নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঢাকার বাসিন্দা- মানুষকে ভালবাসি আর ভালবাসি প্রকৃতিকে

ঢাকাবাসী

প্রকৃতিকে ভালবাসি।

ঢাকাবাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরতে গেছিলুম ইউরোপ- ৭

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

ইতালীর ভিসেন্জাতে আমার আবাসস্হল, হোটেল কাসটেলি ইতালীর ভেরোনাতে প্রাচীন মল্লযুদ্ধের স্টেডিয়াম- এরেনা। এরেনার ছবি।

ইতালীর ভিসেনজা পৌঁছে আমার জন্য রিজার্ভ করা হোটেলে উঠলুম। চমৎকার তিন তারকা হোটেল। রিসেপশনে মেয়েটি বেশ খাতির করল। যদিও বিদেশে বাঙালী পর্যটকদের খুব সুনাম নেই। তোয়ালে সাবান চামচ মায় বেডশিট...... অনেকেই জানে। প্রকান্ড রুম, কয়েকদিন এখানেই থাকব। ভাগ্নে আজাদ সাথেই ছিল সবসময়। সে এখানে বেশ কয়েক বছর ধরেই ভিসেনজাতে আছে। ওখানে বাঙালীরা বেশী ভাল নেই। ভিসেনজা শিল্প শহর হলেও কারখানা সবগুলো ভাল চলছেনা, ফলে চাকরী হারাচ্ছে বাংলাদেশীরা, নতুন করে চাকরী পাচ্ছেনা। কিন্তু বেচারারা চাকরী হারিয়ে দেশেও আসতে পারছিলনা। এসে কি করবে জানেনা আবার আশাও করে যদি অবস্হার পরিবর্তন হয়। সরকার কিছুটা সাহায্য করে।

এসেছি ঘুরতে । ভাগ্নে আজাদের বন্ধু মিলনের গাড়িতে করে আমাদের ঘোরা শুরু। ঝা চকচকে শহর ভিসেনজা, একটু ধুলো নেই ময়লা নেই অপুর্ব সুন্দর। ইতালীকে ভেবেছিলুম সুইজারল্যান্ডের মত হবেনা বরং একটু নোংরা হতে পারে। ওমা ভিসেনজা দেখি সুইজারল্যান্ডের প্রায় কাছাকাছিই! বেলা এগারোটা রাস্তায় কোন লোকই নেই। গাড়ির হর্ণ নেই, হকার নেই শব্দ নেই একেবারে স্বর্গই!

এখানে ডলার চলবেনা ইউরো করতে হবে। গেলুম একটা পোস্ট অফিসে, দুএকটা কাগজে সই করে পাসপোর্ট দেখিয়ে ইউরো করলুম। তারপর একটা জনমানবশুন্য পেট্রোল পাম্প থেকে মিলন নিজেই গাড়ির ট্যাংক ভরে তেল নিল। ওদের দুজনের মানে আজাদ আর মিলনের সার্ভিসের দাম টাকায় হয়না। এখানে তেলের দাম সুইজারল্রান্ড থেকে কম।
প্রথমে ভিসেনজার কিছু গির্জা। দেখা টেখা শেষ করে একটু বিশ্রাম নিয়ে ঠিক হল যাব রোমিও জুলিয়েটের শহর ঐতিহাসিক প্রাচীন স্হাপনার শহর ভেরোনা। মিলনের গাড়িতেই চললুম। ইউরোপিয়ান হাইওয়ে হয়ে ভিসেনজা থেকে ভেরোনা। ঘন্টা তিনেকের পথ। ইতালীর প্রাচীন মল্লযুদ্ধের স্টেডিয়াম এরেনা। ভেরোনাতে রোমিও জুলিয়েটের বাড়ী রোমিও জুলিয়েটের বাড়ীতে দর্শকদের ভিড়। ভেরোনাতে ভেরোনা

ভেরোনা থেকে ভিসেন্জাতে হোটেলে ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত হল।

পরদিন যাব ইতালীর বিখ্যাত শহর ভেনিযিয়া বা ভেনিস। সকালেই দুই যমরাজ আজাদ আর মিলন হাজির। বেশ দুরের পথ আর ওখানে সমুদ্রে স্নান খালে বেড়ানো ইত্যাদি মিলিয়ে অনেক সময় লাগে তাই তাড়াতাড়ি রওয়ানা হতে হবে। সমুদ্রে স্নান করার জন্য একটা হাফপ্যান্ট কিনতে হল পনেরো ইউরো দিয়ে। টাকাটা দিতে বেশ গা জ্বললো! একশো টাকার হাফপ্যান্ট দেড় হাজার টাকা!

ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার স্পীডে গাড়ি চালিয়ে ভেনিস পৌছতে বেশ সময় লাগল। পৌছেই চালক মিলন খুঁজতে শুরু করল পার্কিং প্লেস। অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর সমুদ্রের ধারেই একটা পাওয়া গেল, জনৈক ভারতীয় মালিকের পার্কিং এরিয়া, অনেক টাকা ভাড়া। যাহোক গাড়ি রেখে হেটে শহরটা দেখতে দেখতে শুরু হল গোলক ধাঁধা! সরু সরু সব গলি আবার দুপাশেই খাল। কোথা দিয়ে ঢুকলুম আর বেরুলুম মনে নেই তবে অনেক পরে একটা খালের কিনারে দাঁড়ালুম। ধনুকের মত সব স্পিড বোট ভেড়ানো আছে, নাম গন্ডোলা। আবার আধুনিক স্পীড বোটও আছে। দল বেধে বা একা রিজার্ভ করে ঘুরুন। আমরা তিনজনে একটা বোট ভাড়া করলুম, শহরের এক মাথা থেকে আরেক মাথায় যাবে আর আসবে, ঘন্টাখানেকের পথ, ভাড়া একশ পন্চাশ ইউরো! দুপাশে চমৎকার সব বাড়িঘর আর মাঝখান দিয়ে টলটলে পানি কেটে চলেছিল আমাদের বোট। দারুণ লাগছিল। পুরো ভেনিস শহরটাই মনে হয় পানির খানিকটা নীচে।
শহর বানাবার প্রাচীন ছবি


ভেনিস শহরটা কয়েকটা দ্বীপের উপর বানানো। শচারেক বছর আগে যখন কন্ক্রীটের প্রচলন অতোটা ছিলনা তখন গাছের লগ জলাভুমিতে গেথে তারউপর ভিত গেড়ে বাড়ি বানানো হয়। কথা হল কাঠের ভিত অতোদিন টেকে কি করে! কারণ আছে। লোনাপানিতে ডোবার পর কাঠগুলোর বাইরে পানির কারনে অক্সিজেন ভিড়তে পারেনা, প্রুফ হয়ে পড়ে ফলে ব্যাকটেরিয়া জনিত ক্ষয় আর হয় না, তার উপর নোনা পানির কারণে কাঠগুলো রাসায়নিক প্রক্রিয়া করে লোহার চাইতে শক্ত হয়ে যায়। ভেনিসের শেষ মাথায় একটা প্রকান্ড প্রাসাদ, সমুদ্রের পারেই। সেখানে ম্যালা লোকের ভিড়, খাবারের দোকান আছে।


ভেনিসের সমুদ্রপার। ভেনিসের রাজপ্রাসাদ

একটু খিদে পেয়েছিল, তাই আজাদ আর মিলনকে বললুম চল বাপু পেটে কিছু দিই। ওরা সানন্দে রাজী। ইতালিয়ান পিজ্জার সুনাম দুনিয়াজোড়া তার উপর আবার ভেনিসের পিজ্জা! তিনজনের জন্য দুটো পিজ্জার অর্ডার করলুম। চটপটে আর সুন্দরী ইতালিয়ান ওয়েট্রেস মেয়েটি পিজ্জা আনার আগে এক বোল ফ্রেন্চ ফ্রাই দিয়ে গেলো আর সাথে অপুর্ব কিছু ইতালিয়ান সস আর অলিভ অয়েল। অবশ্য অলিভ অয়েলটা স্পেনের ছিল। পেটে খিদে ছিল, মজা করেই খেলুম। বাংলাদেশী টাকায় বিল হল প্রায় সাড়ে নয় হাজার টাকা। পর্যটকদের এলাকা তো তাই খাবারের দামটা ওরকমই।



শহরের ভেতরে গাড়ি চলাচল নেই পুরোটাই হাঁটতে হয়, অথবা বোটে।
খালের পারে দোকানগুলোর পাশ দিয়ে হাঁটছি আর বিভিন্ন খেলনা গিফট আইটেমের দাম দেখছি। চমৎকার সব স্যুভেনিয়র, মুখোশ গন্ডোলা, চাবির রিং। এক দোকানে দেখি এক বাংলাদেশী যুবক, ওসব বিক্রী করছে। আমরা দাম করতেই সে বলল আপনারা পছন্দ করুন দামে আটকাবেনা। তাকে পেট্রনাইজ করতেই বেশ কিছু খেলনা গন্ডোলা আরো অন্যান্য কিছু জিনিস কিনলুম। শেষে দাম দেয়ার সময় দাম বাঙালী দোকানদার দামটা অন্য দোকান থেকে একটু বেশীই নিল দেখলুম। আমরা আগেই কয়েক দোকানে ওসব জিনিসের দাম দেখেছি, দেখলুম বাংলাদেশী যুবক ওসব দোকানের চাইতে সব মিলিয়ে প্রায় চৌদ্দ ইউরো বেশী নিল। দিশি মানুষ বলেছে দামে আটকাবেনা, তাই দরাদরি না করে, চুপচাপ কিল হজম করে দাম দিয়ে কেটে পড়লুম। বাংলাদেশী চরিত্র বড়ই দুর্বোধ্য!

রাতের মধ্যেই ব্যাক টু হোটেল।
-চলবে--

মন্তব্য ৬৮ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৬৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

গেম চেঞ্জার বলেছেন: বালাদেশি ঐ যুবক ও গাড়ি'র বিষয়ে বেশ কিছু কথা লিখেছিলাম। কমেন্ট লিখে পোস্ট করে দেখি পোস্ট নেই।

যাইহোক, ছবি ব্লগ ভাল হয়েছে। ১ম+

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: আন্তরিকভাবে দুঃখীত আপনার অসুবিধের জন্য। আগের পোস্টটি ছড়েই বুঝলুম একটা ভুল হয়ে গেছে, শোধরাতে হলে আবার রিপোস্ট ছাড়া উপায় ছিলনা তাই আপনার এ বিরম্বনা। আবার এসেছেন বটে তবে সেই প্রত্যাশিত মন্তব্যটি পেলুমনা, লিখুননা আবার, প্লিজ। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে আপনাকে আবার ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৬

টোকাই রাজা বলেছেন: আপাতত হাজিরা দিয়ে গেলাম পরে এসে পড়ব।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: প্রথমবার ধন্যবাদ, অপেক্ষায় রইলুম।

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দেখলাম, পড়লাম । ভালো লেগেছে ।

শেক্সপিয়র এর রোমিও-জুলিয়েট পড়ে জেনে ছিলাম, তাদের দু পরিবারের মধ্যে যে কোন্দল ছিলো; একসময় মিটে যায় (রোমিও জুলিয়েটের মৃত্যুর পর) । বাড়ির সামনে দুজনের ভাষ্কর্য স্থাপন করা হয় । ছবিতে উল্লেখ করা ভাষ্কর্য দুটো কি সে-ই ভাষ্কর্য?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঠিক তাই, তবে রোমিও জুলিয়েট কাহিনীটা কাহিনীই, বাস্তব নয়। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: কথা হল কাঠের ভিত অতোদিন টেকে কি করে! কারণ আছে। লোনাপানিতে ডোবার পর কাঠগুলোর বাইরে পানির কারনে অক্সিজেন ভিড়তে পারেনা, প্রুফ হয়ে পড়ে ফলে ব্যাকটেরিয়া জনিত ক্ষয় আর হয় না, তার উপর নোনা পানির কারণে কাঠগুলো রাসায়নিক প্রক্রিয়া করে লোহার চাইতে শক্ত হয়ে যায়

এই তথ্য জানা ছিল না।

ছবি গুলি চমৎকার

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: উইকিতে পাবেন। প্রসংসা আর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

প্রামানিক বলেছেন: রোমিও-জুলিয়েট অনেক আগে পড়েছিলাম। সেই রোমিও-জুলিয়েটের বাড়ি আপনার ভ্রমণের কারণে দেখে ভাল লাগল। ধন্যবাদ ভাই ঢাকা বাসী।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ, সবসময় আন্তরিক মন্তব্য করার জন্য।ভাল থাকুন।

৬| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

কলাবাগান১ বলেছেন: ইউরোপে যেতে হবে....যাবার সোভাগ্য এখনও হয় নাই

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২১

ঢাকাবাসী বলেছেন: এই শীতটা যাবার মধ্যেই ভিসা করে ফেলুন, মার্চ এপ্রিলে চলে যান, ভাল লাগবে। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অসাধারণ লাগল এই পর্ব, স্বপ্নের ভেনিস বেরিয়ে এলেন!!
ছবিগুলোও চোখ জুরানো!!

অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২

ঢাকাবাসী বলেছেন: আরি আপনি! চমৎকার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন চিরন্তর।

৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

আবু শাকিল বলেছেন: আপনার পোষ্ট ঊপভোগ করলাম।
ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল। আবার অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: নগরজীবনের প্রতি হুজুগে আসক্তি আমাদের স্বাভাবিক জীবনমানকে কেড়ে নিচ্ছে। কার্বন নির্গমন ও বিষাক্ত পদার্থ আমাদের শহরগুলোর বাতাসকে ভয়ানকভাবে বিষাক্ত করে তুলেছে। প্রাকৃতিক বাস্তুসংস্থানের ওপর ব্যাপক বিরুপ প্রভাব পড়ছে এ কারণেই।

এ জন্যই পশ্চিমের অনেক শহরে ও মানুষেরা সার্ভাইবাল লাইফের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। এরই একটি সহ-প্রতিক্রিয়া হচ্ছে গাড়ি ও দূষণমুক্ত জীবনযাপনের প্রচেষ্টা।

২য় বিশ্বের মানুষ হিসেব এদিকে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করা উচিত। তাহলে জ্যাম ও অন্যান্য বিড়ম্বনার শিকার হতে হবে না। সময় বাঁচবে, পরিবেশ বাঁচবে, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমবে।

আর বাংলাদেশী ঐ লোকটির আচরণে যারপরনাই হতাশ হলাম। ঐ লোকটি নিজের দেশের হিসেবে এক্সট্রা খাতির পাওয়ার কথা ছিল আপনার। টাকাটা মুখ্য নয় আমার কাছে, স্বদেশী হিসেবে আলাদা একটা কেয়ারনেস আশা করছিলাম। হতাশ হলাম ঐখানে।

(মোটামুটি এরকমই ছিল কথাগুলো। ভাল থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক পরিশ্রম করে আর ভেবে লিখেছেন, খুব ভাল লাগল কথাগুলো। নাহ মাছের পঁচন শুরু হয় মাথা থেকে। আমাদের মাথা মানে উপরের মানুষেরাই আইন কম মানেন, তাদার দেশপ্রেম কতখানি আছে প্রশ্নবিদ্ধ। ফলে পরিবেশ কেন কোন কিছুই ঠিক হচ্ছে বলে মনে হয় না। আর বাংলাদেশী ঐ যুবক এদেশের শিক্ষায় শিক্ষিত যেখানে সব পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয় বলে শুনি, তো সেতো শিখতে পারেনি কিসসু! যাক বড় আলোচনায় গিয়ে লাভ নেই। পাঠ ও মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও অনেক শুভেচ্ছা।

১০| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

কালীদাস বলেছেন: ভেনিসে বেশ কয়েকবার যাওয়া হয়েছে, কিন্তু সময় নিয়ে ঘোরা হয়নি, ন্যাক্কারজনক। জানুয়ারিতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান আছে, দেখি পারি কিনা।
সিরিজের সাত নাম্বার পোস্ট দেখছি, সুইজারল্যান্ড থেকে ইটালি ঢুকেছিলেন (ট্রেনে)? নাকি অন্য কোথাও হয়ে?
ইটালি, স্পেন, এই দুইটা দেশেরই ট্যুরিস্ট স্পটগুলো বাদে বাকি দেশ খুব আহামরি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না। এদিক থেকে সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক আমার ভাল লাগে, চলার পথে যত্রতত্র সারমেয় মল পদতলে আসার সম্ভবনা কম :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ লিখেছেন ভাই। ও হ্যাঁ সুইজারল্যান্ড থেকে ট্রেনেই গেছি ইতালী, লুজান থেকে সোজা একেবারে ভিসেনজা, আগের পোস্টে লিখেছিলুম। পারি গেছি পরে, লিখব। আপনার শেষ লাইনগুলো ভারি মজার! ওটা ভারতের উত্তরপ্রদেশ বিহার বা বাংলাদেশের গ্রামের এলাকাগুলোতেই মাঝে মাঝে দেখা যায়। প‌্যারিসও খুব পরিষ্কার নয়! মনোযোগ দিয়ে পড়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।

১১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

কালীদাস বলেছেন: ওহ, আরেকটা জিনিষ। আমি কখনও লন্ডনে যাইনি, কিন্তু বাদবাকি যে কয়টা ইউরোপিয়ান দেশ দেখেছি, বাংলাদেশি দোকানে জিনিষপত্রের দাম অন্য যেকোন দোকানের চেয়ে বেশি। যথেষ্ট বেশি :(

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: বাংলাদেশী মানুষেরা বিদেশে এলে একটু বেশী লোভী হয়ে, একটু বেশী হিসেবী হয়ে যায়। লেখাপড়া কম থাকার কারণে আদর্শ ব্যাবসায়িক বুদ্ধি কমে যায় মনে হয়। ভেনিসের ঐ যুবকের ছবি আমার আইফোনে আছে আর তার দোকানে যাতে কেউ না যায় আমি হয়তো সে চেস্টা করব! বাংগালীরা দেখেছে ইউরোপীয়রা আমেরিকানরা দরদাম খুব একটা করেনা তাই সেই চান্সটা নেয় আর কি। খুব খারাপ অভ্যেস। আপনাকে আবার ধন্যবাদ।

১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

কোলড বলেছেন: Rule # 1: Stay away from desi while travelling overseas
Rule # 2: Dont look constipated while taking picture of you in the foreground.
Rule # 3: Avoid touristy places if you don't want to pay ridiculous price for simple stuff.

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: দারুণ উপদেশ। আসলে আমার চেহারাটাই কারাপ, কন্সটিপেটেড মনে হয়, তাইনা? উপদেশগুরোর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো লেখা আর ছবির সমন্বয়।

বেশ কিছু তথ্য উপস্থাপন হৃদয়গ্রাহী।

শ্রদ্ধা জানবেন।

শুভকামনা। অনিঃশেষ।

ভালো থাকবেন। সবসময়।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৭

আমি মিন্টু বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি পোস্ট অনেক কিছু জানা হলো । :)

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১০

ঢাকাবাসী বলেছেন: জেনে আম্মো খুশি হলুম। আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৩৪

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: ইতালির ভেনিস তো বেশ সুন্দর। ছবি ব্লগটা চমৎকার।
ঘুরাঘুরিটাও চমৎকার।

রোমিও-জুলিয়েটের প্রতিকৃতির ছবি দেখে ভাল লাগলো।

তবে বোটের ভাড়া একশো পঞ্চাশ ইউরো একটু বেশি হয়ে গেল না?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল। ইউরোপে সব কিছুরই দাম একটু বেশী। আর ভেনিস পর্যটকদের এলাকা, সেখানে যেসমস্ত পর্যটকরা যায়. দামটা ওদের কাছে কিছুনা, অবশ্য আমার জন্যও অনেক বেশী টাকা, তো কিছু করার নেই। পাঠ আর চিন্তাযুক্ত মন্তব্য করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৫৮

ডি এইচ রিমেল বলেছেন: আপনার ভ্খুরমণ টা কে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন যা খুবই ভাল লাগল। তবে, ঐ বেচারা বাঙ্গালী সত্যই বড় হারামজাদা। ৫/৭ বছর আগে আহমদ ছফা এর ১টা বই পরেছিলাম, "বাংগালী মুসলমানের মন"। উনি বেছে থাকলে উনার হাতে পায়ে দরতাম যে, স্যার আপনি প্রবাসী বাঙ্গালীদের নিয়ে ১টা ব লিখেন যার নাম হবে " প্রবাসী বাঙ্গালীর মন"। ঐ হারামজাদারা এত ছোট লোক কেন??? গল্প এগিয়ে যাবে এর উপর ভিত্তি করে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: খুব রেগে গেছেন মনে হচ্ছে। আসলে আমাদের বাঙালী চরিত্র এরকমই। একটু লোভী আর চরিত্রের বালাই বড় কম। পড়ার জন্য আর বিস্তারিত মন্তব্য লেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

১৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



দারুণ একটা পোষ্ট।
মূর্তিটা কি ভাই জুলিয়েটের নাকি ?

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ আবার আসার জন্য। না ভাই মুর্তিটা একজন বিখ্যাত ইতালীয়ান কবির, জুলিয়েটের বাসার বাইরে রাখা ছিল।

১৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

মানবী বলেছেন: দুটো পিজ্জার দাম ১০০ ডলারের বেশী....!!!! সত্যিই ব্যায়বহুল এলাকা!

দীর্ঘদিন আগে এক ট্যুরিস্ট শহরে স্যুভেনীর কিনতে গিয়ে বাংলাদেশি ছাত্রর সাথে দেখা, সেলসম্যানের পার্টটাইম জব করছে! বেশ কিছু জিনিস নিয়ে কাউন্টারে যেতে্‌ই বললেন; "দাম দিতে হবেনা, নিয়ে যান। দোকান মালিক একেই পাকিস্তানী তার উপর মহা পাজি। আপনি এমনি নিয়ে যান, কিছু হবেনা!"
আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিলামনা। দোকান মালিক খারাপ হলেও নিজেদের অসৎ হবার কারন নেই, সেটা হাসি মুখে ওনাকে বুঝিয়ে বলার পরও তিনি নাছোড়বান্দা। শেষে স্বদেশী হিসেবে ওনার এম্প্লোয়ী ডিসকাউন্টের সুবিধাটা নিতে রাজী হয়েছিলাম।

ভেনিসে গিফটশপে আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে নিজেরটা মনে পড়লো :-)
ভ্রমন কাহিনী ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: বিদেশ বিভূঁয়ে এরকম অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়েছে দেখছি! তবে আমাদের নিজ দিশী ভাইগুলোর সাথে কারোরই অভিজ্ঞতা সুখকর নয় বলে জানি। আপনার পাঠ আর সুন্দর মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

জুন বলেছেন: ইতালী তথা ভেনিসের কথাগুলো খুব মন দিয়ে পড়লাম ঢাকাবাসী। তবে স্কালজী ব্রীজ যা ভেনিজিয়া সান্তা মারিয়া স্টেশনের পেছনেই সেখানে মাটিতে বিছিয়ে সামান্য জিনিস বিক্রী করছিল কিছু বাংলাদেশী ছেলে । পুলিশ এক মুহুর্তে স্পীড বোটে করে এসে রেইড করে সব তুলে নিয়ে গিয়েছিল । তাদের সাথে কথা বলে অনেক মায়া লেগেছে । কবে তারা এক বেলা পেট পুরে খেয়েছে বলতে পারে না । বিএ পাশ এমনকি একজন ছিল মাস্টার্স করা ছেলেগুলি কি এক আকর্ষনে দেশ ছেড়ে গেছে আল্লাহই ভালো বলতে পারবে ।
তবে আপনি কি রিয়াল্টো ব্রিজের উপর এই ঘটনার শিকার হয়েছিলেন ? ঐ ব্রিজের সব দোকানীরাই একটু চতুর ।
অনেক ভালোলাগলো আপনার এই পর্বটি যা অনেক দিন পর লিখলেন ।
+

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: আলসেমীতে পেয়ে বসেছিলো, তাই এই দেরী। হ্যাঁ ব্রীজের উপর আর খানিকটা দুরে খালের পারে পাকিস্তানী এদেশী আবার ইতালীয় সবাই ছিল। ওরা খুব ভাল নেই আর এই লেখাতেই কোথাও লিখেছি, ওরা দেশে আসতেও পারছিলনা। আয়ারল্যান্ডে গত দেড়শ বছরে মানুষ বাড়েনি কমেছে আর আমরা ৪৪ বছরে তিনগুন হয়েছি মা ষস্ঠীর কৃপায়। এত চাকরি এত ব্যাবসা পাবে কোথায় এ ধরনী! ম্আত্তরতো চুয়ান্ন হাজার বর্গমাইল! তাই ওদের যেতে হয় আর ভেরোনা ভিসেনজা ভিনিযিয়াতে (ভেনিস) একবেলা খেয়ে ১০ জনে এক রুমে রাত কাটাতে হয়! অভাবে স্বভাব নস্ট ! জানা নেই! ব্লগে এসে মন্তব্য করার জন্য আর নিজ অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন। ওহ হো প্লাসটি দেখলুম, আবার ধন্যবাদ।

২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: খুব ভাল লাগল ভাইয়া আপনার ইউরোপের ভ্রমন ব্লগ। ছবির ব্যাপারে আমারো মনে হচ্ছিল, আপনি ভাবীকে খুব মিস করছেন, মুখে একেবারেই হাসি নেই!

আর পিজার দাম শুনে মাথায় হাত পড়ল ! একটু বেশী দাম !

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: তা যা বলেছেন, গিন্নী ছিলনা ঠিক, তবে এতে ভাল খারাপ দুটোই আছে, পরে বুঝবেন। ট্যুরিস্ট এলাকাতে ওসবের দাম একটু বেশী হয়ই আর তাতে মন খারাপ করিনি। আপনার সুন্দর সোজা মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: বাংলাদেশী যুবক ওসব দোকানের চাইতে সব মিলিয়ে প্রায় চৌদ্দ ইউরো বেশী নিল। দিশি মানুষ বলেছে দামে আটকাবেনা, তাই দরাদরি না করে, চুপচাপ কিল হজম করে দাম দিয়ে কেটে পড়লুম। বাংলাদেশী চরিত্র বড়ই দুর্বোধ্য! ..

এই দেশের লোকগুলো যত উন্নত দেশেই যাক না কেন নিজেদের নোংরা মানসিকতা ছাড়তে পারে না!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

ঢাকাবাসী বলেছেন: আসলে জাতি হিসেবে আমাদের কিছু দোষ আমরা আজও ছাড়তে পারিনি। নোংরা মানসিকতা? আমাদের খান দশেক কু অভ্যেস আপনাকে এক্ষুনি বলতে পারি যা পৃথিবীর কোন জাতি করেনা। যাকগে বললে কেউ কেউ আবার মনে দুঃখ পান। আপনার মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন ভ্রমন সেরেছেন। সাথে আমাদেরও ভার্চুয়ালী ভ্রমন করিয়ে দিলেন :)

থ্যংকু। :)

তবে শেষ তিক্ত অভিজ্ঞতাটা বেশ কষ্ট দিল। মনে। অথচ আমরাতো এমন নই! আতিথ্যয়তা আর পরোপকারে বাঙালী কতইনা সুনামের অধীকারী। মাঝে মাঝে এমন দুএত ফোটা চোনা বাঙালিত্বের সুনামর দুধটা নষ্ট করে দেয়!

++++

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: আরিব্বাস অতো বড় কমপ্লীমেন্ট! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। দুনম্বর প‌্যারাতে যা বলেছেন তা পন্চাশের দশকে দেখেছি, ষাটের দশকেও ছিল। তারপর ধীরে ধীরে উবে যেতে থাকে। বিদেশে হার্ড আর্ণড মানিতো, দশ সেন্ট মানে দশ সেন্ট। সুতরাং ভদ্রতা নৈতিকতাটা রাখতে চায়না ওরা। ধন্যবাদ আপনাকে, ভাল থাকুন।

২৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
আপনার সাথে সাথে ইতালী ঘুরে এলাম। খুব ভালো লাগলো। সেই সাথে এই মজার পোস্টটির কথা মনে পড়লো -

জুলিয়েটের স্তনে হাত রাখলে প্রেম বাসনা পূর্ণ হয়

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: তারিফ করার জন্য ধন্যবাদ। জুলিয়েটের মুর্তির কাছে আম্মো গেছিলুম।


ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: আগের পর্বের মতোই
চমৎকার বর্ণনা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভাল থাকবেন।

২৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

সুমন কর বলেছেন: অনেক দিন পর, আপনার ঘুরতে গেছিলুম পর্ব পড়লাম। ছবি আর বর্ণনা মিলিয়ে দারুণ হয়েছে।

কেমন আছেন?

দিশি মানুষ বলেছে দামে আটকাবেনা, তাই দরাদরি না করে, চুপচাপ কিল হজম করে দাম দিয়ে কেটে পড়লুম। বাংলাদেশী চরিত্র বড়ই দুর্বোধ্য! -- এটাই ভেবেছিলাম !!

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল আছি ভাই। জাতি হিসেবে আমরা এখনও অনেক ...। চরিত্রটা পাল্টাতে পারিনি! বড়ই লোভী.. নীচু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুমন কর।

২৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জুলিয়েটের মূর্তির কাছে গেলেন ! বাট ''ফত্তুন ফত্তুনা'' টা করলেন না !

জুলিয়েটের ডান বক্ষে হাত রাখা নাকি সৌভাগ্য আনয়নকারী(তাদের ভাষায় ''ফত্তুন ফত্তুনা'';) বিষয় :P

নাকি হাত ঠিকই দিয়েছেন , ভাবীর ভয়ে ছবি পাব্লিশ করেননি ? :P

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪০

ঢাকাবাসী বলেছেন: হা হা হা, তার আর বলতে! ওটা করেছিলুম বলেই তো আজ আমার ভাগ্য এত ভাল। গিন্নী তো বহু সহস্র মাইল দুরে তখন, ভয়ের কি? অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৪

ডি মুন বলেছেন: সমুদ্রে স্নান করার জন্য একটা হাফপ্যান্ট কিনতে হল পনেরো ইউরো দিয়ে। টাকাটা দিতে বেশ গা জ্বললো! একশো টাকার হাফপ্যান্ট দেড় হাজার টাকা! --------------------- হা হা হা :) B-))

সুন্দর সুন্দর ছবি। দেখলেই যেতে মন চায়।
প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম ++++

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১

ঢাকাবাসী বলেছেন: সাথে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

২৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৫

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ওমা, এক পিচ্ছি দেখি জুলিয়েটের স্তনে হাত দিচ্ছে, ওর তো বাল্য বিবাহ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিল ! ;) :P

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: হা হা হা তা যা বলেছেন! অবশ্য বাচ্চা মেয়েটি সম্ববত ফরাসী ছিল আর সুসভ্য মানুষের দেশ ফ্রান্সে বাল্যবিবাহ বলে কিছু নেই। আঠার বছর বয়স হলেই একটা ছোকরা জুটিয়ে নিতে পারে, তাইনা? সুন্দর রসযুক্ত মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

২৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
পরের পর্ব দিচ্ছেন না কেনো ? ব্যস্ত নাকি ঢাকাবাসী।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: আরি না ভাই ব্যাস্ত টেস্ত না। বাঙালীর যা স্বভাব আর কি, আইলসামী। যাক আপনার কথায় নড়ে চড়ে বসলুম। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। ভাল থাকবেন, সাথে থাকার জন্য আবার ধন্যবাদ। ।

৩০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

রোদেলা বলেছেন: ইশ যারা বিদেশ ঘোরাঘুরি করে তাদের ভীষন হিংসা হয় আমার।
আপনার চমৎকার ছবিগুলো দেখে ভালো লাগছিল,মনে মনে ভাবছিলাম-ঢাকাবাসি এখন ইউরোপে :D

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: বোঝা গেল আপনি বেড়াতে ভালবাসেন। আমি মনে প্রানে প্রার্থনা করছি শিগিগিরই আপনি ইউরোপ বেড়াতে যাবেন। হ্যাঁ বেশ কিছুদিন ইউরোপ ছিলুম। ব্লগে এসে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন আর বেড়ান।

৩১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাকাবাসী ,




সরলভাবে অথচ চমৎকার করে বর্ননায় আর ছবিতে আপনার এই সিরিজটি উপভোগ্য হয়ে উঠছে দিন দিন ।
".......একটা হাফপ্যান্ট কিনতে হল পনেরো ইউরো দিয়ে। টাকাটা দিতে বেশ গা জ্বললো! একশো টাকার হাফপ্যান্ট দেড় হাজার টাকা!" খুব মজা পেলুম এখানটাতে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনি মজা পেয়েছেন জেনে আমার খুব ভাল লাগল। সত্যিই ভাল লাগল, উৎসাহ পেলুম শ্রীকৃষ্ণের জন্ম দেয়ার মানে অস্টম পর্ব লেখার। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকুন।

৩২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:



সিক্রেট কোথায়, আমরা চাকরীতে পানি ঢেলে হয়রাণ, আপনি বিশ্ব ভ্রমণে?

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: এই যাহ, কিসের মধ্যে কি ভাই! অবসর নিলুম তা প্রায় চৌদ্দ বছর হবে। ভ্রমন করি ষাটের দশক থেকে, সেটার পরিধি তখন কম ছিল, এখন বিশ্বায়নের যুগে সেটা বেড়েছে এই আরকি! তখন সোনারগাঁ ময়নামতি শালবনবিহার দেখেই আনন্দে আত্মহারা হতুম, আজকাল সেটা নেভাডা বা মিলান ভেনিসে ঠেকেছে। টাকা? ভুতে যোগায়!
আপনার লেখার আমি একজন গুনমুগ্ধ পাঠক। সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন।

৩৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৭

দীপান্বিতা বলেছেন: দারুণ ঘুরলেন! :)

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঘুরেই চলেছি, ক্ষ্যাপা খোঁজে পরশ পাথর! বড় ভাল লাগে তাই আর কি। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন।

৩৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭

এম এস আরেফীন ভুঁইয়া বলেছেন: অনেক গুলো সুন্দর ছবি উপহার দেয়ার জন্য ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইল।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনি খুশি হয়েছেন জেনে ভাল লাগল। আপনাকেও ব্লগে আসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.