মার্কেট এবং ব্যাংক কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত থাকার অপরাধেও বর্তমান ক্ষমতাসীনদের অনেক রথী মহারথীদের একদিন এমনিভাবে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে, এবং কান্নাকাটি করতে হবে | একবার একটি সিস্টেম চালু হয়ে গেলে পরবর্তী সরকার তা নিজের স্বার্থেই চালু রাখতে চাইবে | যেমনটি হয়েছে শেখ হাসিনার ক্ষমতায় যাওয়ার আকাঙ্খায় তত্বাবধায়ক সরকারের সিস্টেম চালুর পরবর্তীতে বিএনপিই এই সিস্টেমের সমর্থক হয়ে পড়েছে | ইতিহাস বড়োই নির্মম |

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৫

গন বলেছেন: সময়ের সেরা মতামত অাপনারটি ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: ক্ষমতাশালীদের মামলা স্কোয়াশ হয়,অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে বাতিল হয় আর ক্ষমতাহীনদের পক্ষের মামলা চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ে।সব কিছু আইন অনুসারে হলেও জনমনে নানা সন্দেহ।এই সন্দেহ দূর হবার নয় আর খালেদা জিয়া চুরি করেছে সেটাও বিশ্বাসযোগ্য নয়।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

গন বলেছেন: অমৃত বানী: বলেছেন-------?? সরকারের কিছুই করার নেই! আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়া জেলে গেছেন!

১৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

এম এম করিম বলেছেন: লেখকের পরিচয়ের কারণে এই লেখা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের এতটাই অবিশ্বাস করি যে নিজের চোখে ডকুমেন্ট না দেখে কিছুই বিশ্বাস করা যায় না।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

গন বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে দেখার বা বুঝার চেষ্টা করেন। আশা করি অবশ্যই পারবেন।

১৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

কানিজ রিনা বলেছেন: জাতীর পিতা বলেছিলেন আমার ডাইনে বামে
মাথার উপরে দিয়ে চোর, আমি দেশ স্বাধীনতা
পর পেলাম চোরের খনি, ফকরুদ্দিন সেই
চোরের ক্ষনি পুনারায় আবিস্কার করেছিল।
হি হি হি তবে এই কথা কিন্ত ১০০% সত্য
বর্তমান সরকারের দলে কুন চোর নাই হিহিহ।
সত্য বলিয়েন না সত্য বলা মহা পাপ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

গন বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ

১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫২

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন:

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১০

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভালো একটা তথ্য পেলাম এবং প্রিয়তে রাখলাম ভবিষ্যতের জন্য। ধন্যবাদ।

১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

বিপরীত বাক বলেছেন: আসল কথা হল পোলার মুতে মা য়ে আছাড় খেয়েছে।
এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে কেন? এক পোলার জন্য দলের গাথুনি দুর্বল করে দিয়েছে তাতে দল দেশ দুটারই বারোটা বেজেছে।
সাবেক মুখ্যসচিব কামাল সাহেব তো বলেই দিয়েছেন, “ ম্যাডামের এই অবস্থার জন্য তারেকই দায়ী।”

ফুটবল খেলায় প্রতিপক্ষের কোন ভালো স্ট্রাইকার না থাকলে কি গোলরক্ষক কে মাঝমাঠে খেলানোর ঝুকি নেয় কোন বেকুব।?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.