নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শঙ্খচিল

রুপন হাবিব রহমান

রুপন হাবিব

রুপন হাবিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফেরা সোহানের জন্য শুভ কামনা

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৮

ভুল মানুষ মাত্রই হয়। েকউ ভুল করে তা বুঝতে পেরে বা স্বীকার করে নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করে। আবার কেউ ভুল করার পর তা বুঝতে পারলেও নিজের সাথে নিজেরই দ্বৈত স্বত্তা অথবা অন্যের সাথে যুক্তি-তর্কে নিজেকে উর্ধ্বে রাখার মানসিকতায় ভুলকেই সঠিক কাজ বা সিদ্ধান্ত বলে চালিয়ে যায়। এরা ইবলিস শয়তানের দোসর। কারণ পবিত্র কোরআন ও বাইবেল মতে, ইবলিস স্রষ্টার আদেশের বিরোধিতা করে ভুল করলেও সে নিজের সিদ্ধান্ত সমুন্নত রাখার জন্য জেদ করে। ফলে সে স্রষ্টার প্রিয়ভাজন থেকে চরম অপ্রিয়ভাজনে পরিণত হয়।
দৈনিক প্রথম আলো'য় প্রকাশিত রোববারের প্রতিবেদন 'সিরিয়ায় গিয়ে ভুল ভাঙ্গল কামরুস সালামের' পড়ে তার প্রতি মনটা সমবেদনায় ভরে গেল। এই ।িভকটিমের পুরো নাম কামরুস সালাম সোহান। পেশাগত জীবনে ছিলেন প্রকৗশলী। অল্প বয়সে পিতাকে হারানোর পর পেশাগত জীবনের শুরুতে মাকেও হারান। দেশের অন্য অনেকের মতো তিনিও ছিলেন ধর্মপ্রাণ। ইন্টারনেটের বদৌলতে ইসলামিক লার্নিং ফোরাম নামে একটি গ্রুপের সাথে যুক্ত হন। সরলমনা সোহানকে পক্ষে টানতে সেই গ্রুপটির বেশী সময় লাগেনি। ডেসকো' প্রকৌশলীর লোভনীয় চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ২০১৪ সালে ১১ ডিসেম্বর সিরিয়ার উদ্দেশ্যে ইস্তাম্বুল গিয়ে পৌঁছান। সেখান থেকে এক সময় সিরিয়ার সরকার বিরোধীদের আস্তানায় চলে যান। এক পর্যায়ে আইএস'র হাতে পড়েন। তাকে সেখানে একটি পাওয়ার স্টেশনের দায়িত্বও দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে আইএস'র নৃশংসতা ও নারীদের যৌন দাসী বানিয়ে রাখাসহ নানা অমানবিক কর্মকান্ড দেখে বুঝতে পারেন- বড্ড ভুল করে ফেলেছেন। তখন আর তার করার কিছুই ছিল না। সুযোগ খোঁজতে থাকেন পালিয়ে আসার।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এক পর্যায়ে ২০১৫ সালে ১৫ মে দেশেও ফিরেন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টায় বিয়েও করেন তার পুরানো প্রেমিকাকে। কিন্তু ১০ দিনের মাথায় সাদা পোশাকের সরকারি লোকজন ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে তাকে তুলে নেয়। ভাগ্য ভালো এখনও তাকে ক্রসফায়ার বা কথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে মেরে ফেলা হয়নি। কি হবে তার ভাগ্যে- স্বাভাবিক জীবনে আদৌ ফেরা কি সম্ভব হবে। এ নিয়ে কারাগারে থেকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিচারের অপেক্ষায় দিন গুণছেন।
আমি দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ধর্মান্ধ-জঙ্গিবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে সরকারের নেওয়া কার্যক্রমের সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি এ কথাও বলে আসছি, জঙ্গিবিরোধী জনসচেতনতা সৃষ্টি করা ছাড়া দেশকে এই অপতৎপরতা থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। সরকারের যদি এমন কোন ভাবনা থাকে তবে কামরুস সালাম সোহানকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিবিরোধী জনসচেতনতা গড়ে তুলতে পারে। এতে তার মতো তরুণ যারা ইতোমধ্যে বখে গেছে অথবা জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে আছে, তাদেরকে নিউট্রলাইজ করা সম্ভব হবে। অনেকে হয়ত অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসার সুযোগ পাবে।
জঙ্গিবাদের কালো থাবা থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ সর্বাবস্থায় নিরাপদে থাকুক-এই কামনাই করছি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দয়া দেখিয়ে কোন লাভ নেই।
কালসাপ। সিরিয়াতে ওদের পতন আসন্ন জেনেই তাকে দেশে চলে আসতে বলা। এখন সুযোগ পেলে ইসলামের প্রয়োজনে নিজের বাপের গলায় ছুরি ধরতেও দ্বিধা করবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.