নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাকিম৩

হাকিম৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেভাবে হয়েছে অপারেশন স্টর্ম ২৬

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:১৯


রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি অস্থানায় মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ যে যৌথ অভিযান চালিয়েছেন তার নাম বা একেই বলা হয়েছে অপারেশন স্টর্ম ২৬ ।এই অভিযানে অংশ নেন পুলিশ এবং র‌্যাবের বিপুলসংখ্যক সদস্যরা।আর এ অভিযান চলাকালিন সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয় ৯জন জঙ্গি।

পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে সোমবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ কল্যাপুরের কয়েকটি মেসে ব্লক রেউড শুরু করে। তখনো পুলিশের কাছে কোনো ইঙ্গিত ছিল না ঘটনা এত বড় হয়ে দাঁড়াবে। পুলিশের ভাষ্যমতে কল্যাণপুরের বিভিন্ন ভবনে থাকা মেসে গিয়ে তল্লাসী শুরু করা হয়। রাত পৌনে ১টার দিকে ৫ নম্বর সড়কের ৫৩ নং বাসার কাছে পুলিশ পৌছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেন। তারপরই একটি হ্যান্ডগ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। তখন পুলিশ বুঝতে পারে ওই ভবনের পঞ্চম তলা থেকে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে ভবন থেকে আরো কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। বিষয়টি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। কিন্তু হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ আসে রাতে কোনো অভিযান চালানো যাবে না। তবে ভবনটি এমনভাবে ঘিরে রাখতে হবে যে কেউ যেন পালাতে না পারে। সেভাবে সারা রাত ঘিরে রাখা হয় ভবনটি। তার মধ্যে পুলিশ অভিযানের জন্য লোকবল বৃদ্ধি করতে থাকে। খবর দেওয়া হয় মিরপুর জোনের সকল থানাকে। উপস্থিত হয় র‌্যাবের সদস্যরা। ভোর রাতে ঘটনাস্থলে পৌছে সোয়াতের বোম ডিসপোজাল ইউনিটির সদস্যরা। সেসময় পুলিশ এলাকার বাসিসন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে পরামর্শ দেন।

আনুমানিক ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় যৌথ বাহিনীর অভিযান। বিভিন্ন ক্যাটাগরির আগ্নেয়াস্ত্রের এলোপাতাড়ি গুলির শব্দে প্রকোম্পিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। প্রায় এক ঘন্টা চলা অভিযান শেষ হয়ে যায় ৬টা ৫০ মিনিটে। পরে পুলিশ ওই ফ্ল্যাটে তল্লাসী করে ৯ জনের লাশ উদ্ধার করেন। নিহতদের মধ্যে সাতজনের লাশ পাওয়া গেছে করিডোরে, দুজনের লাশ ছিল দুটি কক্ষে। ঘণ্টাব্যাপী অপারেশন স্ট্রম-২৬ শেষে ঘটনাস্থল থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন অভিযানের সময় জঙ্গিরা ফ্ল্যাটের দরজা খুলে গুলি করতে করতে পালানোর চেষ্টা করে। তখন দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। তিনি আরো বলেন জঙ্গিদের পরনে কালো রঙের জঙ্গি পোশাক ছিল আর মাথায় ছিল পাগড়ি ও হাতে ছিল ব্যাগ। গুলশানে ‘জেএমবির যে গ্রুপটি হামলা চালিয়েছিল, এরা সে দলেরই সদস্য বলে আইজিপি শহীদুল হকের ধারণা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন তাদের আইএস বলা হলেও আসলে তারা আইএস নয় তারা জেএমবির সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে পুলিশের যৌথ অভিযান চালাকালে ওই এলাকার রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তাজনিত কারণে কল্যাণপুরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় হলি ক্রিসেন্ট মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস আহম্মেদ খান সাইফুল বলেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পরামর্শে স্কুল বন্ধ রাখার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাছাড়াও ভোর রাত থেকেই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের ভীতির কথা প্রকাশ করেন।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৩৪

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: ধন্যবাদ,জানানোর জন্য

২৭ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

হাকিম৩ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.