নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাছাকথা কমু

হাসনাইন হাসনাত

আমি ভাই সাদাসিদে মানুষ; হাছা কথা কই । আম্মুয়ে শেখাইছে মেয়েদের সম্মান করতেহয় সবসময়। তাই ই অভ্যাসে পরিনত হয়েগেছে। আর রাজনীতি- সেটা একটু একটু বুঝি। ভালো ও লাগে মোটামুটি। যাই হোক, সবই ঠিকঠাক চলে শুধুমাত্র খাওয়া-দাওয়া ছাড়া ।

হাসনাইন হাসনাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহি....

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

চোর নিজেই নিজের আইকিউ টেস্ট করে। ধরুন আম্মু আব্বুর সাথে বিভিন্ন বিষয়নিয়ে কথা বলছে। দুজনই একই পদে চাকরী করারা কারনে,তাদের মাঝে অফিসিয়াল বিষয় নিয়েই আলাপ হয় বেষিরভাগ সময়। ধরুন আজও তাই চলছে। চোর বাসায় থাকাকালীন সময় ফোনেই ব্যাস্ত থাকে বেশীরভাগ সময়।অবশ্য ফোনে বিজি থাকলে একটা উপকার ও আছে- অনেক গালিগালাজ চলাকালীন কানের মধ্যে হেডফোন ঢুকিয়ে রাখে চোর। তাতে আব্বু মনেকরে চোর বুঝি এবার একটু শুধরাবে।কিন্তু চোরতো ক্লোজার গানের অডিও ভার্সন ফুলসাউন্ডে শুনছে।আব্বুর বকাঝকা চলছে বুঝাযায় ঠিকই,কিন্তু কানে আসেনা।

যাইহোক, আম্মু আব্বুর গল্পের মাঝে আম্মু একটা টপিকস তুল্লো-যেটা পাশের রুমে শুয়েথাকা চোরের কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনেহলো।
ব্যাস চোর এবার তার ফোনেই কয়েকটা শব্দ লিখেরাখে।যেমন ধরুন,আম্মু বলছে-আজ স্কুলের কাছে অমুকদের বাসায় গেছিলাম....এমন যেকোনো একটা টপিক আনে যেটা নিয়ে এখন আম্মু গল্প করতে চায়।সাথে সাথে চোর তার ফোনে লিখে ফেল্লোঃ
সেই বাসার সুন্দর্য>সুন্দর্যের পেছনে সেই বাসার পুত্রবধুর অবদান>সেই বাসার বউয়ের পারিবারিক অবস্থা>পক্ষান্তরে আম্মুর বাসার অবস্থান>আম্মুর পুত্রবধুর দোষ>আম্মুর পুত্রবধুর পারিবারিক অসচ্ছলতা>আম্মুর বোনের মেয়েটার গুণ>সর্বোশেষ চোরের ব্যার্থতা....

এরকম এরো মার্ক দিয়ে নিজের স্মার্টফোনের নোটপ্যাডে অগ্রিম লিখেনেয় চোর। এদিকে আম্মুর টপিক চলছে। চোর যখন শেষ পয়েন্টটা লিখছে, ততক্ষনে চোরের লিখেরাখা প্রথম পয়েন্ট পর্যন্ত আম্মু অলরেডি চলেআসছে। চোরের আইকিউ গেমটা এরকমই। চোর তার আইকিউ গেমে নিজে নিজে জিতে,নিজেই কল্পনায় উল্লাস করবে।চোরের এসব মজাকরার বিষয়গুলো চোর নিজে ছাড়া পৃথিবীর কেউ ই জানেনা। এটাই চোরের মজা।
এমন অসংখ্য ভার্চুয়াল বিষয়নিয়ে মজাকরে চোর।

আম্মুকেই দরজা খুলতে ফোন করার কারন দুইটি।
১,বেশিরভাগ সময়ই আব্বু কাগজপত্র নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।
২,আম্মু নিজেই খুলতে আগ্রহী, যেই কারনটা আগের ব্লোগটিতে বলছিলাম।

আজ পিচ্চিটা রাতেও বাসায় থাকার কারনে আম্মুকে দরজা খুলতে হয়নাই। চোরতো চোরই! চোরের মতোই রুমে ঢুকে পাঞ্জাবী টুপি খুলে খাবারের অনুসন্ধান। বাসায় দৈনিক একবারই রান্না হওয়ায় রাতে পান্তাভাত থাকে দুইভাগে। একভাগ গতোকাল সকালে রান্নাকরা, আরেকভাগ আজ সকালে রান্নাকরা। গতোকাল সকালে রান্নাকরা ভাতের সাথে, একটু বাসি বা লেবুস্বাদের দুই তিন টুকরা তরকারী ভাগ্যে জুটলেই চোরের রাতের খাবার হয়েযায়। সাইট্রিক এসিড স্বাদের তরকারী না জুটলেও সমস্যা নাই। মাঝেমাঝে ক্ষুধাটা একটু বেশী থাকলে একটা ডিম ভেজেনেয় সে।আবার মাঝেমাঝে পান্তাভাত ও থাকেনা।কারন সবার পরে খাবার খায় সে।

আজও খাবারের কাছে যেতেই আম্মু বল্লো পিঠাও আছে বাটির মধ্যে বরাপিঠা।চোর আজ বিশাল খুশি।পিঠা তার খুবই প্রিয়। বাটিতে পিঠা আছে মোট ৭টি। রাতে ভাত নাখেয়ে পিঠা খেয়ে থাকতে চাইলে নুন্যতম ১২থেকে ১৫টি পিঠা খাওয়া লাগবে তার। সেখানে ৭টি লিগ্যাল সাইজের বরাপিঠা নিয়েই চোর যখন রাতের খাবার শুরুকরে মাত্র একটা পিঠায় ই কামড় দিলো মাত্র, ঠিক তখবই আম্মু বল্লো-দুইটা বরা রাখিস।।। আম্মুর প্রস্থানের পর চোর পিঠার বাটিটা রেখে প্লেটে গতোকালের একমুঠো পান্তা আর পাতিলে রয়েযাওয়া সাইট্রিক স্বাদের একচিমটি ডাল নিয়ে খাওয়া শুরু করলো। উদ্দেশ্য-একমুঠো ভাত খাওয়ার পর লিগ্যাল সাইজের ৫টা বরাপিঠায় রাতের অর্ধানাহারি খাবারটা চলবে।

বরাপিঠার ইতিহাসে আসাযাকঃআজ দুপুরে পর্যাপ্ত রোদের মধ্যে চোরকে পাঠাইছিলো তেল আর চিনি আনতে। উদ্দেশ্য- বরাপিঠা বানানো। আম্মু তার জামাইবাড়ি যাবে আজ। বড়ো কড়াইয়ের এক কড়াই পিঠা হতে যেই কয়টা পিঠা একটু পুরেগেছে,সেগুলোই বাটিতে তুলেরাখা।বাকিগুলো একটা বড়ো স্টিলের বলে রেখে, আরেকটা স্টিলের বল দিয়ে ঢেকে মিটসেফের মধ্যে আটকানো।

যাইহোক,চোর পিঠার বাটিটা নিয়ে রুমে চলেযাওয়ার পথেই আম্মুর সামনে।আম্মু সেখানথেকে ৩টা পিঠা রেখেদিলো।উদ্দেশ্য আব্বুকে খেতেদিবে।আব্বু আগে খাওয়ার কারনে এখন আর খাবেনা বলে এটাও বল্লো- হাসনার (তার মেয়ে) জন্য নিয়েযাও।হাসনা ই একমাত্র ভালো সন্তান তার।ইত্যাদি ইত্যাদি.,,,

(চলবে,,,)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.