নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসমাপ্ত অধ্যায়

জন্ম নিয়েছিলাম আমার মায়ের মত একজন মানুষের গর্ভে,সেই সূত্রে হয়তোবা আমিও মানুষ। কিন্তু আমার অবুঝতা কাটবার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজ থেকে মানুষ হবার। সাধারণ আমি আর এই সাধারনের মাঝেই খুঁজে বের করার চেস্টা করি অসাধারন কিছু। সোজা সাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করি। আমি প্রচন্ড বাস্তববাদী একজন পাবলিক। আবেগের ধার খুব কমই ধারি।

অসমাপ্ত অধ্যায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

যত দোষ সব বিশাখার

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:১৩

দেশে যে কি পরিমানে আলেম-ওলামা আছে, তা টের পাই ২টা সময়ে-

১. ভুমিকম্প
২. পহেলা বৈশাখে

ভুমিকম্প নিয়া কিছু বলবো না। কিন্তু পহেলা বৈশাখ নিয়া ২টা কথা বলার ব্যাপক শখ জাগছে মনে।

আমার সাচ্চা মুসলমান ভাইরা আবারও তাহাদের ঈমানি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়া হাজির হইয়াছে। টপিক পুরোনো, বাট এবার নতুন মাল-মশলা নিয়া হাজির হইসে। পহেলা বৈশাখ “উৎসব” নিয়া চুলকানি অনেক আগে থেকেই ছিলো। এবার চুলকানি উঠসে বাংলা “বারো মাস”-এর নাম নিয়া।

সমস্যার শুরু বিশাখারে নিয়া। আগে বিশাখার পরিচয় দেই।বিশাখা একটি নক্ষত্রের নাম।হিন্দুরা একে দেবতা মানে। সেই বিশাখা থেকে নাম এসেছে “বৈশাখ” এবং “এসো হে বৈশাখ” গানটিও গাওয়া যাবে না কারন গানটিতে বিশাখা দেবতার আগমন কামনা করা হয়েছে। তাই “বিশাখা” এবং “বৈশাখ” দুইটাই সমান অপরাধে অপরাধী। দুইটাই জাহান্নামিদের কাজ। এই দুইটা শব্দ যারা উচ্চারন করবে তারা মুশরিক, তারা কাফের। তাই আমার ঈমানি ভাইরা আহ্বান করিতেছে, আমরা অবশ্যই “বৈশাখ” শব্দটি উচ্চারন করে নিজের ঈমান হালকা করবেন না।বৈশাখ হারাম।

আচ্ছা। ভাল কথা, বৈশাখ দেবতার নাম থেকে আসছে। এই মাসের নাম মুখেও নেয়া যাবেনা।

জ্বী আপনাকে বলছি, জ্বী জ্বী আপনি। সাচ্চা মুসলমান। যিনি পহেলা বৈশাখ “উৎসব” “গান” সবকিছুতেই ঈমান যায় যায় অবস্থা দেখেন। ফেসবুক ভাসিয়ে দিচ্ছেন পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধ কথা বলে নিজের ঈমানের দৃঢ়তা কতটুকু তা দেখাতে।

জ্বী আপনি কি জানেন, আপনি যেই ইংরেজী মাস ব্যবহার করছেন সব জায়গায়, সেই নামগুলো কোথা থেকে এসেছে??? ইংরেজীর ১ম মাস “জানুয়ারী”, জানেন এর ইতিহাস?? কোথা থেকে এসেছে??

জানুয়ারী নামটা এসেছে রোমান দেবতা “জানুস” এর নামানুসারে, যাকে বলা হয় সময়, শুরু, পরিবৃত্তির দেবতা। আবারো বলছি, “জানুস” একজন দেবতা ছিলেন। ফেব্রুয়ারির কাহিনী জানেন?? ফেব্রুয়ারি এসেছে রোমান উৎসব “ফেব্রুয়া” থেকে। যার অর্থ “বিশুদ্ধতা”। এই “ফেব্রুয়া” নামটা আবার কোথা থেকে এসেছে জানেন?? এসেছে রোমান দেবতা “ফেব্রুস” এর নামানুসারে। মার্চ আসছে “মার্স” থেকে, যাকে বলা হয় যুদ্ধের দেবতা।

আপনি পহেলা বৈশাখ বলবেন না। আপনি বলবেন “১৪ই এপ্রিল”। এই এপ্রিলয়েও তো সমস্যা আছে !! এপ্রিল আসছে “অ্যাপ্রোডাইট” দেবীর নামানুসারে।

মর জ্বালা। বাংলা মাসেও সমস্যা, ইংরেজি মাসেও সমস্যা। কই যাইবেন এহন??

বাংলা-ইংলিশ সব বাদ, মাইরি আজ থেকে আরবী মাস দিয়ে জাতি দিন-তারিখ মনে রাখবে।

ইয়ে মানে বলছিলাম যে, আরবী ১২ মাসের নামটা বলতে পারবেন তো ঠিকঠাক মতো??? কোনটার পরে সিরিয়ালে কোনটা আসে??
জানেন না?? আপনে তো তাইলে শেষ। জাহান্নাম তো কনফার্ম তাইলে আপনার।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৬

Safin বলেছেন: :D :D :D :D

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

নয়ন্ বলেছেন: দাদা ওলামারা যে বিশাখার কথা বলে আপনার মুখেই প্রথম শুনলাম। :P
নতুন বছর আইল, কই গিয়া বিশাখা দেবীর দাসীগো নিয়া একটু নাচানাচি,ঘষাঘষি করবেন, তা না।
আছেন ওলামা রা কি কইল কোন মাসের কোন দেবতা এগুলা নিয়া।
ওলামা গো তো চুলকানি, আর আপনেরা দেখতাসি পুরা একজিমা :>

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০৫

অসমাপ্ত অধ্যায় বলেছেন: ওলামা বলতে এখানে কাদের বোঝানে হয়েছে ওইটা ধরতেই পারেন নাই।না বুঝেই কমেন্ট করে দিলেন। আগে বুঝেন কাদের মিন করা হইসে এখানে। "সারকাজম" বলতে একটা শব্দ আছে কিন্তু। আপনার মতো অনেকেই এটা বুঝতে পারে না।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৩

এরশাদ চাচ্চু বলেছেন: পর্নোসাইট বন্ধের ঘোষণা | বিলুপ্তির পথে কুটির শিল্প
এসপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হতে যাচ্ছে ব্রাজার্স থেকে শুরু করে এক্সহ্যামস্টার, এক্সভিডিওস, টুশি ডটকম সহ ঐতিহাসিক সব পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট। বাংলাদেশ থেকে এসব পঁচা সাইটে এখন থেকে আর কেউই ভিজিট করতে পারবেনা। সম্প্রতি ফেসবুকে এমনটাই ঘোষণা দিয়েছেন মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।

পর্নোগ্রাফি আইন এর ধারা বজায় রাখতে বাংলাদেশের ওয়েব থেকে এসব দুষ্ট দুষ্ট সাইটগুলো বন্ধ করা জরুরী বলে এক ব্যক্তি তাঁর (তারানা হালিম) ফেসবুক পেজে কমেন্ট করলে প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, 'এই সপ্তাহের মধ্যেই সকল পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধ করে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

পর্নোসাইট বন্ধ কর‍ার বিষয়টি দেশের সমাজ ও তরুণদের সামাজিক অবক্ষয় রোধে ভুমিকা রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ফেসবুকে এ নিয়ে সংখ্যালঘূ কিছু খারাপ ছেলেদের বিক্ষুদ্ধ হয়ে পোস্ট দিতে দেখা গেছে। মোকাদ্দেস নামে এরকমই একজন তরুণ সোমবার রাতে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখে, 'পর্নোসাইট বন্ধ করার মাধ্যমে আমাদের জৈবিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।'



এদিকে পর্নোসাইট বন্ধ করলে দেশের সম্ভাবনাহীন কুটির শিল্পও বিলুপ্তির দারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছাবে বলে মনে করছেন আরেক জনপ্রিয় ফেসবুক‍ার মোতাহার মিথুন।

আরও পড়ুন বিসিএসের জন্য, প্রথমবারের মত এইচএসসি পরীক্ষায় ছেলেদের অংশগ্রহণ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.