নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইরান তুরান

আ হা আহা আহ হাহ কি আনন্দ ........

ইরান তুরান

হা হা

ইরান তুরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন হানিফ সংকেত এবং দুটি প্রশ্ন উত্তর ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫০

এমন যদি আরো কিছু মানুষ থাকতো আমাদের দেশে । সব দেশেই সব ক্ষেত্রেই কিছু উজ্হাজল্য থাকে ধরা ছেঁয়ার উর্ধে হানিফ আমাদের তমন্নই কৃত্তিমান । আজ তিনি সাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় একটি দারুন সাক্ষাতকার দিয়েছেন । তা থেকে কয়েকটি বাছাইকৃত প্রশন্ন এবং দারুন উত্তর ।





সংগীত, নাটক, চলচ্চিত্র- তিন মাধ্যমেই সবাই নিজেদের পেশাদার বলে। কিন্তু সেটা মুখে-মুখেই, কাজে দেখা যায় না। কোন দিকে যাচ্ছি আমরা?



পেশা শব্দটি ব্যবহার করে যখন অর্থ উপার্জনই মুখ্য হয়ে ওঠে, তখন পেশা শব্দটি তার গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। কাজের প্রতি ভালোবাসার অভাবে সে আর সঠিক পথে থাকে না, দিক হারিয়ে ফেলে। আমাদের এখানেও সেটাই হচ্ছে।







আমাদের টিভি চ্যানেল দিন দিন দর্শক হারাচ্ছে। আপনার কি মনে হয়, পচন কোথায় ধরেছে?



অর্থ এবং অনর্থের মধ্যে। সৃজনশীলতার চেয়ে এখন এটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে বেশির ভাগ শিল্পী, নির্মাতার মধ্যেই 'কি দিলাম এর চাইতে কি পেলাম'র হিসাবটা বেশি। ফলে সংস্কৃতি তার আসল উপাদান হারিয়ে ফেলছে। অর্থের কারণে অনর্থের ছড়াছড়ি। পাশাপাশি কিছু বিত্তবান চ্যানেল কর্তার বিনোদন রুচি এবং দর্শকদের তা গেলানোর চেষ্টা এবং সব কিছুতেই ব্যবসায়িক চিন্তা করাটাই পচনের অন্যতম কারণ। ব্যবসা আর শিল্পরুচি এক জিনিস নয়।







ভারতে আমাদের চ্যানেল নেই। কিন্তু আমাদের এখানে ভারতীয় চ্যানেলের অবাধ প্রদর্শন। এই অসম বিষয়টি কীভাবে দেখেন?



ঘৃণার চোখে দেখি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের দেশে টেলিভিশন মালিকদের একটি সমিতি হয়েছে। প্রায়ই টেলিভিশনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের মিটিং করতে দেখি কিন্তু ভারতে আমাদের চ্যানেল প্রদর্শনের ব্যাপারে কেন যে তারা কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তা বোধগম্য নয়। আমাদের চ্যানেল ওখানে দেখা না গেলেও আমাদের এখানে ভারতীয় চ্যানেলের অবাধ যাত্রার কারণে দেশীয় চ্যানেল বাদ দিয়ে অনেকেই এখন সেসব চ্যানেলের অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর এর ফলে আমাদের সমাজে কি ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে তা আমরা গত ঈদের অনুষ্ঠানে দেখিয়েছি। শুধু তাই নয়, আমাদের এখানে কিছু কিছু চ্যানেল ওখানকার সিরিয়ালও চালিয়েছে, কেউ কেউ ওখানকার শিল্পীদের এনে লাইভ অনুষ্ঠান করছেন। ইদানীং ওইসব শিল্পীর অ্যালবাম রিলিজও শুরু হয়েছে। আর কিছু কিছু পত্রিকা সেগুলোর কাভারেজ দিতে পেরে আনন্দিত হয়। ওখানে কবে কোন নায়িকার এনগেজমেন্ট, কে বিয়ের বাজার করছে এসব সংবাদও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে ছাপা হয়। ওসব চ্যানেলের দর্শক বৃদ্ধির কারণে আমাদের দেশের অনেক বিজ্ঞাপনও চলে যাচ্ছে সেখানে। অর্থাৎ সবদিক দিয়েই ক্ষতি। তারপরও এ নিয়ে কাউকে সোচ্চার হতে দেখি না। বরং ওখানে গিয়ে কিছু নাম না জানা প্রতিষ্ঠানের পুরস্কার পেয়ে অনেকে নিজেকে ধন্য মনে করেন। নিজেদের চ্যানেলে আবার ফলাও করে এই পুরস্কার প্রাপ্তির খবরও প্রচার করেন। সুতরাং সবকিছু মিলিয়ে ঘৃণা প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করার নেই।







আর কলকাতার সঙ্গে আমাদের চলচ্চিত্র লেনদেন?



আমার বিবেচনায় অপ্রয়োজনীয়।



লেনদেন বিষয়টাও তো অসম। আমাদের এখানে কলকাতার টিভি চ্যানেলগুলোর দেব-জিৎ-কোয়েল মলি্লককে সবাই চেনে। কিন্তু কলকাতায় আমাদের শাকিব-শাবনূরদের কেউ চেনে না।



আমাদের দেশের কিছু অর্বাচীনের কারণেই এসব হচ্ছে। এদের সবাই চেনে এবং জানে। তারপরও কেউ যে কেন প্রতিবাদ করছে না...। আর যেসব শিল্পীর নাম বললেন এদের চেনার কারণ, কিছু নির্দিষ্ট চ্যানেল এবং পত্রপত্রিকার অতিমাত্রায় প্রচারণা। যে প্রচারণাটা ওখানে আমাদের শিল্পীদের করা হয় না। বরং পত্রিকায় ছবি ছাপা নিয়ে আমাদের শিল্পীরা ওখানে অনেক অপমানিতও হয়েছেন- সে খবরও এখানকার পত্রিকায় পড়লাম।আমাদের রাজনীতি, সমাজনীতি এবং সংস্কৃতি- রাষ্ট্রের এই তিন স্তম্ভের চর্চা নিয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন। উদ্বেগ আমারও। আমাদের এখানে অনেক যোগ্য জায়গায় যোগ্য লোকের অভাব। সেই কারণেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

এর জন্য দায়ী আমি। নিশ্চয়ই মনে আছে একুশে টিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমরা পাঁচ হাজার কণ্ঠে উদ্বোধনী সংগীতটি পরিবেশন করেছিলাম। এনটিভির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ হাজার। আবার হাজার শিল্পীর নৃত্য, শতাধিক বিদেশির নৃত্য- এসব ইত্যাদিতে হরহামেশাই হচ্ছে। এ নিয়ে বাগাড়ম্বরে আমরা বিশ্বাসী নই। ইত্যাদিতে প্রতি ঈদেই রমজানের গানটি ৫ থেকে ১০ হাজার অংশগ্রহণকারীর কণ্ঠে গাওয়া হয়। তবে তা শুদ্ধ সুরে থাকে। শত শত লোক জোগাড় করে তাদের দিয়ে গান গাইয়ে তা যদি শুদ্ধ সুরে না হয়- সেটা লজ্জাজনক। কারণ সুরের গান বেসুরো হলে তাতে যত কণ্ঠই থাকুক তা যেমন শ্রুতিমধুর হয় না তেমনি তাতে কোনো কৃতিত্বও নেই।



চারদিকে শুধু হতাশা। সবশেষে একটা আশার কথা শোনান।



আশার কথা এটিই, এ দেশের সাধারণ মানুষ খুব সৎ এবং পরিশ্রমী। সঙ্গে আছে নতুন প্রজন্ম। সুতরাং এগিয়ে আমরা যাবই।



হানিফ সংকেতের জন্য শুভকামনা । ভালবাসা সহকারে ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

কাফের বলেছেন: হানিফ সংকেত প্রিয় ব্যক্তিত্ব
আমাদের রাজনীতিবিদের মধ্যে দশ পার্সেন্টও যদি হানিফ সংকেতের মত আত্মমর্যাদাশীল দেশ প্রেমিক লোক থাকতো, অনেক এগিয়ে যেত বাংলাদেশ

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা বেচে থাকুন অনেক দিন

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: http://www.bd-pratidin.com/2014/04/28/2363 এটা তো কপিপেষ্ট।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৭

ইরান তুরান বলেছেন: জাফের ভাল বলেচেব

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০০

ইরান তুরান বলেছেন: কপিই তো কথার ধরনের জন্ব কোপিটা করলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.