নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল মুসলিমদের দৃষ্টি আকর্ষন

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:২০


আপনি কি ভেবেছেন যে , আপনি নামাজের মাঝে পঠিত সুরা ও তাসবিহগুলো অর্থ সহকারে মুখস্ত করে ফেললেন আর আপনার নামাজের সকল ফরজই আদায় হয়ে গেল ? না ! হল না । কারন আপনি সবকিছুর অর্থ মুখস্ত করার পরও যদি হাফেজ সাহেব কুরানের মাঝখান হতে প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে আপনার মুখস্ত নেই এমন সুরা তেলায়ত করতে থাকে তবে আপনি তার আগাগোড়া কিছুই বুঝবেন না । তখন আপনি বাধ্য হয়েই অমনযোগী হয়ে পরবেন বা মনযোগ দিলেও লাভ হবে না বুঝবেন না কিছুই, তারপরও জোর জবরদস্তি করে তেলায়তের দিকে মন দিতে চাইলে আপনি অশান্তি বোধ করবেন নয়তো বেশীক্ষন এরকম চেষ্টা চালালে ঘুম চলে আসবে । তারপর সুরা ফাতিহার পর অন্য সুরা তেলায়তের দ্বারা ইমাম মুসুল্লিদেরকে আল্লাহর বানী হতে যে বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছে বা সতর্ক করছে তার কিছুই আপনি জানতে পারছেন না । একারনে নামাজ শেষে আবারও খুব সহজেই আপনি পাপে লিপ্ত হচ্ছেন অর্থাৎ নামাজ কাজে দিচ্ছে না। এসব সমস্যা হবার কারন হল যেটা আমাদের জন্য বেশী গুরুত্বপুর্ন সেটা বাদ দিয়ে অন্য বিষয় নিয়ে ওয়াজ নসিহত করা হয় । আমাদের দেশে আজও অনেকেই জানে না যে আরবী ভাষা শিক্ষা অনারব মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামুলক । আর এটি মাদ্রাসায় ভর্তি না হয়েও বাড়িতে বসেও শিক্ষা করা যায় । সুতারাং বাংলায় অর্থ করা অসংখ্য ভুল অনুবাদ সম্পন্ন কুরান পড়লেই আপনার ফরয আদায় হয়ে গেল বা আপনি ইসলাম সম্পর্কে জেনে গেলেন ? না ! এ ধারনা ভুল । কুরানকে বুঝতে হবে আরবী দিয়েই যেভাবে ইংরেজি কবিতাকে বুঝতে হয় ইংরেজি দিয়েই ? নচেত বংগানুবাদ করলে ভুল হবে কবিতার অনুবাদ যেমন ভাষান্তর সম্ভব নয় ঠিক তেমনি মহাগ্রন্থ আল কুরান রুপক এবং কাব্যময় হওয়ায় ভাষান্তর সম্ভব নয় । আবার সব ভাষারই একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট আছে ফলে কুরান হাদিস যদি কেউ সরাসরি ভাষান্তর করে তবে অবশ্যই আসংখ্য ভুল হতে বাধ্য ।আর এজন্যই আরবী ভাষা আপনাকে শিখতেই হবে। উমর রাঃ এর সময় ইরানের ইমাম স্থানীয়দের বুঝার সুবিদার্থে জুময়ার খুতবা আরবীর পরিবর্তে ফারসিতে দিতে চেয়ে অনুরোধ করেছিলেন কিন্তু খলিফা উমর রাঃ তা কঠরভাবে বারন করে দেন । তাছারা নামাজের মাঝে আরবীতেই সবকিছু পাঠসহ মুসলমানের ফরজ হজ্বের দিন আরাফার ময়দানে যে খুতবা দেয়া হয় তা সম্পুর্ন আরবী ভাষায় , আরবী ভাষা না জানা অনারব হাজ্বীরা তার কিছুই বুঝে না তাই তারা হজ্ব হতে যমযমের পানি ছারা আর কিছুই নিয়ে আসতে পারে না । যাইহোক আপনি কয়েক মাসের মধ্যেই ঘরে বসে নিম্নের লিংকের পিডিএফ বই হতে কুরান হাদিস বুঝার জন্য আরবী ভাষা শিখতে পারেন , যাদের মোবাইলে পিডিএফ সাপোর্ট করে তারাও লোড দিন অথবা বই পড়তে যারা ইচ্ছুক না তাদের জন্য নিচে আরেকটি লিংক দেয়া হল যেখানে বই না পড়েই শুধুমাত্র কাজের ফাকে ফাকে ভিডিও দেখে অল্পদিনেই আরবী শিখতে পারবেন সহযেই। Click This Link ভিডিওর লিংক---- https://www.youtube.com/watch?v=wvpnmd0Tid4

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

হানিফঢাকা বলেছেন: আমাদের দেশে আজও অনেকেই জানে না যে আরবী ভাষা শিক্ষা অনারব মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামুলক - বাধ্যতামূলক? কোথায় পাইছেন? কে বাধ্যতামূলক করেছে? কিসের ভিত্তিতে করেছে? আসমান থেকে ওহী নাযিল হইছে?

কবিতার অনুবাদ যেমন ভাষান্তর সম্ভব নয় ঠিক তেমনি মহাগ্রন্থ আল কুরান রুপক এবং কাব্যময় হওয়ায় ভাষান্তর সম্ভব নয় - এইটা ঠিক বলেছেন। মুল ভাষায় পড়লে যেমন এর থিম সম্পূর্ণ ভাবে বুঝা যাবে, অনুবাদে সেটা পাবেন না। কিন্তু মুল মেসেজ টা পাওয়া যাবে- যেটা সবচেয়ে বেশী দরকার।

আবার সব ভাষারই একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট আছে ফলে কুরান হাদিস যদি কেউ সরাসরি ভাষান্তর করে তবে অবশ্যই আসংখ্য ভুল হতে বাধ্য - ভুলটা এই কারনে হয় না। ভুলটা সাধারণত ইচ্ছাকৃত। এর কারন হচ্ছে যে যে দলের অনুসারী সে সেইভাবেই এর অনুবাদ করে। তাই সুন্নীদের অনুবাদের সাথে শিয়াদের অনুবাদ, কাদিয়ানীদের অনুবাদে পার্থক্য লখিত হয়। আবার এই দল গুলির মধ্যে উপদল থাকায় দুইটা সুন্নী, শিয়া অনুবাদেও পার্থক্য দেখা যায়। এইটা আরবী থেকে মেসেজটা অনুবাদ করার ব্যার্থতা না, বরং নিজেদের দলীয় বিশ্বাস ই এর কারন।

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ১মত যারা সরাসরি রসুলের হাদিস সুন্নাহকে প্রত্যাখ্যান করে কুরানের নির্দেশ জানতে চায় তারা সারা জীবন কুরানের আয়াত সার্চ করেও আরবী ভাষা শিক্ষা অনারব মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামুলক তা খুজে পাবে না ২য়ত যারা আমাদের নবীকে শেষ নবী ও রসুল না মেনে রাসেদ খলিফাকে শেষ রসুল মানে তারা ত মুসলিম উম্মাহ থেকেই খারিজ আর তারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় না দিয়ে তার অনুবাদ আত্মসমর্পনকারী পরিচয় দেয় তারা ত অবশ্যই মুল আরবী কুরান এর চেয়ে অনুবাদকেই প্রাধান্য দিবে । তাই তাদেরকে যতই বুঝাই বুঝবে না ।
তবু বলি- কুরানে শাব্দিক অর্থে কোন কিছু না থাকলেই যে তা কুরানে নেই এটা মনে করবে একমাত্র নিরেট অজ্ঞরা , আরবী কুরান যদি অনারবদের উপর ১মে নাজিল হত আর তখন যদি কেউ আরবী ভাষা ফরজের কথা শাব্দিকভাবে সরাসরি একটি আয়াতে উল্লেখ থাকার কথা বলত তবে তাকে মফিজ পাগল বলা অন্যায় হত কিন্তু আরবী কুরান আরবদের উপর ১মে নাজিল হয় যাদের কিনা আরবী ভাষা জানাই ছিল সুতারং তখন তাদের উপর আল্লাহ সুবঃ নাজিল করেছেন , পড় বা জ্ঞানার্জন কর(এই কিতাব) অন্যত্র আবার তিনিই সকলের জন্য কুরানের জ্ঞানার্জন ফরজও বলে দিয়েছেন এখন আপনি যদি বলেন সেখানে তো শুধুই জ্ঞানার্জনের কথা বলা হয়েছে সুতারাং কুরানের জ্ঞানার্জন ফরজ নয় । এরকম বললে আপনাকে কি বলা হবে? । আবার আল্লাহ সুবঃ হলেন পরম বুদ্ধিমান আর এই কুরান নাজিল করেছেন তাঁর আরেক বুদ্ধিমান সৃষ্টি মানুষের উপর উদাহরনস্বরুপ- যদি আপনি ইংরেজিতে একটি শিক্ষনীয় কবিতা রচনা করে আপনার দুটি ছেলেকে তার মর্মার্থ বুঝাতে চান আর আপনার দুই ছেলের মাঝে একজন যদি হয় বেশী বুদ্ধিমান অন্যজন হয় কম বুদ্ধিমান তবে অবশ্যই সেই বুদ্ধিমান ছেলেকে শুধু এতটুকু বললেই বুঝতে পারবে যে এই ইংলিশ কবিতা ভালভাবে পড়বে এবং এ থেকে শিক্ষা নিবে। এখন তাকেও যদি বুঝাতে হয় আপনার দেয়া যুক্তি অনুযায়ি যে তোমাকে ১মে এ বি সি ডি শিখতে হবে তারপর ইংলিশ ভাষা জানতে হবে তারপর এই কবিতা পড়তে হবে এবং শিক্ষা নিবে । তবে কিন্তু আপনার যুক্তি অনুযায়ি কুরানে সবই উল্লেখ আছে মানে ধরে নিতে হবে যে আগামীকাল বাদামতলীতে লেওড়া আমের দাম কত হবে সেটাও কুরানে শাব্দিকভাবে উল্লেখ থাকতে হবে ।
মোট কথা কুরান ও হাদিস অধ্যয়ন করলেই খুব ভালভাবেই বুঝতে পারা যায় আরবী ভাষা শিক্ষা ফরজ আর এই সাধারন ব্যাপারটাও যদি শাব্দিকভাবে কুরানে উল্লেখ থাকত যে বাংগালীদেরদের আরবী ভাষা শিক্ষা ফরজ, ইংরেজদের আরবী ভাষা শিক্ষা ফরজ, পারসীদের আরবী ভাষা শিক্ষা ফরজ। তবে এরকম আরো অনেক কিছুই কুরানে উল্লেখ থাকার ফলে কুরান হত কোটি কোটি পেজের একটি দুঃর্ভেদ্য জটিল গ্রন্থ, তখন তাকে আর মাহাজ্ঞানী রবের বানীও বলা যেত না এবং আপনি আমিও সেই গ্রন্থ থেকে পড়ার ভয়ে হাজার মাইল দূরে থাকতাম।

যাইহোক শেষের দিকে বলেছেন-অনুবাদ করার ভুলটা সাধারণত ইচ্ছাকৃত, নিজেদের দলীয় বিশ্বাস ই এর কারন। না জবাব ইচ্ছে করে কেউ কুরানের ভুল অনুবাদ করলে সে তো নিজেই জানল সে ভুল করছে বরং বিভিন্ন জন বিভিন্ন অনুবাদের কারনেই বিভিন্ন মতবাদে বিশ্বাসি হয়ে যাচ্ছে । ১মে সে যে দলের অনুবাদ পড়ে কুরান শিখল তার কাছে সেই দলের সব মতবাদই কুরানভিত্তিক মনে হয়।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৪৩

হানিফঢাকা বলেছেন: ন্যাকামি না কইরা প্রশ্নের উত্তর দেন? "আরবী ভাষা শিক্ষা ফরয" - এইটা কি পাইছেন? আপনি বনাইছেন? আপনার কাছে কি ওহী নাযিল হইছে? ফরয কাকে বলে একটু বলে দেখি? আপ্নে যা বলেন তাই ফরয?

কোন খান থেকে এইসব আসে কে জানে? ভ্যানওয়ালার কাছ থেকে দুই টাকার চটি বই পইড়া আসে ব্লগিং করতে। আইসা উহা ফরয, উহা হারাম এইডি নিয়া চিল্লা ফাল্লা করে। নিজের যেইটা মনে হয় সেইটাই আল্লহর বিধান বলে চালিয়ে দেয়।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: উপরের কমেন্টে আমি ভবিষ্যতবানী করেছিলাম যে আহলে কুরানীরা বুঝবে না। ফলস্বরুপ তাই হল- আবারও সরাসরি দলিল চাইলেন । যদি বলতেন যে কোন আয়াত এবং হাদিসের ভিত্তিতে এটা বলছেন তবে একটা কথা ছিল । আর আপনারা তো হাদিসই মানেন না , কুরানের আয়াতের ব্যাখ্যাও রাশেদ খলিফা যা করে গেছে তার বাইরে মাথায় ঢুকে না । দেখুন আমি কিন্তু সেই গবেষক যে কিনা আহলে কুরানীদের রীতিমত ফেসবুকে নাকানি চুবানী খাইয়েছি, এই ভয়ে বেশীরভাগ আহলে কুরানীরা আমাকে ব্যান করেছে যুক্তি দলীলে না পেরে । তবে বেশীরভাগ আহলে কুরানীদের মাঝেই একটি কমন জিনিস লক্ষ্য করেছি। আর তা হল- যখন তারা যুক্তি ও দলীলে হারে তখন বিপক্ষকে বিভিন্নভাবে আন্ডার ইস্টিমেট করাসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তারপর কুকুরের মত লেজ গু্টিয়ে ভাগে। যা লক্ষ্য করা যাচ্ছে উপরে আপনার কমেন্টেও

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:২৬

মাসূদ রানা বলেছেন: লেখকে আন্তরিক ধন্যবাদ আরবী শিক্ষার জন্য এতো সুন্দর একটি ব্যবস্থা চালু করায় । আর লেখকের সাথে হানিফ ঢাকা ভাই সাহেবের আচরণ দেখে আহত বোধ করছি । হানিফ ঢাকা ভাই ইতিপূর্বেও পবিত্র কোরআনের আয়াত নিয়ে তাঁর নিজস্ব মনগড়া অপব্যক্ষা দিয়ে ব্লগবাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন :: এই পোস্টটির :: আমাদের নবী কি অক্ষর জ্ঞান হীন (উম্মি) ছিলেন? । ১১-২৪ নম্বর মন্তব্য দ্রষ্টব্য ।

আশা করছি হানিফ ঢাকা ভাই আগে নিজে সংশোধিত হবেন তারপর পবিত্র কোরআন নিয়ে কথা বলতে আসবেন । ধন্যবাদ ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ । হানিফ ঢাকা উনি হলেন রাশেদ খলিফা নামক এক রসুল দাবীকারীর উম্মত উনাদের সংখ্যা বাংলাদেশে খুব বেশী না থাকলেও যারা আছে তাদের পার্ট টাইম কাজই হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভ্রান্তি ছরিয়ে উম্মতে মুহাম্মদি হতে উম্মতে রাশেদী বানানো ? সবাই সাবধান এদের থেকে । এদেরকে অনেকে আহলে কুরান নামে অভিহিত করে।

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৩১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন:
রাশেদ খলিফা ।ইনিই নাকি নিজেকে রসুল দাবী করেছিলেন । হা হা হা !

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬

হানিফঢাকা বলেছেন: আপনার কিভাবে মনে হল আমি ঐ কাল্প্রিটের অনুসরণ করি বা আমি "আহলে কোরআন"- দলের সমর্থক। দয়া করে না জেনে অযথা ট্যাগিং করবেন না।
ধন্যবাদ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০২

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আচ্ছা মেনে নিলাম আপনি রাশেদ খলিফার উম্মত নন । তাহলে এবার আপনি কি কুরানের সাথে সহী হাদিস গুলোও মানেন ? এবং কিয়ামত কবে হবে কেউ বলতে পারবে না এই সত্যে বিশ্বাস করবেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.