নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঢাকার বাসিন্দা- মানুষকে ভালবাসি আর ভালবাসি প্রকৃতিকে

ঢাকাবাসী

প্রকৃতিকে ভালবাসি।

ঢাকাবাসী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে এলুম পুরী ভুবনেশ্বর আর মুর্শিদাবাদ।

২২ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০৫

কোনার্কের সুর্য্য মন্দির

গরম পড়ে গেছে ভালই গরম দেশে। চেক করলুম উড়িষ্যাতে কেমন গরম, জানলুম প্রায় ৩০ ডিগ্রী থেকে ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস! মানে বেজায় গরম! গিন্নীকে বলুম ঠান্ডায়তো সবসময়ই ঘুরি এবার নাহয় একটু অন্য অভিজ্ঞতা নেই, গরমেই যাওয়া যাক। প্রথমে কোলকাতা সেখান থেকে পুরী তারপর পশ্চিমবঙ্গের নবাবী আমলের জেলা শহর মুর্শিদাবাদ।

যথারীতি সাড়ে তিনহাজার টাকা করে একেকজনের ভিসার এপয়েন্টমেন্ট ভারতীয় হাইকমিশনে। ভিসা পেলুম ছ'মাসের।
ভুবনেশ্বরের শুকিয়ে যাওয়া চন্দ্রভাগা নদীর উপকুল।

তারপর একদিন সকালে হালকা বোঁচকা নিয়ে উঠে পড়লুম আমার প্রিয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে, গন্তব্য কোলকাতা স্টেশন।
কোলকাতা স্টেশন

আমার প্রিয় বন্ধু দীলিপ অসুস্হ শরীরেও স্টেশনে হাজির, বৌদিকে নিয়ে যাবে, আমি তো ফালতু!

দুদিন কোলকাতাতেই বেড়ালুম, নেমন্তন্ন খেলুম এর ওর বাসায়। এর মধ্যেই একদিন ডালহৌসী স্কোয়ারে গিয়ে কোলকাতা - পুরী- ভুবনেশ্বর- কোলকাতা'র টিকিট নিয়ে এলুম। আরামে এসি ট্রেনে শুয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া যাবে আর সিট নিশ্চিত। সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে বেশ খানিকটা ডিসকাউন্ট পেলুম, অর্ধ সহস্র রুপী মাফ!

রাতের ট্রেন একটু আগেই হাওড়া স্টেশনে হাজির হলুম। কাঁটায় কাঁটায় ঠিক সময়েই ট্রেন 'পুরী এক্সপ্রেস' ছাড়ল। আমার বার্থ উপরে তিনতলায় আর গিন্নীরটা নীচের বার্থ। আমাদের দেশে বহু ডজনবার ট্রেনে চড়েছি, কোনদিন সময়মত ট্রেন ছেড়েছে বলে মনে পড়েনা! অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে ট্রেনে উঠা হয় না। এত নিকৃস্ট মানের ট্রেন আর আরো ভয়াবহ নীচু মানের সার্ভিস পৃথিবীর কোথাও দেখিনি। বিশ্বাস করুন।

সকালে নামলুম পুরী। স্টেশনে নেমেই ভাবছিলুম হোটেল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য লোক আসার কথা, আল্লাহ মালুম এসেছে কিনা। ফোন করলুম, হোটেলের লোকটি বলল 'স্টেশনেই আছি'। ওমা কিছুক্ষন পরই দেখি একটা মোটর সাইকেল থেকে আমার সাথেই ফোনে কথা বলছে শার্টে হোটেলের মনোগ্রাম দেয়া একজন সুশ্রী তরুণ। তার কথামত উঠে পড়লুম একটা অটোরিকশাতে। দশ বারো মিনিটেই পৌছলুম আমাদের বুক করা হোটেলে। যারা এর পরে যাবেন তাদের বলছি পুরীতোে গেলে আগেই হোটেল বুক করে যাবেন, না হলে বিপদে পড়বেন।


ছোট সাধারণ মানের হোটেল ভাড়াটাও সহনীয়। কাপড় পাল্টে নাস্তা খেয়েই চললুম বীচে।
বীচ দেখে খানিকটা হতাশ হলুম। এক্কেবারে সাদামাটা বীচ, মাইল দুয়েকও লম্বা হবেনা, যাবার রাস্তাগুলো বাজে। সেখানেই বেড়ালুম, বিকেল অবধি।

পরদিন সকালে গেলুম পুরীর পৃথিবীখ্যাত জগন্নাথের মন্দির দেখতে।



হিন্দুদের জন্য পুরী একটি পবিত্র তীর্থস্হান, বিশেষ করে যারা ভগবান বিষ্নু বা শ্রীকৃষ্নের ভক্ত। আবার হিন্দুদের পবিত্র চার ধাম যেখানে তাদের জীবনে একবার যেতেই হবে তার একটা হল পুরী।
সনাতন ধর্মালম্বীদের পুজোর প্রতিমা সাধারণত পাথর বা ধাতব পদার্থের হয়ে থাকে। কিন্তু জগন্নাথের মন্দিরে জগন্নাথদেবের প্রতিমা কাঠের।
প্রতি ১২ বা ১৯ বছর পর পর কাঠে প্রতিমা পাল্টে ফেলা হয়। সেখানে পবিত্র গাছের কাঠ দিয়ে তৈরী প্রতিমা তৈরী করে রাখা হয়। এটাকে বলা হয় নবকলেবর উৎসব।

জগন্নাথের মন্দিরটি বানানো হয় দ্বাদশ শতাব্দীতে রাজা অনন্তবর্মনের আমলে। মন্দিরটি বার্ষিক রথযাত্রার জন্য বিখ্যাত।

মন্দিরের চুড়ায় প্রতিদিন একজন ভক্ত উঠে পতাকা পাল্টান, কোন সিড়ি নেই, পাশ দিয়ে কসরৎ করেই উঠতে হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কো্ন দুর্ঘটনা ঘটেনি।
ভেতরে ঢুকতে প্রথম কথা হল আপনার জুতো মোবাইল ফোন ক্যামেরা সব রেখে ঢুকতে হবে। রাখার জন্য জায়গা আছে বিনে পয়সায় রাখতে পারেন ওটা সরকারী আর ১০ টাকা দিয়ে রাখতে পারেন ওটা প্রাইভেট। তবে ভয় নেই চুরি হবেনা বা খোয়া যাবেনা। মন্দিরে এসে কেউ অপকর্ম করেনা বলে শুনেছি।

ভেতরে ডোকার আগেই একজন গেরুয়া বসনধারী এসে সবিনয়ে বললেন আমি আপনাদের পুরো মন্দির ঘুরিয়ে দেখাবো কারণ অত বড় মন্দিরে কোথায় কি আছে না জানা থাকলে অনেক সময় লাগবে আর ক্রনলজিকালী দেখতে পারবেন না। সানন্দে রাজি হলুম। মাত্র কুড়ি টাকার ব্যাপার! ঢোকার চারটে পথ, একটা দিয়ে ঢুকে পড়লুম। হাজার হাজার মানুষ ভিতরে সমুদ্রের ঢেউয়ের মত যাচ্ছে তো যাচ্ছেই। তবে শব্দ খুব একটা নেই!
ভক্তরা বিভিন্ন জায়গাতে পুজো দিচ্ছে, প্রসাদ খাচ্ছে। প্রতিদিন নাকি এক লক্ষের বেশী লোক খাবার খায়! আর এই খাবার কে খাওয়ায় কে টাকা দেয় তা কেউ জানেনা ভক্তরা জানার দরকার মনে করেনা। ক্যামেরা বা ফোন নেই ভেতরে ছবি তোলা যাবেনা তাই ছবি তোলা গেলনা। ঘন্টা তিনেক ঘুরে ক্লান্ত হয়েই বেরুলুম।

একটা কথা জগন্নাথের মন্দিরের ভেতরে হিন্দু ব্যাতিত অন্য ধর্মালম্বীদেের প্রবেশ নিষেধ।

পরদিন একটা ট্যুর অপারেটরদের বাসে করে ভুবনেশ্বরের কিছু ঐতিহাসিক স্হান দেখতে যাবার জন্য টিকিট কাটলুম। দারুণ সস্তা টিকিট, কল্পনাই করা যায় না। আমরা বিদেশী তাই ভাল সিট দিল। ভুবনেশ্বর হল উড়িষ্যার রাজধানী। আমরা রাজধানীতে যাবনা পথে বিভিন্ন দর্শনীয় জায়গা দেখব।

কোনার্কের (উড়িষ্যা) সুর্য মন্দির

সুর্য মন্দির

পুরী থেকে বাস ছাড়ল সকাল ৭ টায়। বাসের সামনেই গাইড, ঊড়িয়া ইংরেজী আর হিন্দীতে সামনের বেড়ানোর জায়গাগুলো বর্ণনা করবে। প্রথমে কোনার্কের সুর্য মন্দির। অপুর্ব কারুকাজ করা দেয়াল আর উঁচু মন্দির।

মন্দিরটি ১২৩৮ থেকে ১২৫০ খ্রিস্টাব্দে তৈরী করা হয়। বিশেষ একধরণের পাথরের এই মন্দির তৈরী করা হয় পুর্ব গঙ্গা সাম্রাজ্যের সময়কালে রাজা নরসিংহদেব দ্বারা। কয়েক জায়গাতে বিপজ্জনক ভাবে ভাঙ্গা গেলে বৃটিশ শাসক একজায়গার দরজা বন্ধ করে সীল করে দেন তাতে মন্দিরটি রক্ষা পায়। এটা পৃথিবীর একটা হেরিটেজ হিসাবে রক্ষিত। এর রক্ষনাবেক্ষনের পেছনে ভারত সরকারের বছরে কোটি কোটি রুপী খরচ হয়। না, কেউ এর দেয়ালে সেলামী নিয়ে দোকান পাট বসাননি বা এটা ভেঙ্গে চুরে কেউ দখল করছেনা। আমাদের বড় কাটারা ছোট কাটারা তারা মসজিদ লালবাগের কিল্লা সহ অনেক প্রাচীন ঐতিহ্য ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে বা গেছে শ্রেফ দেখাশুনা করার কেউ নেই বিধায়।

উদয়গিরী পাহাড়, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ধবলগিরী ধাবলগিরী মন্দির। এখানে গিয়ে সিড়ির কাছেই কিছুক্ষন বসে ছিলুম কারণ তখন বেলা বারোটার মত, মন্দিরে যাবার সিড়ি গোটা চল্লিশেক, খোলা আকাশের নীচে। প্রচন্ড রোদের তাপে সিড়িগুলো আগুনের মত গরম হয়ে ছিল আর তার উপর দিয়ে খালি পায়ে যাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিিলনা। জুতো পায়ে সিড়িতে উঠা যাবেনা। অভাগা নদী- ভুবনেশ্বর, এখন পানি নেই তবে কথিত আছে বছরে একবার পুর্ণিমার সময়ে এখানে পানি আসে। লিঙ্গরাজ মন্দির, ভুবনেশ্বর।

মন্দিরে ঢুকতে ম্যালা ঝামেলা, তবু ঢুকলুম তারপর বাইরে বসে গুড়া বরফের আইসক্রিম খেলুম, দারুণ স্বাদ। এরপর নন্দনকানন নামক একটা বিশাল চিড়িয়াখানা দেখে সন্ধ্যে নাগাদ ব্যাক টু হোটেল।

পরদিন আবার পুরীর হোটেল ছেড়ে দিয়ে এসি বাসে করে ভুবনেশ্বর আসলুম কারণ এখান থেকেই কোলকাতা যাব। যদিও ট্রেনটি পুরী থেকেই ছাড়ে, কেন যে আমি ভুবনেশ্বর থেকে যাবার টিকিট কেটেছিলুম জানিনা। হোটেল থেকে চেকআউট করলুম ৯ টায় আর ভুবনেশ্বর পৌছলুম বেলা ১২টায়, ট্রেন ছাড়বে রাত ১০ টায়! কি বিপদ! কিন্তু না, সারা ভারতের প্রায় প্রতিটি স্টেশনেই উঁচু মানের ওয়েটিং রুম আছে যেখানে আপনি আপনার টিকিট দেখিয়ে বসতে পারবেন, এসি আছে সো নো চিন্তা!
ওয়েটিং রুম, চালু এসি লাগানো।


ওয়েটিং রুমে টিকিট দেখিয়ে ঢুকলুম। গেটের মহিলাটি কিচুক্ষন মিন মিন করে বলছিল 'আপকা ট্রেন যানে মে আভি ভি ১০ ঘন্টা বাকি হ্যায়, আপকো এতনা দের তাক রাখনেকা নিয়ম নেহি হ্যায়, লেকিন আপ পরদেশি হ্যায়, তো যাইয়ে'। কোন ঘুষ বকশিশ লাগেনি। তকতকে পরিষ্কার এয়ার কন্ডিশনড ওয়েটিং রুম, উটকো লোকের ভিড় নেই, অন্তত শ'খানেক লোকের বসার সোফা আছে, জায়গা না পেলে পরিষ্কার মেঝেতেও বসতে পারেন। একপাশে ৬-৭ টা পরিষ্কার বাথরুম, আবার বাইরেই চিলারের মধ্যে বিনে পয়সায় ঠান্ডা খাওয়ার পানি!!। বাথরুমগুলো প্রতি আধ ঘন্টা পর পর একজন ক্লীনার এসে পরিষ্কার করছে।

মনে পড়ল আমাদের দেশে স্টেশনগুলোর কথা, কোথাও ভাল ওয়েটিংরুম দেখেছি বলে মনে পড়েনা। আর দুএকটা ওয়েটিংরুম লেখা সাইনবোর্ড দেখেছি, রুমটি সর্বদাই তালা মারা। অবশ্য খুললেও সেগুলোর অবস্হা যে জঘন্যরকম খারাপ হবে এতে আমার কোন সন্দেহ নেই। অবশ্য আমাদের নিজেদের চরিত্রও যে ভাল তা বলা যাবেনা, নীচু ক্লাশের টিকিট কেটে উঁচু ক্লাশের বিশ্রামাগারে বসব, নোংরা করব, বসে তাস পিটাব বা বাচ্চাদের নিয়ে হৈচৈ করব। যেখানে সেখানে খা--ক করে কফ থুতু ফেলা এদেশের কিছু মানুষের অপরিবর্তনীয় স্বভাব!

যাহোক রাতটা ট্রেনে ঘুমিয়ে কাটালুম, ভোর ৬ টার দিকে হাওড়া স্টেশন, সেখান থেকে ট্যাক্সি করে বেলেঘাটা বাসায়। স্টেশন থেকে ট্যাক্সিতে আসা বেশ আরামের। আপনি প্রিপেইড সিস্টেমে লাইনে দাড়ান, কাইন্টারে পুলিশ আর টিকিটম্যান বসে আছে, গন্তব্যস্হান বলুন, টাকা দিন আপনাকে একটা টিকিট দিবে যাতে আপনার জন্য নির্ধারিত ট্যাক্সি নম্বর লেখা আছে, আপনি উঠে পড়ুন কোন দরাদরি নেই, ঝামেলা নেই।

কমলাপুর থেকে ট্যাক্সিতে উত্তরা বা ওয়ারী আসতে হলে আপনাকে বাড়িঘর বেচতে হবে মনে হয়! পারলে লাখ টাকা ভাড়া চাইবে।

এবার মুর্শিদাবাদ।

দুদিন বাদে আবার গেলুম ডালহৌসীতে ফেয়ারলি হাউসে ট্রেনের টিকিট নিব কোলকাতা টু মুর্শিদাবাদ এন্ড ব্যাক। পরদিন আবার ভোরে কোলকাতা (কোলকাতা একটা স্টেশনের নাম, হাওড়া শেয়ালদার মতই) স্টেশন থেকে উঠলুম হাজার দুয়ারী এক্সপ্রেস, যাব মুর্শিদাবাদ। সেই একইরকম এসি কামরা, পরিষ্কার ঝকঝকে। বসে বসে যেতে হবে। সকাল দশটা নাগাদ মুর্শিদাবাদ পৌছলুম। স্টেশন থেকেই অটো পেলুম, সারা মুর্শিদাবাদের সব দর্শনীয় স্হানগুলো দেখাবে।

সম্রাট আওরঙ্গজেবের সময় বাংলার দেওয়ান মুর্শিদকুলী খাঁ বাংলার রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে স্হানান্তর করেন আর ঐ জায়গার নাম রাখেন নিজের নামের সাথে মিলিয়ে, মুর্শিদাবাদ। পরে নিজেকে নবাব ঘোষনা করেন।

প্রথমে মুর্শিদকুলী খার কাটারা মসজিদ।






নবাব সিরাজের সেনাপতি মিরজাফরের বাড়ির দরজা, বাড়িঘর পাবলিক ভেঙে ফেলেছে।


মিরজাফরের কবর ও তার ১০১ জন বংশধরদের কবরস্হান।


নবাব সিরাজের আমলে ধনাঢ্য ব্যাবসায়ী জগৎশেঠের বাড়ি।

জগৎশেঠের বাড়ির ভিতরে।


হাজার দুয়ারী প্রাসাদ। মুর্শিদাবাদের অন্যতম আকর্ষন।

ডানকান ম্যাকলিয়ড নামের ইংরেজ স্হপতি এটার নকশা তৈরী করেন এবং বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব নাজিম হুমাউন ঝা এর সময়ে (১৮২৪- ১৮৩৮) এটা তৈরী হয়। এটাতে এক হাজারটা দরজা আছে, তাই এটার নাম হাজার দুয়ারী।


ভেতরে চমৎকার একটা যাদুঘর আছে, আর তাতে আছে পুরোণো অস্ত্রসস্ত্র পোষাক আরো অনেক কিছু। একটা ঝাড়বাতি আছে যার ওজন কয়েক মন হবে! ছবি তোলা যায়নি। অনেক কড়াকড়ি!
দুপুরে একটা লোকাল হোটেলে দুপুরের খাবার খেয়ে মুর্শিদাবাদ স্টেশন, ট্রেনে রাত দশটায় কোলকাতার বাসায়। এত সস্তায় এত সুন্দর একটা ট্রিপ ভাবাই যায় না!

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: বেশ বেশ । কোনারকের সূর্য মন্দির দেখে বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল । অসাধারন কারুকার্যময় , সেই ১৯৮২ সালে ১০ জন সহপাঠী ভারতের বহু জায়গা ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। পুরিতে আমার ভাল লাগেনি তবে ভুবনেশ্বরের লিঙ্গ মন্দির আরেক এপিক। জয়বাংলার লোক বলে সব মাফ কিন্তু সাদা চামড়ার লোকেরা পাশেই বাঁশ দিয়ে একটা টাওয়ার করেছে সেখান থেকে দেখে। কলকাতা থেকে ভুবনেশ্বর কাছেই , অনেকেই যেতে পারেন। ট্যুর গ্রুপে যাওয়া ভাল এবং নিরাপদ , হেটে হেটে হোটেল খুজতে হবেনা। আমরা কিন্তু হিন্দু তীর্থযাত্রীদের ১ রুপির রুম আর মুসলিম সরাইখানায় ওই ১ রুপী প্রতিজন থেকেছি। ভাল লাগলো , আবারো যাব ভাল থাকলে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:১৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার চমৎকার অতীত অভিজ্ঞতা পড়ে ভারি ভাল লাগল। পুরীতে আসলে জগন্নাথের মন্দির আর ছোট্ট বীচ ছাড়া আর কিছু নেই। ওটা হিন্দুদের চারধামের একটা তাই ইম্পর্টেন্ট। ৩৪ বছর পেরিয়ে গেছে আপনার যাবার পর, সুতরাং ১ রুপীর দিন আর নেই, আবার পুরীর গরমে ওখানে থাকা এখন অসম্ভব। প্রথম মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

২| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভালো লাগল আপনার পোস্টের সাথে আমরাও অনেকে ঘুরে আসলাম ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:১৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার ভাল লাগা আর কল্পনায় আপনাকে ঘোরাতে পেরে আমার লেখা সার্থক। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ বড় ভাই, আপনার কল্যানে অনেক কিছু জানা হলো। ইচ্ছা আছে ভারতে যাবার কিন্তু সময় আর স্বাস্থ্য নিয়ে পেরে উঠছি না। শুভেৃচ্ছা রইল।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২১

ঢাকাবাসী বলেছেন: দোয়া করি দ্রুত ভাল হয়ে ঘুরে আসুন বেড়ানোর জন্য পৃথিবীর সেরা দেশ ভারত। ভারত দেখতে বহু বছর লাগবে। আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে,
দেখে ভালো লাগলো ।
সেই সাথে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ
ভাল থাকুন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২২

ঢাকাবাসী বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:০২

ডি মুন বলেছেন: আমাদের দেশে বহু ডজনবার ট্রেনে চড়েছি, কোনদিন সময়মত ট্রেন ছেড়েছে বলে মনে পড়েনা! অবশ্য গত কয়েক বছর ধরে ট্রেনে উঠা হয় না। এত নিকৃস্ট মানের ট্রেন আর আরো ভয়াবহ নীচু মানের সার্ভিস পৃথিবীর কোথাও দেখিনি। বিশ্বাস করুন।

---------- বাংলাদেশের রেল-সার্ভিস যে পৃথিবীর সর্বনিকৃষ্ট - এ বিষয় সন্দেহাতীত। তবে ইদানিং কিছু কিছু ট্রেন সময়মত ছাড়ে। সত্যি বলতে বাংলাদেশ রেলওয়ের তো যাত্রীসেবার মানসিকতা নাই, তাই জিন্দেগীতেও এ সেক্টরে আশানুরূপ অন্নটির আশা নাই :)

আমরা বিদেশী তাই ভাল সিট দিল। --- আমাদের দেশে ইহা কল্পনা :(

বাথরুমগুলো প্রতি আধ ঘন্টা পর পর একজন ক্লীনার এসে পরিষ্কার করছে। -------- এদেশে টাকা নেয়ার জন্যে বাথরুমের সামনে বসে থাকে, কিন্তু পরিষ্কারের নামগন্ধ নাই। থাকলে একশ গজ দূর থেকেও দুর্গন্ধ পাওয়ার কথা না !!!

আমাদের দেশের পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনা আমরা নিজেরাই নষ্ট করেছি। আগে দরকার আমাদের মানসিকতা উন্নত করা। নাহলে জাতি হিসেবে আমাদের উন্নতি হোক না হোক, অবনতি ঠেকানো সম্ভব না।

পুরীর নাম এতদিন শুনেছি, পড়েছি বইয়ে। আজ আপনার কল্যাণে সেখানকার সচিত্র বর্ননা পাওয়া গেল। ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী ভাই।
ভালো থাকুন :)

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: ব্লগে আমি বেশ কিছুকাল পরে এলুম তাই আপনার সাথে মোলাকাত নেই। আপনার সুচিন্তিত আন্তরিক মতামতের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আমাদের দেশের সব কিছুর অব্যবস্হা অনিয়ম সম্পর্কে বলতে মহাভারত হয়ে যাবে, তাই ক্ষ্যামা দিলুম। পড়ে আনন্দ পেলেন ওটুকুই আমার প্রাপ্তি আর আনন্দ। ভাল থাকবেন প্রিয় ডি মুন।

৬| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পোস্ট পড়তে পড়তে, ছবি দেখতে দেখতে আমিও বোধহয় ঘুরে এলাম ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা আপনাকে।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

কোলড বলেছেন: Nice write up but why do you need to put the mug shot in every pictures? We want to see the places where you have been to but not YOU!

২৩ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ছবি তোলার সময় ওগুলো এসে গেছে, আমি আমার বা আমার স্ত্রীর তোলা ছবি দিতে চেয়েছি, অরিজিনালিটি রাখার জন্য তা নাহলে তো সব গুগল থেকেই দিতে পারতুম! সবগুলো ছবিতে তো আমি নেই ভাই। ২৭ খানা ছবিতে আমার ছবি একবারই এসেছে তাতেই এত রাগ? ওটা যে আমার ছবি ছিল তাই বা আপনি বুঝলেন কিভাবে? আর এটা বাংলা ব্লগ এখানে বাংলায় লেখাই প্রত্যাশিত। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৫৫

রাজীব বলেছেন: ভালো লিখেছেন। অনেক কিছু জানতে পারলাম
আরো কয়েকটি তথ্যা শেয়ার করবেন কি?

আমি বাসে করে ভারত গিয়েছি কয়েকবার কিন্তু কখনো ট্রেনে যাওয়া হয় নি, তাই নিচের বিষয়গুলো জানতে চাই-

১) ট্রেন কখন ছাড়ে ও কখন পৌছে? কাগজে লিখা সময় নয়, প্রকৃত সময় জানতে চাইছি।
২) বর্ডারে কতক্ষন লাগে?
৩) বর্ডারে, ইমিগ্রেশনে অপেক্ষা করার জায়গা কেমন? মহিলা ও শিশুদের জন্য কতটুকু কস্টের?
৪) ইমিগ্রেশনে অফিসারদের আচরন কেমন?
৫) বাসে গেলে, দুই পাড়ে দালালদেরকে প্রায় ২০০টাকা + ১০০ রুপী দেয়া লাগে, ট্রেনে কি অবস্থা?
৬) সাধানরত যাত্রার নুন্যতম কত দিন আগে পর্যন্তি টিকিট পাওয়া যায়?
৭) কোন শ্রেনীর আসন ভালো হবে?
৮) কলকাতা চিৎপুর স্টেশনে নেমে কিসে চড়া যায়? মানে ট্যাক্সি ছাড়াও বাস বা মেট্রো আছে কি?
৯) ট্রেন পৌছতে বেশী রাত হলে চিৎপুর স্টেশন থেকে নিউমার্কেট যাওয়া নিরাপদ কি?

অনেকগুলো প্রশ্ন করে ফেললাম, বিরক্তি উৎপাদন করে থাকলে দুঃখিত।
আসলে আপনার মত আমিও মনে করি যে, ভারত দেখতে হলে কয়েক বছর লেগে যাবে। বেড়ানোর জন্য ভারত খুবই ভালো জায়গা। কেন যে, ছাত্র জীবনে ভারত ভ্রমন করি নি!

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: ১) সকাল ৮-১০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ে আর সন্ধ্যে সাতটায় পৌছে
২) দর্শনাতে ২ ঘন্টা লাগে আর গেদে তে ২- ৩ ঘন্টা লাগে।
৩) ব্যাবস্হা ভাল, তেমন কষ্ট নেই।
৪) আপনি ভাল হলে ওরাও ভাল।
৫)আপনি স্মাগলার না হলে ওসব লাগেনা।
৬) এসি চেয়ার কারে যাবেন ৭- ৮ দিন আগে টিকিট কাটবেন।
৭) চিৎপুর থেকে যেকোন জায়গায় যাবার প্রিপেইড ট্যাক্সি পাবেন। হ্যাঁ কোলকাতা শহর আমাদের ঢাকার চাইতে অনেক অনেক বেশী নিরাপদ আর ভদ্র ।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি। এখনো অনেক সময় আছে ঘুরে আসুন, শীত গরম বা ছুটি এসবের জন্য বসে থাকবেননা। ধন্যবাদ।

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে কিভাবে ছাড় পেলেন ভাইয়া?

২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভারতীয় রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী পুরুষ যাত্রীর বয়স যদি ৬৫ বা এর বেশী হয় আর মহিলাদের যদি ৫৮ বছর বা এর বেশী হয় তাহলে তারা একটা মোটা টাকার ডিসকাউন্ট পাবেন। ঠিক মনে নেই তবে সেটা ৪৫% এর মত। অর্থাৎ ১০০০ টাকার টিকিট আপনি কিনবেন ৫৫০ টাকায়! আর আমরা দুজনেই সেই বয়সটা পেরিয়ে এসেছি! প্রসঙ্গক্রমে আরেকটা সুবিধের কথা বলতে হয়, বাসে দুখানা সিট সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য রিজার্ভ থাকে আর সেখানকার নাগরিকরা এটা বেশ মেনে চলেন, সিনিয়ররা ছাড়া ঐ সিটে কেউ বসেননা! আমাদের দেশের ট্রেন বাসগুলোতে বৃদ্ধারা বসার জায়গাই পাননা, সবাই দুর দুর করে! কনডাকটরও উঠাতে চায় না। আপনাকে ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯

ঢে্উটিন বলেছেন: খুব সাবলীল বর্ননা, সুন্দর কিছু ছবি এবং বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: পড়া আর প্রসংসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। ভাল থাকবেন।

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২২

ম্যাভরিক০৫ বলেছেন: দাদা, বিবিসি এর একটা ডকুমেন্টারি আছে, Story of India. ছয় পর্বের একটা শো, দেখে নিবেন। তাহলে আপনার ভ্রমণ আরো বাস্তবিক হয়ে উঠবে

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: সাজেশন এর জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আসলে আমরা ঘুরে বেড়াই অনেকদিন যাবৎ এই ধরুণ প্রায় পয়তাল্লিশ বছর। স্টোরী অফ ইন্ডিয়া আমি দেখেছি। ওটা ডকুমেন্টারি বাস্তব আরো সুন্দর। আবার আপনাকে ধন্যবাদ।

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

ম্যাভরিক০৫ বলেছেন: দিদি, বিবিসি এর একটা ডকুমেন্টারি আছে, Story of India. ছয় পর্বের একটা শো, দেখে নিবেন। তাহলে আপনার ভ্রমণ আরো বাস্তবিক হয়ে উঠবে

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৩

রমিত বলেছেন: আপা চমৎকার লিখেছেন। খুব সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়েছেন। জগৎ শেঠ নামক বিশ্বাসঘাতকের বাড়ীর ছবি এই প্রথম দেখলাম। দুর্লভ ছবিগুলো।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনাকে ছবিগুলো দেখাতে পেরে আমিও ধন্য হলুম। হ্যাঁ আমারও মনে হয় জগৎশেঠের নামই অনেকে জানেননা। আপনাকেও আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৫

মাদিহা মৌ বলেছেন: চমৎকার!

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২২

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার নিক নামটি সাথে ছবিটি খুব সুন্দর। পাঠ ও প্রসংসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৪২

বাকি বিল্লাহ বলেছেন: আপনার লেখনীর জন্য সবসময় পোস্টগুলো পড়ে খুব মজা পাই। আফ্রিকা বসে বসে প্রতিদিন চেক করতাম ইউরোপ নিয়ে নতুন নতুন পোস্ট আসেনা কেন..

৩১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: ওমা আপনি আফ্রিকাতে, আর সেখান থেকে পড়ছেন আর মজা পাচ্ছেন! দারুণ আনন্দ পেলুম জেনে। পনেরো বছর আগে আমি পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটা দেশে ছিলুম বছর দেড়েক । ইউরোপ আবার যাব তখন আবার লিখার চেস্টা করব। আপনার আগ্রহ আমাকে অনুপ্রানিত করে, আর পাঠ ও চমৎকার আন্তরিক কথাগুলোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৬| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কবে যাবো জানিনা, তবে আমাকে এসব দেখলতে যেতেই হবে.........ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: কম খরচে বিশ্ব ভ্রমন করতে হলে আপনাকে ভারত যেতেই হবে। আপনাকে আমার আন্তরিক দোয়া শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ।

১৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

সুমন কর বলেছেন: জগন্নাথের মন্দিরের ভেতরে হিন্দু ব্যাতিত অন্য ধর্মালম্বীদেের প্রবেশ নিষেধ। -- তা, আপনারা কিভাবে প্রবেশ করলেন?

তথ্য, ছবি আর ইতিহাস মিলে চমৎকার পোস্ট। খুব ঘুরেছেন, ভালো থাকুন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: এই সেরেছে! গোপন কথাটি ফাঁস করতে হবে! আরে ভাই আমাকে দেখে তো আর কোন ধর্মের তা বোঝা যায় না আর ধরা পড়লেতো তো আমার নাম কিছুক্ষনের জন্য পাল্টাতে কোন অসুবিধে নেই তো। তাছাড়া সনাতন ধর্ম সম্পর্কে আমার জ্ঞান যথেস্ঠ গভীর বলতে পারেন, যে কোন সাধারণ পুরোহিতের চাইতে বেশী, ধরে আটকাতে পারবেনা। তদোপরি আমি সব ধর্মকে আন্তরিকভাবে শ্রদ্ধা করি, ভাল বাসি। প্রসংসার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

সোহাগ সকাল বলেছেন: বর্ণনা সাবলীল। অনেক ভালো লাগলো। তবে করলুম খেলুম বললুমের ব্যবহার অনেকটা ওপারের বাঙলার ভাব এনে দিয়েছে।

আমাদের তাঁরা মসজিদ, বড় কাঁটারা, ছোট কাঁটারার কথাগুলো মনে পড়লে আসলেই আফসোস লাগে।

অনেক শুভ কামনা রইলো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৮

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষন ভাল। বিনয়ের সাথে একটা কথা বলি। আমি যখন বই পড়া শুরু করি ষাট বছর আগে তখনকার আমার প্রিয় লেখকদের মধ্যে ছিলেন শিবরাম চক্রবর্তী সৈয়দ মুজতাবা আলী প্রেমেন্দ্র মিত্র নারায়ন গাঙুলী হেমেন্দ্র কুমার রায় ইত্যাদি। তাঁরা আমার প্রাতঃস্মরণীয় গুরু, অবশ্য তাঁদের শিষ্য হবার মত আধা পয়সা যোগ্যতা আমার নেই। সেই যে তাদের শিষ্য হতে চেস্টার শুরু তার পরিণতি এই লেখার স্টাইল। এখানে ওপার বাংলা এপার বাংলা কোন বিষয় না মনে হয় আমার কাছে।
আমরা দেশ নিয়ে অনেক ভাবাভাবির কথা খালি বলি আসলে বিন্দুমাত্র ভাবি কিনা সন্দেহ। এখানকার যেকোন প্রত্নতত্ববিষয়ক কোন কাজে বা জায়গায় যাবেন? মাথা খারাপ হয়ে যাবে। একেবারে অদক্ষ অলস অকর্মন্য অশিক্ষিত অপদার্থ করাপটেড লোকেরা সব বসে আছে জায়গায় জায়গায়।
তবে আপনার সহজ কথাগুলো আমার খুব ভাল লাগল।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন।

১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:১০

সোহাগ সকাল বলেছেন: সেই হিসেবে ঠিক আছে। আমি বলতে চাচ্ছিলাম ইদানীংকালে আমাদের দেশের লেখকেরা এই স্টাইলে লেখে না তেমন একটা। তাই বুঝতে ভুল হয়েছে। ক্ষমা করবেন।

ঢাকার অতি নিকটে আমাদের নবাবগঞ্জ উপজেলায় কিছু পুরনো বাড়ি আছে। বাড়িগুলো আনসারদের বাসস্থান হিসেবে পরিচিত। কতোটা অযত্নে পরে আছে, দেখলে আফসোস করা ছাড়া উপায় নেই।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: আফসোস এর কারণটা আগেই বলেছি। এদেশের সরকারী অপিসার মানেই....।, বলতে ঘেন্না হয়! পৃথিবীর সবচাইতে অবাসযোগ্য নিকৃস্টতম শহরে আমরা বাস করি। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.