নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাসান রাব্বি

সময়ে অসময়ে পরিবর্তনশীল।

হাসান রাব্বি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হতাশাকে না বলুন।থাকুন প্রাণোচ্ছল।

১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬

আমাদের মনোজগতে কখনোই যেন স্থান না পায় হতাশার আঁশ।কখনো আমরা যেন মনে না করি-আমরা হেরে গেছি।মনোজগতের কার্যাকলাপ বড় অদ্ভূত।অন্তর যা একবার কিঞ্চিত পরিমান ধারণ করে।অন্তরলোকে তা শত শত সেল তৈরী করে দীর্ঘকাল ব্যাপী জীবিত থাকতে চায়।ভাইরাসেরর মত হতাশা(ডিপ্রেশন),আত্মনিমজ্জন মানব মনে ব্যাধির সৃষ্টি করে।এসব ব্যাধির প্রভাবে আমরা পশ্চাদপদ হতে শুরু করি।আমরা ক্রমাগত মূলস্রোতে হতে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করি।নিমজ্জিত হই অতল থেকে অতলে।। চাওয়া এবং না পাওয়ার পার্থক্যের মাঝে সৃষ্ট অবস্থা হচ্ছে হতাশা।মানব জীবনব্যাপী এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়।এমন হওয়াটা প্রাকৃতিক নিয়ম।কিন্তু, সৃষ্ট এ অবস্থা যেন আমাদের প্রবাহিত সময়কে আঁকড়ে ধরতে না পারে।সেদিকে আমাদের অবশ্যই নজর রাখতে হবে।আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে,এমন অবস্থা থেকে উত্তরণে জন্য।যে কারণে হতাশার সৃষ্টি হয়।সেই কারণগুরো উৎঘাটন করা অবশ্যই জরুরী।নইতো আমাদের বসবাস করতে হবে হতাশা নামক ব্যাধিকে সঙ্গী করে।যা কখনোই আমাদের আলোর পথে পরিচালিত করবে না।হতাশায় ভুগতে ভুগতে এক সময় আপনি হারিয়ে যাবেন হতাশ কৃষ্ণগহ্বরে।যা থেকে আপনার কৃশকায় কঙ্কালসম আত্মা খুঁজে পাওয়া দূষ্কর হয়ে পড়বে।যে আপনি একসময় মাতিয়ে রাখতেন চতুর্দিক,হয়ত হতাশায় ভুগতে ভুগতে আপনারর স্থান হয়ে যাবে বিশাল হলরুমের অন্ধকার কোণে কিংবা আপনার অনুপস্থিত হয়ে পড়বেন সর্বসাধারনের মাঝে।আপনি নিজেকে লুকাতে লুকাতে,অন্ধকার কুঠুরির মাঝে বন্দি হতে হতে একসময় আপনার আত্মনিজ্জনও ঘটে যেতে পারে।আপনার সম্মুখে।অথচ,আপনি হয়ত টেরও পাবেন না।কি থেকে কি হয়ে যাবেন আপনি।
আপনি আমি আমরা সবাই জানি।অধিকাংশ মানুষ চাইবেনা আপনার নিমজ্জন দূরীভূত হোক।মানুষ মাত্রই স্বার্থানেষী।তাই আপনি ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বেই সচেতন হোন।নইতো আপনার নিমজ্জনে কেউ না কেউ আপনার স্থান অধিকার করে নিবে স্বর্ণোজ্জল মঞ্চে।
কিছু কিছু মানুষ হতাশা থেকে উত্তরণের জন্য অজান্তে ভুল পথ বেছে নেয়।যা তাদের উত্তরণ তো করে না।বরং টেনে নিয়ে যায় নিঃশেষের পথে।কেউ কেউ হতাশা থেকে বাঁচার জন্য মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।মাদক কোন কালে কখনোই কোন সমস্যার সমাধান করতে পারে না।মাদক সাময়িক আপনাকে ভুলিয়ে রাখতে পারে যাবতীয় বিষয়াদি থেকে।কিন্তু,একসময় সেটাই আপনাকে আঁকড়ে ধরবে আবার।বিষের ব্যাথা যদি বিষেই দূরীভূত হোত।তবে বিষ হোত উপাদেয় আহার্য।আমাদের অবশ্যই হতাশা থেকে উত্তরণের জন্য মাদক গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আবার কেউ কেউ হতাশা থেকে উত্তরণের জন্য নিষিদ্ধ কিংবা মিথ্যে সঙ্গীর আশ্রয় নেয়।এটাও আপনাকে ক্রমাগত শূন্যের দিকে নিয়ে যাবে।যার মর্মার্থ ছাই ছাড়া কিছু অবশিষ্ট থাকবে না।এ পথে ভ্রমন থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে।
হতাশা উত্তরণের প্রয়োজনে আপনি বইয়ের সাগরে ডুব দিতে পারেন।বলা হয়-বই মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু।আপনি পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পারেন কিংবা সবাইকে নিয়ে কোথায় বেড়িয়ে আসতে পারেন।আপনি মেডিটেশন করতে পারেন।মেডিটেশন আমাদের দৈহিক ও শারিরিক উৎকর্ষ ঘটাতে বেশ বৃহৎ ভূমিকা রাখে।সাময়িক হতাশা থেকে উত্তরণের জন্য আপনি গান শুনতে পারেন কিংবা মুভি দেখতে পারেন।আপনি যদি স্রষ্টা বিশ্বাসী হোন।তবে প্রার্থনা কিংবা উপাসনায় মত্ত হতে পাবেন।নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারেন।হতাশা কখনোই ব্যস্ত মানৃুষদের আক্রান্ত করতে পারে না।গবেষণায় দেখা গেছে-কালো আঙ্গুরে এক ধরনের পদার্থ আছে।যা হতাশা দূর করতে সহায়তা করে।তাই কালো আঙ্গুর খেতে পারেন।
আমাদের পরিচয় যেন না হতাশাবাদীদের কাতারে।আমরা বেঁচে থাকি প্রাণোচ্ছল সবুজ পৃথিবীতে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.