নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যিই কি ঈশ্বর বলতে কিছু আছে ???

২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:২৭


বাস্তবতার আলোকে পর্ব-১
পৃথিবীতে সকল মানুষের মাঝে বর্তমানে দুটি বিশ্বাসই চালু রয়েছে। ১ম বিশ্বাস হল ঈশ্বর আছে বা আস্তিকতা, ২য় বিশ্বাস হল ঈশ্বর বলতে কিছু নেই বা নাস্তিকতা। যদি প্রমান করা যায় যে ঈশ্বর বলতে আসলেই কিছু নেই তবে শুধু শুধু এসব কল্প কাহিনী মানার কোন প্রয়োজন নেই। আর যদি ঈশ্বর বলতে সত্যিই কিছু থাকে এবং প্রমানও পাওয়া যায় তবে তা অবশ্যই বোঝা যাবে । তাই আমাদের এখন করনীয় হওয়া উচিত কোন মতবাদটি আসলে সঠিক তা বাস্তবতার আলোকে ভালভাবে নিরপেক্ষতার সংগে যাচাই বাচাই করে তারপর সেটিতে বিশ্বাস করা।

১মত দেখা যায় যে, নাস্তিকদের দাবী হল- ঈশ্বর বলতে কিছু নেই, জীবন একটাই আর এই জীবনেই সবকিছু এবং মৃত্যুর দারা সব শেষ। অর্থাৎ কোন কাজের প্রতিফল জীবন থাকতে না পাওয়া গেলে মৃত্যুর পর আবার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আস্তিকদের দাবী এর সম্পুর্ন বিপরীত, তাদের দাবী ঈশ্বর অবশ্যই আছেন এবং এই জীবনই শেষ নয়, মৃত্যুর পর ঈশ্বর দুনিয়ার জীবনের ভাল মন্দ কাজের বিনিময়ে অবিশ্বাষ্য পুরস্কার বা চরম শাস্তি দিবেন স্বর্গ ও নরকের দ্বারা, আবার বেশিরভাগ ধর্ম অনুযায়ি পরকালের জীবন হবে অসীম, আর স্বর্গ ও নরকও হবে চিরস্থায়ী। এমনকি ঈশ্বরকে না মেনে ভাল কাজ করলেও মৃত্যুর পর আগুনে জ্বলতে হবে চিরকাল। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে, আস্তিকদের দাবী অবশ্যই গুরুত্বপুর্ণ ও মারাত্বক। তাই এই দাবীকে বাস্তবতার ভিত্তিতে ১০০ভাগ ভুল প্রমান না করা পর্যন্ত নাস্তিক হয়ে জীবন যাপন করা খুবই রিস্কি কারন এতবড় ১টি ব্যাপার। যেহেতু আস্তিকেরা এতবড় একটা দাবী করছে তাই প্রতিটা মানুষেরই ১ম কর্তব্য হওয়া উচিত ধর্ম নিয়ে ব্যাপক গবেষনা করে তারপর ১টা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছা এবং এক্ষেত্রে শুধুই অন্যের মতবাদ ও তথ্যের উপর উপর নির্ভর না করে প্রত্যেককেই স্বতন্ত্রভাবে পার্ট টাইম গবেষনা ও চিন্তাভাবনা করে সঠিক মতবাদে পৌছানোর মাধ্যমে সত্যিকারে সফলতা ও আত্ব্যতৃপ্তি অর্জন করা। ২য়ত দেখা যায় নাস্তিকদের দাবী হল- যেহেতু ঈশ্বর বলতে কিছু নেই তাই মৃত্যুর পর কোন জীবন এবং জবাবদিহিতা নেই। যদি নাস্তিকদের এই দাবীই ১০০ভাগ ঠিক হয় তবে দেখা যায় ঈশ্বর না থাকায় মৃত্যুর পর আস্তিক ও নাস্তিক সবাই পার পেয়ে যাচ্ছে। অথচ ঈশ্বরে বিশ্বাষী হওয়ায় আস্তিকেরা দুনিয়ার ভোগ-বিলাস(খাদ্য,বস্ত্র,যৌন,সম্মান ইত্যাদি) নাস্তিকদের তুলনায় তেমন কম করে না। আবার ঈশ্বরের ভয়ে অনেক ভাল কাজও করে এবং উন্নত জীবন যাপন করে, আর ইবাদত করে যে সময় টুকু নষ্ট করে তাতে সে আত্বতৃপ্তি পায় এবং মৃত্যুকে কম ভয় করে। অর্থাৎ ঈশ্বর না থাকলেও আস্তিকেরা তেমন একটা ঠকছে না এবং খুব বেশি বোকামীও করছে না তুলনামুলক ভাবে। কিন্তু যদি সত্যিই ঈশ্বর থাকে, তবে কিন্তু নাস্তিকদের কঠিন বিপদ কারন আস্তিকরা তখন বেঁচে গেলেও নাস্তিকদের পার পাওয়া অসম্ভব। অথচ নাস্তিকেরা ঈশ্বরকে না মেনে সারা জীবনে আর কতই সুখ-শান্তি করতে পারে আস্তিকদের তুলনায়, সত্তিকার্থে পুরোটা জীবনে সবক্ষেত্রেই কেউ পরিপূর্ণ সুখি হতে পারে না বরং মানুষের জন্ম ১মেই কান্না দিয়ে শুরু। তাই অল্প সময়ের এই জীবনে ঈশ্বরকে না মেনে সে কতই আর আরাম আয়েশ করবে, অথচ পরকালে তার বিনিময়ে অনন্তকাল সাস্তি ভোগ করবে, যদিও সে পাশাপাশি অনেক ভাল কাজও করে থাকে। তাই ঈশ্বরের অস্তিত্ব্য থাকলে দেখা যায় যে এই বিচারে, নাস্তিকরা হল বড়ই দুর্ভাগা এবং চরম বোকা । অথচ সাধারন বিচার বুদ্ধি বলে সত্যপন্থীদেরই বেশী লাভবান হবার কথা কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখা যায় ঈশ্বর থাকলে বা না থাকলেও আস্তিকেরাই নাস্তিকদের চেয়ে বেশী লাভবান হচ্ছে এমনকি তুলনামুলকভাবে বেশি বুদ্ধিমত্তারও পরিচয় দিচ্ছে কেননা নাস্তিকেরা ঈশ্বর না থাকার পক্ষে সত্যিকারের স্পষ্ট কোন প্রমানই দেখাতে পারছে না ।
এখন বাস্তবতার আলোকে আমাদের দেখতে হবে যে, সত্যিই কি ঈশ্বর বলতে কিছু আছে ? সাধারনত নাস্তিকেরা যুক্তি দেখায় যে, মানুষ আসলে প্রকৃতির বিভিন্ন ভীতিকর জিনিস দেখে, মৃত্যু দেখে ভীত হয়ে বাঁচার জন্য এবং ভয় দূর করার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরের ধারনা সৃষ্টি করেছে, আসলে ঈশ্বরের ধারনা মানুষের ১ধরনের কল্পনা মাত্র। কিন্তু আস্তিকেরা বলে-মানুষ তো বিভিন্ন শারিরিক রোগের ভয়ে ভীত হয়ে ঔষধ এবং চিকিৎসা শাস্ত্রের সৃষ্টি করেছে, কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্র তো আর শুধুই অবাস্তব কল্পনা নয় বরং বাস্তব সত্য। সবচেয়ে বড় কথা হল এসব সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য মানুষ ঈশ্বরের সরানাপন্ন হয়ে ১০০ভাগ ফল পেয়েছে, আর ঈশ্বরই দুনিয়াতে বিভিন্ন সমস্যা, মৃত্যু ও ভীতকর জিনিস তৈরী করে রেখেছেন যেগুলোর দ্বারা মানুষ নিজে থেকেই ঈশ্বরের দিকে ধাবিত হবে। তাছারা নিজে থেকে ঈশ্বরকে খুজে পাওয়ার ব্যাবস্থাস্বরুপ বিভিন্ন নিদর্শন যদি স্বয়ং ঈশ্বরই না করে রাখেন তবে মানুষগুলো ঈশ্বরকেই দায়ী করত। বিভিন্ন ভীতিকর জিনিস, মৃত্যু এসবই হল ঈশ্বরকে খুজে পাওয়ার ব্যাবস্থাস্বরুপ বিভিন্ন নিদর্শন ।
এবারে আসা যাক বাস্তবতার নিরিখে পরীক্ষা ও প্রমান। সব নাস্তিকেরাই বাস্তবতা দেখায় যে, ঈশ্বরের অস্তিত্ব্য থাকলে অবশ্যই বাস্তুবে আমাদের দৃষ্টিগোচর হত, তাই যাকে দেখি না তাঁকে মানিও না। এখন পরীক্ষা করা যেতে পারে যে, দৃষ্টির দ্বারা না দেখতে পাওয়া জিনিস মাত্রই অস্তিত্বহীন কিনা ? সাধারনত আমরা সবাই জানি যে, দেখা সম্ভব নয় কিন্তু অস্তিত্ব্য আছে এমন অনেক জিনিসই আছে আমাদের মাঝে, যেমনঃ এমন ১টি অস্তিত্ব্য হল-বাতাস। অদৃশ্য বায়ুকে দেখা সম্ভব না হলেও কিন্তু নাস্তিকেরা বায়ুকে অস্বিকার করে না কিন্তু ঈশ্বরকে অস্বিকার করে। আবার আমরা জানি যে, বিদ্যুৎ হল ইলেকট্রনের এক ধরনের প্রবাহ মাত্র। আর এই ইলেকট্রনের মাইনাস চার্জের প্রবাহের দ্বারাই বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে থাকে যাকেও খালি চোখ দিয়ে দেখা সম্ভব নয়। যেমনঃ বিদ্যুৎ পরিবহন করে যেসব বৈদ্যুতিক তার, সেসব তারের মধ্যে বিদ্যুৎ থাকাবস্থায় অনুবিক্ষন যন্ত্র দিয়ে শত চেষ্টা করলেও মানব চক্ষু দ্বারা বৈদ্যুতিক চার্জকে দেখা যাবে না কারন বিদ্যুৎ হল এক ধরনের শক্তি আর শক্তিকে কখনও চোখ দিয়ে দেখা সম্ভব নয়। তাই বলে কি নাস্তিকেরা বিদ্যুৎকে অস্বিকার করে ? সুতারাং প্রমান পাওয়া গেল যে, কখনো দেখা সম্ভব নয় কিন্তু অস্তিত্ব অবশ্যই আছে এমন অনেক জিনিসই এই পৃথিবীতে বিদ্যমান, বরং এসব অদৃশ্য জিনিসগুলো সাধারন দৃশ্যমান জিনিসের তুলনায় আরো বেশি মৌলিক শক্তির কারণ হয়ে থাকে। তাই সকল শক্তির স্রষ্টা ঈশ্বরকে মানব চক্ষু দ্বারা দুনিয়ায় দেখা না গেলেও তাঁর অস্তিত্বও অবশ্যই থাকতে পারে। এখন বাস্তবতার ভিত্তিতে প্রশ্ন হল, বিদ্যুৎকে তো বাল্ব জ্বালিয়ে বা টেস্টার দিয়ে এবং অন্নান্য যন্ত্র দিয়ে(পরীক্ষাগারে ইলেকট্রনের বীমসহ ল্যাপটনস) ইলেকট্রনের চার্জকেও তো প্রমান করা যায়, ঈশ্বরকে কি প্রমান করা যায় এবং বাতাসকে না দেখলেও তো সবাই অনুভব ঠিকই করতে পারে, ঈশ্বরকে কি সবাই এইভাবে অনুভব করতে পারে ? হ্যাঁ । ঈশ্বরকেও প্রমান করা যায়-সত্যিকারের বিশ্বাসী হয়ে তার ইবাদত করার পর তাঁর কাছে কোন জিনিস চেয়ে তা পাওয়ার মাধ্যমে এবং ঈশ্বর যা যা বলেছেন আমাদের ব্যাপারে বা আমাদের পরিপার্শ্ব সম্পর্কে, তা হুবহু সত্যে পরিনত হতে দেখার মাধ্যমে। তাছারা বাতাসকে ভালভাবে অনুভব করার জন্য অবশ্যই আমাদেরকে হয় প্রবাহমান বাতাসের কাছে যেতে হয় নয়তো কোন মাধ্যম দ্বারা বাতাসকেই আমাদের দিকে ধাবিত করতে হয়। ঠিক তেমনি ঈশ্বরকেও অনুভব করার জন্য বিশ্বাসী হয়ে ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সরনাপন্ন হতে হয়। এভাবে সৃষ্টির দ্বারাই স্রষ্টার প্রমান পাওয়া গেলেও ঈশ্বরের সমর্থ থাকার পরও দুনিয়াতে আমাদের সামনে দেখা দেন না কারন তাঁকে স্বচোক্ষে দেখলে সবাই ভাল কাজ করত, তাহলে পরীক্ষা বলতে আর কিছু থাকে না এই দুনিয়ায়, যার দ্বারা তিনি আমাদের পরবর্তীতে বড় ধরনের প্রতিফল দিবেন। সুতারাং "দেখা যায় না বলেই সেটির অস্তিত্ব্য নেই"নাস্কিকদের এই যুক্তিটি সম্পুর্নভাবে বাস্তবতা বিবর্জিত প্রমান হল ।
আবার নাস্তিকেরা বাস্তবতা দেখায় যে, মানুষ তো মৃত্যুর পর পঁচে গলে নিঃশ্বেষ হয়ে যায় তাই পরের জীবনে যায় কিভাবে ? কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে আমরা জানি যে, মানুষ যখন ঘুমায় তখন ঘুমের মধ্যে যেসব স্বপ্ন দেখে তা শুধু তার কাছেই চরম বাস্তব অনুভুতি এবং ভীতকর বা সুখকর কোন ঘটনা যা তার মস্তিস্কে সত্যিই ঘটেছে যদিও সে স্বপ্নগুলোর কর্ম পরিপূর্নভাবে নিজস্ব অংগ দ্বারা করেনি তবুও ভীতকর বা সুখকর স্বপ্নের দরুন তার শরীরেরও কিছু প্রভাব পরে যেমনঃ তার নিঃশ্বাষ দ্রুত হয়, শরীর ঘামে এবং বীর্যপাতও হয়ে থাকে অতএব শুধুই মস্তিস্কের প্রভাবের কারনে ঘুমন্ত ব্যাক্তির কাছে স্বপ্ন হল ১টি অর্ধ বাস্তব ঘটনা। কিন্তু যেসব ব্যাক্তি তার পাশে নির্ঘুম, তাদের অভিজ্ঞতা হল সে একজন চিত হয়ে পরে থাকা অচল এবং স্থির ১টি বস্তু। ঘুমন্ত ব্যাক্তির সাথে স্বপ্নে কি কি ঘটছে তার কিছুই বুঝতে পারবে না । ঠিক একইভাবে কোন ব্যাক্তির যদি মৃত্যু ঘটে, তবে মৃত ব্যাক্তিটির কাছে আর স্বপ্নের মত অর্ধেক বাস্তব ঘটনা ঘটে না, তখন যা ঘটে তা হল পুরোপুরিই বাস্তব এবং শুধু তার সাথেই। আর এটিই হল মৃত্যুর পর আত্ব্যার অবস্থা। কিন্তু মৃত ব্যাক্তি ব্যাতীত সবাই দেখবে তার শুধুই দৈহিক অবস্থা যে, সে মরে পঁচে গলে যাচ্ছে। সত্যিকার্থে তার দেহ পঁচে গলে যাচ্ছে কিন্তু সে নিঃশেষ হয়নি বরং এখন দেহবিহীন অবস্থায় যা দেখছে তা হল পরিপূর্ণ বাস্তব। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে স্বপ্ন যেমন মনের কল্পনা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনও তেমন কল্পনা নয় তো ? উত্তর হল না! স্বপ্ন মনের কল্পনা হলেও মনের মধ্যে ঘটে ঠিকই তেমনি মৃত্যুর পরবর্তী জীবনও ঘটবে ঠিকই, ২য়ত প্রশ্ন- স্বপ্ন যে ১টি অর্ধ বাস্তব ঘটনা তার প্রমান কি? প্রমানস্বরুপ-যদি অন্ধ ব্যাক্তিকে অন্যের ঘরে বসিয়ে যদি বলা হয় এটা তার নিজের ঘর তবে সে তার মস্তিস্কের মাধ্যমে অন্যের ঘরেই নিজের ঘরের অনুভুতি লাভ করবে, আবার যে কারও হাতে অবসের ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে যদি মস্তিস্কের কানেকশন বন্ধ করে তার হাত কাটা হয় তবে সে কিছুই বুঝবে না, কিন্তু যেহেতু তার হাত ঠিকই কাটা হয়েছে তাই অনুভুতি ফিরে আসার পুর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত ঐ ঘটনাটি ১টি অর্ধ ঘটনা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে শুধু তার কাছেই। অর্থাৎ এর দ্বারা প্রমান হয় যে স্বপ্ন হল ঘুমন্ত ব্যাক্তির নিকট ১টি অর্ধেক বাস্তব ঘটনা কেননা মন বা মস্তিষ্ক ও শরীরের দুটোর প্রভাব থাকলেই কেবল পুর্ন বাস্তব ঘটনা বলা যাবে ,কিন্তু যদি শুধুই শরীর বা শুধুইই ব্রেনের প্রভাব থাকে তবে তাকে আধা বাস্তব ঘটনা বলতে হবে। আর এজন্যই মহান স্রষ্টা ঘুমকে অর্ধমৃত অবস্থা বলেছেন, এই সুত্রানুসারেই বুঝা যায় মৃত্যু হল এমনি ঘুম যে ঘুমের স্বপ্ন শুধুই স্বপ্ন নয় বরং বাস্তবতা। অথচ মৃত্যুর পর পুনুরুত্থান বুঝার জন্য ঘুমের মত এমন নিদর্শন থাকা সত্তেও নাস্তিকরা তা নিয়ে চিন্তা করে না।

আর সবচেয়ে বড় কথা হল ধর্ম সত্যিই ঠিক বলে প্রমান হয় তখনই, যখন দেখা যায় যে ঈশ্বর ধর্ম গ্রন্থে যা যা বলছেন তা সত্য বলে প্রমান হয়। অর্থাৎ বাস্তবতা, প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং ভবিষ্যতবানী এসব ক্ষেত্রে ঈশ্বরের কথা আশানুরুপভাবে ঠিক প্রমান হলেই আর কোন সন্দেহ থাকার কথা নয় ধর্মের প্রতি। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ১মাত্র ইসলাম ধর্মই বাস্তবতা, প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং বর্তমানে ঘটে যাওয়া ভবিষ্যতবানী সম্পর্কে একদম ১০০ভাগ সত্য বলেছে। যেগুলো পরের পর্বগুলোতে আলোচনা করা হবে। কিন্তু যেগুলো এখনও ঘটেনি বা শুধুই থিউরি অর্থাৎ প্রতিষ্ঠিত সত্য নয় সেগুলোর ব্যাপারে মানুষের মতবাদের সাথে ইসলাম ধর্মের অনেকটাই অমিল পাওয়া যায়। কিন্তু যখন সেই বিষয় গুলোও ঘটবে এবং মানুষও সেগুলোকে ১০০ভাগ প্রমান করবে, তখন দেখা যাবে সেগুলোও হুবহু ইসলাম ধর্মের কথার সাথে মিলে যাচ্ছে, তার কারন এই পৃথিবীর বুকে আর কোন গ্রন্থের কথা এত সত্য ও বাস্তবে পরিনত হয়নি। অথচ নাস্তিকেরা যে বিজ্ঞানের দোহাই দেয় সেই বিজ্ঞান আজ এটা বলছে কাল ওটা বলছে আর তারা যতগুলো গ্রন্থই পড়ুক না কেন সব গ্রন্থেই কিছু না কিছু ভুল আছেই। কিন্তু ইসলাম ধর্মের আল কোরআন গ্রন্থে মহান স্রষ্টা আল্লাহ(সুবঃ) সবাইকে চ্যালেঞ্চ করছেন যে- যদি এই কুরান আল্লাহ ছারা অন্য কারও কাছ হতে আসত তবে তাতে অবশ্যই অনেক ভুল থাকত। অর্থাৎ কুরানে ১টিও ভুল কেউ বের করতে পারবে না। এরকম নির্ভুল গ্রন্থ ১মাত্র সৃষ্টিকর্তার পক্ষেই তৈরী সম্ভব। তবে ইসলাম ধর্মের বিরোধিরা কুরানের অনেক ভুলই ধরেছে, তবে সত্য এটাই যে তারা যেসব ভুল ধরে অপপ্রচার চালিয়েছে তার সবগুলোই হল- ভাল আরবী না জানার কারনে ভুল ব্যাখ্যা এবং মিথ্যা অপবাদ। এসব ভুল ব্যাখ্যা এবং অপবাদগুলোকে ইসলাম ধর্মের বিজ্ঞরা আবার কুরান দ্বারাই সঠিক ব্যাখ্যা করে তাদের মিথ্যা অপবাদগুলোর জবাব দিতে মোটেও বিলম্ব করেনি। কিন্তু মিডিয়া ইসলাম ধর্মের বিরোধিদের হাতে থাকায় তা খুব কম মানুষই জানতে পেরেছে। আবার দেখা যায়, অন্যান্ন ধর্ম গ্রন্থগুলোরও কিছু কথা বাস্তবতা, প্রতিষ্ঠিত সত্য এবং ভবিষ্যতবানী এসব ক্ষেত্রে মিলে যায়। এসব কথা মিলে যাওয়ার কারন হল, ইসলাম ধর্ম বলে যে পূর্বে আল্লহ-ই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জাতির উপর নবীদের দ্বারা একের পর এক বিভিন্ন আসমানী কিতাব অবতীর্ণ করেছিলেন শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি সময়কালের জন্য তাই কিছু কথা মিলে। কিন্তু অন্যান্ন ধর্ম গ্রন্থগুলোর অনেক কথাই মিলে না আল্লাহর বাণী হওয়ার পরও তার কারন, পরবর্তীতে মানুষেরা ধর্মগ্রন্থগুলোকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিকৃত করে ফেলেছে, তাই বেশির ভাগই মিলে না। আর মানুষের দ্বারা বিকৃত হওয়ায় আল্লাহ(সুবঃ) শেষে কুরান অবতীর্ণ করেন সমস্ত জাতির উপর এবং অতীতের ধর্মগ্রন্থগুলোকে ব্যান্ড করে দেন আর ইসলামকে একমাত্র গৃহিত ধর্ম হিসাবে কেয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত বহাল রাখেন । আর নবী সাঃ উপর আল্লাহ (সুবঃ) যে জিকর বা উপদেশবানী নাজিল করেছেন তার দায়িত্ব্যভার এবার স্বয়ং আল্লাহ(সুবঃ)ই নিয়েছেন বলেই হয়ত আজ ১৪০০বছর হয়েছে কিন্তু শুধুমাত্র যে উসমান রাঃ এর আমলে সংকলিত কুরানেরই ১টি অক্ষরও কেউ পরিবর্তন করতে পারেনি এমনটি নয় বরং নবী সাঃ এর অসংখ্য হাদিস ভান্ডারগুলোও আল্লাহ পাক এমনি ভাবে সহী ও জয়ীফ আলাদা করে সংরক্ষন করিয়েছেন যে অনেক বিধর্মী শত চেষ্টা করেও বিকৃত করতে পারেনি এবং পারবেও না।
আর সবচেয়ে বড় কথা হল- এই মহাবিশ্বের প্রভু মাত্র ১জনই এবং সত্য ধর্মও ১টিই। যদি ধর্ম বিভিন্ন হত তবে প্রভুও বিভিন্ন হত, আর এরকম হলে এক ঈশ্বরের সঙ্গে আরেক ঈশ্বরের যুদ্ধ লেগে এই দুনিয়াই ধ্বংস হয়ে যেত। তাই অন্নান্য ধর্মের অনুসারী এবং নাস্তিকদের এসব নিয়ে চিন্তা ভাবনা না করে জীবন যাপন করা অবশ্যই বড় ধরনের বোকামী ও রিস্কি।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলছেন, "১৪০০ বছর হয়েছে কিন্তু কুরানের ১ টি অক্ষরও কেহ পরিবর্তন করতে পারেনি, এবং পারবেও না"।

-কি কারণে মানুষ ধর্মগ্রন্হকে পরিবর্তন করবে? ইহা তো সায়েন্স নয় যে, সময়ের সাথে মানুষের ধারনার রিফাইনিং হচ্ছে, পরিবর্তন দরকার; তা'হলে পরিবর্তন না হওয়াই স্বাভাবিক! আপনি ইহার দ্বারা কোন লজিক প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন?

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:০৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: অন্নান্য ধর্মগ্রন্থ নিজেদের মন মত পরিবর্তন করেছে কিন্তু কুরান পারেনি বিশেষ করে উসমান রাঃ এর সংকলিত কুরান

২| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঈশ্বরে বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসীদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ আলাদা। বিশ্বাসীরা ঈশ্বরে বিশ্বাস রেখে ঈশ্বরের অস্তিত্বের পক্ষে লজিক খুঁজে। কিন্তু অবিশ্বাসীরা লজিকের মধ্যমে ঈশ্বরের অস্তিত্ব খুঁজে। এবং খুঁজতে খুঁজতে হতাশ হয়ে ঈশ্বর বলে কিছু নেই... এই মতবাদে স্থির হয়।

বিশ্বাস আর লজিকের মধ্যে ব্যালেন্স রেখে সবাই ভাবুক- এটাই চাই।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৯

শিখণ্ডী বলেছেন: আমার মনে হয় ঈশ্বর ঠিকই আছেন। শুধু তাঁর বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় সবকিছু ঠিকঠাক দেখতে পান না। অতীতে পাপিদের নাশ করে দিতেন। অথচ এখন ফিলিস্তিনি, রোহিঙ্গাদের এত অত্যাচারের পরের তার কোনও ভূমিকা দেখি না।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আমরা মুসলমান এবং আমরা জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহকে মেনে চলি। লা ইলাহা ইল্লালাহ। এর উপরে আর কোনো কথা নেই। এখন একজন নাস্তিক কি বললো না বললো বা কি বিশ্বাস করলো তাতে কিছু যায় আসে না।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ১:২৬

নতুন বলেছেন: পৃথিবির ইতিহাসে সৃস্টি কতা` একবার মোজেজের সাথে দেখা করেছিলেন.... তিনি আগুনের মতন দেখেছিলেন

ইবরাহীম আ: এর কাছে স্বপ্নে সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কুরবানী চেয়েছিলেন

ঈসা আ: এর মায়ের নিকট বানী এসেছিলো....

রাসুর সা; এর নিকট ফেরেস্তা পাঠিয়েছিলেন.... তিনি পরে আল্লাহের কাছে গিয়েছিলেন কিন্তু সামনা সামনি দেখেন নি।

সৃস্টিকতা` কেন প্রায় একজন মেষ পালক, কুমারি, কম শিক্ষিত মোহাম্মাদ সা: এর কাছেই এসেছিলেন....

এখন তিনি আধুনিক সময়ে কেন বড় করে তার ম্যাসেজ বেশি মানুষকে দেয় না কেন?

মানুষ এখন মঙ্গলে বসতীর চিন্তা করে, এই কারনে মেষ পালকের কাছে পাঠানো বানীতে তার অনুসারীরা বেশি ভক্ত থাকতে পারেনা।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩৩

খনাই বলেছেন: ব্লগের কিছু প্রগতিশীল প্রতিনিধিদেখা যাচ্ছে গা জুড়ি মন্তব্য করেই আল্লাহ নেই সেটা বলতে চাচ্ছেন ! আপনারা আল্লাহ আছে কি নেই এই সব নিয়ে মন্তব্য করার আগে বর্তমান পৃথিবীর খ্যাতিমান থিওরিটিক্যাল ফিজিসিস্ট যারা আছেন তাদের লেখাটেখা একটু পড়ুন। তারা আল্লাহ বা ঈশ্বর সম্পর্কে কি বলছে একটু পড়ুন। এমন কি নিজেকে অবিশ্বাসী হিসেবে পরিচয়দানকারী এমআইটি-র থিওরিটিক্যাল ফিজিসিস্ট এলান লাইটম্যানের লেখাগুলো অন্তত পড়ুন । বা এগ্নস্টিক হিসেবে পরিচয়দানকারী ইয়েল ইউনিভার্সিটির ম্যাথ ডিপার্টমেন্টের প্রাক্তন চ্যেয়ারম্যান বিখ্যাত ম্যাথমেটিশিয়ান, এস্ট্রোফিজিসিস্ট, কসমোলোজিস্ট কার্ল সেগানের লেখা পড়ুন । কেন তারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে ডেফিনিট "না" বলছেন না সেটা একটু পড়ুন দয়া করে । তারপর এই ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে মন্তব্য করুন। তারপর বলুন ।

পড়াশোনা না করে শুধু আর্গুমেন্ট করেতো ঈশ্বর মিথ্যে প্রমান করা যাবে না। আর @নতুন প্রাচীন হাস্যকর যুক্তির কথা না বলে নতুন কিছু বলুন ! আল্লাহর ওহী পাওয়ার মতো মানুষতো হতে হবে কাউকে তাহলেতো সে ওহী পাবে নাকি ? আপনার কি মনে হয় সেরকম মানূষ অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্চে আর আল্লাহ ওহী পাঠানোর মানুষ খুঁজে পাচ্ছেন না ? একটু পড়ুন ভাই ।না পড়ে এ সব হাবিজাবি বলা কোনো কন্সট্রাক্টিভ আলোচনার সহায়ক নয় । এনার্জির ক্ষয় হয় না শুধু রূপান্তর হয় । এরকম একটা তথ্যতো পৃথিবী টিকে থাকলে মিলিয়ন ইয়ার্স পরেও সত্যিই থাকবে । যে মেসেজগুলো ওহী হিসেবে এসেছে সেগুলো সেরকম সত্যি সেটা বিশ্বাস করলে সেগুলোর এখনো একই থাকতে অসুবিধা কোথায় ? ওটা মঙ্গলে যাবার মত উন্নতির সাথে সাথে পরিবর্তন হবে কেন ? এখনো কি আল্লাহ নেই সেটা পরিমান করা গিয়েছে যে তার কথা পরিবর্তন করতে হবে ?

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন

৭| ২৬ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৫৩

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: আপনি কি চাঁদে দূরবীন দিয়ে ঈশ্বর খুঁজছেন? B:-)

সত্যিকারের প্রেমের না বলা গল্প ( true love )

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৫

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: না ! তবে নাস্তিকরা খুজেছিল কিন্তু পায়নি বলে নাস্তিকই রয়ে গেছে

৮| ২৬ শে মে, ২০১৮ ভোর ৬:৩৭

কিশোর মাইনু বলেছেন: একজন সাচ্চা নাস্তিক একজন সাচ্চা আস্তিক হতে পারে।
এর বেশী কিছু বলবনা।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: জিগ্বাসু সৎ নাস্তিক আর ধর্মবিরুধী নাস্তিক দুটা আলাদা

৯| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ঈশ্বর বলতে কিছু নেই।
ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: এটা নাস্তিকদেরই কল্পনাপ্রসুত ধারনা

১০| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

সনেট কবি বলেছেন: @ ভাতিজা এটা কি শুনাইল? ভাতিজা কি রোজা নামাজ করে? আমি বেশ চিন্তায় আছি।

১১| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৪

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: @রাজীব নূর , আপনি মন্তব্যে সাবধান হন। কোন বলদ আপনাকে নাস্তিক ট্যাগ দিয়ে কল্লা নামিয়ে দিতে পারে।

টেষ্ট টিউব বেবির জনক - ডক্টর সুভাষ মুখোপাধ্যায়

১২| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা হা ...... আমিও কেন জানি মনের অজান্তে ভাবি ঈশ্বর আছেন।

হা হা হা ..... সবাই বলেন ঈশ্বর আছেন, কিন্তু কেহই ঈশ্বরকে দেখেন নাই।

হা হা হা ........ হয়তো বিশ্বাসটাই মানুষের ঈশ্বর!!!

১৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

কানিজ রিনা বলেছেন: আস্তিক ও নাস্তিক, স্বর্গ ও নরক প্রতিটা
ধর্মে স্বর্গ নরক বিদ্যমান। নাস্তিকেরা কোনও
ধর্ম বিশ্বাস করেনা। পাপিতাপি আস্তিক নাস্তিক
কর্মফল ভোগ করবে। নাস্তিকেরা অবিশ্বাসী
তাই খারাপ কাজেও আল্লাহকে ভয় পায়না।
কিন্তু আস্তিকেরা খারাপ কাজ করে আল্লাহর
ভয়ে অনুসচনা করে। আর এই অনুসচনাই
হোল মানবীকতার বড় ধর্ম। আল্লাহর ধর্মই
মানবীকতার প্রতিষ্ঠার উপর নির্ভরশীল।

আমি ছোট্টকালে ফুলের গাছ লাগাতে পছন্দ
করতাম যেমন গাঁদা গোলাপ। কেউ এসে
ফুল ছিড়লে খুব দুঃখ পেতাম বলতাম
তুইকি পারবি ফুলটা জোড়া লাগাতে তখনই
মনে হোত আল্লাহ তুমি এই ক্ষমতা কোনও
মানুষকে দাও নাই একটা ফুলের পাঁপড়ি
ছিড়ে নতুন করে জোড়া লাগাতে।
অথচ গাছটা আমি লাগিয়েছি আমি জানিনা
ফুলের পাঁপড়ি জোড়া লাগাতে।
আমার সন্তানেরা আমার উদরে বড় হয়েছে
আমি অনুভব করেছি অথচ দেখতে পাই নাই
কিভাবে একটি শিশু পরিপুষ্ট হয় আমি অক্ষম
দেখতে পাই নাই। অথচ শিশুটির বড় হওয়া
লালন পালন সবই আমার দায়ীত্ব। আমার
স্তন দূগ্ধ দেখে অবাক হতাম সৃষ্টিকর্তার
সুপরিকল্পিত সুমহান দান দেখে। প্রকৃতির
সুপরিকল্পিত সৃষ্টির অনুভব যে বুঝেনা সে
নাস্তিক। বেশ ভাল লাগল বিস্তারিত পোষ্টে।
ধন্যবাদ।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ বিশেষ করে বিস্তারিত কমেন্ট এর জন্য

১৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: একজন মুসলমান হয়ে, ঈশ্বর আছে কি নেই এই মতভেদে যেতে চাচ্ছি না।

আল্লাহ এক এবং অদ্বিতীয়। তিনি সর্বশক্তিমান। তিনি সবাইকে হেদায়েত দাণ করুন।

১৫| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: আমি আস্তিক নয় আবার নাস্তিকও নয়,বড়োজোর সংশয়বাদী বলা যেতে পারে। কারো বিশ্বাসে আঘাত দিই না। সমস্ত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হলে উপস্তিত থেকে আনন্দ নিই।

একজন নারী যিনি সবজি বিক্রি করে একটি হাসপাতাল নির্মাণ করেছেন।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:২৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনি তো আমেরিকা কখনও নিজ চোখে দেখেন নি তবে কি আপনি আমেরিকার অস্তিস্তে আপনি সংশয়বাদী ?

১৬| ২৬ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কুরানের ১ টি অক্ষরও কেহ পরিবর্তন বা ভুল বের করতে পারেনি।

এ দাবী কোরানেও করা হয়নি।

কোরান লিখিত ভাবে নাজেল হয়নি। হয়েছিল মুখে মুখে। তখনকার রাজনৈতিক অবস্থা ও রসুল(স) ব্যক্তিগত, পারিবারিক অবস্থান, মেজাজের অবস্থার বিবেচনায় বিচ্ছিন্ন ভাবে বহুবছর ধরে একএকটি আয়াত বা সুরা নাজিল হয়েছিল।

রসুলের মৃত্যুর পর হাফেজদের মুখে শুনে কোরান গাছের পাতায় লিখেরাখা হয়েছিল। অনেক পরে অনেক আয়াত হারিয়ে যায়, কিছুপাতা ছাগলের পেটেও গেছিল।
হাদিসের কথা।

পরে হজরত ওসমান কোরান লেখা সুরু করেন।
তখন কোন আয়াত আগে পরে হবে,কোন আয়াত বাদ যাবে বা যুক্ত হবে এসব ও আয়কর বৃদ্ধি ইত্যাদি বিবাদে হজরত ওসমানকে মসজিদে কোরান লেখারত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।

৪ জন সাহাবি ৩ জনই বিভিন্ন বিবাদে সহযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়েছিলেন।

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০৫

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: অনেক আয়াত হারিয়ে যায়, আপনাকে কে বলল? কিছুপাতা ছাগলের পেটে যা গেছিল তা কিন্তু হাফেজরা ঠিকই মুখস্ত রেখেছিল আর বর্তমানে হাদিস আকারে আমাদের মাঝে ঠিকই আছে যে- রজম করতে হবে আর দূর্ভিক্ষে পানিও না থাকলে মাহরাম বয়স্ক লোকদেরও দুধ পাত্রে করে খেতে পারবে জান বাঁচানোর জন্য।
//কোন আয়াত আগে পরে হবে,কোন আয়াত বাদ যাবে বা যুক্ত হবে এসব ও আয়কর বৃদ্ধি ইত্যাদি বিবাদে হজরত ওসমানকে মসজিদে কোরান লেখারত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।// এই কথাটির কোন দলীল দিতে পারবেন উইকি ইসলাম বাদে?

১৭| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ১:৪০

খনাই বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী, ভাই আপনারতো মনে হয় বিরাট ডিগ্রি আছে ইতিহাসে বিশেষ করে ইসলামী ইতিহাসে । তা আপনার বিদ্যার দৌড় দেখে জানতে ইচ্ছে করছে আপনার ইসলামী জ্ঞানগুলো এলো কোথা থেকে ? ভুরুঙ্গামারী কলেজ থেকে ? ঐসব জায়গা থেকে জোগাড় করা বিদ্যা একটু কম দেখলে হয় না প্লিজ ! পড়াশোনা করুন ইসলাম নিয়ে। তারপর তারপর এইসব বিষয়ে কথা বলুন । অনেক বড় বড় ইসলামিক আর পাশ্চাত্যের নন ইসলামিক স্কলার এগুলো নিয়ে কথা বলেছেন । জ্ঞানবৃদ্ধির জন্য তাদের লেখাগুলোও পড়তে পারেন।আপনি এই বিষয়ে জ্ঞান বিতরণ না করলে,কথা না বললে বিশ্বাস করুন পৃথিবীর কোনো ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না বরং ব্লগে একটু শান্তি থাকবে ।

১৮| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ২:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ খনাই

গাছের পাতায় লিখেরাখা অনেক আয়াত ছাগলের পেটে যেয়ে হারিয়ে যায়।
৪ জন সাহাবি ৩ জনই সহযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়েছিলেন।

এসব হাদিসেই পাওয়া যায়, ওয়াজের মাওলানাদের কাছে শুনে এসব পাবেন না।

ইসলামিক স্কলার জিনিষটা কি?
এই স্কলারশীপ কারা দেয়?

১৯| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৪১

খনাই বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী,

ভাই, ইসলামের ইতিহাস বলে রাসূলের (সাঃ )একলক্ষ বা তার বেশি সাহাবী ছিলেন। আপনি কোন চারজন সাহাবীর কোন তিনজন সহযোদ্ধার হাতে নিহত হবার কথা বলছেন ? কোনো কমপিউটার গেমের কথা বলছেন নাকি একটু খোলাসা করুন ? আমাদের জ্ঞানগম্যিতো আপনার মতো দিগ্গজ নয় সেটা দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন ! আর একটু ইতিহাস ভিত্তিক তথ্য দেবেন প্লিজ । মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিতার মতো লিখবেন না । ব্লগে কবিতার জ্বালায় এমনিতেই অস্থির আছি !

ইসলামিক স্কলার জিনিসটা বোঝানো কঠিন আপনাকে । ওটা হাটে ঘাটের মানুষের বোঝার কথা না ।কিন্তু ভাইজান আপনাকে একটা প্রশ্ন করি "বাইবেল স্কলার" বলতে একটা ব্যাপার কিন্তু আছে হুনসুন কহনো ? ওটা বোঝার চেষ্টা করেন তাহলে ইসলামিক স্কলার ব্যাপারটাও বুঝবেন আশা করা যায়।

২০| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
প্রধান চারজন সাহাবী যারা পরে খলিফা হয়েছিলেন তাদের ৩জন সহযোদ্ধা আততায়ীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন।

আমার প্রশ্ন ছিল এই স্কলারশীপ কারা দেয়? জানা থাকলে বলুন।

ইসলাম এমন একটা ধর্ম যার সুরু থেকেই কোন্দল ও বিভক্তি ছিল। রসুল নিজেই বলেছিলেন তোমরা ৭৩ ভাগে বিভক্ত হবে।
রসুল (স) শেষদিকে কোন্দল তীব্র হয়েউঠেছিল। ওনার মৃত্যুর পর জানাজা দেয়া পর্যন্ত সম্ভব হয়নাই, কোন্দলের কারনে।
অতচ মক্কায় ওনার বিশাল জানাজা হওয়ার কথা ছিল।
মৃতুর সংবাদ অনেকটা গোপনই রাখা হয়েছিল, বিপক্ষের লোকদের হাতে লাশ ছিনতাই হওয়ার ভবে বাসা থে লাশও বের করা হয়নি, জানাজাতো দুরের কথা।
দ্রুতই উনি যে রুমে উনি মারা গেছিলেন সেই রুমেই গর্থ করে লাশ কবর দেয়া হয়েছিল।

২১| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:০১

খনাই বলেছেন: @ হাসান কালবৈশাখী,

আপনার ইসলামী ইতিহাস জ্ঞানের ধাক্কায় উল্টে যাবার দশা হয়েছে ভাই মাইরি বলচি | আপনার জ্ঞানভাণ্ডার কোনো সমস্যা নেই একটা ছাড়া | সেটা হলো আপনার ভান্ড ভর্তি গার্বেজ | নিজেকে হাস্যস্পদ না করে একটু পড়ুন | পড়াশোনা করে তারপর এসব বিষয়ে কথা বলুন | রাসূল (সাঃ) মারা গেলেন মদিনায় আর দুশো মাইল দূরে মক্কায় উনার বিশাল জানাজা হবার কথাকে ছিল সেই চৌদ্দশো বছর আগে ! কত আর ইডিয়টের মতো কথা বলবেন ! যেটা জানেন না সেটা নিয়ে কথা না বললেইতো হয় রে ভাই !

আপনার সাথে কথা বলা আর উলুবনে মুক্ত ছড়ানো একই | তাও ইতিহাসের মিথ্যেগুলো কেমন অবলীলায় উচ্চারণ করছেন দেখে অবাক লাগল |তিনজন খলিফা মারা গিয়েছেন তার সহযোদ্ধাদের হাতে ! এই আজগুবি তথ্য কোথায় পেলেন ? একটা রেফারেন্স দিনতো দেখি কোথায় ওই তিনজন আততায়ীর ব্যাপারে "সহযোদ্ধা" কথাটা লেখা আছে ? রাসূলের (সাঃ) জানাজার ব্যাপারে যা বললেন তার কোন রেফারেন্স একটু বললে বড় বিগলিত হতাম |আশাকরি আপনার জ্ঞানভাণ্ডার এব্যাপারে একটু ফুটো করে আমাদের বিলিয়ে কৃতার্থ করবেন !

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই খনাই, আপনি ঠিকই ধরেছেন হাসান কালবৈশাখীর মত ব্লগাররাই সত্য ইসলামি ইতিহাসের সাথে একটু আধটু মিথ্যে মিশিয়ে তা সাধারন মানুষের মাঝে এমনভাবে প্রচার করছে যে মানুষ ইসলাম এর ব্যাপারে ধোকাতে পরতে বাধ্য

২২| ০১ লা জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৩৫

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বেশিরভাগ ধর্ম বিষয়ক পোস্টে নাস্তিকদের কমেন্ট দেখা যায় । নিজেদের দেহ আর প্রকৃতিই যথেষ্ট, স্রষ্টায় বিশ্বাস আনার জন্য । ছোট ভাইটিকে কয়েকদিন আগে বলছিলাম, যদি ধর্মের সৃষ্টি না হতো, কোন জীবন বিধান যদি নাও দিতেন, তবুও স্রষ্টায় বিশ্বাস আনতাম, নিজের দেহের দিকে থাকিয়ে । নাস্তিক ভাইয়েরা দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ, যতই নিদর্শন দেখি, তবুও স্রষ্টায় বিশ্বাস করবো না । শুধুমাত্র বিশ্বাস করবো, আমরা শিপাঞ্জি আর বানরের উন্নত জাত । তাহলে ভাই, যখন জানোয়ারের বাচ্ছা বলি, তখন চ্যাতেন কেন । ওদের মাথায় হয়তো সেটা নেই, ওদের মতো অবিশ্বাসীদের কথা কোরানে বর্ণিত আছে । কিয়ামতের আগে এদের সংখ্যাটা অনেক বেশী হবে, সেটা ও ওদের মাথায় নেই । নাস্তিক ভাইয়েরা শুনেন, যদি আপনাদের হায়াত থেকে থাকে আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত, তাহলে স্রষ্টার পক্ষ থেকে আসা নিদর্শন অবশ্যই দেখতে পাবেন । কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি আপনাদের সময়কালটা খুবই সংক্ষিপ্ত, দু-তিন যুগের বেশী মনে হয় না আর আছে ।

২৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ২য় পর্বের লিংক Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.