নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ত্রাস। যেখানেই, যে পদ্ধতিতেই হোক না কেন- তা মানবতার বিরুদ্ধেই অপরাধ। আর যে বা যারা এর সাথে জড়িত, তারা মানবতার শত্রু। স্পেনের বার্সিলোনার পর্যটন কেন্দ্র র্যামব্লাসে গত ১৭ আগস্ট ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ওপর দিয়ে ভ্যান গাড়ি চালিয়ে দিয়ে অন্তত ১৩ জনকে হত্যা এবং শতাধিক মানুষকে আহত করার ঘটনায় স্পেন সরকার তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে। হতাহতরা ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও চীনসহ ৩৪টি দেশের নাগরিক। এ বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমার হৃদয়েও রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ঘটনার শিকার হতাহতদের শোকাহত স্বজনদের মনোবেদনায়, আমরাও সমব্যাথি। দায়ি ব্যাক্তিদের েখাঁজে বের করতে স্পেন সরকারের প্রচেষ্টা দ্রুত সফলতার পাক এবং দ্রুতই অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হোক-একজন বিশ্ব নাগরিক হিসাবে সে দাবি আমাদের।
স্পেনের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঐ হামলার পরিকল্পনা খুবই ভয়াবহ এবং ব্যাপক ছিল। বার্সিলোনার পর্যটন কেন্দ্র র্যামব্লাসে হামলার আট ঘন্টা পর সমূদ্র তীরবর্তী ক্যামব্রিলস শহরেও একই ধরনের আরেকটি হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। একই কায়দায় মানুষের ভীড়ে ভ্যান গাড়ি তুলে দেওয়ার অপচেষ্টা চালানোর সময়ই স্থানীয় পুলিশ তা ঠেকিয়ে দিতে পেরেছে। এতে একজন সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হলেও পাঁচ হামলাকারীকে খতম করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে অনেক মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে। েস্পনিস পুলিশ হামলাকারীদের নাম ঠিকানা এখনও প্রকাশ না করলেও র্যামব্লাসের ভয়াবহ হামলার পর পালিয়ে যাওয়া ভ্যান চালকের বড় ভাইকে গ্রেফতার করেছে। অবশ্য কিছু সংবাদ মাধ্যম বলছে, েগ্রফতারকৃত ঐ ব্যক্তি মরোক্ক’র বংশোদ্ভুত এবং সে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে।
ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী হামলার মত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী হামলার আশংকায় এখন বিশ্বের অপর প্রান্তের ছোট দ্বীপ গোয়ামের মানুষ চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। নব্য পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার হামলার আশংকায় যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত/শাসিত সৌন্দয্যের লীলাভূমি এই দ্বীপের জনগণ গত এক মাস ধরে উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৫৪০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই প্রবাল দ্বীপে ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের বাস, যার অধিকাংশই আদিবাসী চামোরো। প্রতিবছর ১৩ লাখের বেশী পর্যটক বেড়াতে যান। তারা সেখানে যান গোয়ামের নীল সৌন্দর্য্য, প্রবাল, ঝরনা, নয়নাভিরাম সৈকতের সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে। তারচেয়েও বড় কথা সেখনকার আদিবাসী চামোরো’র লোকজনের আতিথেয়তায় মুগ্ধ পর্যটকরা বারবার সেখানে যেতে চান। দৈনিক প্রথম আলো’য় অনুবাদিত শ্যানন জে মার্ফি নামে গোয়ামের একজন সাংবাদিকের লেখা পড়ে জানা যায়, প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাঞ্চলে ছোট দ্বীপ গোয়াম যুগ যুগ ধরে ভৌগলিকভাবে খুবই কৌশলগত। বর্তমানের মত সে সময়ও সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সামরিক ঘাঁটি ছিল। শ্যানন জে মাফি’র ভাষায় †সখানে বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৪১ সালের মত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন যুক্তরাষ্ট্র তেমন কোন প্রতিরোধ ছাড়াই জাপানীদের ভয়ে তাদের প্রায় সকল সৈন্য সরিয়ে নিয়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকের দুই বছরে গোয়ামে জাপানী সৈন্যদের হাতে চামোরোরা ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হন এবং তাদের সহস্রাধিক লোক নিহত হয়। বর্তমান যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলায় স্থানীয় অধিবাসীদের মনে ৭৫ বছরের আগের স্মৃতির কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজে প্রকাশ, উত্তর কোরিয়া গোয়ামে হামলা করলে গোয়ামে ৩ হাজার ৮৩১ জন মার্কিন নাগরিক/সেনা আক্রান্ত হবে। মিডিয়াটি দ্বীপের ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের কথা সেখানে উল্লেখই করেনি। অথচ শাসনতান্ত্রিকভাকে গোয়ামের অধিবাসী সবাই মার্কিন নাগরিক। তাই শান্তিপ্রিয় বিশ্ববাসীর সাথে আমাদেরও প্রশ্ন আদিবাদী চামোরোরা কি তাহলে মানুষ নয়? দুই বালক েপ্রসিডেন্টের মানসিক অসুস্থতার বলি কি তারা হতে যাচ্ছেন? সম্মিলিত বিশ্ব বিবেক কি পারে না গোয়ামবাসীকে স্বস্তি দিতে?
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আরবেরা ক্রমেই আরো বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে