নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলাম ধর্মে কি রাজনীতি আছে ?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০


রাজনীতি অর্থ রাজার নীতি আর দ্বীনুল ইসলাম হল আল্লাহ(সুবঃ)এর দেয়া নীতি। সুতারাং ইসলামে রাজনীতি বলতে কিছুই নেই আর যদি রাজনীতি অর্থ বুঝায় রাজ্যের নীতি তবুও ইসলামে রাজনীতি নেই, কারন রাজার এলাকা বা দেশকেই রাজ্য বুঝায়, যে রাজ্যে সেই রাজারই নিজস্ব নীতিতে রাজ্য চলে, কিন্তু সত্যিকার্থে এই পুরো দুনিয়াই হল একমাত্র আল্লাহ(সুবঃ)এর রাজ্য এবং তিনিই একমাত্র রাজা ও বাদশাহ তাই তাঁরই দুনিয়ায় অন্য কোন কাঊকে রাজা মানা বা বাদশাহ বলে ডাকা শিরকের অন্তর্ভুক্ত। তাই পৃথিবীতে যেসব দেশে রাজা বাদশাহ ছিল তাদেরকে যখন তিনি সরিয়ে তাঁর নবীদেরকে সেসব দেশ চালনার দ্বায়িত্ব্য দিয়েছেন তখন তারা নিজের ইচ্ছানুযায়ি দেশ না চালিয়ে সকল কিছুই চালাত আল্লাহ প্রদত্ত বিধি-বিধান দ্বারা তাই নবী-রসুলগনও সেসব দেশের রাজা-বাদশা ছিলেন না শুধু তাই না অনেকেই নিজেদের ছেলে-মেয়েদের নাম- রাজা/বাদশা/গোলাম/শাহজাদা-শাহজাদী/ শাহ-আলী/ শাহ-আলোম/ শাহ-আবুল/শাহ-নূর বা শাহিনূর ইত্যাদি রাজকীয় নাম রাখে তবে হাশরের মাঠে আল্লাহ সুবঃ এর কাছে সবচেয়ে অপ্রিয় নাম এগুলোই হবে আর এই ধরনের নাম তাঁর ক্রোধের কারন হবে। রাজত্বের অধিকারী নবী-রসুলগন আসলে আল্লাহর বিধান অনুযায়ি রাজ্য চালানোর জন্য তারা ছিলেন আসলে আল্লাহরই দাস মাত্র তাই আল্লাহই একমাত্র রাজা,বাদশাহ ও মালিক। সুতারাং এই অর্থে কুরান-হাদিসে কোথাও রাজনীতি করতে বলা হয়নি। কিন্তু রাজনীতির অর্থ যদি এরকম হয় যে, মানুষ,সমাজ তথা ১টি দেশ যেসব নীতির দ্বারা চলবে তা বুঝায় তবে ইসলামে এই ধরনের রাষ্ট্রনীতি অবশ্যই আছে, শুধু তাই না কুরান-হাদিসের বেশিরভাগ জায়গা জুড়েই এসব ফলপ্রসু নীতির কথা স্পষ্ট ও সুন্দরভাবে বর্ণিত আছে। যেগুলো মানলে সাধারন জনগন হতে শুরু করে রাষ্ট্র প্রধান পর্যন্ত সবাই ন্যায্য অধিকার প্রাপ্ত হয় কিন্তু স্বৈরাচারীর কোনই সুযোগ থাকে না বরং সবারই উন্নতি হয় সর্বদিক দিয়ে। কিন্তু আমাদের দেশে যেসব প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যাবস্থা আছে তা অবশ্যই হারাম ইসলাম অনুযায়ি।
ইসলামে একমাত্র রাষ্ট্রীয় ব্যাবস্থার নাম খিলাফত ব্যাবস্থা। রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে এই খিলাফত ব্যাবস্থা ভিন্ন অন্য যেকোন ব্যাবস্থা গ্রহনই চরমভাবে হারাম। আর এই খিলাফত ব্যাবস্থায় বা ইসলামিক রাষ্ট্রে সব কিছুই আল্লাহর বিধান অনুযায়ি হয়ে থাকে। কিন্তু প্রচলিত রাজনীতিতে সবকিছুই মানুষের তৈরী বিধান অনুযায়ি হয়। যেমনঃ আমাদের দেশসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এখন রাজনীতিতে ব্যাকডেটেট ডেমোক্রেসি বা বহু পুরনো গনতন্ত্র অনুযায়ি দেশ পরিচালিত হয়, এর পুর্বে রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র সহ অনেক রাজনৈতিক ব্যাবস্থাই কাফের মুশরিকেরা তৈরী করেছিল,কিন্তু কোনটিই বেশিদিন টিকেনি। কিন্তু অনেকদিন হলোই গন-তন্ত্র দিয়েই ইহুদি খ্রিস্টানরা বেশিরভাগ দেশ চালিয়ে যাচ্ছে, কারন এটি এমন এক ধরনের ব্যাবস্থা যে ব্যাবস্থায় আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় জনগনেরই হাতে ক্ষমতা এবং তারাই সরকার নির্বাচন করল, কিন্তু প্রকৃত ভাবে ক্ষমতা জনগনের হাতে থাকে না, ক্ষমতা থাকে আমলা ও ছায়া সরকার বা বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠনদের হাতে, এরাই বিভিন্ন সরকারী বা বিরোধী দল তৈরী করে যাদের সবাই তাদের হাতের পুতুল হয় সুতারাং জনগন ভোট দিয়ে নির্বাচন যাকেই করুক না কেন তারাই সর্বসময় পেছন থেকে রাজার ভূমিকায় থাকে অনেকটা বৃটিশদের ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মত আর যাদেরকে আমরা রাষ্ট্রের চেয়ারে দেখতে পাই তারা হল মীরজাফরের মত পুতুল সরকার মাত্র। শুধু তাই না তারাই নির্বাচন কমিশন গঠন করে আর নির্বাচন কমিশন যাকে ইচ্ছা তাকেই নির্বাচিত করলে কারও ধরার ক্ষমতা থাকে না, আবার আমলা ও ছায়া সরকার বা বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠনদের গঠন করে যে গোষ্টি বা পশ্চিমারা, তারাই পুর্ব হতেই প্লান করে পছন্দনুযায়ি সরকার গঠন করে।

আর সবচেয়ে বড় কথা হল-সরকার গঠিত হওয়ার পর সরকাররাই যেহেতু আইন তৈরী করে তাই একে গনতন্ত্র নাম দিলেও সিস্টেমিক্যালি আসলে এটি চরমভাবে রাজতন্ত্র। আর এই গনতান্ত্রিক সিস্টেমে জনগনের বড় ধরনের কোন ক্ষতি করেও সরকার তার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার মাধ্যমে জনগনকে যেটা বুঝায় জনগন সেটাই বুঝতে বাধ্য হয়, এবং প্রতিবাদ করলে বিশেষ আইন তৈরী করে প্রতিবাদকারীদের বিদ্রোহী আখ্যা দিয়ে কারাগারে সর্পদ করে। আর এই গনতান্ত্রিক সিস্টেমের দ্বারাই শক্তিশালী ও প্রভুদেশ গুলো অন্য দেশের সরকার ও জনগনকে খুব সহযেই নিয়ন্ত্রন করে ও শোষণ করে, তাই এই গনতন্ত্র খুবই প্রিয় একটি শাষন ব্যাবস্থা হিসাবে অনেকদিন হলেই বিদ্যমান আছে তাদের কাছে। আর এই শাষন ব্যাবস্থায় একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ অন্তর সরকার পরিবর্তন হয় বিধায় জনগনের কাছেও এটি গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছে কারন জনগন ভাবে, আমরাই তো ভোটের দ্বারা সরকার নির্বাচন করলাম। তাছারা কিছু মানুষ এবং কিছু মোল্লারাও ভুলবসত গনতন্ত্রকে ইসলামে জায়েজ ভেবে থাকে না জানার কারনে। ফলে আমাদের দেশে দেখা যায় অনেক ইসলামিক দল আছে যারা তাদেরই দলের প্রতিষ্ঠাতার ফতোয়া অনুযায়ি ইসলামকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ইসলামের কুরান সুন্নাহ-ভিত্তিক ব্যাবস্থা বাদ দিয়ে প্রচলিত রাজনৈতিক ব্যাবস্থার মাধ্যমে রাজনীতি করে যাচ্ছে বহুযুগ ধরে যা কিনা বড় ধরনের হারাম ইসলাম অনুযায়ি। আবার দেখা যায় মানব রচিত গনতন্ত্রের সঙ্গে ইসলামের দু একটি ক্ষেত্রে মিলও আছে। আরও বিস্তারিত সত্য জানতে নিচের লিংকের ফটো পিকচারগুলো হতে পড়ুন । মোবাইল ব্যাবহারকারীদের জুম করে পড়লে ভাল বুঝবেন । Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


বর্তমান বিশ্বে রাজনীতি করার মতো অবস্হানে নেই মুসলমানেরা

০১ লা নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ১মে একজন নেতা লাগবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.