নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঢাকার বাসিন্দা- মানুষকে ভালবাসি আর ভালবাসি প্রকৃতিকে

ঢাকাবাসী

প্রকৃতিকে ভালবাসি।

ঢাকাবাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরতে গেছিলুম ইউরোপ- ৪

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩




সুইজারল্যান্ডে একটা অপুর্ব সুন্দর জায়গার নাম ইন্টারলাকেন। ওটাকে পৃথিবীর সবচাইতে সুন্দর প্রাকৃতিক স্হান বলা যেতে পারে। টিকিট কিনলুম আমার আবাসস্হল লুজানে বসে, একদিনের টিকিট । ঐ একদিনের টিকিটে লুজান থেকে ট্রেনে ইন্টারলাকেন যাওয়া সেখানে জাহাজে ঘোরা আবার ট্রেনে ফেরৎ আসা। মানে ঐদিন রাত বারোটা অবধি যেকোন যানবাহনে ফ্রী ঘুরতে পারবেন

টিকিটটাকে বলা হয় কার্তে জুখনি। এবারে একাই যাবো, বাসার সবাই বহুবার ওখানে গেছে তাছাড়া ওদের অফিস আছে কাজ কর্ম আছে তাই।
সকাল ৫ টায় রওয়ানা হলুম লুজান স্টেশনের দিকে, কাঁধে ছোট একটা ব্যাগে কিছু খাবার আর একটা তোয়ালে। মনে রাখবেন সুইজারল্যান্ডে সবজায়গাতে আপনার পছন্দসই খাবার পাবেন এমন চান্স কম। ট্রেন বা জাহাজে খাসীর বিরিয়ানী বা ইলিশ মাছের দোপেঁয়াজা পাওয়া যায় না। বড়জোর তিনশো টাকা দামের এক কাপ কফি!



বাইরের খাবার আমার কিন্চিৎ অপছন্দ কারণ আমি ঝাল খাই, প্রচুর ঝাল খাই, আর সুইশরা গরুর মাংশেও চকলেট দিতে চায়!
জেনেভাতে জাতিসংঘের অফিস
১৩০০০ ফুট উঁচুতে টপ অফ ইউরোপ

সকালে ব্যাগ হাতে লুজান রেলস্টেশনে পৌছলুম সকাল সাড়ে পাঁচটা। ট্রেন ছাড়বে ৬ টা ১২ মিনিটে।
প্রথমে ভাবলুম ৬-১২ মিনিট কোন টাইম হলো? ব্যাটা সাড়ে ছটা লিখবে আর যাবে সাত আটটার দিকে। ও খোদা ট্রেনটা আসল ৬ টা ৮ মিনিটে আর ছাড়ল কাঁটায় কাঁটায় ৬-১২ মিনিটে!! মাথা খারাপ নাকি! কুত্তার পেটে ঘী সয় না! আমারও তাই অত্তো সুন্দর টাইমিং মানে সময়ানুবর্তিতা বেখাপ্পা অস্বস্তিকর লাগছিল!



ঘড়ির সময় মিলাতে হলে নাকি ইউরোপের ট্রেন দেখে মিলানো যায়! আমাদের রেলমন্ত্রীরা সারা বছর বিদেশ ভ্রমন করেন অথচ ট্রেনের সেবার উন্নতি কিভাবে করতে হয় তা নিয়ে কখনোই ভাবেন বলে মনে হয় না!

প্রথমে পৌছলুম মনথ্রো। সেখান থেকে গাড়ি বদল করে গোল্ডেন পাশ নামের একটা চমৎকার ট্রেনে চেপে ইন্টারলাকেন পর্যন্ত পাহাড়ী পথে যাওয়া। ট্রেনটার উপরে আর দু পাশ খোলা, আপনি ইচ্ছামত চারিদিক দেখতে পারেন, উপভোগ করতে পারেন অপুর্ব প্রকৃতিকে। কযেক ঘন্টার যাত্রা সে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা, জীবনে ভোলার নয়!

আমাকে টিকিট কিনতে হয় নি সারাদিনের জার্ণী ফ্রি। টিকিটটার নাম 'কার্তে জুখনী'।
ইন্টার লাকেনে ট্রেন থেকে নেমে জাহাজে ঘন্টা দেড়েক বেড়ানো। এমনিতে জাহাজের ভাড়া পন্চাশ ফ্রাঁংক, আমার ঐ কার্তে জুখনী' কাটা ছিল তাই টিকিট কাটার ঝামেলাতে যেতে হয় নি।

জাহাজটা ভর্তি পর্যটক, অধিকাংশই জাপানী আর চীনা, বাইরেরও ছিল তবে বঙ্গসন্তান একমাত্র এই আমি। প্রত্যেকের হাতি দামী ক্যামেরা।
সবার পোষাক আষাক চাল চলণ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল প্রত্যেকে অসম্ভব বড়লোক, ভয়ংকর ধনী।





জাহাজে ঘোরাটা এক সুন্দর অভিজ্ঞতা। টলটলে নীল পানি কেটে আগাচ্ছিল আমাদের মাঝারি আকারের জাহাজ, দুপাশে ঘাসে মোড়া বনভুমি মাঝে মাঝে বাড়িঘর। দেখে মনে হবে স্বর্গ তো এখানেই আরে এখানেই।

পৃথিবীর অন্যতম সেরা সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখে সবাই অভিভুত, আবেগাপ্লুত। প্রকৃতি সুইজারল্যান্ডকে উজার করে দিয়েছে আর সুইশরা সেটাকে আরো সুন্দর করে বাঁচিয়ে রেখেছে--- রাখছে। ঐ টলটলে স্বচ্ছ পানিতে কোনকিছু মানে চিপসের প‌্যাকেট পানির বোতল বা সিগারেটের প‌্যাকেট ফেলার সাহসই কারো হবেনা। যদি কিছু ভুলেও পানিতে পড়ে যায় ব্যাস কপালে খারাবি আছে। কয়েকশ ফ্রাংক জরিমানা সহ অনেক ঝামেলা! মাস্তানী করবেন, পরে দিবেন? উঁহু পারবেননা, ভুলে যান।

জাহাজে বসেই এক ফাকে ভাগ্নেবৌ সিনথীয়ার দেয়া চমৎকার খাবারটির সদ্ব্যাবহার করলুম। না আমি একা না আরো অনেকেই সঙ্গে আনা খাবার খেয়ে নিচ্ছিল। বিব্রত হবার কিছু নেই। জাহাজে কোন প্রকার খাবার নেই, শুধু কফি, পাঁচ ফ্রাংক! লান্চ করে এক কাপ কফি খেলুম। বেশ ভাল বোধ করলুম।

মনে মনে আমাদের ঢাকার বুড়িগঙ্গার কথা ভাবছিলুম। কি ভয়াবহ অবস্হা এখন! অথচ এই তো সেদিনও পন্চাশের দশকে সদরঘাট ওয়াইজঘাট সোয়ারিঘাটের পন্টুন থেকে পানিতে লাফ দিয়ে সাঁতরেছি, ইন্টারলাকেনের মতই টলটলে স্বচ্ছ পরিষ্কার ছিল সেই পানি।
খুন করে ফেলেছি সেই প্রিয় বুড়িগঙ্গাকে!


ঘন্টা কয়েক বেড়ানোর পর জাহাজটা আমাদের ঐ ইন্টারলাকেন স্টেশনে নামিয়ে দিল। কি অদ্ভুত টাইমিং, আমরা জাহাজ থেকে নেমে হেঁটে ট্রেনে বসলুম তার পাঁচ মিনিটেই ট্রেন ছাড়লো। না ওটাই ট্রেনটার সময়, জাহাজার সাথে বা আমাদের আসার সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। অবশ্য আধ ঘন্টা পর পর ট্রেন আছে, আপনি যেকোনটাতে যেতে পারবেন, রাত বারোটার আগে ট্রেনে উঠতে হবে। বারোটা হয়ে গেলে ঐ কার্তে জুখনী টিকিট বাতিল হয়ে যাবে।

তবে পুরো সুইজারল্যান্ডে ট্রেন বাসের একটা জিনিস আছে। বাস প্রতি কুড়ি মিনিট পর পর আসবে আর ট্রেন প্রতি এক বা দুঘন্টা পর পর আসবে যাবে। লোকাল ট্রেন মানে সুইজারল্যান্ডের ভিতরে যাতায়াতের ট্রেন মিস করার কোন ব্যাপার নেই। মানে সুইজারল্যান্ডে ভিতরে আপনি শ্টেশনে এলেই হলো, যেতে পারবেন আপনি, আগে আর পরে।
সিট? আরে ট্রেনগুলোর প্রায় তিনভাগের একভাগ সিট খালি থাকে। অবশ্য আন্তর্জাতিক ট্রেনগুলোর সময়সুচী আর সিস্টেম আলাদা। সেটা পরে বলব।

সন্ধ্যে নাগাদ বাসায় ফিরলুম, মনে একরাশ আনন্দ, ঐ সুন্দরতম প্রকৃতিকে কি কখনো ভোলা যায়!
তবে এও জানি আড়াইকোটি লোকের শহর ঢাকা শহরের হৈ চৈ শোরগোল ট্রাকের ভয়াবহ ভেপুর শব্দ বাসের বেপরোয়া চালকের গজগজ বা হেলপারের চিৎকার 'বায়ে চাইপা' শব্দ সাথে জঘন্য ধুলোবালির মাঝে এই অল্প সময়ের নির্মল আনন্দ কোথায় হারিয়ে যাবে!
হয়ত ঠিক.. হয়ত না।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

চ্যাং বলেছেন: পেলাচ দিলুম। চালুই যান। পাইন হইচে।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়া আর প্লাসের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ইন্টারলাকেন অনেক ভালোলাগার জায়গা। সুইশরা সুন্দর করে বাঁচিয়ে রেখেছে বলেই প্রকৃতিও তাদের অনেক দিয়েও যাচ্ছে। এই আড়াইকোটি লোকেরে সুইজারল্যান্দ নিয়ে রাখেন, দেখের অবস্থা কী দাঁড়ায় !!

ঘুরাঘুরি বরাবরের মতো উপভোগ করছি।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০১

ঢাকাবাসী বলেছেন: জনসংখ্যাটা যে কত ভয়ংকর সমস্যা তা ইউরোপ গেলে আর সেখানকার সৌন্দর্য দেখলেই বোঝা যেত। আপনি উপভোগ করাতে আমার ভাল লাগল। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর +

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০২

ঢাকাবাসী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

নীল-দর্পণ বলেছেন: ৭নং ছবিটা কি ট্রেনের ভেতরের? কী ভয়ানক সুন্দর :#)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: হ্যাঁ ভাই ওটা ট্রেনের ভিতরের ছবি। ট্রেনটা যখন পাহাড়ের আকা বাঁকা রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে উঠে তখন দুপাশ আর উপর দিয়ে দেখা দৃশ্য ভারি সুন্দর লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: চমৎকার...নরকে বসে স্বর্গ দেখায় আনন্দের চাইতে হিংসা হয় বেশী ;)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রায় ঠিকই বলেছেন, ঢাকা এখন নরকের মতই! দুনিয়াতে নিকৃস্টতম জঘন্যতম বাসযোগ্য শহর ঢাকা। ধন্যবাদ।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪

ভিটামিন সি বলেছেন: ওদের দেশ ভালা না; ভাংগা চোরা হইলেও আংগো বাংলাই ভালা (নিজের দই কেউ চুক্কা কয় না)। ওরা অনেক সহজেই আংগো দেশে আইবার পারে, কিন্তু আমরা চাইলেই ওদের দেশে সহজে যাইবার পারি না, এই জন্য হেগোর দেশ খারাপ।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: হা হা হা ঠিক বলেছেন ভাই, নিজের দেশই ভাল। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনার সহজ সরল মন্তব্যের জন্য।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: ভাল লাগল ইউরোপ ঘুইরা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার ভাল রেগেছে জেনে আমারও খুব ভাল লাগল্ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। ভাল থাকবেন।

৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন:



একটি চমৎকার ভ্রমন কাহিনী। ধন্যবাদ।





ভালো থাকবেন নিরন্তর।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: পাঠ মন্তব্য আর শুভকামনার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক ভাল থাকুন।

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দারুণ লাগল, কিন্তু ছবিগুলো এত ছোট হয়ে আসছে কেন? আর প্রকৃতির আরো ছবি চাই ! :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: ছবিগুলো কেন যে ছোট হচ্ছে জানিনা। আইফোনে তোলা ছবি, হয়ত পিক্সেল টিক্সেল কম বা ঐরকম কিছু হবে। দেখি বড় করার চেস্টা করব। হ্যাঁ অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বর্ননার সাথে অসাধারণ ছবিগুলো মুগ্ধ করলো। ভাল থাকুন ঢাকাবাসী।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল্ । পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ বর্ণনা ----- চমৎকার ছবি ------

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: আরে কি যে বলেন! যাক আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে মনে হয় আমার পরিশ্রম সার্থক হলো। ধন্যবাদ আপনাকে।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: ছবি এবং ছবি সংশ্লিষ্ট বর্ননা দু'টাই অনেক চমৎকার! অনেক ভাল লাগলো!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে, অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সোহানী বলেছেন: আবার মনে করিয়ে দিলেন পুরোনো স্মৃতি.... আহ্....... কি অসাধারন সে সব দৃশ্য.......++++++++

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনিও গেছিলেন। আসলেই খুব সুন্দর। পড়া আর প্লাসের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাকাবাসী ,




সুন্দর ছবিতে আর সাবলীল লেখায় ভালো লাগা ।

একটি অনুভবের প্রশ্ন রেখেছেন - সুন্দরতম প্রকৃতিকে কি কখনো ভোলা যায়!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার সব ছবি আর বর্ণনাও দারুণ , যেন আপনার সাথে আমিও ছিলাম :D

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব ভাল লাগল মন্তব্যটি পড়ে। আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪১

থিওরি বলেছেন: আপনার সুখপাঠ্য লেখনি আর ছবি দেখে মনে হচ্ছে যেন আমিও ভ্রমণ করছি!

আর হ্যা কার্তে জুখনী টিকেটের দামটাতো জানালেন না!

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫০

ঢাকাবাসী বলেছেন: মন্তব্য পড়ে দারুণ খুশী হলুম ভাই। কার্তে জুখনী একদিনের জন্য ১০০ ফ্রাংক, প্রায় দশ হাজার টাকা। ওটা দিয়ে আপনি পুরো সুইজারল্যান্ডে বাস ট্রাম ট্রেনে চড়ে যেকোন দিকে একদিন ভ্রমন করতে পারেবেন। রাত বারোটায় ওটার মেয়াদ শেষ। ধন্যবাদ।

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

মানবী বলেছেন: চমৎকার আপনার ভ্রমন অ্ভিজ্ঞতা আর তার বর্ণনা!
জনস্বার্থে বারংবার "কার্তে জুখনি"র কথা মনে করিয়ে দেয়াটা খুব ভালো লেগেছে :-)
এতে অনেকে উপকৃত হবেন আশা করি।

আপনার ভাগ্নে এবং ভাগ্নেবৌ চমৎকার মানুষ বলেই মনে হলো। প্রকৃতির সৌন্দর্য্য ছাপিয়ে মানুষের মনে সৌন্দর্য্যও লেখাটিতে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে!

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার চমৎকার আর নিখাঁদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মানবী। ভাল থাকবেন।

১৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

সুমন কর বলেছেন: হুম, ঘুরে এলুম আপনার সাথে। চমৎকার বর্ণনা। +।

খুন করে ফেলেছি সেই প্রিয় বুড়িগঙ্গাকে! লেখায় মাঝে মাঝে দেশপ্রেম ফুঁটে উঠেছে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুশি হলুম সাথে থাকার জন্য সুমন কর। দেশপ্রেম অনেক বড় জিনিস ভাই তবে দেশটাকে প্রকৃতিকে ভালবাসি তাই তাঁর উপর আঘাত বড় কস্ট দেয়। হ্যাঁ পৃথিবীতে সবচাইতে নিষ্ঠুর অভদ্র বিবেকহীন অশিক্ষিত মানুষ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এতে কোন সন্দেহ নেই। আবারো ধন্যবাদ।

১৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৫

মহান অতন্দ্র বলেছেন: চমৎকার ভ্রমন পোস্ট।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। সর্বদা ভাল থাকুন।

২০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৬

আনোয়ার ভাই বলেছেন: ভয়ংকর ধনী !

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: আর বলবেন না, এর চাইকে ভাল বিশেষন পেলুমনা। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: শান্ত সুন্দর এই পরিবেশ থেকে ঢাকায় ফিরলে নিশ্চিত অসহ্য লাগার কথা৷ ঢাকা শহরের বিকট শব্দ, পরিবেশ দূষণ একেবারেই অসহনীয় মনে হবে৷

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১০

ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর নিকৃস্টতম বাসের শহরে ফিরতে তো হবেই। ধন্যবাদ ভাই।

২২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

সাধারণ আমি আমার বলেছেন: ঘুরতে গেছিলুম ইউরোপ এর প্রতিটি পর্ব আমার দারুণ লেগেছে ভাইয়া। মনে হচ্ছে আমি নিজেই ইউরোপে ঘুরছি।

ঘুরতে গেছিলুম ইউরোপ-৫ এর অপেক্ষাই আছি।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: তা্ই নাকি! খুব ভাল লাগল আপনপার মন্তব্য পড়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার ছবি এবং বর্ননা। ধন্যবাদ

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে । অনেক ভাল থাকুন।

২৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৭

জসিম বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন. ভালো লাগা রইলো.

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১

ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

থিওরি বলেছেন: আগেই পড়েছি!
ভাললাগা জানিয়ে গেলাম।
আশা করি আপনার ব্লগে আমারও ইউরোপ ঘুরা হয়ে যাবে!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: হা হা হা ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল্ । ধন্যবাদ।

২৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

ওসেল মাহমুদ বলেছেন: বেশ ভালো লেখেন ! ভাল লাগল !

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রসংসা শুনতে ভাল লাগে, আর তার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

২৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: চমৎকার সব ছবি আর বর্ণনাও বেশ উপভোগ্য !!!
অবাক বিস্ময়ে যেন শুনে গেলাম !!!

জাহাজের ছবিটা খুব খুউব সুন্দর !!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: পাঠ আর প্রসংসা দিয়ে মন্তব্য, অনেক ভালো লাগল। আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা আপনাকে।

২৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

লালপরী বলেছেন: চমৎকার সব ছবি আর বর্ণনা ভাইয়া। ঘুরে আসলাম ইউরোপ আপনার সাথে সাথে :)

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব খুশী হলুম। পড়া আর চমৎকার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

২৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

জুন বলেছেন: আপনার চোখে সুইজারল্যান্ড দেখছি আর কার্তে জুখিনি দিয়ে আপনার সাথে সাথে ঘুরছি ঢাকাবাসী। জাহাজের ছবিটা দারুন। পানি তো নয় যেন ছবি। এ প্রসংগে একটু বলি। মাস খানেক আগে সিলেটের রাতারগুল গিয়েছিলাম। সেখানে ওয়াচ টাওয়ারে সিড়ির ধাপে ধাপে চিপ্স আর পানি বিক্রেতা। আমাদের দেশী পর্যটকদের কেউ সেই খালি চিপ্সের প্যাকেট আর বোতল ছুড়ে মারছে পানিতে। কবে আমরা সচেতন হবো!
অনেক সুন্দর পোষ্টে অনেক অনেক ভালোলাগা। পরবর্তী পোষ্টের অপেক্ষায় :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়েছেন জেনে খুশি হলুম, ভাল লাগল। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। দেখুন মাছের পঁচন শুরু হয় মাথা থেকে। এদেশে অনেকদিন থেকেই আইন না মানার একটা প্রবনতা শুরু হয়েছে. এদেশে ৭০% মানুষ অশিক্ষিত। ফলে ঐ সুন্দর পরিষ্কার পানিতে চিপস বা খালি বোতল ফেললে কোন শাস্তি হবেনা কেউ কিছু বলবেনা ওটা ঐ তথাকথিত পর্যটকটি জানেন । এইতো সেদিন ১/১১ সামরিক শাসনের সময় কেউ ট্রাফিক আইন ভাঙ্গেনি, রাস্তায় কলার খোসা পর্যন্ত ফেলেনি। কারণ ওটা করলে বেতের ভয় শাস্তির ভয় ছিল।
ঢাকা ক্যান্টমেন্টের ভিতরে কেউ চিপসের প‌্যাকেট ফেলবে বা গাড়ী অন্য গাড়ীকে অহেতুক ওভারটেক করবে বা ওভারস্পীডে যাবে? কখনো না। কারণ ওখানকার মিলিটারী পুলিশ ঘুষ খায়না। এখন দেশের আইনশৃংখলা বাহিনী নিজেই আইন মানেনা --জানেনা, পাবলিক আইন অমান্য করলে কিছু বলার মত নৈতিক মনোবল বা জ্ঞান কোনটাই তাদের নেই । সে অনেক কথা। বিদেশে গেলে নিজেদের কুশিক্ষা ভদ্রতার অভাব জ্ঞানের অভাব নৈতিকতার শুন্যতা সব বড় প্রকট হয়ে ধরা দেয়, বড় আফসোস লাগে। আবার ধন্যবাদ। সবসময় ভাল থাকুন।

৩০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

জুন বলেছেন: ঢাকার রাস্তায় দামী দামী গাড়ী থেকে খালি পানির বোতল আর চিপসের প্যাকেট ছুড়ে মারা আমাদের ঐতিহ্য ঢাকাবাসী ।
আমার হাসবেন্ড যখন সেন্ট্রাল গভঃ হাই স্কুলে পড়তেন তখন তাদের বাংলা টিচার ইসমাইল হোসেন বিলেত থেকে ঘুরে এসে তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বর্ননা করতেন । তেমনি এক কাহিনী ঃ একদিন এক ইংরেজ ভদ্রলোকের সাথে হাটছিলেন । লোকটি কথা বলতে বলতে ট্যিসু নাক ছেড়ে নিজের প্যান্টের পকেটে রাখলেন । আর আমরা হলে কি করতাম ? ওটা রাস্তায় ফেলতাম বা রাস্তায় নাক ঝাড়তাম । অর্থাৎ আমরা ব্যাক্তিগত ভাবে পরিস্কার থাকলেও সমষ্টিগত ভাবে নোংরা। আর তারা নিজেকে ব্যক্তিগত ভাবে কিছুটা অপরিস্কার রেখেও সমষ্টিগত (পরিবেশ) ভাবে ক্লিন । এ বিষয়টি নিয়ে আমার স্বামী কোন এক জায়গায় লিখেছিল মনে পড়ছে না ।
যাক অনেক কথা লিখলাম । ধন্যবাদ ঢাকাবাসী আপনাকে ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

ঢাকাবাসী বলেছেন: আসলে জাতিগত গুনাবলী বিচার করলে ইউরোপীয়দের তূলনায় আমরা বড়ই নীচু, বলতে দ্বিধা নেই। বহু উদাহরণ দেয়া যাবে। গালভরা গপ্পো বক্তৃতাতেই আমরা পটু। যাক, অনেক ধন্যবাদ আবার আলোচনায় আসবার জন্য।

৩১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইউরোপই স্বর্গ

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: তা যা বলেছেন, এক্কেবারে খাঁটি কথাটি। ওসব 'সকল দেশের রানী সে যে আমার ... কবিতাতেই গানে ভাল, বাস্তবে বড়ই বাজে অবস্হা। ধন্যবাদ আপনাকে চাঁদগাজী।

৩২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যথারীতি এই পর্বও উপভোগ্য, পরেই লোভ জাগে। আল্লাহ চাহে তো যাব একদিন :``>>

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: নিশ্চই যাবেন, আমার আন্তরিক শুভকামনা থাকবে। আরি জীবনতো একটাই, ঘুরে আসুনগে। খেয়াল করুন আমি একাই! ধন্যবাদ।

৩৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার ভ্রমণ কাহিনী আর ছবি পোস্ট দেখে।
সেই সাথে সময় মেনে চলা নিয়ে আক্ষেপ, বুড়িগঙ্গার পানি ইত্যাদি বিষয়ে ছোট করে আলোকপাত করাটাও নজর কাড়লো।
ভালো থাকুন

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: আরিব্বাস দারুণ আপনার পর্যবেক্ষন ক্ষমতা! আমার খুশী আর কৃতজ্ঞতা, আপনার ভাল লাগাতে আমার আনন্দ। অনেক অনেক ধন্যবাদ অপর্ণা মম্ময় আপনাকে। ভাল থাকুন চিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.