নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম নিয়েছিলাম আমার মায়ের মত একজন মানুষের গর্ভে,সেই সূত্রে হয়তোবা আমিও মানুষ। কিন্তু আমার অবুঝতা কাটবার পর থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজ থেকে মানুষ হবার। সাধারণ আমি আর এই সাধারনের মাঝেই খুঁজে বের করার চেস্টা করি অসাধারন কিছু। সোজা সাপ্টা কথা বলতে পছন্দ করি। আমি প্রচন্ড বাস্তববাদী একজন পাবলিক। আবেগের ধার খুব কমই ধারি।
ভারত-অস্ট্রেলীয়ার ২য় টেস্টের ম্যাচের ফলাফল ভারতের দিকে যাওয়ার কারন একটাই .. পুজারা-রাহানের ২৭৮ বলে ১১৮ রানের সেই পার্টনারশীপ .. এই একটা পার্টনারশীপের কারনেই ৫ দিনের টেস্টের সাড়ে তিনদিন পিছিয়ে থাকার পরেও ভারত ঠিকই ম্যাচটা বের করে আনসিলো .. পিচ ব্যাটিং সহায়ত না হওয়ার পরেও “অ্যাটাকিং ইজ দা বেস্ট ডিফেন্স” নীতিতে যায় নাই .. বেশী অ্যাটাকিং হওয়ার ফল কি হতে পারে সেটা বুঝতে খুব বেশী একটা সময় নেয নাই আজিঙ্কে রাহানে .. ম্যান অব দা ম্যাচ হতে না পারলেও ম্যাচ ভারতের দিকে ঘুরানোর অন্যতম নায়ক সে নিজেই .. ইভেন ভারতের ১ম ইনিংসেও এক পাশে যখন উইকেট পড়ে যাচ্ছে, তখনও অ্যাটাকিং খেলে কেএল রাহুল .. ৯০ রান করতে খেলসিলো ২০০ এর উপরে বল .. ওরা ভাল মতোই জানে, টেস্টের মুলনীতি একটাই .. “টিকে থাকো, রান এমনেই আসবে”
আর এতো বছর ক্রিকেট খেলে আমরা শিখসি “এই ধরনের উইকেটে মাইরা খেলাই শ্রেয়” .. পিচ খারাপ হলেও মাইরা খেলি, ভাল হলেও মাইরা খেলি .. অবশ্য উপায়ও নাই , এইভাবে না খেললে আমরা আবার আমাদের নিজেদের মধ্যে থাকবো না .. হারাইয়া যাবো .. আমি থাকলে আমার দল থাকবে, আমি না থাকলে আমার দলও থাকবে না .. “মাইরা খেলা” নীতিতে কোনোদিন সফল হবো, কোনোদিন ব্যর্থ .. প্রত্যেকদিন তো আর সেঞ্চুরি পসিবল না .. আর একা একা কতোই বা টানা যায় .. বাকিরা করে কি?? সবাই মিলা ৩০-৪০ করলেও তো রান ৩০০-৪০০ এর দিকে এমনেই চলে যায় … দায়িত্বটা সবার .. কারো একার না …
আফসোস একটাই লাগে, আমাদের মধ্যে টানা সেঞ্চুরির নেশাটা জাগে না .. প্রত্যেকদিন তো আর সেঞ্চুরি পসিবল না ..
বাদ দেন .. আসেন, বাস্তবতা শিখি .. ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যালেস্টার কুক, কোহলী,পুজারারা অনেক সুবিধা পায়, অনেক ম্যাচ খেলে .. আর উনারা তো এলিয়েন, আমরা তো মানুষরে ভাই .. ভুল ভ্রান্তি হইতেই পারে
©somewhere in net ltd.