নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

গন

গন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাথমিক সত্যতা বা প্রাইমাফেসি কেইস না থাকলে শুধু মাত্র রাজনীতিক কারনে করা মামলা কোট কেন আমলে নিবে? কেন গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করবে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:০১



বর্তমান সরকার স্পষ্টভাবে কোর্টকে বিরোধীদল দমনে কাজে লাগাচ্ছে। অবৈধভাবে ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার এ্ই কাজটি কোটকে কাজে লাগিয়ে করছেন। বিচারকরা বিষয়টি বুঝেও আইনের কথা বলে সরকারের ইচ্ছাপূরনে সবই করছেন। এই সব বিচারক ভাল করছেন কি খারাপ করছেন,তারা তা ভাল করে বুঝেন। মেনচ রিয়া বলতে একটা কথা আইন বিজ্ঞানে আছে। অপরাধপ্রবলমন বা মেনচরিয়া যদি খারাপ হয়,তাহলে সেটা আমলে নিয়েই বিচার করতে হবে। এই সরকারের মেনচরিয়া ভাল না। তারা বিরোধী মতকে দমানোর জন্য বিচারকদের ব্যবহার করছেন।
রাজা ভুল করতে পারে না। এটা হল তৎকালীম রোমান আইনের স্বীকৃত একটা মেক্য্রিম। কিন্তু সেটা তো বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। তৎকালীন আইন গুলো সেই সভ্যতার আলোকে তৈরি করা। সেই আইন গুলো দিয়ে তো বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা চলতে পারে না। কারন বিচারকরা সরকারের মুখাপেক্ষি হতে বাধ্য।
বিচারকরাও অন্যায় করছেন। এমন অনেক উদাহরন দেওয়া যাবে। যেমন বিচারপতি সিনহা এই সরকারের দৃষ্টিতে একজন অপরাধী। প্রশ্ন হল শুধু কি সিনহা খারাপ? আর কেউ কি এই তালিকায় নাই? একসময় বিচারক ছিলেন, অথচ এখন তিনি একজন রাজনীতিবিদ। প্রশ্ন হল যেই বিচারপতি একজন দলবাজ , তিনি কিভাবে ব্রিটিশ আমলের আইনে একজনকে হয়রানি করে পার পেয়ে যাবেন? এখন যেই বিচারপতি রাজনীতি করছেন ,সেই বিচারপতি তাহলে কিভাবে নিরপেক্ষ বিচার করেছিলন, যখন বিচারপতি ছিলেন। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত বিচারপতি নিয়োগ নীতিমালা তৈরি করা হয় নাই। দলীয় বিবেচনায় এই সরকার যাকে ইচ্ছা তাকে বিচারক বা জজ নিয়োগ দিয়েছেন। বিচারকদের বেতন প্রমোশন যখন সবই সরকারের হাতে,তখন তারা তো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। মানহানি মামলায় জামিন দিচ্ছেন না। আবার শামীম ওসমান যখন আইভিকে কাপড় খুলে ফেলার কথা বলেন,তখন নারী জাতির অপমান হয় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন কোটা বিরোধী ছাত্রীকে মারধর করা হয় তখন আমাদের কোট সেটাকে বিবেচনায় না নিয়ে বিচার করেন,তখন আমরা কি ভাবব। সেটা কোন মামলা হয় না। মানহানি হয় না। বিচারক তখন ঘুমিয়ে থাকেন। এই কোন দেশে আমরা বসবাস করছি? খালেদা জিয়াকে কিভাবে ত্বরিত গতিতে ফাঁসানো যায়,সেটা আবার ঐসব বিচারকরা-ই বাস্তবায়ন করছেন। মইনুল সাহেবকে সরকার প্রছন্দ করেন না,তাই তাকে ফাঁসানোর জন্য জেলে রাখা হল ভ’য়া মামলা দিয়। গায়েবী মামলা আমলে নিচ্ছেন। আবার গ্রেফতারীও জারি করেন। আমীর খসরু সরকার সমর্থিত একটি কাজের ব্যাপারে ফোনালাপ করেছেন,সেটা শুধু অপরাধ নয়। তাকে রিমান্ডেও যেতে হবে। কোট তো ভাল কওে জানেন এই সব মামলা গুলো ভ’য়া । তারপরও তারা এই সব মামলা আমলে নিচ্ছেন। শতভাগ বিচারপতি সরকার গুলোই নিয়োগ দেয়। তার মধ্য কেও কেও সরকারের কথা না শুনলে,তারা তখন খুবই খারাপ। কিন্তু যারা সরকারের কথা শুনছে,তারা কি ফেরেস্তা? তারা কি সরকারের আ¯হা ভাজন হতে গিয়ে দেশের তথা মানুষের ক্ষতি করছে না? সুতারং মামলা হলেই গ্রেফতার করা যাবে না। প্রাথমিক সত্যতা বা প্রাইমাফেসি কেইস না থাকলে মামলা আমলে নেওয়া উচিত নয়। মির্জা ফখরুল গাড়িতে আগুন দেয় নাই বা খালেদা জিয়াও গাড়িতে আগুন দেয় নাই। এই সব মামলায় প্রাইমা কেইস না থাকা সত্বেও রাজনীতিক হয়রানিমূলক মামলা কেন কোট আমলে নিবে? বরং যারা এই সব মামলা দায়ের করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: অচিরেই বাংলাদেশ একজন আজীবন প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

সাইন বোর্ড বলেছেন: কওয়ার কেউ নাই,,,

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: পর্দার অন্তরালের কুশিলবদের মুখোশ উন্মোচন করা না গেলে বিপন্ন হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.