নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজহাব মানা ও না মানা বিতর্কের চির অবসান ( ২য় পর্ব)

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৩



সাধারনত মুসলিম উম্মাহকে দুইভাগে বিভক্ত করা যায় যেমন- ১নং সাধারন মুসলিম ২নং হল খলিফাসহ শাষক মুসলিম । তখনকার সময়ে সাধারন মুসলিম আবার ছিল দুইভাগে বিভক্ত, ১মভাগে ছিল সাহাবী, তাবেয়ী এবং তাবে তাবেয়ীগন, ২য়ভাগে ছিল আম মুসলিম আর এদের সংখ্যাই বেশী ছিল আর আম মুসলিমদের মাঝে যে তিনটি প্রধান কারনে মুসলিম সমাজে দুটি শ্রেনীর জন্ম হয়ে দ্বীনুল ইসলামের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করেছিল তা উপরে বলা হয়েছে যদিও সাহাবী, তাবেয়ী এবং তাবে তাবেয়ীগন ঠিকই দ্বীনুল ইসলামের ভারসাম্য রক্ষা করে চলতেন তবু তাদের সংখ্যা দিন দিন কমে আসায় তাদের প্রভাবও সমাজে হ্রাস পেতে থাকে। মুসলিম উম্মাহর ২নং অংশ ছিল শাষক শ্রেনী বা খলিফাগন, তখনকার সময়ে ইনারাও ২ ভাগে বিভক্ত ছিল, ১ভাগে ছিল খলিফা হিসেবে ১ম দিককার সাহাবীগন ইনারা ঠিকই দ্বীন এবং দুনিয়ার সুন্দর যে একটি ভারসাম্য ইসলামে আছে তা যথাসাধ্য রক্ষা করে চলতেন এমনকি ৫ম খলিফা মুয়াবিয়া (রাঃ)ও (যিনি শীয়াদের দৃষ্টিতে ফিতনাবাজ এবং সুন্নীদের দৃষ্টিতে আমির বলা গেলেও খলিফা বলা ঠিক না) রাষ্ট্র শাষনের পাশাপাশি আধ্যাত্মিকতারও প্রাধান্য দিতেন কিন্তু ২য় ভাগ শুরু হয় তার পুত্র ইয়াজিদ ক্ষমতায় আসার পর (২য় ভাগে কোন খলিফাই সাহাবী ছিল না) ইয়াজিদ খলিফা হবার পর দ্বীনুল ইসলামের ভারসাম্য নষ্ট করতে শুরু করে আর এর প্রধান দোষ অনেকে সরাসরি শুধু ইয়াজিদকে দিলেও আসল দোষ ছিল ইয়াজিদসহ রাষ্ট্রের আম মুসলিমদেরই, কারন একের পর এক সাহাবী ও তাবেয়ীগনের মৃত্যুর কারনে আম মুসলিমরা ইসলাম হতে দূরে সরে আসা শুরু করে আর এজন্যে সবাইকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যেই আল্লাহ সুবঃ এমন জালিম খলিফা মুসলিমদের উপরে আনেন যে কিনা কাবা শরিফ এবং মসজিদে নববীতে নির্দয়ভাবে হত্যা ও ধংস যজ্ঞ চালায়। আর এমন হবার কারন পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, এটা আল্লাহ সুবঃ এরই চিরচারিত নিয়ম যে কোন দেশের অধিকাংশ জনতা যেমন হবে সেই দেশের শাষকও তেমন হবে তাই খিলাফা রাষ্ট্রের আম জনতা যখন ইসলাম হতে একটু আধটু দূরে আসা শুরু করল ঠিক তখনই খলিফাগনও ভুল করতে থাকল এবং ক্রমান্বয়ে অযোগ্য নেতাও ক্ষমতায় আসতে শুরু করল যেমনঃ ইয়াজিদের পর হতে মারওয়ানসহ উমাইয়া বংশের আরো ৬ জন খলিফা, এই ৬ জন খলিফা সকলেই দ্বীনের চাইতে দুনিয়াবী বিষয় প্রাধান্য দিত অর্থাৎ আধ্যাত্মিক এবং রাষ্ট্রীয় একই সাথে এই উভয় দিকেরই সমন্বয় ঘটাতে পারত না বরং নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজনে ধর্মবিরোধী কর্মকান্ড করতেও দ্বিধা করত না যদিও এই ৬ জন খলিফার সকল কর্মকান্ডই যে খুবই খারাপ ছিল এমন নয় আর একাধারে এই ৬ জনের সবাই যে একই ধাচের খারাপ খলিফা এমনও নয় এদের মাঝে দু একজন আবার একে অন্যের তুলনায় একটু বেশী ভাল বা বেশী খারাপ ছিল। তবে এই ৬ জন খলিফার সকলেরই একটি কমন খারাপগুন পরিলক্ষিত হয় যে তারা সকলেই দ্বীনের চাইতে দুনিয়াকেই বেশী প্রাধান্য দিত। আর একারনেই প্রায় সুদীর্ঘ অর্ধ শতাব্দী পর্যন্ত ধর্মের আধ্যাত্মিকতার কোন সেবাই তাদের দ্বারা করা সম্ভব হয়নি অথচ খলিফা মানেই হল নবীর প্রতিনিধি যে কিনা নবীর অনুপস্থিতিতে নবীর রেখে যাওয়া ধর্মের রক্ষনাবেক্ষন এবং সেবা করবে । ধর্ম বলতে যেহেতু রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এবং আধ্যাত্মিক ইত্যাদি সকল কিছুকেই বুঝায় তাই শুধুই রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এসব বিষয় পরিচালনা করলেই ধর্মের সকল দায়িত্ব পালন হয় না। আর যেহেতু এই ৬ জন খলিফা শুধু রাষ্ট্রীয়, সামাজিক বিষয় এবং কিভাবে খিলাফত বনী উমাইয়াদের মাঝেই রাখা যায় সে চেষ্টায় থাকত আর কারা উমাইয়াদের ক্ষমতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ পোষন করে তাদের দমন করা ইত্যাদি বিষয় নিয়েই বেশি পরে থাকত তাই তখনকার আম মুসলিমদের মাঝে যে দুটি ভ্রান্ত শ্রেনীর জন্ম(উপরে এই দুটি শ্রেনীর জন্মের মুল কারন উল্লেখ করা হয়েছে) হয়ে ধীরে ধীরে তা চরম আকার ধারন করে ।

ইসলামে নিয়ম হল সরকারি পদে যারা থাকবে তাদের অবশ্যই ধর্মজ্ঞান সাধারনের তুলনায় বেশী হতে হবে আর যিনি খলিফা তার থাকতে হবে সবচেয়ে বেশী ধর্মীয়জ্ঞান এবং যোগ্যতা। অথচ সরকারি লোকজনের চাইতে তাদেরই ধর্মীয় জ্ঞান বেশী ছিল যারা কিনা ছিল নব্য গজে উঠা তুলনামুলক বেশী ধর্মজ্ঞানসম্পন্ন পুরোহিত শ্রেনী, আর তারা সকলেই আম মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিল এদের বেশিরভাগই সরকারি কোন পদ ছিল না যদিও এদের কেউ কেউ আবার মসজিদের ইমামও ছিল কিন্তু সরকারি কোন কর্মচারী ছিল না। আর ইয়াজিদের আমল থেকে এদের শুধু নামজ পড়ানোর বিনিময়েই সরকারি ভাতা বা বেতন দেওয়া হত যাতে তারা উমাইয়া বংশীয় সরকারদের বিরুদ্ধে জুময়ার খুতবায় বা অন্য কোনভাবে জনগনকে প্রলুব্ধ করতে না পারে। কিন্তু ইয়াজিদের পুর্বে সকল মসজিদের ইমামকেই একইসাথে খতিব প্লাস চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়োগ দেওয়া হত আর এদেরকেই শুধু বেতন ভাতা দেওয়ার নিয়ম ছিল কেবল তাদের রাষ্ট্রীয় কর্মের বিনিময়ে মাত্র, কখনই শুধুই নামাজ পড়ানোর বিনিময়ে নয়। তাহলে মোট হিসাব করলে যা বুঝা যায় তা হল- আম মুসলিমদের মাঝে ক্রমান্বয়ে ইসলাম বিমুখতার কারনে সমাজে উপরে উল্লিখিত দুটি নতুন শ্রেনীর জন্ম হয় যাদের পূর্বে কোন অস্তিত্ব ছিল না বিশেষ করে নবী সাঃ এর জীবদ্দশায়, আর এই দুটি শ্রেনী যেমন- তুলনামুলক অজ্ঞ শ্রেনী এবং তুলনামুলকভাবে বিজ্ঞ শ্রেনী বা পুরোহিত শ্রেনীর লোকদের পরিপূর্নভাবে ইসলাম অনুযায়ি না চলার কারনে আল্লহ সুবঃ তাদের ঘারে চাপিয়ে দেন জালিম শাষক কারন এই দুই শ্রেনীর লোকই মুসলিমদের মাঝে ধীরে ধীরে সংখ্যাগুরু হচ্ছিল আর সাহাবা-তাবে তাবেঈগনের মৃত্যুর কারনে তিনারা দিন দিন সংখ্যালঘুতে পরিনিত হচ্ছিলেন। তাই জালিম শাষকগন সকল মুসলিমদের ঘারে চেপে বসে তাদের রাষ্ট্রীয় এবং আধ্যাত্বিক উভয় দিকেরই ক্ষতি সাধন করা শুরু করে। ধর্মীয় দিকে সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে এভাবে যে মুসলিম সমাজে অজ্ঞ শ্রেনীর মাঝে ভালভাবে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাবস্থা না করার পাশাপাশি শাষক নিজেরাও ধর্মীয় দিকে উদাসিন ছিল আর পুরোহিত শ্রেনীদের মাঝে যারা উমাইয়াদের পক্ষপাতিত্ব করত তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা করা হত ফলে পুরোহিত প্রথা আরো শক্তিশালী হতে থাকে অথচ ইসলামে পুরোহিত প্রথার কোন স্থান নেই। আর ঠিক তখন থেকেই কিন্তু অজ্ঞ শ্রেনীর মুসলিমরা নিজেদেরকে মুসলিম বলার পাশাপাশি শীয়া, সুন্নী, খারেজী বা মুতাজিলা সম্প্রদায়ের লোক বলে পরিচয় দিতে থাকে এমনকি এসব পরিচয়ই তাদের ১ম পরিচয় বলে বিশ্বাস শুরু করে অথচ মুসলিম পরিচয়ই ইসলাম অনুযায়ি ১ম পরিচয় হওয়ার কথা ছিল আর অন্যদিকে পুরোহিত শ্রেনীগুলো শীয়া, সুন্নী , খারেজী ও মুতাজিলা ইত্যাদি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুর রুপ নিয়ে নেতৃত্ব দিতে থাকে। আর মুসলিমদের মাঝে এই দুই শ্রেনীর উৎপত্তির কারনেই পরবর্তি খলিফাগনও জালিম হয়ে জুলুম করা শুরু করে যা আল্লাহ সুবঃ এর একধরনের গজব । যদিও একমাত্র খলিফা ভাল হলেই সকল সমস্যা দূর করা সম্ভব হত তাই অনেক গন্যমান্য সাহাবীও খলিফা পরিবর্তনের জন্য প্রতিবাদ করতেন কিন্তু সমস্ত মুসলিম উম্মাহ হল একটি দেহের মত তাই সাধারন মুসলিম খারপ হলে তার প্রভাবে খলিফাও খারাপ হবার কথা কেননা দেহের অন্নান্য অংগপ্রতংগে সমস্যা হলে ১মে দেহের প্রধান অংশ মাথাতেও সমস্যা দেখা দিবে । আর এরই ফলস্বরুপ দেখা যায় ইয়াজিদের পর হতে ৬ জন খলিফা কিছুতেই পরিপূর্ন হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারেনি। এতকিছুর পরও এই উম্মতের উপর আল্লাহ সুবঃ এর বিশেষ রহমত যা নবী সাঃ ভবিষ্যতবানী করে গিয়েছিলেন যে – ধর্ম নিয়ে কোন সমস্যা মুসলিমদের মাঝে সৃষ্টি হলে আল্লাহ সুবঃ প্রতিটা শতাব্দীর শিরোভাগে একজন করে মুজাদ্দিদ পাঠাবেন যাদের কাজ হবে সেই বিকৃতির অংশটুকু সংস্করন করা। আর তাই দেখা যায় উমাইয়াদের কিছু জালিম খলিফাদের শাষনে জর্জরিত হক্বপন্থি মুসলিমদের আহাজারিতে ১ম শতাব্দিতেই একজন মুজাদ্দিদ আল্লাহ সুবঃ পাঠান যিনি কিনা নিজেই ছিলেন উমাইয়া বংশীয় খলিফা। তার পূর্বের খলিফা সুলেমানের সময় একজন সাহসী নেকবান্দা মুহাম্মদ ইবনে কাসিম যিনি ভারত মহাদেশে সর্বপ্রথম রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম ধর্মের প্রবেশ ঘটান, সেই বীরযোদ্ধাকে অন্যায়ভাবে খলিফা সুলেমানের নির্দেশে গর্দান দিতে হয় , এতে মুহাম্মদ ইবনে কাসিম বিদ্রোহ না করে বরং আল্লাহর কাছে বংশীয় খিলাফতের ধংস কামনা করে খলিফার আদেশের সম্মান রেখে মাথা পেতে দেন। তবে এখানে কখনই এটা বলা হচ্ছে না যে শুধুমাত্র মুহাম্মদ ইবনে কাসিমের ফরিয়াদের ফলেই আল্লাহ সুবঃ মুজাদ্দিদ পাঠিয়েছেন বরং বুঝানো হচ্ছে যে এরকম আরো অনেক আহলে বায়াত ও নিরিহ হক্বপন্থি মুসলিমের রক্তের বদলেই সুলেমানের পর পরই একজন মুজাদ্দিদ আসেন তিনি সম্পুর্ন ইসলামিক পদ্ধতিতেই খলিফা নির্বাচিত হন এবং খুলাফায়ে রাশেদাদের মতই শাষনকার্য্য পরিচালনা করেন, এই মুজাদ্দিদ এবং খলিফাকে ইতিহাসে ২য় উমর বলে আখ্যায়িত করা হয় এমনকি যারা ৪ খলিফার পরে আর কাউকেই খলিফা বলে স্বিকার করতে নারাজ তারা পর্যন্ত উনাকে ইসলামের ৫ম খলিফা বলে আখ্যা দিয়েছে ।

মুজাদ্দিদের কাজই হল ইসলামের বিকৃতি সংশোধন তাই তখনকার সময় ইসলামের বিকৃতির মূলেই ছিল খলিফাগন এবং পুর্বের বিকৃত খলিফারা কেউই ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় উভয়ের দিকের মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করে চলে নাই কিন্তু ২য় উমর এসে এই ভারসাম্য রক্ষা করেন এবং তখন দেখা যাচ্ছিল মুসলিম সমাজে উক্ত দুটি শ্রেনীর প্রাদুর্ভাবসহ সকল ফিতনার যে মূল কারন ছিল তা হল- রসুলের হাদিস সমূহ সেরকম সংরক্ষন করা ছিল না যেভাবে কুরান সংকলিত করে সংরক্ষন করা ছিল, তাই কুরানের ব্যাখ্যা একেকজন একেক ভাবে করে বিভ্রান্ত হয়ে পরছিল আর এজন্য তিনিই সর্বপ্রথম রসুলের হাদিসগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে লিপিবদ্ধ করার উদ্যেগ নেন, তাছারা তিনিও ব্যাক্তিগতভাবে একজন মুহাদ্দিস ছিলেন আর রাষ্ট্রীয়ভাবে ন্যায়নীতির শাষনের পাশাপাশি পূর্ববর্তী খলিফাদের অন্যায়ভাবে অর্জিত সম্পদের ভান্ডারগুলোকেও বাজেয়াপ্ত করেন । তার শাষনে মুসলিম উম্মাহর মাঝে পুনরায় শান্তি ফিরে আসে। কিন্তু তা বেশীদিন স্থায়ী ছিল না কারন তিনি উমাইয়াদের মাঝে ন্যায়বিচার করার কারনে উমাইয়ারা তার শত্রু হয়ে যায় এবং তারই এক বিশ্বস্ত ভৃত্যকে দিয়ে তাকে শহীদ করা হয়। মুসলিম উম্মাহর ১ম মুজাদ্দিদকেই একজন খলিফা হিসেবে প্রেরন করে আল্লাহ সুবঃ এটাই মুসলিমদের দেখালেন যে মুসলিম উম্মাহর যাবতীয় দায়-দায়িত্ব একজন খলিফার উপরই ১মে বর্তাবে আর খলিফারই উচিত সকল মুসলিম উম্মাহর সমস্যাগুলো দেখভাল করার কিন্তু মানুষ সীমাবদ্ধ জীব হওয়ায় একমাত্র খলিফাই যে সকল কিছু নিয়ন্ত্রন করতে পারবে এমন নয় বরং প্রত্যেক মুসলিমেরই তাদের উপর আল্লাহ সুবঃ কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ পালন করতে হয় আর মানুষ হিসেবে সকলকেই তিনি খলিফা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন তাই প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ অংগনের উপর একেক জন খলিফা এবং মৃত্যুর পর তার পরিবার এবং অধিনস্তদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে তাই ১ম মুজাদ্দিদ খলিফা করে আল্লাহ সুবঃ এটাই বুঝিয়েছেন যে দায়িত্বশীল ব্যাক্তিবর্গরাই পারে ইসলামের মৌলিক সেবা করতে আর প্রতিটা ব্যাক্তিই দুনিয়াতে কোন না কোন ক্ষেত্রে ঠিকই দায়িত্বশীল বিশেষ করে মুসলিমরা তুলনামুলকভাবে আরো বেশী দায়িত্বশীল আর খলিফার দায়িত্ব তো পৃথিবীর বুকে সব চাইতে বেশী । যদিও মুসলিম ভাল হলে খলিফা ভাল হবে আবার খলিফা ভাল হলে মুসলিমদেরও ভাল করতে পারবে এই সুত্রটি কিন্তু একে অপরের সাথে একেবারেই পরিপূরক তাই ইসলামের ১ম মুজাদ্দিদ খলিফা হওয়ায় বুঝা যায় ২য় উমর এর পরের খলিফাগনকেও ভাল হওয়া উচিত ছিল পাশাপাশি সাধারন মুসলিমদেরও ভাল হওয়া উচিত ছিল কেননা আল্লাহ সুবঃ এরপরের শতাব্দীর মুজাদ্দিদ করে যাকে পাঠিয়েছিলেন তিনি কিন্তু কোন খলিফা ছিলেন না ছিলেন একজন সাধারন মুসলিম এতে বুঝা যায় ইমাম বুখারী রহঃ এর যুগে সাধারন মুসলিম আরো খারাপ হয়ে গিয়েছিল অর্থাৎ নবী সাঃ এর ভবিষ্যতবানী অনুযায়ি মিথ্যার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাছারা দেখা যায় ১ম মুজাদ্দিদের পরের খলিফাগনও ১ম মুজাদ্দিদ হতে শিক্ষা নিয়ে তাঁর মত ভাল হয়ে চলেনি পাশাপাশি সাধারন জনগন তো খারাপ হচ্ছিলই । আর মুজাদ্দিদ খলিফা ২য় উমরের সময়ও কিন্তু আম মুসলিমদের মাঝে গজে উঠা ঐ দুটি শ্রেনীর বিনাশ সম্ভব হয়নি, তাই তাদের সংখ্যাধিক্য আরো বাড়তে লাগল খলিফা ২য় ইয়াজিদের সময় হতে। উমাইয়াদের মাঝে একজন মুজাদ্দিদ পাঠিয়ে খলিফাদের কিভাবে চলা উচিত তা আল্লাহ সুবঃ ব্যাবহারিকভাবে দেখিয়ে দেয়ার পরও পরবর্তী খলিফারা এই পথ অনুসরন না করায় মাত্র ৩০ বছরের মাথায় আল্লাহ সুবঃ উমাইয়া বংশকে খিলাফত হতে চিরতরে বহিস্কার করেন এবং এদের স্থানে অন্য বংশ, আব্বাসীয়দের দিয়ে প্রতিস্থাপন করেন।
চার খলিফার সময় থেকে শুরু করে তাবে-তবেঈনগের যুগ পর্যন্ত শুধুমাত্র সাহাবারা, তাবেঈন এবং তাবে- তাবেঈন এবং উনাদের সাথে নগন্য কিছু সাধারন মুসলিম, সকলেই প্রায় নিজে নিজেই কুরান-সুন্নাহ অনুযায়ি নতুন পরিবেশ ও পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ইজতিহাদ করে দ্বীনের উপর চলার চেষ্টা করতেন পাশাপাশি কুরান সুন্নাহর উপর যাদের বেশী জ্ঞান তাদের থেকেও শিক্ষা নিতেন মোট কথা তাদের কেউই দ্বীনের ব্যাপারে একতরফাভাবে সম্পূর্নই অন্যের উপর নির্ভর করতেন না, নিজেরাই কষ্ট করে দ্বীনের জ্ঞান অর্জনে সর্বাদা সচেষ্ট থাকতেন কখনই গৌনভাব প্রদর্শন করতেন না। কিন্তু সাহাবাদের জামানা হতেই আম অজ্ঞ শ্রেনীর মুসলিমদের দ্বীনের জ্ঞান তুলনামূলক কম ছিল আর পুরোহিত বিজ্ঞ শ্রেনীরা ছিল তুলনামূলকভাবে বেশী জ্ঞানী অর্থাৎ তাবেঈনগন দ্বীনের জ্ঞান অর্জন এবং দুনিয়াবী কর্মকান্ড এ দুটি বিষয়ে সম্পূর্ন ভারসাম্য বজায় রেখে চলতেন কিন্তু পুরোহিত শ্রেনীর মাঝে তা ছিল না, পুরোহিত শ্রেনীরা ধর্মব্যাবসায়ীদের মতন আচরন করত এবং বেশীরভাগ সময় শুধু ধর্ম নিয়েই পরে থাকত আর আম মুসলিমদের মাঝে শিয়া, সুন্নি, খারেজী এবং মুতাজিলা মাজহাবের বিভেদ সৃষ্টি করত আর নিজেদের মাজহাবই সত্যের উপর আছে অন্যরা পথভ্রষ্ট এমন মতবাদ প্রচারে কিভাবে কুরান হাদিসের দলীল বের করা যায় তা নিয়ে মত্ত থাকত। তবে যতদূর মনে হয় যেসব শীয়ারা বর্তমানে যে ১২ ইমামে বিশ্বাসী তার মাঝের যে ৮ জন ইমাম ছিলেন যারা কিনা আহলে বায়াত এর অন্তর্ভুক্ত ইনারা কেউই শীয়া মাজহাবের জন্ম দেননি বরং হোসেন রাঃ শহীদ হবার পর থেকেই একধরনের অজ্ঞ এবং অন্ধ ভক্ত তৈরী হয়েছিল যারা ৮ ইমামের কথাগুলো বাহ্যি্কভাবে মানলেও যখন ১১তম ইমামকেও শহীদ করা হয় এবং নবীর কোন বংশধরই না রাখার নিমিত্তে ছোট্ট শিশুকেও হত্যা করার চেষ্টা করা হয় তখন থেকেই জোরালোভাবে আলাদা রুপ নিয়ে ভ্রান্ত শীয়া মাজাহাব শুরু হতে থাকে, তাছারা এর পূর্বেও শীয়া মাজহাবের বিভিন্ন রুপ ছিল তবে সম্ভবত ১১ ইমাম পর্যন্ত ১২ইমামীর অনুসারিরা কেউ আসলে তথাকথিত শিয়া ছিল না বাদবাকী আল্লাহ সুবঃ ই ভাল জানেন।

তবে যাইহোক তাবেঈনদের যুগে আম-মুসলিমরা তাবেঈনগনের কাছ থেকেও দ্বীনের ব্যাপারে শুনার চেষ্টা করলেও তাবেঈনদের কথা আম মুসলিমদের খুব একটা মিঠা লাগত না, তাই তারা পুরোহিত শ্রেনীর আলেমদের কাছেই বেশী সরান্নপন্ন হত কারন তারা মিঠা মিঠা দিলখুশ টাইপ কথা বলত অথচ তাবেঈনগন সবাইকে জ্ঞানার্জনে তাগিত দিতেন কিন্তু পুরোহিত শ্রেনীরা ছিল তার উল্টো। ইসলামের ১ম মুজাদ্দিদের মৃত্যুর পরের যুগে তাবেঈন এবং তাবে-তাবেঈনরা বেশীরভাগই আম মুসলিমদের নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কেননা রসুল সঃ এর হাদিস অনুযায়ি তাদের পরের যুগ হতেই মিথ্যার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার কথা আর সাধারন মুসলিম এবং পুরোহিত শ্রেনীর গোমরাহী দেখে তিনারা এটাও বুঝতে পারছিলেন যে এমন মিথ্যার পরিস্থিতি শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে কেননা নবী সাঃ বলেন– সবচেয়ে উত্তম যুগ হল আমার যুগ এরপরে আমার সাহাবীদের যুগ, এরপরে তাবেঈনগনের যুগ(সাহাবীগনের শীর্ষ্য), এরপরের তাবে-তাবেঈনগনের যুগ(তাবেঈনগনের শীর্ষ্য) এরপরেই মিথ্যার প্রাদুর্ভাব শুরু হবে।

সাধরনত নবী সাঃ ও সাহাবীদের যুগ হতেই ইজতিহাদের শুরু হলেও তা পরবর্তীতে তাবেঈনগনের যুগে এবং আরো পরে তাবে-তাবেঈনগনের যুগেই সবচেয়ে বেশী শুরু হয়। এর প্রধান কারন দুটি, যেমন- ১) নবী সাঃ এর ইন্তিকালের প্রায় ১৫০ বছর পরে মুসলিমরা সম্পূর্ন নতুন পরিবেশ পরিস্থিতির সম্মুখিন হচ্ছিল যার অস্তিত্ব নবী সাঃ এর যুগে ছিল না তাই কুরান সুন্নাহ অনুযায়ি এসব ভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে কিভাবে দ্বীনের উপর চলা যায় তা বের করতে ইজতিহাদের প্রয়োজন ছিল, সেসব ইজতিহাদ এমনি ছিল যেন নবী সাঃ সেই পরিবেশে থাকলে সেরকমই আদেশে দিতেন বা সেসব ইজতিহাদ ছিল সম্পুর্নই কুরান সুন্নাহভিত্তিক কখনই দ্বীন বহির্ভুত মনগড়া কিছু নয় বা বিদ্বাতও নয়। ২) যদিও ১ম মুজাদ্দিদের সময় হতেই অফিসিয়ালী হাদিস সংকলন শুরু হয় তবুও সকলের কাছেই সব ধরনেরই হাদিস সংগ্রহে ছিল না এবং তাবে-তাবেঈনদেরর কাছেও যতগুলো হাদিস ছিল তার সবই সহী ছিল না কিন্তু কুরান সবার কাছে ঠিকই ছিল, তাই তাদের করা ইজতিহাদ বেশীরভাগই সঠিক হত আর যার কাছে হাদিস সংখ্যা যত বেশী ছিল সে ততই কম ইজতিহাদ করত(কেননা নবী সাঃ এর যুগের পরিবেশের তুলনায় তখনকার যুগের পরিবেশ এতবেশী পরিবর্তন হয় নাই যে প্রতি পদে পদে ইজতিহাদের অংক কসতে হবে বরং বেশীরভাগ সমাধান তখনও সরাসরি হাদিসেই পাওয়া যেত) আর যিনি হাদিস সংখ্যা কম পেতেন বা পেলেও সহী হাদিস বেশী সংগ্রহ করতে পারতেন না একমাত্র তারাই বেশী বেশী ইজিতিহাদ করে দ্বীনের উপর চলার চেষ্টা করতেন।

তাবে-তাবেঈনরা একাধারে মুহাদ্দিস এবং ফকিহ উভয়ই ছিলেন তবে যার যেদিকে বেশী এলম তাকে সেই নামেই ডাকা হত যেমনঃ- সেই যুগে কিছু তাবেঈগনের মাঝে ইসলামের এক খাদেম নোমান ইবনে সাবিত অরফে ইমাম আবু হানিফা রহঃ(৮০-১৪৮হিঃ/৬৯৯-৭৬৭খ্রীঃ) ছিলেন বিশিষ্ট ফকিহ কিন্তু তাই বলে তিনি যে মুহাদ্দিস ছিলেন না এমন নয় বরং তিনি ফিকহ শাস্ত্রে বেশি পান্ডিত্য দেখিয়েছেন বলে তিনি ফিকহবিদ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন । ইমাম আবু হানিফা রহঃ জন্মস্থান ছিল কুফায় এবং সেখানেই তিনি তার ধর্মীয় জীবনের বেশীরভাগ সময় পার করেন কিন্তু কুফা এমন এক নগরী যেখানে পূর্বে ছিল হযরত আলী রাঃ এর খিলাফতের রাজধানী এবং বিশিষ্ট সাহাবী ইবনে মাসঊদ রাঃ সহ অনেক গন্যমান্য সাহাবীর বাস আর এদিকে উমাইদের হাতে খিলাফত চলে যাবার পর তারা রাজধানী করে সিরিয়াতে তাই কুফাবাসির সাথে সিরিয়াবাসির এক ধরনের দন্দ্ব লেগেই থাকে তাছারা কুফা নগরীতে শিয়াদেরও ভাল প্রভাব ছিল । মক্কা আর মদীনাবাসি সাহাবীদের সাথে উমাইয়াদের সম্পর্ক তেমন ভাল না গেলেও কুফাসহ হেজাজ পুরোই নিয়ন্ত্রন করত উমাইয়ার খলিফাগন কিন্তু ২য় উমর উমাইদের খলিফা হবার পর থেকে মক্কা-মদীনাবাসির সাথে উমাইয়াদের সম্পর্ক আগের তুলনায় উন্নতি ঘটে কিন্তু কুফাবাসির সাথে মোটেও সম্পর্কের উন্নতি হয় না কারন কুফাবাসির শিয়া ব্যাতীত সুন্নীরাও মন থেকে উমাইয়াদের খিলাফত মেনে নিতে পারেনি তাই রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দিক দিয়ে বনু-উমাইয়ারা কুফার আলেমগনকে সর্বসময়ই বিরোধিতা করে এসেছে আর শুধুমাত্র সেসব কুফার আলেমগনকেই প্রাধান্য দিত যারা ছিল বনু উমাইয়ার খিলাফতের পক্ষে, ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে আবু হানিফা রহঃ বিশিষ্ট ফকিহ হবার পরও তাকে বনু-উমাইয়ারা মোটেও প্রাধান্য দিত না বরং বিরোধিতা করত বিশেষ করে যখন দেখল যে তিনি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন।

আবু হানিফা রহঃ কে উমাইয়া শাষকদের অপছন্দের আরো অনেক কারণ আছে যেমন- পুর্বেই বলা হয়েছে তখনকার যুগে এক ধরনের ধর্মীয় পুরোহিত শ্রেনীর জন্ম হয়েছিল যারা কিনা রাষ্ট্রীয় দিকে আর রুজী রোজগারের জন্য তেমন সময় খরচ করত না, তারা শুধু ধর্ম নিয়েই পরে থাকত আর ধর্ম পুজি করে চলা শুরু করে কিন্তু আবু হানিফা রহঃ তাবেঈ হবার কারনে মোটেও তাদের মতন ছিলেন না বরং তিনি দ্বীন এবং দুনিয়ার ভারসম্য বজায় রেখেই চলতেন তাই তিনি ধর্মীয় জীবনে শিক্ষককের দায়িত্ব পালন করা সত্তেও ব্যাবসাও করতেন এবং রাজনৈতিক ব্যাপারেও ভুমিকা রাখতেন আর তার এই ভুমিকা যতটুকুই ছিল তার সবই ছিল উমাইয়াদের খেলাফতের বিরুদ্ধে, যদিও তিনি রাজনৈতিক বিষয়ের চাইতে ইসলামের গবেষনা নিয়েই বেশি পরে থাকতেন তবুও উমাইয়াদের খেলাফতের বিরুদ্ধ হওয়ায় উমাইয়ারাও তার বিরোধিতা করত। কিন্তু আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলেও এটাও সত্যি যে মক্কা মদীনার অনেক বিশিষ্ট আলেমগনও আবু হানিফা রহঃ এর বিরোধিতা করতেন দুটি কারনে- যেমন ১) তার সম্পর্কে মক্কা মদীনার আলেমগন ভালভাবে না জেনে বনু উমাইয়ারা যেহেতু উনার বিরোধী ছিল তাই অফিসিয়ালী আবু হানিফা রহঃ এরও বিরোধীতা করা হত বিধায় উনারাও বিরোধিতা করতেন তারকারন পূর্বেও বলা হয়েছে যে ২য় উমরের খলিফা হবার পর হতে উমাইয়াদের সাথে মক্কা মদীনার আলেমগনের সম্পর্কও একটূ উন্নতি হতে শুরু করেছিল আবার আবু হানিফার এলাকা কুফার দিকে শীয়া মাজহাবের প্রবলতার কারনে সেখানকার সুন্নী আলেমগনের মাঝেও হিজাজী আলেমরা শীয়া শীয়া গন্ধ পেতেন। ২) মক্কা-মদীনা ইসলামের প্রান কেন্দ্র হওয়াতে সেখানে সকল প্রকার সাহাবী তাবেঈন এবং বিশিষ্ট আলেমগনের উন্মুক্ত মিলন মেলা ছিল তাই সেখানে বিশুদ্ধ হাদিস পাওয়া যেত সবচেয়ে বেশী তাছারা ইতিপূর্বে ২য় উমর এর খিলাফতকালে অফিসিয়ালী হাদিস লিপিবদ্ধ করাও শুরু হয়ে গিয়েছিল সুতারাং বিশুদ্ধ হাদিস ভান্ডার মক্কা-মদীনায় বেশী পাওয়ার কারনে হিজাজী আলেমদের বেশী ইজতিহাদ করতে হত না কেননা নবী সাঃ এর যুগের পরিবেশের তুলনায় তখনকার যুগের পরিবেশ এতবেশী পরিবর্তন হয় নাই যে প্রতি পদে পদে ইজতিহাদের অংক কসতে হবে বরং বেশীরভাগ সমাধান তখনও সরাসরি হাদিসেই পাওয়া যেত পক্ষান্তরে ইমাম আবু হানিফা বেশী ইজতিহাদ করতেন কারন কুফার পরিবেশ আর মক্কা-মদীনার পরিবেশ মোটেও এক ছিল না তাই মক্কা মদীনার আলেমরা দ্বীন ইসলামের যে মাসালায় চলতেন দেখা যেত ইমাম আবু হানিফা রহঃ ইজতিহাদ করে কুফায় বসে ঐ একই বিষয়ে অন্য ধরনের ফতোয়া দিতেন তখন মক্কা-মদীনার অনেক আলেমগনই না জেনে মনে করতেন কুফায় ইমাম আবু হানিফা নামে এক বড় বেদ্বাতীর আবির্ভাব হয়েছে কিন্তু তিনি মোটেও তা ছিলেন না বরং তখনকার জামানার বড় একজন মুজতিহাদ ছিলেন। তাছারা ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর সংগে হিজাজের যেসব তাবেঈ বা তাবে-তাবেঈগনের সরাসরি সাক্ষাত লাভ হয়েছিল তারা কিন্তু আবু হানিফা রহঃ এর ব্যাপারে ভাল ধারনাই পোষন করতেন, অনেকের আবার তার সাথে দেখা হবার পর ভুল ভাংগত।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুসলমানদের সঠিকভাবে ভাগ করলে ১৬০ কোটী ভাগ হওয়ার কথা

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৫

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: যত ভাগাভাগিই থাক না কেন ? ৭৩ কাতারের মাঝেই তা সীমাবদ্ধ থাকতে বাধ্য

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হজরত মোহম্মদ (s) মারা যাওয়ার পরপর খলিফা-সাহাবিদের ক্ষমতার দ্বন্দে পরস্পর হানাহানি সুরু হয়ে যায়।
প্রথমে হজরত ওসমান পরে, ওমর নিহত হয়। আলী আগেই হাজার মাইল দূরে বসরায় চলে যায়।
এরপর ইতিহাস সুধু নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি যুদ্ধ-বিগ্রহ। যা এখনো অব্যাহত।
আরবে ১০০% মোসলমান থাকার পরও ইসলামের ইতিহাসে এজাবৎ খেলাফত সফল হয়ে সফল কোন রাষ্ট্র তৈরি হয়নি।
হয়েছে চোদ্দ পদের হাদিস আর বিভক্তি .....

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: সাধারনত যে কোন ইতিহাসই লেখা হয়ে থাকে খুনোখুনি যুদ্ধ-বিগ্রহ এসবকে কেন্দ্র করে কারন এগুলোই হল বড় ঘটনা তাই অশান্তিময় মনে হয় কিন্তু বাস্তবে তখনকার পরিবেশ ছিল বর্তমানের তুলনায় স্বর্গতুল্য

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

Realanswer বলেছেন: ব্যাপক তথ্যমূলক পোষ্ট

২১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৩৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৫২

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ৩য় পর্বের লিংক - Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.