নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা যারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টর, বেসিস ও আউটসোর্সিংয়ের সঙ্গেজড়িত আছি তারা অনেকেই ‘জ়াহিদুল ইসলাম’কে চিনি। তিনি তার স্বীয় দক্ষতা ওচেষ্টার ফলে ২০১৩ সালে ঢাকা জেলা ক্যাটাগরিতে বেসিস আউটসোর্সিংঅ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।
বাবা-মা এর একমাত্র ছেলে ও বড় সন্তানের জন্মটা ছিল খুব আনন্দের। কিন্তু এই আনন্দ বেশী দিন টিকেনি, বিষাদের কালো ছোঁয়া নেমে আসে জাহিদ কে পোলিও টিকা খাওয়ানোর পর পরই। ধীরে ধীরে জাহিদের শরীরের এর নীচের অংশ অনুভূতিহীন হীন হতে হতে চলাচলে অক্ষম হয়ে ওঠেন তিনি। সেই থেকে হুইল চেয়ার হলো তাঁর সঙ্গী।
তবে এই শারীরিকঅক্ষমতা তাঁকে পরাস্ত করতে পারেনি। হতাশ হন নি জাহিদ ভাই এর অসাধারণ মনোবলের অধিকারী বাবা-মাও। তাঁদের অক্লান্ত ও কঠোর পরিশ্রম তাকে যেন এক অন্য মানুষে পরিণত করেছিলো। তাই তিনি নিজেকে আলাদা করে দেখেন নি, স্কুলে গেছেন শত ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে। স্কুল পেরিয়ে কলেজের গেছেন। উচ্চ শিক্ষার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ থাকায় হুইল চেয়ারেবসেই তিনি সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং নর্থ সাউথবিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ পড়েছেন। তার শারিরিক প্রতিবন্ধকতার কথা বিবেচনাকরে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে শতভাগ ওয়েভার দেয়।
জাহিদ ভাই আমাদের সকলের থেকে একজন ব্যতিক্রমি একজন মানুষ। তিনি কখনোই চান নি পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে। তাই দৃঢ়তাঁর সাথে সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেছেন। তারপক্ষে চাকরি করা সুবিধাজনক নয়, তাই ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নেন। ফ্রিল্যান্সিং করেই নিজের পড়া লেখার খরচ এবং পরিবারের খরচ যোগাতেন তিনি। তিনি এই কাজে এতোটাই সাফল্য অর্জন করেছিলেন যে বেসিস তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ তাকে বেসিসের বর্ষসেরা ফ্রিল্যান্সারের পুরস্কার প্রদান করে। যা তাঁর জন্য একটি বড় প্রাপ্তি।
আমরা জানি যে তিনি শুধু তাঁর নিজের গন্ডির মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি, বাংলাদেশের শারিরিক প্রতিবন্ধি মানুষের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিয়ে স্বপ্ন দেখেছেন। শারীরিক প্রতিবন্ধিরা যাতে এই পেশায় এসে অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে না থাকে, সেই বিষয়ে সবাইকে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টাও করেছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই আজ এই পেশায় এসেছেন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, বাবা-মার অসীম ত্যাগ ও জাহিদ ভাই এর মেধা ও শ্রম যখন তাঁকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলো, ঠিক তখনই তিনি ‘SCOLIOSIS’ (মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যাওয়া) রোগেআক্রান্ত হয়েছেন। দীর্ঘ সময় ধরে বসে কম্পিউটার ব্যবহার করার ফলে তাঁর মেরুদন্ড ৫৫ ডিগ্রী বাঁকা হয়ে গেছে। এখন পিঠে ও ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যাথা এবং বাঁকা মেরুদন্ড হার্টে আঘাত করছে। এতে প্রচন্ড বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ হচ্ছে তাঁর । তিনি এখন ১০ মিনিটও বসে থাকতে পারেন না।
দিনে দিনে জাহিদ ভাইয়ের মেরুদন্ড আরও বেশি বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। শিগগিরই তার সুস্থতার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। খোঁজ-খবর নিয়ে জানা গেছে তাঁর এই চিকিৎসার জন্য ১৬ থেকে ১৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে সুপারভাইজার হিসেবে বাবা’র পক্ষে এতো তাকা যোগাড় করা একেবারেই অসম্ভব। অন্যদিকে এতোদিন জাহিদ ভাই ফ্রিল্যান্সিং করে পরিবারকে যে সহায়তা করতেন, মেরুদন্ড বাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে সেটাও বন্ধ। এখন ফ্রিল্যান্সিং দুরের কথা, কম্পিউটারের সামনে কিছুক্ষণ বসেই থাকতে পারেন না তিনি।
এমতাবস্থায় ফ্রিল্যান্স-আউটসোর্সিং তথা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সফল তরুণকে বাঁচিয়ে রাখতে সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বেসিসের পক্ষ থেকে বর্ষসেরা এই ফ্রিল্যান্সারের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের সকল সদস্যের সাধ্যমতো সহায়তায় হয়তো বেঁচে যেতে পারে এই তরুণের জীবন। তিনি আবার স্বপ্ন দেখতে পারবেন নিজেকে স্বাবলম্বী করার, পরিবারকে সহায়তা করার ও দেশের শারীরিক প্রতিবন্ধিদের স্বাবলম্বী হওয়ার।তাই বেসিসের পক্ষ থেকে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
শুধু আইটি ক্ষেত্রে কর্মরত ভাই-বোনরা না, এর বাইরেও অনেকেই আছেন, যারা মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়েছেন অতীতে, তাঁদের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন, প্লিজ জাহিদের পাশে আসুন, আপনার সাহায্যের হাতটিই হয়তো বা পারবে আমাদের এই অদম্য মেধাবী ভাই টিকে বাঁচাতে।
আপনার সাহায্য পাঠিয়ে দিন নিম্ন লিখিত ব্যাংক এ্যাকাউন্টে:
জাহিদ ভাইয়ের বাবার ডাচ-বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নম্বর
Account Owner: Md. Salauddin,
A/c No: 103.151.31213
Dutch-Bangla Bank Ltd.
Banani Branch.
=====================
Bank Name : United Commercial Bank(UCBL)
Account Name: BASIS Welfare Fund
Account Number: 0044-13200000676
Branch Name : Kawran Bazar
bKash wallet No. is 01798323118
২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৫০
এম. এ. হায়দার বলেছেন: পোস্টটি স্টিকি করা হোক। এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার ইচ্ছা পোষণ করছি।
সবাইকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৫৬
পার্থ তালুকদার বলেছেন: সবাই এগিয়ে আসুন ।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৩
কিছুটা অসামাজিক বলেছেন: শুভ কামনা থাকলো জাহিদ ভাই এর জন্য। পোস্ট টা স্টিকি করা হোক
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৩১
লাল নীল স্বপ্ন বলেছেন: আশা করি সে অতি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠবেন ।
পোস্টটি স্টিকি করা হোক।
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৪২
একটু স্বপ্ন বলেছেন:
সরকারের বিশেষ ফান্ডতো এমন প্রতিভান মানুষদের জন্যই থাকা উচিৎ। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:০৫
রাজিব বলেছেন: পোস্ট টি স্টিকি করা হোক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
রাজিব বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা হোক এবং সকল ব্লগারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। স্টিকি না করা হলেও ৫-১০ ব্লগার একত্রিত হয়ে দিন রাত ২৪ ঘণ্টা এখানে কমেন্ট করে পোস্টটিকে বাচিয়ে রাখতে হবে।
আর বেসিস, নর্থ সাউথ এদের টাকার খুব একটা অভাব নেই। জাহিদের বাবা পারবেন না জাহিদকে ফেলে দৌড়াতে। তাই ভাল হত যদি জাহিদের সহপাঠীদের কেউ কেউ এগিয়ে আসতো।
তার মত লোককে প্রতিবন্ধী বললে অপমান করা হবে কিন্তু প্রতিবন্ধীদের কল্যানে যেসব এনজিও রয়েছে তাদেরকেও জানাতে হবে।
জাহিদ আমাদের দেশের একজন বড় সম্পদ। না কোন করুনা বা দয়া করে নয় বরং তাকে বাঁচাতে হবে কারণ সে অন্য অনেক মানুষের জন্য এক বড় উদাহরণ।