নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান সত্ত্বেও দেশে জঙ্গিদের তৎপরতা থেমে নেই। ৭ মার্চ কুমিল্লার চান্দিনায় পুলিশকে লক্ষ্য করে দুই জঙ্গির ৫টি গ্রেনেড বিস্ফোরন ঘটিয়ে জানান দেয়, তারা থেমে নেই। দেশে আবারও নাশকতা ঘটানোর জন্য তাদের প্রস্তুতির কমতি নেই।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বাসে করে তারা যাচ্ছিল। সাথে নিয়ে যাচ্ছিল দুটি স্কুল ব্যাগ ভর্তি গ্রেনেড। পুলিশ ধারণা করছে, এগুলো ঢাকায় কোথাও ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ভাগ্যিস তল্লাসী চৌকির পুলিশ বাস আটকে সন্দেহভাজন যাত্রীদের মালামাল তল্লাসী করছিল। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে দুই জঙ্গি বাস থেকে নেমে দ্রুত পাশবর্তী ধানক্ষেত দিয়ে নেমে দৌড়ে পালাতে চায়। পুলিশ পিছু ধাওয়া করলে তাদের দিকে গ্রেনেড ছুড়ে মারে। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের ভাগ্য ভালো যে গ্রেনেডগুলো নরম মাটিতে পড়ায় বিস্ফোরিত হয়নি। পরে পুলিশ এলাকাবাসীর সহায়তায় জসিম উদ্দিন ও হাসান নামে দু'জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল জানিয়েছে, এগুলো জঙ্গিদের আগের ব্যবহার করা গ্রেনেডের চেয়ে ২/৩ গুণ শক্তিশালী।
এর আগে ৬ মার্চ বিকেলে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় প্রিজন ভ্যান লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ঢাকার টঙ্গিতে একজনকে আটক করা হয়। মুফতি হান্নানসহ কয়েকজন জঙ্গিকে ঐদিন ঢাকার একটি আদালতে অন্য একটি মামলায় হাজির করিয়ে কাশিমপুর কারাগারে ফেরত নেওয়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হলেও পুলিশের বিশ্বাস ঐ সময় আশপাশে অন্য জঙ্গিরা ওৎ পেতে ছিল। হয়ত পরিকল্পিত সুযোগ না আসায় তারা আর সেসময় সামনে না এসে নিরাপদে সরে যায়। এছাড়া, কারাগার থেকে মুফতি হান্নানসহ জঙ্গিদের পালানোরও একটি পরিকল্পনা কারা পুলিশ মাস খানেক আগে নস্যাৎ করে দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। ডিসেম্বরেরর শেষ দিকে এমন পরিকল্পনার কথা জানতে পেরে গোয়েন্দারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। এমন খবরের ভিত্তিতেই না-কি ২২ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ ঢাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে আবু বক্কর সিদ্দিক মহমুদ ওরফে আল হাদি, জাভেদ হোসাইন ও সালেহ আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসব ঘটনায় অনেকেই আশংকা করছেন দেশে আবারও হয়ত জঙ্গিরা নাশকতা চালানোর প্রস্ততি নিচ্ছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি শান্তিপ্রিয় জনগণকেও এ সম্পর্কে সচেতন থকতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৪৫
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: জঙ্গিদের ধরার কোনো প্রয়োজন মনে করিনা। এদের দেখামাত্র গুলি করা না হলে কমবে না এমন জঘন্য জঙ্গিবাদী। এদের বড় চিকিৎসা হচ্ছে ডাইরেক্ট ক্রসফায়ার।