নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইরান তুরান

আ হা আহা আহ হাহ কি আনন্দ ........

ইরান তুরান

হা হা

ইরান তুরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক যে ছিল এইচ. আর এবং বঙ্গভবনের বিড়াল অতপর মোদাচ্ছের আলি

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৯







পশু হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বিড়ালটি ঘনঘন চোখের পলক ফেলছিল। দেখেলেই বুঝা যায় সে আর দশটা বিড়ালের মতো নয় । চলন বলন তাকানোতে তার আভিজাত্যের ছাপ । বামপাশে হাই ট্রেতে হালকা করে ভাজা ইলিশ। কিন্তু সেই দিকে তার কোন আগ্রহই নেই । কারন সে জীবনে যে পরিমান ইলিশ খেয়েছে তা স্বয়ং পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মামতাও খায়নি । প্রনব মুখার্জিকে হাসু যেদিন মাননীয় প্রধানম্নত্রী নিজ হাতে শরিষা ইলিশ খাইয়েছিলেন । সেই ইলিশ শ্রী-প্রনব দা খাবার আগেই তার পেটে গিয়েছে ।

আবস্থা ক্ষমতা আর আভিজত্যের বিশ্লেষনে বল যায় সে বাংলাদেশের দশটি এলিট বিড়ালের একটি । তার উপর সে এমন একটি সময়ে বাংলাভবনে আছে যে সময় মুক্তি যুদ্ধের সুফল এবং একাত্তুরে অর্জিত স্বাধিনতার পুরোটাই বঙ্গভবনে বিদ্যমান এবং মজুত রয়েছে ।



সকালে খাওয়া ইলিশের একটি সুবিশাল কাটা দিয়ে কান চুলকাচ্ছে । হঠাতই সে খেয়াল করলো হাসপাতালের সব চাইতে সুন্দরি নার্সটি তার পাশে দাড়িয়ে আছে । সুন্দরীর উপস্থিতি বুঝতে পেরেই গম্ভির ভাবে তাকালো বঙ্গবিড়াল ।

সে নার্সকে বলল বস ফজিলা

ফজিলা লাজুক মুখে বলল স্যার এখানে তো বসার জায়গা নাই ।

তাহলে আমার পাশেই বস ।

নার্সটি লাজুক মুখভঙ্গিতে বলল কে যে কি বলে ? ...........

অনবরত মুড ধরে রেখে বলল তুমি আমাকে স্যার বললে কেন ? আর আমার ব্যাপারে তুমি কি জান ?

নার্স ফঁপিয়ে কেঁদে উঠে বলল এই নাও তোমার পোষ্ট মর্টেম রিপোর্ট গতকাল নাকি তোমার মৃত্য হয়েছে । আজ তোমাকে ডোমে নিয়ে যাবে । শিডিউল হিসেবে কাল দাফন.........................



বিড়ালের জোখ তো ছানা বড়। ড়িাললের যখন মেজাজ খারাপ হয় তখন নামি তাদের একটি গোফ ঝরে যায় । সে এত বেশি রাগ করলো যে হয়তো তার সব গোফ ঝরে গিয়েছে ।

চার দিকে এবার ছড়িয়ে গেল বিষয়টি বঙ্গভবনের এই এলিট বিড়ালরে মৃত্যর ঘটনাকে কেন্দ্র ঢাকা পশু হাসপাতালে বিশাল বান্ডকারখানা লেগে গেল । বিড়ালটিকে সবাই ধরাধরি করে ডাষ্টবিনের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল । বিড়ালটি হাত পা ছোড়াছুড়ি করে চেচামেচি করে বলতে লাগলো আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আপনারা ? নার্সরা বললো তুমি মরে গেছো এখন তোমাকে ডোমে রাখবো তারপর বহুব্রিহি নদীর শ্রোত অথবা শাহোনা নদীর খরশ্রোতই হবে তোমার ঠিকানা । বিড়াল জনমের মতো চেচিয়ে উঠে বললো ; বিশ্বাস করেন ভাই আমি মরি নাই ........









.. চুপ বেটা কত বড় ডাক্তার বলেলো তুই মরে গেছিস আমরা ডাক্তারের কথা বিশ্বাস করবো নাতো তোর কথা বিশ্বস করবো ? এই ডাক্তার আমেরিকা থেকে পাশ করা এই ডাক্তার অনেক ভাগ বাল্লুকের চিকিৎসা করেছে তার কথা ভূল হয় না। বুঝলি তো ?



বিড়াল বেচারা বুঝতে পারলো এদের সাথে বলে লাভ নেই । বাচার জন্য অন্য পথ খোজা দরকার ।

সে আর কোন কথা না বলে চুপ থাকলো , করন ডাষ্টবিনে ফেলে দিলে সে মুক্ত । এই ভেবে সে নিজকে হালকা ভাবতে থাকলো। কিন্তু নিচতলায় আসতেই ডাক্তার সাহেব নিজে এসে বলে গেল এই দেহটাকে পুতে ফেলতে হবে (!!) এটা শুনে বিড়ালের তো ভয়ে পশম দাড়িয়ে যাবার অবস্থা । গর্তে নামানোর সময় সে কষ্টের একটা নিঃশ্সাস নিলো । এখনই তাকে মাটি চাপা দিবে সে আর গোস্তের সুস্বাদু হাড় পাবানোর স্বদ পাবে না । ইলিশের কাটা সে কি স্বদ । বঙ্গভবনের এয়ারকন্ডিশন কক্ষ , ক্ষমতার প্রতাপ , বুয়া -পাইকপোয়াদা সব তার ভয়ে থাকতো নাস্তানাবুদ হয়ে । আজ তার এই অবস্ষা সে ভাবতেই পারছে না । তার বিরুদ্ধে নিশ্চই সঢ়যন্ত্র করেছে এডমিনিষ্ট্রেটন ডাক্তার । কি হবে এই গর্তেরভিতর কে জানে । তার সব কিছু কি এখানেই সমাপ্তি? সে আর চোখ খোলা রাখার সাহস পেল না ।

যখন চোখ মেলে দেখলো সে হাজার হাজার বিড়ালের দলে হাটছে সে তখন খুবই উৎফুল্য কারন সে কখনো এতবেশী বিড়াল দেখেনি । হাটতে হাটতে সে খেয়াল করলো পাশের কৈশরী বিড়ালটি তার দিকে কেমন করে যেন তাকাচ্ছে । শুধু তাকাচ্ছে না সে মুচকি মুচকি হাসিও দিচ্ছে । তার কাছে সে বিব্রত লাগলেও মনের ভিতর যেন সাদা বলাকারা দলবেধে উড়া উড়ি করে চলেছে । কৈশরি বিড়ালটির আচরন দুষ্টুমিতে ভরা হলেও ফিগার কিন্তু অসাধারন । ভাবতে ভাবতে বামে আবার তাকাতেই একটা ভেংচি কাটলো । সে বুঝতে পারলো আসলে ও কে ? ফজিলা ফজিলা লাগছে ।

দীর্ঘ সময় হাটার পরে তারা এসে দাড়ালো এক বিশাল ভবনের সামনে । এর একপাশে লেখা ইহা বেহেশত (৮)। আরেক পাশে লেখা ইহা দোজখ খানা (৭)। সাবাই হাতের তালুতে কিছু একটা দেখিয়ে ঢুকে গেল । বিড়াল একা দাড়িয়ে থাকলো । দাড়িয়ে থালো দীর্ঘক্ষন । আরো সময় । অনেক সময় ।







হঠাৎই বিড়ালের মনে অস্থিরতা দেখা দিল । সে হাত-পা ছুড়ে উতপাত শারু করে দিল । পথি মধে দরজাখুলে কিছু লোক আসলো বলল তোমার এখানে কি চাই । বড়িাল বলল আমি গত কাল মরেগেছি কিন্তু সবাইকে নিয়েছ ভিতরে আমাকে কেন নিচ্ছ না তোমরা ।

লোকদের থেকে একজন বলল আমাদের কাছে যতগুলো মৃত্যুর পোষ্টমর্টেম আসে আমরা ততগুলোই নিয়ে থাকি তার বেশি আমরা নিতে পারি না । বিড়াল দাত খিচিয়ে খিস্তিখেউর করে বলল আমি তাদের বলেছি আমি মরি নাই তারা আমাকে তারপরও কবরস্থ করেছে । অবশ্য তার আগে হাসপাতালের এ্যাডমিন কতৃপক্ষ আমাকে মৃত হিসেবে লিখিত দেখিয়েছে ।

হাঠাত বিড়াল মুড পরিবর্তন করে বলল দেখ বাপুরা আমাকে যাদি তোমরা একটা বিহিত না কর আমি কিন্তু তোমাদের কাউকে ছাড়বো না । এই বলে সা লাফালাফি শুরু করল । পুরো পরিবেশ সে তছনছ করে দিলো । বিরক্ত হয়ে লেকরা বললো দুনিয়াতে তোমার বসবাস কোথায় ছিল । বিড়াল বুকফুলিয়ে জবাব দিল আমি বঙ্গভবনের নিয়মিত থাকতাম । লোকড়া তাকে কিছু ভাজামাছ দিয়ে বল এখানে থাকো আমরা ব্যবস্ষা করছি ।



পরদিন সকালেই খবর গেল সোজা বঙ্গভবনে গতকাল বঙ্গভবনের কোন বিড়াল মারা গিয়েছে কিনা ? সবাই বলল হ্যা ? আগত দুজন লোক বলল যে ইশ্বরের বার্তা বলছে সে মরেনি । তোমরা তাকে কবর দিয়েছ কেন ? তাড়াতাড়ি হাসপাতালে খবর পাঠাও তদন্ত শুরু কর । পাসপাতালে খবর গেল দেখা গেল যে এই পোর্ষ্ট মর্টেমে শই করেছে সে কোন এমবিবিএস ডাক্তার নয়। সে হোল এইচ আর এডমিনের লোক। প্রধানম্ত্রী তেলে বেগুনে জলে উঠলেন না বরং তেলে পানিতে জলে উঠে পোষ্টমর্টেম কেন এইচআর করবে ? এটা করবে ডাক্তার !!!!

হাসপাতার কতৃপক্ষ জবাব দিলো স্যার সে তো শুধু কেবল ডাক্তারের ভুমিকা রেখে পোষ্টমর্টেম করে না সে নিজ দায়িত্বে ওষধ দেয় !! তাই নাকি !

জি ............

চুপ বেয়াদপ ..........

ম্যাডাম তিনি এখন পরিকল্পনা নিয়েছেন কিভাবে ওষুধ বানানো হচ্ছে তার উপারও চিন্ত্ গবেষ না করবেন ।

এবার প্রধান মন্ত্রী ঠান্ডা হয়ে বললেন ঐ বেয়াদপকে কে নিয়োগ দিলো রে । আর ও কই পড়ালেখা করেছে ? আমাকে একটু জানা । বিষয়টা খুব ইন্টারেষ্টিং লাগছে আমার । ওরে আমি পুলিশ বানামু । ওরে দিয়া তো সব কাজই সশ্ভব । জি ম্যাডাম আমাদের কেউ তো টানবাজারের প্রশাষক হতে চায় না । ওনাকে দিলে উনি সফল হবেন । সফল হবে না !! জি তিনি তো দুই টাকা গজের পলিথিন দিয়ে অপারেশনের কাজ সেরে ফেলেন । কে নিয়োগ দিয়েছে খবর নাও । আমাকে জানও ।





(চলমান)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাইতো বলি দেশের কেন এই অবস্থা ;)

পোষ্ট মর্টেম ভালা হইছে :)

আইজুদ্দিনের পক্ষ থেকে এক ঢালা ফুলেল প্লাস +++++++++++

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

ইরান তুরান বলেছেন: hm brother

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৩

সোহানী বলেছেন: ক্লাসিক........অসাধারন..........

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

ইরান তুরান বলেছেন: Shukria

৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

তূর্য হাসান বলেছেন: অসাধারন. .........। অপেক্ষায়....

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

ইরান তুরান বলেছেন: Thanks from Heart

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.