নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

গন

গন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপিকে বাদ দিয়ে একতরফা ইলেকশন করার অপচেষ্টা সংবিধানের অনুচ্ছে নং ৭(১)(২),১৩ এর সুষ্পষ্ট লংঘন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭(১) এবং (২) এ এ উল্লেখ আছে যে,
প্রজাতন্ত্ররে সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণরে পক্ষে সইে ক্ষমতার প্রয়োগ কবেল এই সংবধিানরে অধীন ও র্কতৃত্বে র্কাযকর হইব৷জনগনের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে এই সংবিধান প্রজাতন্ত্ররে র্সবোচ্চ আইন এবং অন্য কোন আইন যদি এই সংবিধানের সহিত অসামঞ্জস হয়, তাহা হইলে সইে আইনরে যতখানি অসামঞ্জস্যর্পূণ, ততখানি বাতিল হইব৷
অন্যদিকে বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৩ এ এ উল্লেখ আছে যে,
উৎপাদনযন্ত্র, উৎপাদন ব্যবস্থা ও বন্টনপ্রণালীসমূহরে মালিক বা নিয়ন্ত্রক হইবেন জনগণ এবং এই উদ্দশ্যেে মালকিানা-ব্যবস্থা নম্নিরূপ হইবে রাষ্ট্রীয় মালকিানা, র্অথাৎ অর্থনৈতিক জীবনরে প্রধান প্রধান ক্ষেত্র লইয়া সুষ্ঠু ও গতিশিল রাষ্ট্রায়ত্ত সরকারী খাত সৃষ্টির মাধ্যমে জনগণরে পক্ষে রাষ্ট্ররে মালকিানা
এভাবে আমাদের সংবিধানে জনগনের ক্ষমতাকে প্রাধান্য দেওয়া আছে। জনগনই সকল ক্ষমতার মালিক। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনীতিক দল। দুটি দলের মধ্যে যদি এক দলকে বাদ দিয়ে অন্য কেউ যদি ইলেকশন করার চেষ্টা করে সেটা হল চরম অন্যায় এবং অসংবিধানিক। এটা হল আমাদের সংবিধানের লংঘন করার চেষ্টা। অর্থ্যাৎ জনগনের ক্ষমতাকে অস্বীকার করার শামীল। কেউ যদি জনগনকে এইভাবে ক্ষমতাহীন করার চেষ্টা করে.তাহলে সেটা হবে বাংলাদেশের সংবিধান লংঘনের অপচেষ্টার দোষে দোষী।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে ইলেকশনে যেতে দিচ্ছে না। সরকার রাজনীতিক ময়দানে বলছে বিএনপি ইলেকশনে যেতে চাচ্ছে না। এটা একটি রাজনীতিক প্রতারনা। কারন কাউকে হাত পা বেঁধে আপনি সাঁতার কাটার কথা বলতে পারেন না। আওয়ামী লীগ এর আগে খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রেখে একতরফা ইলেকশন করে। তখন বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে হাজার হাজার মামলা নেতা কর্মীদের ঘর ছাড়া করেছিল,যাতে বিএনপি ইলেকশনে যেতে না পারে। এবার আইনের মারপেচে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মীদের নামে সম্পূর্ন মিথ্যা হাজার হাজার মামলা দিয়ে ইলেকশনে যেতে দিচ্ছে না। এর কারন একটাই জনগনকে প্রকৃত রায় দিতে দিবে না। ভোট দিতে দিবে না। কারন জনগন ভোটে অংশগ্রহন করলে তারা ইলেকশনে হেরে যেতে পারে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছে। এটা পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম হাস্যকর আওয়ামী কর্মকান্ড। তাদের ভোটের দরকার নাই, তার পরও তারা ভোট চাচ্ছে, এটা জনগনের সাথে এক ধারনের প্রতারনা। সংবিধানের সাথে প্রতারনা। আর এভাবে তারা ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাচ্ছে।

জনগন সকল ক্ষমতার মালিক । অথচ বর্তমান সরকার জনগন যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে,সুষ্পষ্টভাবে সেই দিকে আগাচ্ছে এই সরকার। জনগনের ভোটে নির্বাচিত না হয়ে দেশ পরিচালনার খায়েশ থেকেই সরকার এমনটা করছে। এটা বাংলাদেশ সংবিধানের সুষ্পষ্ট লংঘন এবং লংঘন করার ষড়যন্ত্র। অবিলম্বে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট এই ব্যাপারে সুয়োমোটে বা স্ব-প্রনোদিত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা জরুরী। নচেৎ ইতহাস কাউকে-ই ক্ষমা করবে না।
আওয়ামী লীগ দাবী করছে তত্বাবধায়ক সরকার সংবিধান বিরোধী। এটা কোন সংবিধান বিরোধী আমরা সবাই জানি। এটা হল আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংশোধিত সংবিধান বিরোধী। অথচ জনগনের ভোটাধিকার হরন করে একতরফা ইলেকশন করার অপচেষ্টা হল সবচেয়ে বড় সংবিধান লংঘনের চেষ্টা। অবিলম্বে আওয়ামী লীগের তথাকথিত ইলেকশনের প্রচারনা বন্ধ করার জন্য মানন ীয় হাইকোর্টের রুলিং চাই। বিএনপিকে বাদ দিয়ে একতরফা ইলেকশন করার অপচেষ্টা সংবিধানের অনুচ্ছে নং ৭(১)(২),১৩ এর সুষ্পষ্ট লংঘন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:২৪

কে ত ন বলেছেন: মানুষের জন্য সংবিধান, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়। কাজেই সরকার মানুষের জন্য যা ভাল মনে করবে তাই করবে, আপনি আইন দেখানোর কে? ২০১৪ সালে আপনার এই আইন কই ছিল?

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: একখান কাজের পোষ্ট দিয়েছেন।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

হাবিব বলেছেন:





চিন্তার কারন নেই,সংবিধানের যে অংশ লঙ্গিত হচ্ছে তা অচিরেই সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে। আপনাকে ধন্যবাদ কথাটা ক্ষমতাসীনদের স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

সৈকত জোহা বলেছেন: ক্রিমিনালদের জন্য কান্নাকাটি করার কিছু নাই

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: মানুষ পরিবর্তন চায়। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামীলীগের উপরও হাজার হাজার মামলা হবে। হয়রানি হবে। তারাও বিনা ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইবে। আমাদের(জাতির) এসব থেকে বেরিয়ে আসা দরকার।

দলকানা, মগজহীনদের মন্তব্য দেখলে হাতের তালুতে চুলকায়। এঁদের ১২ ঘণ্টা ৩ বেলা নিয়ম করে থাপ্পড় থেরাপি দেওয়াএ সুযোগ পেলে শান্তি পেতাম।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

সনেট কবি বলেছেন: পড়লাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.