নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

. সোশ্যাল সাইন্সে এম এস এস .ছোটকাল থেকে সাংস্কৃতিক কর্ম কান্ডের সাথে যুক্ত . লেখা লেখি শুরু স্কুল জীবনে . পেশাগত জীবনে সাংবাদিক হলেও ব্লগিং - লেখা লেখি আমার নেশা - ভালোলাগা. যুক্তি -তত্ব -বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানবতার জাগরণই আমার উদ্দেশ্য .

মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ

মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুখতে হবে মৌলবাদ

১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

মৌলবাদী শক্তিকে কেবল রাজনৈতিকভাবে পরাজিত করে-ঊনিশ শ’ একাত্তুরে যেমনটি আমরা করেছিম ।চুড়ান্তভাবে ঠেকাতে হলে তাকে রুখতে হবে বহূমাত্রিকতায় শিক্ষা- অর্থনীতি সংস্কৃতিসহ সব সেক্টরে।
সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠা মাদ্রাশাগুলোতে শিক্ষার নামে যা ছড়ানো হচ্ছে তা মূলত ধর্মাশ্রয়ী কুপমণ্ডুকতা ও অজ্ঞতা। অথচ মৌলবাদের প্রধান আশ্রয় হলো অজ্ঞতা। বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ও নারী শিক্ষার বিস্তার সে অজ্ঞানতা রোধে প্রধান ভূমিকা নিতে পারে। বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনার প্রসার ঘটাবে ও তার লালন মৌলবাদী অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে বর্ম হিসাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্য অর্জনের প্রধান শর্ত হচ্ছে ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে বিযুক্ত করা। মৌলবাদীদের সন্তুষ্ট করার জন্য সরকার যদি একের পর এক ধর্ম পালনের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেয়, তাতে মৌলবাদের ভিত্তি কেবল শক্তই হবে। তাই বৈজ্ঞানিক যুক্তি বিস্তারের মাধ্যমে সর্বাগ্রে আমাদের মৌলবাদী মধ্যযুগীয় ধ্যান-ধারণার অসারতা, অপ্রাঙ্গিকতা-পশ্চাদপদতা ও গণবিমুখতা তুলে ধরতে হবে আম জনগণের কাছে-বিশেষভাবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। সেজন্য একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

মৌলবাদের মূল উৎস যেহেতু ধর্মীয় গোঁড়ামী এবং এ গোঁড়ামীর উর্বরক্ষেত্র যেহেতু অশিক্ষা-কুশিক্ষা, সেহেতু তাকে রুখতে হলে আমাদের সর্বাগ্রে শিক্ষা, বিশেষভাবে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে একই শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় আনতে হবে। ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক করতে হবে এবং ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। একটি স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক কাঠামো, বেকারত্ব দূরীকরণ ও দারিদ্র্য বিমোচন, আইনের শাসন কায়েম, গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূরীকরণ-বিশেষভাবে গ্রামীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়ন-ইত্যাদি আশু পদক্ষেপ মৌলবাদ উত্থানের বিরুদ্ধে বর্ম হিসাবে কাজ করবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, স্রোতস্বিনী নদীতে যেমন কোন শেওলা-শৈবাল জন্মাতে পারে না, তেমনি একটি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক, গণতান্ত্রিক ও উন্নত আর্থ-সামাজিক কাঠামোতে মৌলবাদসহ কোন প্রকার কুসংস্কারের আগাছা শিকড় গাড়তে পারবে না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:১১

এস,এম,সুমন বলেছেন: সাংস্কৃতিক আন্দোলন
গড়ে তোলা ছাড়া কোন
বিকল্প নেই ।আপনার সাথে একমত.....

২| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:১৩

বরফের গরম বলেছেন: বর্তমান পৃথিবীতে ১ নাম্বার ধনী হচ্ছে বিল গেটস বা ওয়ারেন বাফেট এরা। যদিও এদের মধ্যে উঠানামা চলে। এই রকম ধনীদের ব্যাপারে আমার কিছু জানার খুব ইচ্ছা ছিল। যেমন, আমরা মার্কেটে গেলে একটি শার্ট পছন্দ করলাম। দাম ১০ হাজার টাকা। কিন্তু ১০ হাজার টাকা দিয়ে শার্ট কেনার আমার ক্ষমতা নাই। কিনতে পারলাম না। কিন্তু যারা বিশ্বে ১ নাম্বার ধনী, তাদেরও তো পছন্দ অপছন্দ আছে। তারা হয়ত ১০ হাজার টাকা দামের গামছা কিনবে মুখ মুছার জন্য, তাদের শার্ট হবে ২-৪ লক্ষ টাকা। তো, প্রশ্নটা হল, তারা কি পছন্দ হলেই ২-৪ লক্ষ টাকা দিয়ে শার্টটা কিনে ফেলে? নাকি আমাদের মত টাকার অভাবে কিনতে পারে না?

তদ্রুপ, যে সকল মানুষ অধর্মে বিশ্বে ১ নাম্বার, মানে ধর্ম মানে না, তাদের ব্যাপারেও আমার কিছু জানার আগ্রহ আছে। আমরা একটু সমস্যায় পড়লে, বিপদে পড়লে, রোগ শোক হলে আল্লাহকে (অন্য ধর্মীরা ভগবান ইশ্বর ইত্যাদি) ডাকে। তো, যাদের কোনো ধর্ম নাই (উদাহরণ তসলিমা) তারা বিপদে আপদে কাকে ডাকে? জানার খুব ইচ্ছা। কারো বয়স ৭০। হাসপাতালের বেডে মরার অপেক্ষায় আছে। বিভিন্ন ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। তখনো কি তার মনে হয় না যে মরার আগে কেন সে এত কষ্ট পাচ্ছে? কে দিচ্ছে এই কষ্ট?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.