নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

. সোশ্যাল সাইন্সে এম এস এস .ছোটকাল থেকে সাংস্কৃতিক কর্ম কান্ডের সাথে যুক্ত . লেখা লেখি শুরু স্কুল জীবনে . পেশাগত জীবনে সাংবাদিক হলেও ব্লগিং - লেখা লেখি আমার নেশা - ভালোলাগা. যুক্তি -তত্ব -বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানবতার জাগরণই আমার উদ্দেশ্য .

মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ

মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসে দেশজ স্মৃতি

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৫৬

প্রতিটা মানুষেরই কিছু নিজস্ব পছন্দের জায়গা আছে, যাতে মানুষ যেতে চায় জীবনের কোন না কোন সময়, কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে থাকতে চায় আজীবন। আমারও তেমন প্রিয় কিছু জায়গা আছে, যা চোখ বুজেই আমি কল্পনায় আনতে পারি। আমার এমন তিনটি প্রিয় স্থানের বর্ণনা এখানে...
১. দ্বীপঃ চারদিকে ঘন সুনীল জলের মাঝে জেগে ওঠা একটুকরো সবুজ ভূমি, আমার অসম্ভব ভালোলাগার একটি জায়গা। দূরে যতদূরে দৃষ্টি যায়, কেবল সুনীল জল আর নীলে ঢাকা আকাশের মিতালি। এ নির্জন সমুদ্রসৈকতে সাগরের নীল ঢেউ বারেবারে আছড়ে পড়ে। কাকডাকা ভোরে সমুদ্রের মাঝে এ দ্বীপের তীরে হাঁটতে ইচ্ছে করে। কিংবা দিগন্ত বিস্তৃত বালুকাবেলায় সূর্যডোবা প্রহরে হাঁটতে ইচ্ছে করে বহুদূর পর্যন্ত। দেখতে ইচ্ছে করে টকটকে লাল সূর্যের ধীরে ধীরে সাগরের বুকে হারিয়ে যাওয়া। জোস্নালোকিত রাতে দ্বীপে বসে দেখতে ইচ্ছে করে রুপালী জোস্নার আলো সাগরের অথৈ জলরাশিতে!আমি সেই সেন্ট মার্টিনের কথা বলছি!
২. রাস্তাঃ দুপাশেই বৃক্ষশোভিত নির্জন মনোরম রাস্তা আমার আরেকটা ভালোলাগার জায়গা। যে রাস্তার বৃক্ষগুলোতে পাখি ডাকে। লাল হয়ে যায় এর ডালপালা কৃষ্ণচূড়াতে। নির্জন ঘুঘুডাকা দুপুরে এ রাস্তা ধরে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে যতদূরে চোখ যায়। এ রাস্তা শুধুই দুটো চোখ মেলে দেখার, প্রিয়জনের হাত ধরে দূরে হেঁটে যাওয়ার।
৩. গ্রামঃ সবুজ কোন জনপদে গড়ে ওঠা গ্রাম আমার আরেকটা প্রিয় স্থান। যে গ্রামে আছে মস্ত বড় দীঘি। দীঘিতে লাল পদ্মফুল ফুটে থাকে। দীঘির জল শান্ত,গভীর। এরকম দীঘিতে নিজের মুখ দেখতে ইচ্ছে করে। দীঘির জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকতে ইচ্ছে করে। পানকৌড়ি, বক উড়ে যায় দীঘির উপর দিয়ে ডানায় জলের ফোঁটা ফেলে। আরো দেখতে ইচ্ছে করে ঘোর বর্ষায় এই দীঘিতে বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটা। মুষলধারে ঝরা কোন বৃষ্টিমুখর দিনে ছাতা মাথায় দিয়ে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করে সরু মেঠো পথ ধরে। শরতে নদীর ধারে কাশফুলের সমারোহ দেখতে ইচ্ছে করে। এর সচ্ছ নীলাকাশের নীচে দিগন্ত ধরে হাঁটতে ইচ্ছে করে। হেমন্তের গ্রাম খুব আকর্ষণীয়। মাঠে মাঠে হলুদ ধানে নয়ন জুড়িয়ে যায়। কৃষকেরা ফসল কাটাতে ব্যস্ত থাকে। ধান ঝাড়াই, মাড়াই এর কাজ চলতে থাকে। গ্রামের নারী পুরুষের কাছে ফসলের প্রাচুর্য বহূ আকাঙ্ক্ষিত। শালিক, চড়ুই খাবারের সন্ধানে ফসলকাটা মাঠে ঘুরে বেড়ায়। নবান্নের গানে গানে মুখরিত গ্রাম তখন। শীতের গ্রামও আমার খুব প্রিয়। রাতে ঝরে পড়া শিশিরকণাগুলো সকালের রোদে ঘাসের বুকে কিরকম চিকচিক করে দেখতে ইচ্ছে করে। গ্রামের রাস্তার ধারে খেজুরগাছে ঝুলানো হাঁড়িতে রস ঝরে পড়া আর গাছিরা কিভাবে এগুলো সংগ্রহ করে দেখতে ইচ্ছে করে। গ্রীষ্মকালে সন্ধার আঁধারে নির্জন ঝোপঝাড়ে জ্বলতে থাকা জোনাকিগুলো দেখতে ইচ্ছে করে। রাতের আকাশের জ্বলজ্বলে তারাগুলো যেন সমস্ত আকর্ষণ নিয়ে জ্বলতে থাকে দূর আকাশে। এমন রাতে ঘুম পাড়ানি গানের সাথে দুচোখে ঘুম নেমে আসলেও কল্পনায় দেখি আমার সবুজ গ্রামখানি, আমি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ঢেমশার কথা বলছি!যে গ্রামের সাথে আমার অনুপম হৃদ্যতা জন্মসূত্রে মিশে আছে রক্তে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.