নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাকিম৩

হাকিম৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে দেশে এসিড বৃষ্টি নামবে

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:২৯

আসলে বাস্তবতা হলো বড় অদ্ভূত আর বাস্তবতা সবাইকে মেনে নিতে হবে না নেয়া ছাড়া কোন ছাড় নেই । ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশে যে হারে জনসংখ্যার প্রয়োজনে বা বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানোর জন্য যে পরিমান বিদ্যুৎ দরকার টা আমাদের দেশে নেই।বাংলাদেশে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন না থাকা অনেকটা স্বপ্নতুল্য। ইতিমধ্যে অনেকটা কমে আসছে গ্যাসের মজুত যা আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অনেকাংশে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও নদীর গতিপথ, আবহাওয়া এবং জলবায়ুর চক্রের উলটপালটের কারণে যথেষ্ট বৃষ্টি ও বর্ষা না হওয়া এবং ভারত কর্তৃক বাঁধ দিয়ে দেশে নদীগুলোতে পানি প্রবাহের তারতম্যের কারণে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনও যথেষ্ট নয়। অর্থাৎ বিদ্যুৎ ক্রয় না করলে অথবা নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন না করলে দেশ জ্বালানি বিপর্যয়ে পড়বে এটা অস্বিকার করা যাবে না। বিদ্যুৎ দীর্ঘমেয়াদিভাবে ক্রয় করেও তেমন লাভজনক কিছু হবে না। তাই আমাদের প্রয়োজনেই দেশে নতুন বিদুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে । কিন্ত তার আগে আমাদের জানতে এবং বুঝতে হবে যে কী ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন আমাদের দেশের জন্য লাভজনক এবং নিরাপদ হবে? আর কোথায়ই বা সেই বিদুৎকেন্দ্র স্থাপন করা বা হওয়া উচিত ? আরো জানতে হবে আমাদের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র কি অর্থনৈতিক এবং ভৌগলিক এই সুবিধাগুলো প্রদান করবে কি করবে না ?
রামপাল প্রকল্পের জন্য বাগেরহাটে ১৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করে অনেক পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে বালু ভরাটের মাধ্যমে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য চুক্তি করা হয়েছে । আর এ 'দু'টো হলোঃ
১। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পিডিবি এবং
২। ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশন, এনটিপিসি।
এই প্রকল্প হবে বাংলাদেশের পৃথিবী বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের মাত্র ৯ থেকে ১৩ কিলোমিটারের মধ্যেই যদিও এর মধ্যে সরকারিভাবে দাবি হচ্ছে যে এটি সুন্দরবনের বাফারজোনের ১৪ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে, যা সুন্দরবনের বনাঞ্চল, পরিবেশ এবং জীবসম্পদের জন্য মারাক্তক ভাবে বিপদজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ, এমনকি দীর্ঘমেয়াদে সুন্দরবনের টিকে থাকাও আশংকাজনক। আর সব থেকে ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে এই প্রকল্প হবে কয়লাভিত্তিক যার নির্মাণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিরুৎসাহিত করা হয় অথবা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রয়েছে কঠোর আইনও । যেহেতু এটি পরিবেশবান্ধব না । মানুষ এবং জীববৈচিত্রের জন্য ক্ষতিকর। যেমনঃ কানাডা এবং ফ্রান্সে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে রয়েছে কঠোর আইন প্রমাণ করতে হবে যে এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় আর যদি যথেষ্ট পরিমান ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে তা অনুমোদিত হবে না এবং জনমত।

প্রথমে চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কোনও প্রকার পরিবেশ বিপর্যয় বিষয়ক যাচাই এবং গবেষণা না করে সরকার চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে সরকারি সমীক্ষাতেই দেখা যায় যে এটি পরিবেশ ক্ষতিকারক এবং বিশেষ করে সুন্দরবনের সংরক্ষিত জীববৈচিত্র্যের জন্য আরো মারাক্তক ক্ষতিকর হবে। কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা আমদানি হবে বিভিন্ন দেশ থেকে আর যেহেতু সুন্দরবন সংলগ্ন নদীপথ জাহাজ চলাচলের জন্য উপযুক্ত নয় এই কয়লা ছোট ছোট নৌকা এবং লঞ্চের মাধ্যমে বহন করে নিয়ে আসতে হবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র পযন্ত ।
আর এই মালামাল ওঠানামা এবং চলাচলে রয়েছে ময়লা পানি ও পরিবেশে নিঃসৃত হওয়ার সম্পূর্ণ ঝুঁকি। আর তার ফলে আবর্জনা তেল, জাহাজ,লঞ্চ,নৌকা চলাচলে জলদূষণ ইত্যাদিতে সুন্দরবন এবং সংলগ্ন পরিবেশের জল ও বায়ু দূষণ। শুধু তাই না, এই চলাচলে সৃষ্ট ঢেউয়ে প্লাবিত হবে আশপাশের জমি এবং ক্ষয় হবে সুন্দরবনের ভূমি যা সুন্দরবনের গাছগাছালির জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিষয়। তাছাড়াও রয়েছে নির্মাণকাজ এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর ফলে সৃষ্ট শব্দ দূষণ ও আলো দূষণ যা সুন্দরবন এবং এর আশপাশের জনপদের মানুষ ও প্রাণীদের জীবনচক্রে বিশেষ ক্ষতিকর প্রভাব ।শুধু সুন্দরবনই না বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের মানুষ এবং জনপদের জন্য ব্যাপারটি বেশ ক্ষতিকর হবে। ইতিমধ্যে গবেষণায় দেখা গেছে যে কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের পাশে বসবাসকারী মানুষজন দীর্ঘমেয়াদে ৩ বা ৬ গুণ বেশি আক্রান্ত হন ক্যানসার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এভং নিউরোডিজেনারিটিভ স্নায়ুরোগে । আর যেহেতু কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে সৃষ্ট বায়ু এবং জল দূষণ মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। অবশ্য এর মধ্যে সরকার বলছেন যে এই প্রকল্পের ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে অথচ এই প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে উচ্ছেদ করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে যারা এখন ভূমি এবং কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এইসব এলাকার মানুষের প্রধান জীবিকা হচ্ছে মাছ আহরণ, সুন্দরবন থেকে গাছগাছালি মধু ইত্যাদি আহরণ এবং কৃষিকাজ । বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে সৃষ্ট দূষণে দীর্ঘমেয়াদে যখন পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সুন্দরবন বিনষ্ট হবে তখন আরো অধিক মানুষ ভূমি এবং জীবিকাহীন হয়ে পড়বে। এর অর্থ যা দাঁড়ালো তা হল অল্প কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের বিনিময়ে নষ্ট হচ্ছে হাজার মানুষের জীবন এবং জীবিকা।অতএব উপরক্ত হিসাব থেকেই বুঝা যাচ্ছে যে এই প্রকল্প বাংলাদেশের জন্য কোন ভাবেই লাভজনক কিছু না। ধারণা করা হচ্ছে যে এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম হবে স্বাভাবিক বাজারমূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি অর্থাৎ পিডিবিকে লোকসানজনক ভর্তুকি দিতে হবে অথবা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। তাছাড়াও রয়েছে এই প্রকল্পের জন্য গৃহীত ঋণ এবং তার সুদের হারের লোকসান।এনটিপিসি যদি এই প্রকল্প ভারতের অংশের সুন্দরবনের আশপাশে করতে চাইতো তবে অনুমতি পেতো না।

ভারতীয় আইন মতে সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং জনবসতির ১৫থেকে ২৫ কিলোমিটারের ভিতরে এই ধরনের প্রকল্পের অনুমোদন নেই। তবে এনটিপিসি কেন বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে এসে ৯ থেকে ১৩ কিলোমিটার মধ্যে বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে আগ্রহী।উল্লেখ্য আছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে এই এনটিপিসি আরেকটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনুমোদন পায়নি। অর্থাৎ আমরা বাংলাদেশিরা নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছি। তাজমহলের সৌন্দর্যহানি যেন না হয় পরিবেশ দূষণের কারণে যেজন্য ভারতীয় সরকার এর আশপাশের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও ধরনের বিশাল কারখানা যা পরিবেশ দূষণ করতে পারে এবং বিমানবন্দর স্থাপন কিংবা বিশাল প্রকল্প স্থাপন নিষিদ্ধ করেছে।অথচ আমাদের দেশে সুন্দরবন সংরক্ষণে এমন আইন তো নেই বরং আমরা উঠেপড়ে লেগেছি সুন্দরবনের কাছাকাছি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে । কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যান্য ধরনের যেকোনও ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে পরিবেশে। তাছাড়া রয়েছে বিষাক্ত সালফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, ক্যাডমিয়াম, লেড, ছাই ইত্যাদি গ্যাস এবং ভারী ধাতুর পরিবেশে নির্গমন, ফলে এসিড বৃষ্টি অবধারিত, আর তার ফলে অনায়সে ধসে পড়বে সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছগাছালি এবং প্রাণীদের জীবনচক্র, যেহেতু তাদের খাদ্য ও বায়ু বিষাক্ত হয়ে পড়বে। মানুষের জন্যও এই প্রভাব একই ভাবে কাজ করবে।সর্বোপরি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশ, বিশেষ করে সুন্দরবন ও সংলগ্ন মানুষ, জনপদ ও বনাঞ্চলের জন্য ক্ষতিকর এবং ভৌগলিকভাবে বেমানান ও অর্থনৈতিকভাবে অলাভজনক একটি বিদুৎ প্রকল্প।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

" মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে ভারতীয় এনটিপিসি ৫০ শতাংশ মালিকানা পাবে এবং পিডিবিকে এনটিপিসি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। অর্থাৎ আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমাদের পরিবেশ এবং জনপদ নষ্ট করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্যের কাছ থেকে আমাদেরই আবার কিনতে হবে । "

-এগুলো কি সঠিক, নাকি অপপ্রচার? বাংগালীদের অংক ও ব্যবসার এই অবস্হা কেন?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩১

হাকিম৩ বলেছেন: রামপালের মানবিক বিপর্যয়
ইউটব লিঙ্ক
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, লাভ-ক্ষতির হিসাব


এরকম শত শত লেখা আছে যা পড়লে আপনার মাথার ভুত ছাড়বে ।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৬:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



এসিড বৃস্টি হলে, পানিতে কোন জাতীয়, কি পরিমাণ এসিড থাকবে? উহার ঘনত্ব কেমন হবে? কি কি কাজে লাগবে?

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:১০

হাকিম৩ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই আপনার পেটে কি কখনো গ্যাস্টিক আলসার বা এসিডি হয়েছিল আর হয়ে থাকলে সেটা কত প্রকার কাজে লেগেছিল ? এটাও তার দুই গুন বেশি কাজেই লাগবে মানুষের তক ও পরিবেশের জন্য ।
বিশেষ করে আপনার জন্য কাজে লাগবে । এত লেকচার দেন দেশ সম্পর্কে চারদিকে অনেক তথ্যয়ই আছে এই কয়লা ভিত্তিক বিদুৎ কেন্দ্র সম্পর্কে সেগুলো একটূ ঘুরে পড়ে দেখুন তাহলেই উত্তর পাবেন । ধন্যবাদ মহান আল্লাহ আপনার জ্ঞাণ বুদ্ধি দেক এবং মঙ্গল করুক ।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:২৪

আহসানের ব্লগ বলেছেন: " মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে ভারতীয় এনটিপিসি ৫০ শতাংশ মালিকানা পাবে এবং পিডিবিকে এনটিপিসি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। অর্থাৎ আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমাদের পরিবেশ এবং জনপদ নষ্ট করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্যের কাছ থেকে আমাদেরই আবার কিনতে হবে । "

৭০% ঋণ । ভারত বাংলাদেশ সেই ৭০% অর্ধেক অর্ধেক শোধ করবে । এবং ৩০% নগদ টা কা বিনিয়োগ যার ১৫% ভারত আর বাকি ১৫% বাংলাদেশ পে করবে । তার মানে ইকুইটি ৫০ঃ৫০ । বুঝেছেন প্রিয় ব্লগার ?

বিভ্রান্তি ছড়াবেন না ।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৭:৩৮

হাকিম৩ বলেছেন: প্রিয় আহসান ভাই অনলাইন পত্রিকাগুলোর বেশির ভাগ তথ্যে এমনটাই বলছে । কেন বিভ্রান্তি ছড়াবো এ দেশ আপনার আমার আর এর ভালো মন্দ বিষয়ও বলার অধিকার আমাদের আছে নিশ্চয়ই । ভাই একবার একটু পড়ে দেখুনVision Led ad on bangla Tribune রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প: লাভ-ক্ষতির হিসাব

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:০৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: রামপাল বিদুৎকেন্দ্র স্থাপনা নিয়ে ব্লগে বেশ কিছু পোস্ট এসেছে তবে আপনারটা অন্যরকম হয়েছে ।
ভালো লাগল অনেক কিছুই বুঝতে ও জানতে পারলাম ভাই ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৩

হাকিম৩ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগ সার্চম্যান ভাই ।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: আমরা বাংলাদেশিরা নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারছি না। কুড়ালটা জাতির পায়ে মারছে একটা নির্দিষ্ট শ্রেনী। তবে জাতী হিসেবে আমরা যে অথর্ব এটা প্রমানিত।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৭

হাকিম৩ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় অগ্নি সারথি ভাই । কথায় আছে না ভাই আজ বুঝবি না বুঝবি কাইল,পাঃ থাবরাইবি আর পারবি গাইল ।
মোটামুটি হেই দশা আমাদের হতে বেশিদিন বাকি নেই ।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:১০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।

আমাদের সুমতি হোক এসিড বৃষ্টি আসার আগেই।

ভাল থাকুন। সবসময়।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:০৮

হাকিম৩ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শামছুল ইসলাম ভাই ।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: আমি কোনদিন অ্যাসিড বৃষ্টি দেখিনী যাক এবার তাহলে সেটা দেখা সম্ভব হবে ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১০

হাকিম৩ বলেছেন: অপেক্ষায় থাকুন যখন পড়বে তখন বুঝবেন ।

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
কোন লজিক দেখি না।
চেয়ারে সব খাটাশ রাজা।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:১০

হাকিম৩ বলেছেন: :P :P

৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আপনি ভুল তথ্য সরাচ্ছেন না । আশরাফ মাহমুদ এর লেখা বিশ্বাস করছেন অথচ সরকারি নথি অস্বীকার করছেন । আমার তো মনে হয় আপনি চান রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র হউক , কেননা এ ধরণের বিভ্রান্তি আর ভুল খবরে সরকার কে টলানো যাবেনা ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:২১

হাকিম৩ বলেছেন: দেখা যাক,আগামীতে কি ঘটে, ১৫%+১৫%= ৩০% এর পর ৭০% দিবে ব্যাংক এইত নাকি ?
যে জায়গাটায় কেন্দ্র স্থাপন করবে সেটা ভারতের জায়গা,পরিবেশ দূষণের কারনে যে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হবে তারা কি ভারতের নাগরিক ?
সব মিলিয়ে হিসাব করে দেখুন আশা করি হিসাব পেয়ে যাবেন ।
ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার আহসান ভাই ।

১০| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

আলিয়া হাসান বলেছেন: তাত্তিক জ্ঞানের যুক্তি বেশী দিন ঠিকে থাকে না।
বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪১% কয়লা থেকে, ৫% তেল, ২১% গ্যাস, ২০% নিউক্লিয়ার, ১৬% renewable source, ৩% অন্যান্য থেকে আসে।
আমেরিকা, জার্মানি, ভারত, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, কানাডা এরা
গত ৬০-৭০ বছর ধরে কয়লা দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করছে। এখন এরা এর বাইরে কাজ
করছে।
লেখকদের দরকার সঠিক তথ্য প্রদান করা।প্রতিদিন মংলা বন্দরে শত শত জাহাজ আসে এবং জাহাজ গুলো সুন্দরবন পার হয়ে মংলা বন্দরে যায়। আপনি গুগল ম্যাপ ব্যবহার করতে শিখেন। মংলা বন্দর থেকে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের দুরত্ব ৩ কিলোমিটার।ছোট ছোট নৌকা অথবা লঞ্চ নয়, প্রতিদিন ১ অথবা ২ টা জাহাজ কয়লা বহন করে আনবে। এতে “চলাচলে সৃষ্ট ঢেউয়ে প্লাবিত হবে আশপাশের জমি এবং ক্ষয় হবে সুন্দরবনের ভূমি যা সুন্দরবনের গাছগাছালির জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিষয়”- এই বিষয়টা বুঝে উঠতে পারলাম না। আপনি কখনো নৌকা, লঞ্চ অথবা লাইটার জাহাজ দেখেছেন কিনা আর এদের গতিবেগ দেখেছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৪১

হাকিম৩ বলেছেন: এটাই স্বাভাবিক যে সাগর আর নদীর পানি শত চেষ্টা করেও সেচ দিয়ে শুকানো বা পানি কমমানো সম্ভব না । তেমনি যত বুদ্ধি চালাক চতুর লোকই হোক না কেন,ঠ্যাঠার ঠ্যাঠামির সাথে পারবে না । আমি ভাই বেশি যতে পারি নাই তবে দুবার সুন্দর বন দেখার উদ্ধেশে মংলায় গেছিলাম । শেষ বার ২০১৩ সালে গেছিলাম।শত শত জাহাজতো দেখি নাই এমনকি মনে হয় শতশত টর্লারও দেখি নাই । আপনি যে ভাবে বলছেন মঙ্গলায় শত শত জাহাজ সে হিসেবে পাঁচশ জাহাজ এবং পাঁচশ টর্লার এক জায়গায় রেখে হিসাব করে দেখুন এই এক হাজার জাহাজ টর্লারের কতটুক জায়গা লাগে ।

“চলাচলে সৃষ্ট ঢেউয়ে প্লাবিত হবে আশপাশের জমি এবং ক্ষয় হবে সুন্দরবনের ভূমি যা সুন্দরবনের গাছগাছালির জন্য অতি প্রয়োজনীয় বিষয়”বিবেচনা করা প্রয়োজন ।

ধন্যবাদ ।

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

লেখা পাগলা বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট শেয়ারে ধন্যবাদ ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ২:৪৫

হাকিম৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

১২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮

চকিত চয়ন বলেছেন: শিরনাম দিয়েছেন “রামপাল বিদুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে দেশে এসিড বৃষ্টি নামবে” এসিড বৃষ্টি নিয়ে কিছু তো ভাল মত লিখলেন না রে ভাই !!!! জাতি জানতে চায় ।

১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:




@আহসানের ব্লগ,

রামপালের বিনিয়োগের অংক আপনারটা ঠিক আছে; হাজার হাজার ম্যাও প্যাও এটুকু ঠিক মতো বুঝতে পারেনি।

১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:০৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এসব হলে তো চীন আর আমেরিকা আগে এসিডে পুড়ে যেত! কই কিছুই তো হচ্ছে না।


বিশ্বের কার্বন নিঃসরনে বাংলাদেশের অবদান অনলি শুন্য দশমিক দুই ভাগ! আর চায়না আমেরিকার ৫০ ভাগ। তো বিষয়টা কি দাঁড়াল! আমরা পরিবেশ রক্ষার ঝান্ডুবাম বেচে আর কত খাব? বলি আয়েশের বিদ্যুৎ টা কে দেবে গো?

এসি রুমে বসে, সিগারেট বিয়ার খেয়ে, খাসির রেজালা আর চিকেন তান্দুরি খেয়ে আয়েশ করে বলে দিলাম সুন্দরবন শেষ, আর হয়ে গেল? আহারে! জনগনও আরেক পিস! নিজের উন্নয়নের তবলা বাজিয়ে ঠিকি চায়ের দোকানে ঘাম ফেলে আর দেশের উন্নয়নে ডাক এলে বলে- সব দাদাদের ষড়যন্ত্র!

বলি অহে গোবড়ে গনেশ, কয় ক্লাস পড়েছ গো?



১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১:১৫

বিলুনী বলেছেন: মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে ভারতীয় এনটিপিসি ৫০ শতাংশ মালিকানা পাবে এবং পিডিবিকে এনটিপিসি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। অর্থাৎ আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমাদের পরিবেশ এবং জনপদ নষ্ট করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্যের কাছ থেকে আমাদেরই আবার কিনতে হবে । ধারণা করা হচ্ছে যে এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের দাম হবে স্বাভাবিক বাজারমূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি অর্থাৎ পিডিবিকে লোকসানজনক ভর্তুকি দিতে হবে অথবা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। তাছাড়াও রয়েছে এই প্রকল্পের জন্য গৃহীত ঋণ এবং তার সুদের হারের লোকসান।
প্রোপাগান্ডার মাত্রাটা একটু বেশী হয়ে গেছে বলে মোটা দাগে দেখা যায় ।
সকলেই জানে ব্যাংক ঋন কোন প্রকল্পের মোট প্রকল্প ব্যয় অর্থায়নের দুটু অংশ : একটি ইকুইটি অপরটি ঋন
এই প্রকল্পের ইকুইটি শতকরা ৩০ ভাগ আর ঋন শতকরা ৭০ ভাগ।
বিদ্যুত কেন্দ্রটির মালিকানা যৌথভাবে ভারতীয় ও বাংলাদেশী কোম্পানীর হাতে , শুধু ঋন দিচ্ছে ভারতীয় ব্যাংক , এটা যে কোন ব্যাংক হতে পারত ।
এই প্রকল্পের ইকুইটি এবং ঋন সমান সমান অনুপাতে অর্থাত ইকুইটি ভারত ১৫ ভাগ বংলাদেশ ১৫ ভাগ
ঋনের দায় ভারতীয় কোম্পানী ৩৫ভাগ বাংলাদেশ ৩৫ ভাগ । প্রকল্পটি বাংলাদেশের ভিতরে বলে বাংলাদেশ সরকার শুধু গ্যারান্টর ।
ঋন পরিশোধ সংক্রান্ত দায়দেনা সমানভাবে সকলেই বহন করবে বিধায় লাভ লোকসানটাও সমানভাবে বহন করবে । সকলের কাছে ঐকিক নিয়মের এই জানা তথ্যের মধ্যে যখন এত বিব্রান্তিকর তথ্য আছে তখন ধরেই নেয়া যায় এ পোস্টের সকল তথ্যই বিভ্রান্তিকর । তাই এ পোস্টের তথ্যের প্রতি বিজ্ঞ মডুদের দৃস্টি আকর্ষন করছি । পোস্টটা যেহেতু নির্বাচিত পোস্ট এ আছে তাই এটার বিষয়ে একটু বিশ্লেষনী মুল্র্যায়ন তো অাশা করতেই পারি ।

তবে লাভ লোকসান সেটা যাই হোক একটা কথা ঠিক, প্রকল্পটিকে অারো লাভজনক করতে হলে সুন্দর বন থেকে দুরে গলাচিপার দক্ষীনে করলেই ভাল যেমনটি এ ব্লগের স্টিকি পাস্টে দেখা যায় ।

১৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

আহসানের ব্লগ বলেছেন: প্রিয় ব্লগার বিলুনি আর চাঁদগাজী , এ ধরণের মিথ্যা অসত্য তথ্য দিয়ে প্রথমে ওনাদের মাথা ওয়াশ করা হয়েছে । পরে যখন প্রত্যেক্টা মিথ্যা প্রপাগান্ডা শুধরে দিচ্ছি তারপরেও ওনারা বুঝবেন না । এখন পর্যন্ত লাইন গুলো ইডিট করে কেটে দেয়া উচিৎ ছিল । যা করা হয়নি । এ থেকে বোঝাই যায় ব্লগার ভাই নিজেই চায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হউক । কেননা যে কোনো আন্দোলন মিথ্যা দ্বারা সফল হয়না ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৩০

হাকিম৩ বলেছেন: ধরেন এই দুই লাইন নিয়া আপনাগো ফ্রান্ডে জমা রাখেন বভিষৎ কাজে লাগবে মাত্র ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে ভারতীয় এনটিপিসি ৫০ শতাংশ মালিকানা পাবে এবং পিডিবিকে এনটিপিসি থেকে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। অর্থাৎ আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমাদের পরিবেশ এবং জনপদ নষ্ট করে উৎপাদিত বিদ্যুৎ অন্যের কাছ থেকে আমাদেরই আবার কিনতে হবে ।
ধরেন দুই দেশেই সমান সমান অর্থ ব্যায় করলো তার পর কেন্দ্র করল এ দেশে ক্ষতি হল সুন্দর বন পরিবেশ নষ্ট বাংলাদেশের
শুধু টাকার হিসাবই ককরলেন আহসান ভাই,দেশটির কথা দেশের পরিবেশ রক্ষার কথা ভাবলেন না ।
পারবেন আপনেরাই আর সরকারেরও ধরকার আপনাদের মত লোক ।

১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: আর ভাইয়া কেন্দ্র তা ভারতে করা হলে আপনারাই বলতেন আমরা ভারতের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছি । ভারত চাইলেই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে । ঠিক যেমন টা ভারত থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগা বিদ্যুৎ আমদানির ব্যাপারে বলে হয়েছে বছর খানেক আগে । আবার এটাও বলতেন আমাদের টাকায় ভারতে কেন !!! অতএব ভাই কথা শোনান লাভ নেই । যতখন মিথ্যের সাথে আছেন ততখন কোনো লাভ নেই ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

হাকিম৩ বলেছেন: ওকে দেখা যাবে কারা সত্য বাদী আর কারা মিথ্যা বাদী ।

১৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

আলিয়া হাসান বলেছেন: না বুঝে তর্ক কেউ লেখক থেকে শিখুক। মংলাই যে ২ বার ঘুরতে গিয়েছিলেন মনে হয় চোখ খুলতে ভুলে গিয়েছিলেন। প্রতিদিন ৮০ টা লাইটার জাহাজ সুন্দরবন হয়ে মংলা বন্দরে যায়। আপনি এবার চোখ খুলে মংলা ঘুরে আসেন সাথে ৮০ টা লাইটার জাহাজের গতিবেগ, নদীর স্রোতের বেগ, নদীর প্রস্থ, জাহাজের অবস্থানের জায়গা ও দেখে নিতে পারেন।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

হাকিম৩ বলেছেন: কারা বুঝে না বুঝে তর্ক করছে এটা বুঝাই যাচ্ছে, এত বুঝেন তাহলে দেন দেখি একটা পোস্ট আর অবশ্যয় পোস্টে উল্লেখিত প্রমাণ থাকতে হবে যে সুন্দর বনে বিদুৎ কেন্দ্র হলে বনের ক্ষতি হবে না ।

১৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩

আহসানের ব্লগ বলেছেন: প্রতি দিন তেল , হাবি , জাবি রাসায়নিক পদার্থ মংলা হয়ে দেশে ঢুকছে । তা সমস্যা নয় কেন ? শুধু কয়লাই কেন সমস্যা ?

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৫:৪৯

হাকিম৩ বলেছেন: এইত আস্তে আস্তে লাইনে আসতেছেন ভাই ।ধন্যবাদ ।
আপনার এ প্রশ্নের উত্তর আগামী পোস্টে দিমু ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.