নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসমাপ্ত অধ্যায়

জন্ম নিয়েছিলাম আমার মায়ের মত একজন মানুষের গর্ভে,সেই সূত্রে হয়তোবা আমিও মানুষ। কিন্তু আমার অবুঝতা কাটবার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজ থেকে মানুষ হবার। সাধারণ আমি আর এই সাধারনের মাঝেই খুঁজে বের করার চেস্টা করি অসাধারন কিছু। সোজা সাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করি। আমি প্রচন্ড বাস্তববাদী একজন পাবলিক। আবেগের ধার খুব কমই ধারি।

অসমাপ্ত অধ্যায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী দিবস !!

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৯

মাইকে বক্তারা "নারী দিবস" নিয়ে, "নারীর অধিকার" নিয়ে কথা বলে গলা ফাটিয়ে দিচ্ছেন।

এদিকে মেয়েটি এখনো লোকাল বাসটির জন্য দাড়িয়ে আছে। আশেপাশের মানুষগুলো একটি বারের জন্যও বলছে না "আপা আপনি আগে উঠুন"। হেলপারের কাছে আকুতি মিনতি করেও লাভ হচ্ছে না। কতো করে বলছে "আমি দাড়িয়ে যাবো, আমাকে নিয়ে যাও", কে শুনে কার কথা !! মানুষের স্রোতে ১৩ নাম্বার বাসটিও মিস। আজও অফিসে যেতে লেট।

বাসে উঠার পর যে শান্তি মিলবে সে গ্যারান্টিও নেই। নারীর জন্য "সংরক্ষিত আসন"এ সিট পাবার জন্যেও তাকে কিছু প্রতিবন্ধীর সাথে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হতে হবে। আর দাড়িয়ে থাকলে গুটি কয়েক নর পশুর ছোবল মারা হাতের আতংক তো আছেই। মনে পড়তেই মেয়েটির শরীরের লোমগুলো দাড়িয়ে যাচ্ছে।

ওদিকে জোড় করতালি হচ্ছে। সুশীল ব্যাক্তিবর্গ তাদের মুখের কথা দিয়েই নারীর অধিকার, শান্তি ফিরিয়ে এনেছেন।

শেষ পর্যন্ত মেয়েটি বাস পেয়েছে। যথারীতি সংরক্ষিত আসনের সিট আজও পাওয়া যায়নি। লোকটি ব্যস্ত তার মোবাইল নিয়ে, নারী সিটে বসে ফেবুতে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন--

"সবাইকে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের শুভেচ্ছা"

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৮

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: আর এটাই হচ্ছে বাস্তবতা,
কার ও জন্যে আলাদা দিবস চাই না,,
সবাই বাঁচুক তার পাপ্য, নিশ্চিত অধিকার নিয়ে...

নারী অধিকার নিয়ে আমার পোস্টটা পড়ে দেখবেন...
পোস্ট লিংক.

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬

ধূলো জমা চিঠি বলেছেন: মাইকে গলা ফাটিয়ে কি আর নারী সন্মান রক্ষা করা যায়, মনুষ্যত্ব বোধ যদি না জাগে। লিখেই বা লাভ কি। আজ পড়বে কাল ভুলে যাবে। আর যে সকল পুরুষ যারা ফ্যামিলি থেকেই শিক্ষা পেয়েছে নারী কে সন্মান করার এক মাত্র তারাই পারে নারীকে শ্রদ্ধা এবং সন্মান জানাতে। একজন পুরুষের চেয়ে নারীই নারীকে অসন্মান করে বেশি। হিংসাও করে বেশি। যে সব নারীরা নারী নিয়ে ব্যক্তিতা দেয়, লিখে ফাটিয়ে ফেলে ওরাই আরেক নারীকে তার ঊর্ধ্বে কোন নারী চলে যাবে তা কখনই বরদাশত করবে না। এ সমাজে কিছু নারী সব মুখ বুঝে সয়ে নেন, এমন কি স্বামীর ভাগটাও অন্য কোন নারীকে দিতে দ্বিধা বোধ করেন না। বোনের মতই থাকতে চান। কিন্তু অন্য নারী তা মানতে চান না। আমার জীবনেই ঘটেছে এমন কিছু, শয়তান নারীর কারনে আমার লক্ষ্মীমন্ত বউ কে বিদায় করেছিলাম।শূন্য হাতে বুকের ধনকে আগলে নীরবে চলে গিয়েছিল রাজপ্রাসাদের মত বাড়ি ছেড়ে, আর ফেরেনি, এক যুগের বেশি তার মুখটাও দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি, হয়তো আর হবেও না। যার প্রাশ্চিত্ত এখন এই শেষ বেলাতে হারে হারে করছি।

আপনার বাস্তববাদী কথার সাথে একমত। শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.