নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি বাংলার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান

গন

গন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিটি নির্বাচনে বিএনপি পন্থী প্রার্থীরাই জয়ী হয়েছে। নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে এত ভোট বিএনপি কিভাবে পেল?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫০


সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত তথাকথিত নির্বাচনে এত ভোট বিএনপিকে কে দিল? আমি নিজে তেজগাঁও থানার বিভিন্ন্ কেন্দ্র পরিদর্শন করি। সেদিন শত শত সরকার দলীয় ক্যাডার প্রত্যেকটা কেন্দ্রে পাহারারত ছিল। বিএনপি পন্থী কোন লোককে তারা কেন্দ্রে অবস্থান করতে দেন নাই। এটা ছিল ঢাকা সকল কেন্দ্রের চিত্র। সরকার দলীয় লোকজনকে সহায়তা করা ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কাজ। গোপন বুথে গিয়ে সরকার দলীয় লোকজন কাউকে সন্দেহ হলেই ফিঙ্গার পাঞ্চের পর নৌকায় ভোট তারা নিজেরাই দিয়ে দেন। এত কঠোর নিয়ন্ত্রনে আমি ভেবেছিলাম বিএনপি পন্থী প্রার্থীগন সব কেন্দ্র মিলে উত্তর সিটিতে সর্বমোট ৫/৬ হাজারের বেশি ভোট পাবেন না। যাদেরকে এলাকায় কেউ ভাল ভাবে চিনে না, কোন দল করেন না বলে পরিচিত তারা সরকার দলীয় ব্যাচ পরিধান করে রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে অনেকে বিএনপি প্রার্থৗকে ভোট দেন। যা রীতিমত বিস্ময়কর। কারন ঢাকা পলিটেকনিক কেন্দ্র এ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অপরাধে এক জনকে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্র লীগের ছেলেরা। যারা সরাসরি নির্বাচনে ফিল্ডে ছিলেন,তারা ছাড়া এটি কেউ উপলব্দি করতে পারবেন না। ভীতিকর পরিবেশ কাকে বলে সেদিন সরাসরি না দেখলে কেউ বুঝবেন না। অবাধ যাতায়াত ছিল ভোট কেন্দ্রে শুধুমাত্র একটি দলের । হুন্ডা চলাচল নিষেধ থ্কালেও সরকারী দলের নেতাদের জন্য নিষিদ্ধ ছিল না। নিষিদ্ধ হলেও ফার্মগেট থেকে নাবিস্ক যাতায়াতের সকল লেগুনা ছিল তাদের ভোটারদের যাতায়াতের জন্য। ভোটার কেন্দ্র এ অন্য কারো জন্য ছিল নিষিদ্ধ এলাকা। সুতারং যারা ভোট দিয়েছিলেন তারা সবাই সরকারী দলের সমর্থন পুষ্ট লোকজন। কারন অন্য কারো, বিশেষ করে যারা বিএনপি করেন তাদের জন্য ছিল অঘোষিত ১৪৪ ধারা। কোন কেন্দ্রে বিরোধী দলের কোন এজেন্ট ছিল না। সুতারং এত কঠোরতা আরোপের পরও বিএনপি এত ভোট কিভাবে পেল? যারা ভোট ভোট দিতে গেছেন তারা পাহারারত ক্যাডারদের ছাড় পত্র নিয়েই ভোট দিতে গেছেন। ক্যাডার এই ভেবে তাদেরকে ছাড় পত্র দিয়েছে যে, তারা তো নৌকায়-ই ভোট দিবে। তার মানে নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী ভোটার মনে করা ভোটাররা যদি এত ভোট বিএনপি পন্থী প্রার্থীকে দেন ,তাহলে পরিস্থিতি সহজেই অনুমেয়। অর্থ্যাৎ বিনা বাধার ভোট হলে বিএনপি প্রার্থীরা এই ভোট তো পেত-ই। এর সাথে যোগ হত লক্ষ লক্ষ ভোট । সুতারং সরকারের জনপ্রিয়তা কি পরিমান তলানিতে তা সহজেই অনুমেয়। তারপরও ভূয়া ভোট বাদ দিলে আওয়ামী লীগ কোন মতেই জয়ী হত না। সুতারং বিএনপি প্রার্থীদের হতাশ হবার কিছুই নাই। দেশের জনগন তাদের সাথেই আছে। হিসেবে অনুসারে তারা বিজয়ী।
অন্যদিকে কোন বার ১৫৪ জনকে বিনা ভোটে। কোন বার রাতে ভোট করে । আর এবার নতুন ফর্মূলায় জনগনের ভোট ছিনতাই করার মাঝে কোন গৌরব নাই। এ্ই দেশের কোটি জনগন দেখেছে আওয়ামী লীগ কি ধরনের ভোটে জয় লাভ করছে। আমরা জনগন এভাবে দেখেই যাব। আর তথাকথিত উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ভোট চুরিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা দেখে যাব আমরা জনগন ,জয় বাংলা ---------------------------------------

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: চমৎকার প্রশ্নমালা---------

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

খাঁজা বাবা বলেছেন: বিগত সংসদ নির্বাচনে কিছি আসনে মোট ভোটারের চেয়ে ভোট বেশী পরেছিল মনে আছে?
যদিও ব্যলট সংখ্যা ও ভোটারের সংখ্যা সমান।
নির্বাচনের পরেও আর একটি অংশ বাকি থাকে। সেটা হচ্ছে ফলাফল তৈরি ও ঘোষনা।
নির্বাচন কমিশন যেটা ঘোষনা করবে সেটাই ফলাফল।
ভোট যে যাই দেক না কেন, ফলাফল নির্বাচন কমিশন তার ইচ্ছা মত ঘোষনা করে।
ভোট কি পরেছে সেটা ব্যপার না।
তাই বি এন পি এত ভোট পেয়েছে। যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু মনে হয়।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭৫ সালে শেখ সাহেবকে হত্যা করে বিএনপি গঠন করা হয়েছিলো, বিএনপিকে বিলুপ্ত করার দরকার আছে।

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১১

গন বলেছেন: বিএনপিকে বিলুপ্ত করতে হবে ভাল কথা তার জন্য কি ইলেকশনের নামে তামশার আয়োজন করতে হবে? রাষ্ট্রের বা জনগনের কোটি কোটি খরচ করে কেন এই ইলেকশন। নিষিদ্ধ করে দিলেই তো হয়। জনগনের আশা আখাংঙ্খার বিপরীতে গিয়ে এই দেশে কিছু করা যাবে না। এইটা সরকারও জানে। এই দেশের স্বাধীনতাও ছিল এই দেশের মানুষের আশা আখাঙখা। যে স্বাধীনতার আনতে শেখ সাহেব অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন এবং শেখ সাহেবকে মানুষে সন্মান কর। সেই স্বাধীনতা কি জনগনের আছে?

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: গণতন্ত্র বর্তমান পৃথিবীর শক্তিশালী একটি শাসন পদ্ধতি। জনপ্রিয় এবং জনবান্ধব বটে।

গণতান্ত্রিক সরকার পদ্ধতিতে আইন প্রণেতারা সংসদে এসে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন তাত্বিকভাবে, যদিও বাস্তবিকে প্রণয়ন করেন প্রতিনিধিত্বকারী সরকারের আজ্ঞা ও নির্দেশ।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

খাঁজা বাবা বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেনঃ "১৯৭৫ সালে শেখ সাহেবকে হত্যা করে বিএনপি গঠন করা হয়েছিলো, বিএনপিকে বিলুপ্ত করার দরকার আছে।"

যে বাংলাদেশ গনতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষায় স্বাধীন হয়েছে, সেই বাংলাদেশে ২০১৪ সালে আওয়ামীলিগ গনতন্ত্র হত্যা করেছে। আওয়ামীলিগকে বিলুপ্ত করার দরকার আছে। :P

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "যে স্বাধীনতার আনতে শেখ সাহেব অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন এবং শেখ সাহেবকে মানুষে সন্মান কর। সেই স্বাধীনতা কি জনগনের আছে? "

-আজকের অবস্হার জন্য মিলিটারী ও আপনাদের মতো মানুষ যারা, মিলিটারীকে সাপোর্ট করেছিলো, তারা দায়ী; শেখ হাসিনা যা করছেন, তার বেশী তিনি জানেন না; তিনি সৎ হলে, বিএনপি'কে বিলুপ্ত করতেন।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

গন বলেছেন: বিএনপিকে গেজেট প্রকাশ করে নিষিদ্ধ না করে চোরা পথে তা করার চেষ্টা করছেন। তথাকথিত মামলা দিয়ে দলের প্রধানকে জেলে রাখছেন। মামলার ভয় দেখিয়ে ওনার ছেলেকে দেশ ত্যাগ করিয়েছেন। এক ছেলেকে মেরেই ফেলেছেন। কয়েক লক্ষ মামলা দলের নেতাদের নামে। যে দল ক্ষমতায় ছিলেন ,তাকে তিনি সাতটি আসণ দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন। নিরপেক্ষ নির্বাচন দিচ্ছেন না। ১২ বছর ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। ওনারা সৎ বলেই তা করেছেন ! তা কি ভাই। নাপাক শরীরে এক কোটি বার নামাজ পড়লেও ভদ্র হওয়া যাবে না। সওয়াব তো দূরের কথা। নিজেরা সঠিক পথে চলুন। জনগনের ইচ্ছায় দেশকে চলতে দিলেই সব সমস্যার সমাধান। কারন এই দেশ কারো তালুক নয়। এই দেশ জনগনের। বিএনপি নিষিদ্ধের বিষয়টি জনগনের উপর ছেড়ে দেন। দেখুন জনগন কি চায়।

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

একাল-সেকাল বলেছেন:

চাঁদগাজী'র জ্ঞাতার্থে, তিনি সৎ হলে, বিএনপি'কে বিলুপ্ত করতেন। :)



দেখলাম, যারা ঈশ্বরের চাইতে জ্ঞানী, ক্ষমতাবান তারাই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ঝাণ্ডাধারী ! :-B

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: সবই যেন ছিট বেলার পুটুল খেলা । ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.