নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

গন

গন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মত এভাবে দৈনিক রুটিন ওয়ার্ক করবে নির্বাচনকালীন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার। ভোট চুরি হলে পুলিশ কেন বাধা দিবে?

১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০২


২০

এভাবে দৈনিক রুটিন ওয়ার্ক করবে নির্বাচনকালীন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার। ভোট চুরি হলে পুলিশ কেন বাধা দিবে? এটা করার জন্য তো তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তত্বাবধায়ক সরকার তো এভাবে কোন দায়িত্ব-ই পালন করবে না। আরে ভাই বুঝেন না কেন? নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। আর এভাবে-ই করবে। পছন্দ হলে ইলেকশন কর । না হলে আমাদের করার কিছইু নাই।
আধুনিক সভ্যতা তুমি কি লজ্জা পাও না?

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়া, কয়েকজন এজেন্টকে মারধরের মতো ঘটনা ঘটেছে। সিটি করপোরেশনের ১১, ১৫, ২২, ২৫, ২৬, ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অনেক কেন্দ্রে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। সরেজমিন ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে। তবে বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের ৪০টি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

ভোট শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে সকাল পৌনে আটটায় খুলনা সিটি করপোরেশনে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের রূপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পোলিং এজেন্ট সেলিম কাজীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করার জন্য ঢুকতে গেল তাঁকে পিটিয়েছে সরকারি দলের সমর্থকেরা। আহত সেলিমকে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে প্রথমে খুলনা জেনারেল হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ভর্তি না করে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

৩১ নম্বর ওয়ার্ডে হাজী আব্দুল মালেক দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্র ও লবণছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে থাকা বিএনপি প্রার্থীর ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ ছাড়া সেখানকার ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ভোটের লাইন থেকে বিএনপি–সমর্থক বা বিএনপির পরিচিত মুখ ভোটারদের বের করে দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিএনপির সমর্থকেরা।

২৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল গণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর পক্ষে কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। স্থানীয় বিএনপির কর্মীরা অভিযোগ করছেন, সেখানে বিএনপির এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে সোনাপোতা স্কুল কেন্দ্রে নারী ভোটকেন্দ্রের সামনে বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ওই একই দুর্বৃত্তরা আবদুল গণি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বিএনপির নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাঙচুর চালায়।

২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে মো. জাহিদুল ইসলাম নামের এক ভোটার কেন্দ্র থেকে বেরিয় অভিযোগ করেন, তাঁকে নৌকা মার্কার ব্যালটে সিল মারার জন্য জোর করা হয়েছে। তিনি রাজি না হলে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ওই কেন্দ্রের বুথের ভেতর সরকারদলীয় মেয়রপ্রার্থীর লোকজন অবস্থান নিয়ে প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে নজরুল ইসলাম মঞ্জু সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী জানান, খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে একাডেমিক ভবন-১ ও একাডেমিক ভবন-২—এই দুই ভবনে ভোট হচ্ছে। একটিতে ভোটার ১ হাজার ৩৭০ ও অপরটিতে ২ হাজার ৩৩৮ ভোট। বুথের সংখ্যা ১২। কিন্তু একটিতেও বিএনপির পোলিং এজেন্ট নেই। তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে একাডেমিক-১ ভবনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাজী মোহম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘ধানের শীষের এজেন্টরা আমার কাছ পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি।’

একাডেমিক ভবন-২-এর প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আতিয়ার রহমানও একই বক্তব্য দেন।

একাডেমিক ভবন-২-এর ৮টি বুথের মধ্যে ২ নম্বর বুথে নৌকার মার্কার ২ জন এবং ৪ নম্বর বুথে ৩ জন পোলিং এজেন্টকে পাওয়া যায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মঞ্জু জানান, তিনি যে ৫-৬টি কেন্দ্রে গেছেন, সেসব কেন্দ্রে বিএনপির এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। কেন্দ্রের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এখন পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালেয় বিএনপির পক্ষ থেকে ৪০টি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১, ১৩, ১৫, ২২, ২৫, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১ ওয়ার্ডগুলো রয়েছে।

মঞ্জু বলেন, ‘কোনো ভোটই হচ্ছে না। অবস্থা খুবই খারাপ। আমার এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্রের বাইরে থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’

এ পরস্থিতিতে তিনি কী করবেন—জানতে চাইলে মঞ্জু বলেন, ‘আরও দেখব।’

খুলনার নির্বাচনে মেয়র পদে এবার পাঁচজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা এবং বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুজ্জাম্মিল হক হাতপাখা, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে) এবং জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুর রহমান (লাঙ্গল) মেয়র পদে লড়ছেন।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১৪৮ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৫ জন নারী কাউন্সিলর পদে লড়ছেন। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন। ভোট হচ্ছে ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে। দুটি ওয়ার্ডের দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

এদিকে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, ৪০টি ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষের নির্বাচনী পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকেরা। তাঁরা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের সামনে জটলা পাকাচ্ছেন। বিএনপির পোলিং এজেন্ট, সমর্থক ও ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে ঢুকতে না পারেন, এ জন্য ঘেরাও করে রেখে আতঙ্কজনক পরস্থিতি সৃষ্টি করেছেন তাঁরা।

সূত্র: প্রথম আলো.দুপুর ১২.০০ টা। তারিখ ১৫.৫.২০১৮

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বিন্দুমাত্র ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়।

২| ১৫ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

মাকার মাহিতা বলেছেন: আওয়ামী লীগ এভাবেই নির্বাচন করে যাবে, এভাবেই ক্ষমতা হস্তগত করে রাখবে, আমরা চেয়ে চেয়ে দেখব?

একটা প্রশ্নঃ এভাবেই যদি দেশের উন্নয়ন হয় তবে দোষ কি?

৩| ১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

রাজীব নুর বলেছেন: উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে বিন্দুমাত্র ফেয়ার ইলেকশন সম্ভব নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.