নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের বৃহত্তম বিরোধী দল বিহীন সাধারন নির্বাচনের চার বছর পেরিয়ে গেছে। সরকার বিরোধী দলের প্রথম দিকের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে এখন অনেকটা নির্ভার। একবছরের মধ্যে নতুন নির্বাচনের বিতরণী পাড়ি দেওয়ার কলা কৌশল ঠিক করতে ব্যস্ত।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর পরের তিন মাস এবং আগের তিন মাসের আন্দোলন ও জাঁলাও পোড়াও কার্যক্রম শেষে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল এতটাই ক্লান্ত যে তারা একটা প্রতিবাদ সভা পর্যন্ত করার শক্তি হারিয়েছে। তাই ঘোষণা দেওয়া সত্তেও তারা ভোটারবিহীন নির্বাচনের বছর পূতির প্রতিবাদ সমাবেশ করতে এ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে। আজও বিএনপি সোহারওয়াদী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চেয়েও পায়নি। সেখানে অনুমতি পেয়েছে অখ্যাত ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি। আইন মেনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট কিছু করতে পারছে না। আইন অমান্য করেও কোন কিছু করতে পারবে না। তাহলে তাদের করনীয় কি? তা কি কেউ বলতে পারবে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পূর্বে এবং ঠিক পরে বলেছিল সংবিধান রক্ষার জন্য এই নির্বাচন। যত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল দলের অংশগ্রহণে নতুন নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। কিন্তু মাত্র তিনমাস পর বিরোধী দল যখন আন্দোলনের শক্তি হারিয়ে ফেলে সরকার তখন সুর পাল্টিয়ে বলতে থাকে ভোট পাঁচ বছরের জন্য হয়েছিল, মেয়াদ পূরণ হওয়ার পরই নতুন নির্বাচন। এ যেন গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকার আগের দিনের নবাবী স্টাইল।
গণতন্ত্র হলো জনগণের মতামতের ভিত্তিতে জনগণের পছন্দের সরকার। যারা জনমতকে সম্মান দেখাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে। একইসাথে বিরোধী মতের সাথে একমত না হলেও সম্মান দেখাবে। বাংলাদেশে এটি কখনই দেখা যায়নি। সর্বক্ষেত্রেই দেখা গেছে, ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার প্রবণতা। বর্তমানে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ডান্ডার জোরের উপরই সরকার দাঁড়িয়ে আছে। তাই গুম, খুন এখন নিত্তদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু সরকারের সমালোচনা ও ভিন্ন মত পোষনের কারনে গত দুই বছরে সহস্রাধিক মানুষকে গুম-খুনের শিকার হতে হয়েছে। কিন্তু একটি কথা সরকারের মনে রাখা উচিৎ, দেশে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক ধারা ক্ষুন্ন হলে চরমপন্থার উদ্ভব ঘটতে বাধ্য। বাংলাদেশের পেক্ষাপটে এটা আরও বেশী প্রযোজ্য। মৌলবাদের সুপ্তবীজ গণতান্ত্রিক ধারার ত্রুটি বিচ্যুতির ফাঁক গলে বেরিয়ে এসে মোটাতাজা হয় এবং এক সময় সমাজ রাস্ট্রের প্রচলিত ধ্যান-ধারনা, নৈতিকতাবোধকে বিনষ্ট করে ফেলে। সমাজ ও রাষ্ট্র হয়ে পড়ে বিপন্ন-বিপর্যস্ত। তখন গণতন্ত্রের বুলি আওড়ানো দলগুলোর আর করার কিছুই থাকে না।
আমার বিশ্বাস, আমাদের দেশে লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন কিংবা আফগানিস্তানের মত পরিস্তিতির তৈরি হোক তা কোন সুস্থ মস্তিস্কের মানুষই চাইবে না। আমাদের রাজনীতিবিদদের মনে শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। - লেখক : সাংবাদিক
২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি যা লেখেন, সেটা পড়লে নিজে বুঝেন?
৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬
পবন সরকার বলেছেন: আপনি একই লেখা পরপর তিনবার পোষ্ট করেছেন, এটা ঠিক না। একটি লেখা প্রথম পাতা থেকে সরে গেলে আরেকটি লেখা পোষ্ট করার নিয়ম।
৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:১৬
আবু তালেব শেখ বলেছেন: যাদের কোন শক্তিশালী সংগঠন একতা নেই, নেই ঠিক ভাবে আন্দোলনের রুপরেখা তাদের ক্ষমতার আশা করা অর্থহীন। দু বার পোস্ট হয়েছে ঠিক করুন
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
হাফিজ রাহমান বলেছেন: মহোদয় ! মৌলবাদ জিনিসটা কি ? এতে মন্দত্বের দিকগুলো কি ? একটু বলবেন কি ?