নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সদা সত্য কথা বলিব।

হ্যািপ ভুঁইয়া

হ্যািপ ভুঁইয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংক হিসাবের ওপর আবগারি শুল্ক ও ব্যাংকবিমুখতা!

০৩ রা জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫১

আবগারি শুল্ক করা হয় কোনো খারাপ অভ্যাস থেকে বিরত রাখার জন্য। সিগারেট, মদ এসব পণ্যে করা যেতে পারে। আবগারি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে ব্যাংক হিসাবের ওপর। মনে হচ্ছে ব্যাংকে টাকা রাখার প্রয়োজন নেই। এর পুরো প্রভাব পড়বে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত গ্রাহকদের ওপর। এর ফলে জনগণ ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়বে। বলা হচ্ছিল আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানো হবে, ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন বাড়বে। অথচ আবগারি কর বাড়ানোর এমন সিদ্ধান্ত তো পুরো উল্টো হবে। গ্রামেগঞ্জে নতুন করে সমিতি গড়ে উঠবে, সেখানেই চলে যাবে সব টাকা।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও সুইজারল্যান্ডেও কোথাও ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি কর নেই। ভারতে ব্যাংক আমানতের ওপর সুদ হিসেবে বছরে যদি ১০ হাজার রুপি আয় হয়, তবেই তার ওপর কর প্রযোজ্য হয়। যুক্তরাষ্ট্রে আয় হওয়া সুদের ওপর আয়কর আছে, আমানতের ওপর কোনো কর নেই।
আমাদের অর্থমন্ত্রী রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য যে সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ব্যাংক আমানতের ওপর আবগারি কর আরোপ করেছেন, সেই ধারণাটি কোত্থেকে এল, সেটাই একটি বড় প্রশ্ন। পৃথিবীর আর কোনো দেশে ব্যাংকে আমানত রাখাকে পাপ হিসেবে গণ্য করা হয় কিংবা জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকবিমুখ করতে কর আরোপ করা হয়, তা আমাদের জানা নেই।
এমনিতেই বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে গ্রাহকদের ওপর নানা অজুহাতে নানা ধরনের খরচের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়। লেজার ফি, ব্যাংক কার্ড ফি, চেক বইয়ের ফি ইত্যাদি নানা বিষয়ের জন্য ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিবছর টাকা আদায় করে। অথচ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই এগুলোর জন্য আলাদা কোনো মাশুল নেই। গ্রাহকের আমানত বিনিয়োগ করে ব্যাংক যা আয় করে, সেখান থেকেই তাদের এসব খরচ মেটানোর কথা। কিন্তু ব্যাংক পরিচালকদের সঙ্গে এক অদ্ভুত বোঝাপড়ার কারণে এগুলোর ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নজর নেই। ব্যাংকে আমানত রাখার জন্য অন্যান্য দেশে যেখানে নানা ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হয়, সেখানে বাংলাদেশে ঘটে তার উল্টো।
সরকারের বিভিন্ন সঞ্চয়পত্রকে যাঁরা ভরসা মেনেছিলেন, সুদের হার কমানোর কারণে তাঁরাও দিন দিন আশাহত হচ্ছেন। সরকারি চাকুরে ছাড়া অন্য পেশাজীবীদের পেনশন-সুবিধা না থাকার কারণে ব্যাংকে আমানত রাখার তেমন কোনো বিকল্প নেই।
অথচ একদিকে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর রাজনৈতিক প্রভাবাধীন অনাচার, অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকে জবাবদিহি অবসানের এসব করুণ চিত্র ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্টের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু তার মধ্যেই কর ব্যবস্থায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, যা মানুষকে ব্যাংকবিমুখ করবে, সেটিই তো স্বাভাবিক।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালী ইহুদী মুহিত সাধারণ মুদি দোকান করেও জীবন ধারণ করতে অপারগ হতো, সরকারী চাকুরী পেতে ভালোই থাকলো।

২| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: অন্য দেশের সাথে বাংলাদেশের তুলনা দিয়ে লাভ নেই। আমরা সব কিছুতেই তাদের থেকে আলাদা। (খারাপ অর্থে)

৩| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

বিজন রয় বলেছেন: আমার টাকা নাই, তাই ওসব চিন্তাও নাই।

হা হা হা ................

৪| ১৫ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:১০

দেলোয়ার সুমন বলেছেন: আহারে আবাল মাল X((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.