জাতীয় ঐক্যজোটের পিছনে কলকাটি নাড়ছে তারেক রহমান। তার নির্দেশেই এই জোট পরিচালিত হচ্ছে।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

আওয়ামী লীগ কিছু দিন আগে বলেছিল বিএনপি ড. কামালকে নেতা ভাড়া করছে,সুতারং তারা বিলীন হযে গেছে। অথচ গত কালই আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়েদুল কাদের বলেছেন ুফকদৃ

জাতীয় কোটের পিছনে কলকাটি নাড়ছে তারে রহমান। তার নির্দেশেই এই জোট পরিচালিত হচ্ছে।
এর দ্বারা তিনি নিজেই স্¦ীকার করলেন যে- বিএনপি সঠিক ভাবেই পরিচালিত হচ্ছে।
একদিকে বলছেন ৭০ দল একসাথে হলেও তাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না। অথচ ২০ দল থেকে মাত্র দুটির দলের অংশ বিশেষ যখন বের হয়ে গেল,তখন আওয়ামী লীগ খুবই খুশি খুশি ভাব দেখাল। এবং এটা নিয়ে মন্তব্য না করে পাড়ল না আওয়ামী লীগ । অভিযোগ আছে ঐক্যে ভিত হয়ে সরকারই তাদের লোভ দেখিয়ে ভাগিয়ে আনছে।
এতদিন বলতো বিএনপি জংগি,জামাতি ইত্যাদি অথচ রব,কামাল সাহেবদের মত আধুনিক অসাম্প্রদািয়ক ব্যক্তিরা যথন বিএনপির দিকে ঝুকল। তখন তাদের ধন্যবাদ না জানিয়ে আবোল তাবোল বলা শুরু করল। আসলে আওয়ামী লীগ কি চায়, তা অনেক আগে থেকেই মানুষের কাছে পরিস্কার ছিল । এখন আরো ভাল ভাবে পরিষ্কার হল। সেট হল তারা একতরফা ইলেকশন করবে এবং তথাকথিত ক্ষমতায় যাবে। যারাই এই্ কাজে প্রতিবন্ধকতা ৃ সৃষ্টি করবে তাকে আওয়ামী লীগ ছাড়বে না।
খালেদা জিয়া,তারেক রহমানকে জেলে নিয়ে ইলেকশন করলে আওয়ামী লীগ ভেবেছিল,তারা দূর্বল অবস্থায় ইলেকশনে গেলে আমরা জিতে যাব। কিন্তু ড. কামালরা একটু সমস্যায় পেলে দিল সরকারকে। এখন খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দী করেছে আইনের মারপ্যাচে। অথচ ২০১৪ সালে কোন আইনে তারা খালেদা জিয়াকে গুলশানে বন্দি করেছিল? ২০১৪ সালের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ এবার আইন দিয়ে ভূয়া একটি মামলা দিয়ে খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেছে একমাত্র বিএনপিকে দূর্বল করার জন্য। এবং যাতে বিএনপি এলোমেলো অবস্থায় ইলেকশনে আসে বা না আসে। যাতে খোলা মাঠে গোল দেওয়া সহজ হয়।
এতদিন মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধ বলে আওয়ামী লীগ মুখে ফেনা তুলতো। সেটা এখন কিছুটা হলেও ভাটা পড়বে। কারন স্বাধীনতার পক্ষের লোকজন এখন বিএনপিমূখী হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে আকড়ে রাখলেও আওয়ামী লীগ নিজেই মুক্তিযুদ্ধের মুল চেতনা গনতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানো কাজে তৎপর। পুরো পৃথিবীকে অবাক করে আওয়ামী লীগ বিনা ভোটে ৫টি বছর কাটিয়ে দিল। কিছু দিন পর পর জংগি নাটক করে আবার আন্তজার্তিক সহানূভতি আদায়ের চেষ্টা করবে সরকার। কিন্তু বাংলাদেশের জনগন সবই বুঝে। আগামী নির্বাচনে তারা ভোট দিবেই। সেই ভোট অবশ্যই একতরফা ভোট হবে না।

৭ টি +০/-০