নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাকিম৩

হাকিম৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফখরুদ্দীন যা পারেননি

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:২৬


ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ একজন বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ, সাবেক আমলা এবং বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর। অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০৯ সালের জানুয়ারীতে সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা সৃষ্ট বিশৃঙ্খল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের ১২ই জানুয়ারি তত্ִকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ দেশে জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেন। একই সাথে সেনা সমর্থিত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় যার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ফখরুদ্দীন আহমেদকে নিয়োগ করা হয়। ফখরুদ্দিন আহমেদ ক্ষমতা গ্রহনের মধ্য দিয়ে ইতোপূর্বে রাষ্ট্রপতিকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হয়। তিনি ২ বছর কেয়ার টেকার ছিলেন, ফখরুদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব গ্রহনের পর তত্ִকালীন জাতীয় জীবনে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখার জন্য বেশ প্রশংসিত হন। সে সময় বিশ্বের সর্বাধিক দূর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশে ফখরুদ্দীন আহমেদ দূর্নীতিবিরোধী নানান কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সে সময় দেশের প্রায় ১৬০ জন রাজ্নীতিক, সরকারী কর্মকর্তা, নিরাপত্তা কর্মকর্তার নামে অর্থ আত্মসাত্ִ ও অন্যান্য দূর্নীতির অভিযোগ এনে মামলা করা হয়।এসময় দেশের ভূতপূর্ব দুই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে আওয়ামী লীগ দুই তৃতীয়াংশ আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করলে ফখরুদ্দিন আহমেদ গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্ত হয়। এরপর থেকে আহমেদ জনসম্মুখের আড়ালে রয়েছেন।

তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কত দূরনীতি যুক্ত থাকা লোকদের বিচার করলেন কিন্তু জামায়েত শিবিরদের ও বাংলাদেশেের কোন মানবতাবিরোধী যুদ্ধঅপারাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে পারেননি ।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:৪৪

রাফা বলেছেন: উনি কোন দুর্নিতিবাজের বিচারও করেন নাই।উল্টো সামরিক বাহিনিকে দূর্ণিতিতে নিমজ্জিত করার ক্ষেত্রে ভুমিকা রেখেছেন।
ষ্টান্টবাজি আর প্রকৃতপক্ষে বিচার করা সম্পুর্ণ আলাদা।

যদি সত্যকার অর্থে প্রকৃত দূর্ণিতিবাজদের একটা বিচারও করতেন দৃষ্টান্ত হিসেবে তাহোলে বাংলাদেশ থেকে ৫০% দূর্ণিতি তখনি বিদায় করতে পারতেন।আর তাদেরও এত হণ্যে হয়ে এক্সিট খুজতে হইতোনা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৬

হাকিম৩ বলেছেন: সুুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: শাহাবুদ্দিন, হাবিবুর রহমান এবং লতিফুর রহমানরা তিন মাসে নির্বাচন করে হয়েছিলেন প্রশংসিত। আর উনারা দুই বছর ক্ষমতার গদি আগলে রেখে এমন এক নির্বাচন করে যান যে সেই নির্বাচনকে বিজয়ী দলের সাধারন সম্পাদক আবদুল জলিল পর্যন্ত বলেছিলেন "ডিজিএফআই দ্বারা পরিচালিত নির্বাচন।" আর হিলারী ক্লিনটন ফোনালাপে দেখা যায়, দিল্লীতে নাকি ঠিক হয়েছিল সব কিছু।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিচালিত আর কোন নির্বাচন নিয়ে এরকম বিতর্ক নেই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৮

হাকিম৩ বলেছেন: সুুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৩৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: কি বলবো সেই ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০২

হাকিম৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান ভাই।

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৫

এই আমি রবীন বলেছেন: উনার অনেক সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০৫

হাকিম৩ বলেছেন: উনার কোন কোন সিদ্ধান্ত আপনার কাছে ঠিক মনে হলো একটুু বলবেন কি ।

৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উনি পাগল হয়ে গিয়েছিলেন ক্ষমতা পেয়ে। উনি ১৬০০ জনের বিচার না করে শুধু ১০ জনরে(সত্যিকারের দুর্নীতিবাজ) ভালো করে সাইজ করতেন আজকে বাংলাদেশের অবস্থা অন্য রকম হত। আজকে উনার কারণে চিহ্ণিত দুর্নীতিবাজরাও সৎ সার্টিফিকেট নিয়ে দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে...

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:০১

হাকিম৩ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.