নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অতি সহজ সরল সাধারণ যুবক সত্যের অন্বেশনে নির্ভিক অভিযাত্রী

এম. এ. হোসাইন

এম. এ. হোসাইন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাড’ (ওয়ানএমডিবি) থেকে কোটি কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ এলডিসি টু ডিসি

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬


(ছবি গুগল থেকে সংগৃহীত)
ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাড’ (ওয়ানএমডিবি) থেকে সরকারের কোটি কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগ কে সামনে রেখে , চলতি মাসের শুরুর দিকে সাধারণ নির্বাচনে বিরোধী জোট থেকে বড় ধরনের জয় পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়া মাহাথির, দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি চাঙা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

(ছবি গুগল থেকে সংগৃহীত)

মালয়েশিয়ায় রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ১৭ হাজার সরকারি আমলা-কর্মচারীর চাকরি খাবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ। ১৯৮১ সালে যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী করা হল তখন প্রথম যে কাজটা তিনি করেছিলেন সেটা হচ্ছে, মন্ত্রী আর সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তাদের বেতন কর্তন। সরকারের ব্যয় ও বৈদেশিক ঋণের বোঝা কমানোর লক্ষ্যে এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।এছাড়া সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের বেতন ১০ শতাংশ কমানোর কথা ভাবছেন। মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের ওয়েবসাইট মতে, বেতন কমানোর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বেতন ছিল ২২ হাজার ৮২৭ রিংগিত, উপপ্রধানমন্ত্রীর ১৮ হাজার ১৬৮ রিংগিত, মন্ত্রীদের ১৪ হাজার ৯০৭ রিংগিত ও উপমন্ত্রীদের ১০ হাজার ৮৪৮ রিংগিত। নাজিব রাজাক সরকারের নেয়া কিছু প্রকল্প বাতিল বা পুনর্বিবেচনা করেছেন। এবার আসি প্রেক্ষিত বাংলাদেশ এলডিসি টু ডিসি, জাতিসংঘ তার সদস্য দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি), উন্নয়নশীল এবং উন্নত- এ তিন শ্রেণিতে বিভক্ত করে। বাংলাদেশ ১৯৭৫ সাল থেকে এলডিসি পর্যায়ে রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে যে শর্ত দরকার, তা পূরণ করায় আবেদন করার যোগ্য হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বাংলাদেশের সামনে নতুন সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করবে। তবে এর জন্য বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখেও পড়তে হবে। কী সেই চ্যালেঞ্জ? উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি একটা মর্যাদার বিষয়। বাংলাদেশকে সবাই আলাদাভাবে বিচার করবে। এর আগে অনেক দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্য বলে স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকেই যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ, আগে এরকমটি অন্য কোনো দেশের ক্ষেত্রে ঘটেনি। তবে উন্নয়নশীল দেশ হলে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে বাণিজ্যে যে অগ্রাধিকার পায় হয়তোবা তার সবটুকু পাবে না। আবার বৈদেশিক অনুদান, সুদের ঋণও কমে আসতে পারে এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ আঞ্চলিক বা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির অধীনে বিভিন্ন দেশে জিএসপি বা শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানি সুবিধা পায়। এর সঙ্গে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) আওতায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অনেক দেশ আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। আবার এলডিসি হিসেবে ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিধিবিধান থেকে আমাদের অব্যাহতি রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগীরা বাংলাদেশকে কম সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে থাকে। এলডিসি না থাকলে তখন সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে কি সে প্রশ্ন থেকেই যায়। যেমন- ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন আমদেরকে যে জিএসপি সুবিধা দেয় তা ২০২৭ সাল পর্যন্ত থাকবে। এরপর জিএসপি প্লাস পাওয়ার কথা রয়েছে৷ আশার আলো দেখতেই পারি জিএসপি প্লাস পাওয়ার জন্য। চলুন দেখে আসি দুইয়ের মধ্যে তফাৎটা কোথায়? মালয়েশির নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদ এর বিজয়ে ফেসবুক, ব্লগ, টু্ইটার, নানা গণমাধ্যম এ লেখা দেখলাম কেউ লিখেছেন আমাদের কোনো মাহাথির নেই আফসোস। আবার কেউ লিখেছেন এমন একজনকে আমাদের দরকার । ভাই আপনাদেরকে বলছি হ্যা আপনাদেরকেই বলছি তিনি যে সিদ্ধন্ত বা পলিসিগুলো নিচ্ছেন সেইগুলি বাংলদেশে বাস্তবায়ন করার দরকার নেই সুধু প্রধানমন্ত্রীকে ঘোষণা দিতে বলেন দেখবেন সংসদ ভবন এরিয়ায় সংসদ ভবনকেই খুজে পাওয়া যাবেনা, 2015 সালে শেষ পে স্কেল ঘোষণা করেন। তিন বছর শেষ হতে না হতেই পে-কমিশন আবারও নড়েচরে বসেছেন।মুল্যস্ফীতির কথা সামনে নিয়ে এসেছেন। সচিবদের মোবাইল ক্রয় বাবদ 75000 টাকা দিচ্ছেন সাথে আনলিমিটেড টকটাইম।

(ছবি গুগল থেকে সংগৃহীত)

সুতারং মালয়েশিয়ার সাথে কম্পেয়ার করার দরকার নাই, আমরা জানি যে পথ দেখায় সে থাকে সবচাইতে এগিয়ে। সপ্ন দেখি মালয়েশিয়ার চাইতেও একদিন এগিয়ে যাব, পায়রা বন্দর সবচাইতে গভীর সমুদ্র বন্দর মাদার ভেসেল এখন আর সিঙ্গাপুর নোঙ্গর করার প্রয়োজন হবে না। সপ্ন দেখি সে দিনের যে দেশের ‍সাউর্দান বেল্ট হবে বেস্ট ওয়ার্ল্ড ক্লাস ইকোনোমিক জোন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্বপ্ন নিয়ে তো আমরা বেঁচে আছি। কিন্তু স্বপ্নগুলো বার বার ভেঙ্গে যায। শকুনেরা খুবলে খুবলে খায় আমাদের স্বপ্নগুলোকে।

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

এম. এ. হোসাইন বলেছেন: শকুন কে তাড়াতে হবে তবেই স্বপ্ন সত্যি হবে। ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ ভাই মন্তব্যের জন্য

২| ২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

২৫ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১০

এম. এ. হোসাইন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৩| ২৫ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার জন্য প্রশ্ন
বাংলার মানচিত্র প্রথম কে একেঁছিলেন?
ক, কামরুল হাসান
খ, লুই আই ক্যান
গ, বব লুই
ঘ, জেমস রেনেল
??

৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৮

এম. এ. হোসাইন বলেছেন: রাজীব ভাই এমসিকিউ শুরু করলেন কবে থেকে সরকার কিন্তু এই প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে চাইছেন। আর জেমস রেনেল এর আগে মেজর টা লাগিয়ে নিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.