নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

. সোশ্যাল সাইন্সে এম এস এস .ছোটকাল থেকে সাংস্কৃতিক কর্ম কান্ডের সাথে যুক্ত . লেখা লেখি শুরু স্কুল জীবনে . পেশাগত জীবনে সাংবাদিক হলেও ব্লগিং - লেখা লেখি আমার নেশা - ভালোলাগা. যুক্তি -তত্ব -বিশ্লেষণের মাধ্যমে মানবতার জাগরণই আমার উদ্দেশ্য .

মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ

মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট হেরে গেল !!!!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৬

২০১৫ সাল বড় বেদনাদায়ক। বিশেষত মুক্তচিন্তক তথা প্রগতিশীল মানুষদের জন্যে। জংগীবাদের দানবিয় উত্থানের বৎসর বলা যায় ২০১৫ । যার প্রেক্ষিতে নিউ ইয়ার উদযাপন করতে পারলনা একটি দেশ। জংগীবাদের কাছে রাষ্ট্র হেরে গেল! কেন এমন হলো তার গভীরে ঢুকতে হবে আমাদের। যতো জংগি কমর্কান্ড দেশে হচ্ছে তার সাথে চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্টতা থাকছেই। তার কারণ কি?
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজি্যক রাজধানী। ভূ- রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় চট্টগ্রাম বাংলাদেশের প্রাণ। চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণ মানে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ। দক্ষিণে সাগর পূর্বে মায়ানমার ভারতের সাথে দীঘর্ দুর্গম পাহাড়ী সীমান্ত। সীমান্তের ওপারে যারা আছে সবাই নিজ নিজ দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী। এশিয়ার বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম। একদিকে সমুদ্রপথে বিশ্ব যোগাযোগের দুয়ার অন্যদিকে সীমান্তবর্তী বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিদের তৎপরতা। চট্টগ্রামজুড়ে বিস্তৃত দুর্গম পাহাড়ী এলাকা। এইসব কারণে মৌলবাদীরা চট্টগ্রামকে বেছে নিতে পারে।
অন্যদিকে ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের অন্যসব এলাকার চেয়ে চট্টগ্রামের মানুষ বেশী ধর্মপ্রিয়। একসময় চট্টগ্রামের নাম ছিল ইসলামাবাদ। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সারা বাংলাদেশে যত মাদ্রাসা আছে তার ৩০ ভাগ চট্টগ্রামে। এরমধ্যে সাতকানিয়া, বাঁশখালীতে সবচেয়ে বেশী। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহত্তম কওমি মাদ্রাসা মাইনুল উলুম হাটহাজারী( হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় অফিস।) পটিয়া মাদ্রাসা এবং লালখান বাজার মাদ্রাসার মতো প্রতিষ্ঠানগুলো চট্টগ্রামে। এছাড়া আরো রয়েছে দুর্গম পাহাড়ে ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র নামে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা টাকায় হাটহাজারী, পটিয়া, লালখান বাজার মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রিত অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামে কওমিদের আবাসস্থান অনেক আগে থেকে। স্বাধীনতাপূর্বে ৭০ এর নির্বাচনে সারাদেশে আওয়ামীলীগ পাশ করলেও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া লোহাগাড়ায় উগ্র কওমিদের সংগঠন নিজাম ইসলাম পার্টি জয়লাভ করে। অতএব চট্টগ্রামে মৌলবাদীদের উত্থান হঠাৎ নয়। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতির চূড়ান্ত রুপ এখন। যেকোন সময় মরণ কামড় দিতে পারে। হেফাজত ইসলাম, মুফতি ইজহারের মাদ্রাসায় বোমা দেশব্যাপী মৌলবাদীদের সাম্প্রতিক তান্ডব সব কিছুই তারই প্রতিধ্বনি। চট্টগ্রামে রয়েছে স্বঘোষিত এমন অনেকেই যারা সরাসরি তালেবান নেতা মোল্লা ওমরদের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছে। মুফতি, ইজহার সুলতান যৌক তাদের অন্যতম, ভাবশিষ্য তো আছেই। তাছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এক বিরাট অংশ কওমি মাদ্রাসাগুলোতে পড়াশুনা করে। তারা জঙ্গি কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত। তাদের না আছে ঘর, না আছে অন্যকিছু মাদ্রাসগুলোই তাদের ঠিকানা। হুজুররা তাদের মাঝে ধর্মীয় উন্মাদনা দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করছে। কওমি মাদ্রাসা মৌলবাদ সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের সাথে কথা বলে এবং প্রশাসন ও সাংবাদিকদের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণে বলা যায়, পরিস্থিতি এত ভয়াবহ যে এই গোষ্ঠী কখনো হরকাতুল জিহাদ, কখনো মুজাহেদিন, কখনো আনসারুল্লাহ বাংলা বহুনামে বহুরূপে , তবে মূল ও কর্তাব্যক্তিরা একই। সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে যেকোনো অঘটন ঘটতে পারে, এতে অন্তত আমি বিস্মিত হবো না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.