নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন সত্যিকারের ভাল মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকাটাই লক্ষ্য।ভালবাসি স্বপ্ন দেখতে।অজীবন মানুষের সেবা করে যেতে চায়http://www.facebook.com/7Irfan2
শৈশব। কারো কাছে আনন্দের আর কারো কাছে আক্ষেপের কারো কাছে বা অন্য কিছুর।যাদের শৈশব গ্রামে কাটে তাদের কাছে এটি বেশ আনন্দের, চিরজীবন মনে রাখার মত।আমি আমার জীবনের প্রথম ১২/১৩ বছর গ্রামেই কাটিয়েছি।এখন যে অবশ্য গ্রাম থেকে দূরে চলে গিয়েছি তাও না।এখনো একটু সময় পেলেই গ্রামে চলে যায়।সাধারণ হিসাবে আমার শৈশব হওয়ার কথা ছিল চিরজীবন মনে রাখার মত আনন্দের।কিন্তু কেন যেন তা নয়।আসলে সারাজীবন মনে রাখার মত কি আছে তাও ঠিক বুঝতে পারি না।কারণ অনেক কিছুই তো করা হয়নি।সাধারণত কারো শৈশব নিয়ে লেখায় যে কয়েকটি বিষয় কমন থাকে সেগুলো হল অন্যের গাছের ফল চুরি করা, ঘুড়ি উড়ানো, গ্রামে বান্দরামো করে বেড়ানো ইত্যাদি।কিন্তু এসবের কোনটাই আমার ক্ষেত্রে ঘটেনি ! কেন তা বলছি, প্রথমত কখনো অন্যের গাছে ফল চুরি করা হয়নি।আর হবেই বা কেন বলুন? যেখানে অন্যরাই আমাদের গাছ থেকে ফল চুরি করতো ! আসলে আমাদের এত গাছ ছিল যে আমাদের প্রয়োজন মিটিয়ে অনেক সময় গাছের ফল বিক্রিও করে দেওয়া হত।ফলে কখনোই অন্যের ফলের দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।তাছাড়া পরিবার থেকে তখনই এ শিক্ষা পেয়ে গিয়েছিম যে চুরি করা পাপ।তারউপর এসব কাজ করার জন্য একটি দল লাগে।আর আমার এমন কোন দল ছিল না, এমনকি এখনো নেই। আসলে গ্রামের সবচেয়ে সম্মানিত পরিবারের ছেলে বলে সবাই একটু আলাদা চোখে দেখতো যা ঐ ধরণের দল তৈরিতে বাধার সৃষ্টি করে।অন্যদের মধ্যে আরেকটি বিষয় দেখা যায় যে বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি।আর এ কাজটা করাতো দূরের কথা, তখন আব্বুর পকেটে তো হাতও দিতাম না আ্বু অনুমতি দেওয়ার পরও। টাকার প্রয়োজন হলেই আব্বুকে বলতাম, তারপর আব্বু অনুমতি দিলেও পকেটে হাত না দিয়ে কাপড়টাই আব্বুর কাছে নিয়ে আসতাম। তারপর আব্বুই টাকা দিত।এখন অবশ্য হাত দি তবে অবশ্যই অবশ্যই অনুমতি নিয়ে।এসব নিয়ে আব্বু খুবই গর্ব করেন।যা অনেক বড় একটা পাওনা।যাই হউক মূল প্রসঙ্গে যাই, ছোট থাকতে কোনদিন ঘুড়ি উড়ায় না।কেন উড়ায় নি সেটা এক রহস্য।আর গ্রামে কেন দস্যিপনাই করে বেড়ানো হয় নি তা তো আগেই
বলেছি।আর একটি বিষয় হল নদী বা খালে উপর থেকে ঝাঁপ দেওয়া। আসলে নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার কোন সুযোগই ছিল না কারণ নদী ছিল আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ২ কিমি দূরে। আসলে পারিবারিক পরিচয়ের কারণেও
অনেক কিছু করা হয়নি যা আসলে বলে শেষ করা যাবে না তাই আজ এই পর্যন্তই। আসলে আমার শৈশব কি আনন্দের নাকি আক্ষেপের আমি নিজেই বুঝি না...মনেহয় আক্ষেপের
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন:
২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: নিজেদের গাছের ফলের চাইতে অন্যের গাছের ফল চুরি করে খাওয়ার মাঝে অনেক আনন্দ থাকে এবং মজা লাগে
আহা শৈশব :!> :!>
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৪
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: সেই মজা কেমন মজা কইতে পারি না রে লিঙ্কন ভাই
৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
যুবায়ের বলেছেন: গ্রমে কাটানো সেই আনন্দময় শৈশবের দিনগুলি কতইনা মধুর ছিল...
ক্যন যে বড় হইলাম আর শহরের যান্ত্রিক জীবনে পর্যবশিত হইলাম!!..
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৪৫
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: জগতের নিয়ম বড়ই যে কঠিন যুবায়ের ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: