নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাকিম৩

হাকিম৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্তমান সময়ে পর্ণোগ্রাফি আসক্তি হয়ে পুরুষদের যে মারাত্মক ক্ষতিগুলো হচ্ছে ?

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩০


বলতে গেলে বলতে হয় বর্তমানে নব তরুন প্রজন্ম পর্ণোগ্রাফি আসক্তির এক ভয়াল নেশায় মত্ত হয়ে গেছে। টিন এজার থেকে শুরু করে অনেক মধ্য বয়সী পুরুষও এই পর্ণোগ্রাফি আসক্তিতে ভুগছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেরি বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় পর্ণোগ্রাফি আসক্তিকে তেমন ক্ষতিকর বলে মনে না করলেও আসলে এর আছে দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাব। নিয়মিত পর্ণোগ্রাফি দেখার মাধ্যমে নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতির করে ফেলছেন অসংখ্য কিশোর কিশোরী ও যুবক এবং মধ্যে বয়সী পুরুষ ও নারী। আসুন জেনে নেওয়া যাক পর্ণোগ্রাফির কারণে আমাদের যে ক্ষতিগুলো হতে পারেঃ

১। নারীরা ঘৃনার চোখে দেখেনঃ পর্ণ আসক্ত পুরুষদেরকে সাধারণ রুচিশীল নারীরা হীনমন্য এবং চরিত্রহীন মনে করেন। নারীরা যখন জানতে পারে যে তার পরিচিত কোনো পুরুষ নিয়মিত পর্ণোগ্রাফি দেখে, তখন তার সম্পর্কে খারাপ মনোভাব জন্ম নেয় এবং যতটা সম্তব হয় তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। বিশেষ করে আমাদের সমাজের নারীরা তো অবশ্যই।

২। রুচি বোধের অবনতি হয়, নিয়মিত পর্ণোগ্রাফি দেখতে দেখতে পুরুষদের রূচিবোধ নিম্নমানের অধপতন ঘটে। পর্ণোগ্রাফির অনৈতিক এবং যৌনতা নির্ভর বিকৃত সম্পর্ক গুলোকেই তখন ভালো লাগাতে শুরু করে। আর তার ফলে যারা নিয়মিত পর্ণ সিনেমা দেখেন তাদের রুচি বিকৃত হয়ে যায় অথবা অধপতন ঘটে। জীবনের স্বাভাবিক সম্পর্ক গুলোতেও নিজের অজান্তেই বিভিন্ন ধরণের ঝটিলতায় জড়িয়ে পড়েন।

৩। অন্য জগৎ এ বসত করে নিয়মিত পর্ণোগ্রাফি দেখতে দেখতে বাস্তব জগৎ ছেড়ে পুরুষরা অন্য জগৎ মনস্ক হয়ে পড়েন। অর্থাৎ বাস্তব জীবনেও তারা পর্ণ সিনেমার মত সঙ্গী আশা করেন এবং তারা স্বপ্ন দেখেন তাদের যৌন জীবনটাও পর্ণ সিনেমার মতই হবে। তাই নকল দুনিয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে তারা বাস্তব জীবনের সুখ শান্তিকে হারাতে বসেন এবং অনেক ক্ষেত্রেই হারিয়ে ফেলেন। সাধারণ নারীদেরকে তখন আর তাদের সাধারণ মনে হয় না।

৪। মূলত নিঃসঙ্গ,অসুখী হয়ে পড়েন অতিরিক্ত পর্ণোগ্রাফি দেখার কারণে সাধারন নারীদের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে পর্ণ আসক্তদের। তারা পর্ণোগ্রাফির নায়িকাদের মত আকর্ষনীয় দেহ এবং চেহারার নারী খোঁজেন বাস্তব জীবনে যা হওয়া সম্ভব না। কিন্তু পর্ণ সিনেমার নায়িকাদের সৌন্দর্য মূলত কৃত্রিম সৌন্দর্য তাদের আচরণও তাই কৃত্রিম। মেকআপ, লাইট এবং ক্যামেরার কারসাজিতে তাদেরকে মোহনীয় ভাবে দেখানো হয় যা বাস্তব জীবনে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। তাই পর্ণ আসক্তরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিঃসঙ্গ থেকে যান অথবা সংসার জীবনে অসুখী হন।

৫। নিয়মিত পর্ণোগ্রাফি যারা দেখেন তাদের মধ্যে হস্তমৈথুনের অভ্যাসটাও বেশি থাকে। আর অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার ফলে তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও বাড়ে এবং যৌনজীবনে নানান সমস্যার মুখোমুখি হন।

৬। পর্ণোগ্রাফির নেশা মাদকের নেশার মতই এক ভয়ংকর নেশা। মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেমন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তেমনি পর্ণ আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়াও দূরহ ব্যাপার হয়ে যায়। পর্ণ আসক্তির কারণে পরিবারের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়। পড়াশোনায় ক্ষতি হয় এমনকি নিজের মধ্যেও হীনমন্যতার সৃষ্টি হতে থাকে।

এছাড়াও পর্ণোগ্রাফির ছোবলে নৈতিকতার অবক্ষয় যেমন হচ্ছে তেমন দিনকে দিন নারী নির্যাতনও বা যৌন হয়রানীর মত কাজগুলো বেড়ে চলছে । দম্পতিদের মধ্যে বিশ্বাস ভঙ্গের কারণসহ নানা ধরনের সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

অন্যদিকে ইন্টারনেট ফিল্টার রিভিউয়ের আরেক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রতি তিন জন পর্ণোগ্রাফি আসাক্তদের মধ্যে একজন নারী পর্ণোগ্রাফিতে আসক্ত। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কোয়ালিশন ফর দি প্রটেকশন অব চিলড্রেন অ্যান্ড ফ্যামিলিসএর এক হিসেবে দেখা গেছে ৩৫ বছরের কম বয়স এমন যারা যৌনতায় অত্যধিক আসক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছেন তাদের মধ্যে ৪০ ভাগই হচ্ছেন নারী। তারা এক সময় পর্ণোগ্রাফিতে মারাত্মকভাবে আসক্ত ছিলেন।

আরেক দিকে ইন্টারনেট ফিল্টার রিভিউ ডটকম বলেছেন পর্ণোগ্রাফি দেখছেন এমন দর্শকের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে যাদের বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের ভিতর। এমনকি ১১ বছরের শিশুরাও পর্ণোগ্রাফির ছোবলে আক্রান্ত হচ্ছে। এধরনের পরিস্থিতিকে ভীতিকর হিসেবেই দেখছেন সামাজিক বিজ্ঞানীরা।

বাইবেলে বলা হয়েছে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখ এবং সজাগ থাক। কারণ তোমার শত্রু শয়তান চারপাশে ওত পেতে আছে কাউকে না কাউকে গ্রাস করার জন্যেই। পিটার ৫:৮ এমন অনেকে আছেন যারা বলেন পর্ণোগ্রাফিতে ক্ষতির কিছু নেই। কিন্তু যারা পর্ণোগ্রাফিতে অভিনয় করেছেন এক সময় তাদের বক্তব্য শুনলেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে পর্ণোগ্রাফিতে অভিনয় করেছেন এমন কলাকুশলীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি।সামাজিক বিজ্ঞানীরা ছাড়াও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের পক্ষ থেকে পর্ণোগ্রাফিকে সরাসরি পাপ বলেই অভিহিত করা হচ্ছে। এজন্যে অনেকে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে মৌলবাদি বলে তিরস্কার করতেও ছাড়ছেন না।
বিশেষ করে নারীদের যৌন হয়রানী বা ধষর্ণ মূলক কাজ থেকে অনেকঅংশে মুক্তি দেয়া সম্ভব যদি পর্ণোগ্রাফি থেকে বিরত রাখা যায় ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬

সনেট কিংবা বৃত্ত বলেছেন: সবাই এতো পর্ণোগ্রাফি নিয়ে লিখছে কেন!!!!!!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৪৭

হাকিম৩ বলেছেন: ব্লু ফ্লীম বন্ধ করার জন্য ।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:০২

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ভাল একটি কাজ করছেন জন সচেতমূলক পোস্টটি দিয়ে ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫

হাকিম৩ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই।

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ লেখককে শেয়ার করার জন্য ।
বিশেষ করে নারীদের যৌন হয়রানী বা ধষর্ণ মূলক কাজ থেকে অনেকঅংশে মুক্তি দেয়া সম্ভব যদি পর্ণোগ্রাফি থেকে বিরত রাখা যায় । সহমত ।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬

হাকিম৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

নীল_অপরাজিতা বলেছেন: পর্ণোগ্রাফী, মেয়েদেরকে "মানুষ" হিসাবে না দেখে, পন্য হিসাবে কল্পনা করতে উৎসাহ দেয়। আসক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে নারীর প্রতি একধরনের অবজ্ঞা তৈরি হয়, যা পারস্পারিক মর্যাদাবোধকে ক্ষুন্ন করে । এর কুফল এখন সমাজে খুব ভালভাবেই ফলতে শুরু করেছে। সচেতনতা তৈরি করা অবশ্যই জরুরী।

২১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:১৯

হাকিম৩ বলেছেন: সহমত সচেতনতা তৈরি করা অবশ্যই জরুরী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.