নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যিই কি ঈশ্বর বলতে কিছু আছে ???

২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৩


----------বাস্তবতার আলোকে ( পর্ব-২) ///---------- ১ম অংশঃ-
পৃথিবীতে সকল মানুষের মাঝে বর্তমানে প্রধানত দুটি বিশ্বাসই চালু রয়েছে। ১হল ঈশ্বর আছে, অপর বিশ্বাস হল ঈশ্বর নেই। কিন্তু আমাদের এখন করনীয় হল কোন মতবাদটি আসলে সঠিক তা বাস্তবতার আলোকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই বাচাই করে তারপর সেটিতে বিশ্বাস করা। বর্তমান নাস্তিকতা প্রধানত দুটি বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে আছে আর এ দুটি বিশ্বাসই বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্বাস যেমন- ১) মহাবিশ্বের সর্বপ্রথম সৃষ্টি ২) মানুষের ১ম অবস্থা বা আদিপিতা। প্রথমে আলোচনা করা হচ্ছে মহাবিশ্বের ১ম সৃষ্টি নিয়ে। সাধারনত প্রায় সব আস্তিকেরই বিশ্বাস যে, এই মহাবিশ্ব সর্বপ্রথম ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন পরে বিভিন্ন প্রানী ও উদ্ভিদ সৃষ্টি করে ১ধরনের প্রনালী তৈরী করে দিয়েছেন যার মাধ্যমে পরবর্তিতে সৃষ্ট জগত আপনা আপনি সৃষ্টি ও বিনাশ হয়ে চলছে ঈশ্বরেরই বেধে দেয়া নিয়ামুনাযায়ি সেটাও তাঁরই ইচ্ছায় তাঁরই হুকুমে । কিন্তু বেশীরভাগ নাস্তিকদেরই বিশ্বাস যে, এই মহাবিশ্ব আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে বা পুর্ব হতেই ছিল, আছে, থাকবে অর্থাৎ মহাবিশ্ব অবিনশ্বর কিন্তু এর অভ্যন্তরিন অনেক সৃষ্ট জিনিসই আপনা আপনি সৃষ্টি ও বিনাশ চক্রে বা রুপান্তর চক্রে আবদ্ধ আর এসব কিছুই হল প্রকৃতির ১ধরনের নিয়ম বা প্রকৃতি। এই দুটি বিশ্বাসের মধ্যে পরস্পর বিরোধী বিশ্বাস হল সর্বপ্রথম সৃষ্টি নিয়ে, এখানে ১দল বলে ঈশ্বরের মাধ্যমে সৃষ্ট হয়েছে আর অন্যদল বলে আপনা আপনি প্রকৃতির ১টা নির্দিষ্ট নিয়মে সৃষ্ট হয়েছে বা পূর্ব হতেই ছিল। কিন্তু পরবর্তিতে সৃষ্ট জগত আপনা আপনি সৃষ্টি ও বিনাশ চক্রে বা রুপান্তর চক্রে আবদ্ধ এইসব ব্যাপারে পরস্পরে তেমন ১টা বিরোধ পরিলক্ষিত হয় না। এখন বুদ্ধিমান মানুষ হিসাবে আমাদের করনীয় হল- এ দুটি মতবাদের মধ্যে কোন ১টি মতবাদকে ১মে সত্যের মাপকাঠিতে ভুল প্রমানের চেষ্টা করা, আর যদি ভুল প্রমান সম্ভব হয় তবে অপরটি সঠিক হবার ৯৯ভাগ সম্ভবনা বিরাজ করবে তখনি যখন সেটিকেও কিছুতেই ভুল প্রমান সম্ভব হবে না। এখন আস্তিকদের বিশ্বাসটি যদি সঠিক না হয় তবে তা অতি কাল্পনিক হবার সম্ভাবনা থাকায় এবং নাস্তিকতার বিশ্বাস মানুষই প্রমান করতে পারে বিধায় মানুষের ক্ষেত্রে এটাকে পর্যালোচনা করাও সহয তাই নাস্তিকদের বিশ্বাসটাকে ১মে ভুল প্রমান করার চেষ্টা করা উচিত কেননা সহয পন্থাই ১মে গ্রহন করা উচিৎ ।

অতএব নাস্তিকদের প্রাথমিক মতবাদটি ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, তারা বলে- এই মহাবিশ্ব আপনা আপনি প্রকৃতির ১টা নির্দিষ্ট নিয়মে সৃষ্ট হয়েছে অথবা পুর্ব হতেই আছে, থাকবে অর্থাৎ মহাবিশ্ব অবিনশ্বর। এই মতবাদটির ১ম অংশের মুল কথা হল মহাবিশ্ব আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে। ভালভাবে লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে, নাস্তিকদের এই মতবাদটি দেয়ার মাধ্যমে মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাই শুধু প্রমাণ হয়েছে কারন প্রায় সবকিছুরই ১ধরনের ব্যাখ্যা দেয়ার পর যখন মহাবিশ্বের মত বিশাল জিনিসের ব্যাখ্যার সম্মুখিন হতে হয়েছে, তখন মানূষ মহাবিশ্ব সৃষ্টির সঠিক কোন গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা দ্বার করাতে ব্যার্থ হয়ে হাল ছেরে দিয়ে একদমই সহজ সরল ১টি তত্ত্ব দাঁড় করেছে- আর তা হল আপনা আপনি বা প্রকৃতির কোন ১টি নিয়মে এই মহাবিশ্ব তৈরী হয়েছে। এই ধরনের তত্ত্ব প্রকাশ করার মাধ্যমে তারা চরম ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে কেননা আস্তিকরা কিন্তু ঠিকই মহাবিশ্ব সৃষ্টির বিস্তারিত বিবরন দিয়েছে যা পরে আলোচনা করা হবে, যাইহোক নাস্তিকরা বলে প্রকৃতির ১টা নির্দিষ্ট নিয়মে মহাবিশ্ব আপনা আপনি তৈরী হয়েছে কিন্তু কি নিয়মে তৈরী হয়েছে তাও কিন্তু নাস্তিকরা পূর্বে বলতে পারত না। যাইহোক কোনকিছুর হস্তক্ষেপ ছারা আপনা আপনি কোনকিছুর সৃষ্টির উদাহরন আমাদের চারপাশে যদি কোন ১টি ক্ষেত্রেও হতে দেখা যেত, তবু মানূষের জ্ঞানানুযায়ি মহাবিশ্বের আপনা আপনি সৃষ্টির মতবাদ যৌক্তিক বলা যেত কিন্তু আমাদের চারপার্শ্বে যাই হচ্ছে তার পিছনে কোন না কিছুর হস্তক্ষেপ ঠিকই পরিলক্ষিত হয় যদিও কিছু হস্তক্ষেপ হয়ত অদৃশ্য যা অনেক ক্ষেত্রে পরিমাপ বা প্রমান করার সামর্থ পর্যন্ত আমাদের থাকে না । নাস্তিকরা অতীতে ভাবত যে মহাবিশ্ব পুর্ব হতেই আছে, থাকবে অর্থাৎ মহাবিশ্ব অবিনশ্বর। কিন্তু বিজ্ঞানীরা যখন বিগ ব্যাং এর থিওরি প্রদান করল তখন নাস্তিক মহলের অবিনশ্বর মতবাদের অর্ধেকই নাকচ করে দিল কারন বিগ ব্যাং থিওরিই বলে যে এই মহাবিশ্বকে একসময় সৃষ্টি হতে হয়েছিল এবং বিজ্ঞানীরা এটাও প্রমান করে যে এই মহাবিশ্ব একসময় ধংস হয়ে যাবে অর্থাৎ মহাবিশ্ব অবিনশ্বর নয়।

যাইহোক বিশেষ করে বেলজিয়ান বিজ্ঞানী জর্জ ল্যামেটারের বিগ ব্যাং থিওরি স্টিফেন হকিং নতুন করে বিজ্ঞান মহলে প্রচারের সংগে সংগেই নাস্তিক মহল কালবিলম্ব না করে তা অকাপটে মেনে নিল এবং এটিই সঠিক মতবাদ বলতে লাগল যদিও এটি শুধুই একটি থিওরিই ছিল প্রতিষ্ঠিত কোন সত্য ছিল না, কিন্তু তাতে কি? নাস্তিক মহল পূর্বে মহাবিশ্বের ব্যাপারে যে একেবারেই বাচ্চাদের মত কথা বলত এটা থেকে অন্তত রেহাই পেল! তাই বর্তমানে বেশিরভাগ নাস্তিকই এখন বিশ্বাস করা শুরু করেছে যে মহাবিশ্ব অবিনশ্বর নয়। তারা বিগ ব্যাং তত্ত্ব মেনে নেয় কারন- ১মত এই থিওরিনুযায়ি মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে ঈশ্বরের ভুমিকার কোন প্রমান দেয়া নেই । ২য়ত এই তত্ত্বের আধুনিক প্রবক্তা স্টিফেন হকিং নিজেও একজন নাস্তিক। এখন আমাদের দেখতে হবে বিগ ব্যাং থিওরি কি বলে ? বিগ ব্যাং থিওরির সারমর্ম খুবই সংক্ষেপে যা বুঝায় তা হল- সবকিছুর শুরুতে ছিল একটা বিন্দু যে বিন্দুর ঘনত্ব ছিল অসীম কিন্তু আয়তন ছিল একেবারেই শুন্য এবং সময়ও শুন্য অর্থাৎ সময়ের তখন জন্মই হয়নি আর তখনই মহা বিস্ফোরন(বিগ ব্যাং) ঘটে এবং সময় এবং আয়তনেরও শুরু হয়ে প্রসারন ঘটতে থাকে এবং ১মে তাপমাত্রা ছিল অত্যাধিক আর ১ম সময় বা বিস্ফোরনের পরমূহুর্তের নাম প্লাঙ্কর সময়। তখন সব বল ছিল একীভূত। ঠিক এর পরের মূহুর্তেও এই সুবিশাল আয়তনের মহাবিশ্বের আয়তন ছিল অত্যন্ত ক্ষুদ্র। অতঃপর প্রসারিত হতে শুরু করে যা চলছে আজ অব্দি। মহাবিস্ফোরনের প্রচন্ড ধাক্কায় মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হতে থাকে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। আর তাপমাত্রাও কমতে থাকে অনেক দ্রুতই। মোটকথা সবকিছুই প্রথমে একটি বিন্দুতে পুঞ্জিভিত ছিল পরে বিস্ফরনের পর আলাদা হয়ে প্রসারিত হতে হতে বর্তমান অবস্থায় পৌছে। যাইহোক এই থিওরির অনেক সীমাবদ্ধতা বিজ্ঞানীরা সফলভাবে প্রমান করেছে আর বিগ ব্যাং এর বিরোধিতা অনেক বড় বড় বিজ্ঞানীই করে থাকে। ১ম দিকে হকিং সিঙ্গুলারিটিসহ যে ধরনের বিগ ব্যাং এর থিওরি দেয় তা স্ফিতিতত্ত এর মাধ্যমে সম্পুর্ন পরিস্কার হয় যে বিগ ব্যাং এর পূর্বেও অনেক কিছু ঘটেছে। সুতারাং স্টিফেন হকিং গোজামিল দিতে দিতে অনেক আপগ্রেড করার পরও যখন দেখল তার বিগ ব্যাং থিওরি হুমকির মুখে তখন সে এই থিওরির সীমাবদ্ধতা ঢাকতে অন্নান্য থিওরির সাথে সমন্বয় করে সত্য মিথ্যার সংমিশ্রনে কিছু জগাখিচুরী টাইপ হাইপোথিসিস দিয়ে তারপরই মারা যায় যেমন- তার বেশ কয়েকটি বইসহ গোঁজামিলে পরিপূর্ন “দ্য গ্রান্ড ডিজাইন” নামের বইটিও তার জ্বলন্ত উদাহরন। এই বই সমস্ত নাস্তিককুলকে সন্তুষ্ট করতে পারলেও সত্যান্বেষী মানুষ ও আস্তিকদের কাছে মিঃ হকিং আবারও ধরা খায়। কিন্তু বিগ ব্যাং থিওরিকে এমনভাবে প্রচার আর জনপ্রিয় করা হয় যে অনেকে এটাকে চরম সত্য ভাবতে থাকে তাছারা এতে কিছুটা লজিক এবং সত্যের মিশ্রণ থাকায় অনেক বড় বড় আস্তিক স্কলাররা পর্যন্ত ধর্মগ্রন্থেও বিগ ব্যাং এর কথা বলা হয়েছে প্রচার করতে থাকে। কিন্তু সঠিক তথ্যটা আসলে কি অথবা সত্যি সত্যিই বিগ ব্যাং টাইপ কিছু একটা হয়েছিল কিনা এর বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

এখন খুবই মজার একটি ব্যাপার আলোচনা করা হবে। মজার ব্যাপার হল, সর্বপ্রথম কি সৃষ্টি হয়েছিল বা ১মে কি ছিল যা থেকে বর্তমান অবস্থায় পৌচেছে ? স্টিফেন হকিং এর মতে গ্রাভিটন( Virtual Gravitons)এবং আরও অনেকের মতে হয়ত অন্যকিছু, কিন্তু এদের সবাইকে এক জায়গায় গিয়ে ঠিকই থামতে হয়, সর্বপ্রথম যে জিনিসটির অস্থিত্ব ছিল তার পূর্বে কোনকিছুরই থাকা উচিৎ নয় বা তার কোন স্রষ্টা থাকা সম্ভব নয় অর্থাৎ অবশ্যই তাকে চিরন্তন,আদি এবং সম্পূর্নই অসৃষ্টি হতে হচ্ছে নয়ত সেটিও যদি কোন কারনে বা কোনকিছুর দ্বারা তৈরী হয়ে থাকে তবে যার দ্বারা সে তৈরী হল সেটি আবার কার দ্বারা তৈরী হল? এভাবে সত্যাঘটনের এক পর্যায়ে এমন এক জায়গায় গিয়ে ঠিকই সবাই থামতে বাধ্য যা হল- ১ম শুরু বা সর্বপ্রথম এবং তাঁকে অবশ্যই এমন হতে হয় যে, ১) তা অবশ্যই কারও মাধ্যমে সৃষ্ট নয় , ২) তা অতীত হতেই ছিল বলে চিরন্তন বা সর্বদাই বর্তমান ৩) তা হবে অবশ্যই সময়ের উর্ধে বা বাইরে। আর যদি এরকম কোনকিছুতে না থেমে বাচ্চাদের মতন ভাবা যায় এরপূর্বে কি ছিল--- তারপূর্বে কি ছিল ? তবে সৃষ্টির অসীম থিওরি অনুযায়ি কোনকিছু সৃষ্টিই হয় না(এই ইনফিনিট রিগ্রেস নিয়ে একটু পরে আলোচনা করা হচ্ছে)।

এখানে এই ব্যাপারটি খুবই ভালভাবে মনযোগ দিয়ে লক্ষ্য করতে হবে যে, এই মহাবিশ্বের ১ম সৃষ্টি বা প্রথম উপাদান নিয়ে সত্য উৎঘটনে ঘুরেফিরে শুধুমাত্র দুটি পথই সামনে আসছে বা আসবে যথা- ১) সর্বপ্রথম যে জিনিসটির অস্থিত্ব ছিল(হোক সেটা গ্রাভিটন/শূন্যতার নামে এনার্জি/গড) তার পূর্বে কোনকিছুরই থাকা উচিৎ নয় অর্থাৎ অবশ্যই তাকে চিরন্তন,আদি এবং সম্পূর্নই অসৃষ্টি হতে হচ্ছে। ২) ১মটিকে অস্বীকার করলে ২য় কেবলমাত্র ১টি পথই খোলা থাকে যাকে বলা যায় ব্যার্থতার থিওরি বা সৃষ্টির অসীম থিওরি অর্থাৎ এই থিওরি অনুযায়ি যেহেতু এমন একটা জিনিসকে বা ব্যাপারকে মহাবিশ্বের ১ম সৃষ্টি বা প্রথম উপাদান হিসেবে উল্লেখ করা হয় যা অন্যকিছুর মাধ্যমেও সৃষ্ট হতে সক্ষম, এখন যার মাধ্যমে সে সৃষ্টি হয়েছে সে আবার কার মাধ্যমে সৃষ্ট হল? এভাবে চলতেই থাকে বলে একে সৃষ্টির অসীম থিওরি বলে(এই ইনফিনিট রিগ্রেস এর ব্যাপার নিয়ে একটু পরে আলোচনা করা হচ্ছে) আবার মহাবিশ্বের আসল রহস্য উদঘাটনে ব্যার্থ হওয়ায় একে বলা যায় ব্যার্থ তত্ত ।
যদিও বর্তমান নাস্তিক বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের ১ম সৃষ্টি বা প্রথম উপাদান নিয়ে সত্য উৎঘটনে এমন সমস্যা হতে পরিত্রান পেতে উক্ত দুই পথ ছাড়া বিকল্প একটি পদ্ধতি বের করেছে যাকে সরাসরি বিকল্প পথ না বলা গেলেও বর্তমান বিজ্ঞানের উন্নতির কারনে আরেকটি সত্য বেড়িয়ে পরেছে, অনেকটা কেঁচো খুরতে সাপ বেড়োনোর মত ব্যাপার। এই পদ্ধতিতে নাস্তিকদের অতীতের মতবাদকেই সত্য প্রমানের চেষ্টা করা হয়েছে অর্থাৎ - “মহাবিশ্বের ১ম সৃষ্টি বা প্রথম উপাদান থাকতেই হবে এমনটি নয় বরং মহাবিশ্বের যা কিছু আছে সবকিছুই হল মূলত এনার্জী আর এই মূল এনার্জীরুপে এই মহাবিশ্ব শুর হতেই ছিল, আছে এবং থাকবে আর এই এনার্জীগুলোই বিভিন্নভাবে বিগ ব্যাং বিগ ক্রাঞ্চ ইত্যাদির মাধ্যমে বিশ্ব জগত তৈরী করেছে আবার ধ্বংস করে আবারও সৃষ্টি করবে অর্থাৎ এই অবস্থা আপনা আপনি চলতেই থাকবে অতএব মৌলিকভাবে এই মহাবিশ্বের সব কিছুই অবিনশ্বর”।
এখানে সবচেয়ে বড় একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে বর্তমানে যারা বিজ্ঞানের কর্নধার তাদের বেশীরভাগই নাস্তিক তাই সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে অনেকেই সত্যের কাছাকাছি থিউরী প্রদান করলেও সেসব থিউরীকে হাইলাইট না করে বরং আরও চাপা দেয়া হয় আর যদি কেউ এমনভাবে থিউরী দেয় যে মহাবিশ্ব সৃষ্টির মূলে কোন ঈশ্বরের ভূমিকা নেই তবে তার থিউরী যতই কম সত্য হোক না কেন, উক্ত থিউরীকে শুধু হাইলাইট করেই তারা ক্ষান্ত হবে না বরং তাকে নোবেল প্রাইজেও ভূষিত করবে। কিন্তু যতকিছুই হোক না কেন সত্য কখনও চাপা থাকে না তাই বিংশ শতাব্দীতে ফিজিক্স আরো উন্নত হওয়ায় অনেক থিউরীই সত্যের কাছাকাছি হওয়া সত্তেও তা বিজ্ঞান মহলে স্থান পেতে শুরু করেছে যেমন- তারা প্রমান করেছে যে শুন্য হতেই সবকিছু সৃষ্টি সম্ভব যদিও এই শুন্যতা একেবারেই সত্যিকারের শুন্য বলতে আমরা যা বুঝি তা নয় বরং পরস্পর বিপরীতমুখী সমপরিমান কণা-প্রতি কণা কাছাকাছি আসার পর তারা ধ্বংস হয়ে এনার্জী হিসেবে শুন্যতায় পৌছে আর এই ধরনের শুন্যাবস্থা হতেই আবারও সৃষ্টি হয় কণা এবং প্রতিকণার অর্থাৎ শুন্যস্থানে এরকম অনবরত ধ্বংস এরপর এনার্জী অতঃপর আবারও সৃষ্টি সর্বদা হয়েই চলেছে আর এতেই নাস্তিক বিজ্ঞানীরা মনে করছে যেহেতু শুন্য হতেই সৃষ্টি হচ্ছে তাই এমনি এমনিই এই বিশ্বজগৎটাও বোধহয় সৃষ্টি হয়েছে অর্থাৎ এখানে ঈশ্বরের কোন ভূমিকা নেই। তাদের এরকম শিশুসুলভ ভাবনার মূলে রয়েছে অটো সিস্টেমের প্রমাণ অর্থাৎ কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন এর মাধ্যমে এই ধরনের কণা-প্রতিকণার সৃষ্টি-ধ্বংস তাদের মতে এক ধরনের অটো সিস্টেম মাত্র, কিন্তু অতি দুঃখের সাথে বিজ্ঞানীরাই প্রমাণ করেছে যে আসলে এই সিস্টেমে শূন্য থেকে সমপরিমাণ কনা ও প্রতিকনা সৃষ্টি হয়ে যদি আবার তারা পরস্পরকে ধ্বংস করে দিয়ে শূন্য হয়ে যায় তাহলে তো কোনো কণা অবশিষ্ট থাকার কথা নয়,তাহলে এতকিছু এলো কোত্থেকে? কেন আমরা আজ চারপাশে এত কিছু দেখছি? এখানে তো থাকার কথা ছিল নিরব নিস্তব্ধ এক প্রগাঢ় শূন্যতা! কিন্তু সেই শূন্যতা না থেকে বরং কেন এত কিছু আছে? সুতারাং শুধুই কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মত অটো সিস্টেম হলে কোনকিছুরই সৃষ্টি হচ্ছে না বরং অটো সিস্টেম না হয়ে নিয়ন্ত্রিত সিস্টেম হলেই সৃষ্টি সম্ভব হচ্ছে কারন গবেষকরা বলছেন, প্রকৃতিকে এভাবে শূন্য থাকতে দেয়া হয়নি, সৃষ্টির আদি মুহূর্তে অতি ক্ষুদ্র অনুপাতে কিছু (প্রায় 1 বিলিয়নে মাত্র 1 টি) কনা টিকে থাকতে পেরেছিল এবং সেই কনা গুলোই প্রকৃতির সঙ্গী হয়ে আমাদের আজকের মহাবিশ্ব তৈরি করেছে। কিন্তু সেটি কীভাবে সম্ভব হয়েছিল? কে তাদের শিখিয়ে দিয়েছিল এমন টিকে থাকার বা কে তাদের এভাবে টিকে রেখেছিল? সুতারাং এর দ্বারা এটি নিশ্চিত যে বর্তমান অবস্থা কোন অটো সিস্টেমের মাধ্যমে হয়নি বরং সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রিত সিস্টেমের মাধ্যমেই হয়েছে। আর তা কিভাবে হয়েছে তার উত্তর জানতে চাইলে নাস্তিক মাথামোটা বিজ্ঞানীরা বলছে, প্রকৃতি কখনোই শূন্যতাকে পছন্দ করে না। শূন্যতা হলো প্রকৃতির জন্য একটি অস্থির অবস্থা। কিন্তু সত্যিকারের উত্তর হবে এমন- আসলে সৃষ্টিকর্তাই এমন শূন্যতাকে অপছন্দ করেছেন বিধায় প্রকৃতিও শুন্যতাকে পছন্দ করে না তাই প্রকৃতির জন্য শুন্যতা একটি অস্থির অবস্থা। আসলে তারা সৃষ্টিকর্তার জায়গায় প্রকৃতিকে দেখছে কেননা সমস্ত নাস্তিকরাই একচোখা বস্তুবাদী ও প্রকৃতিপূজারী। তাছারা নাস্তিকরা ধর্মকে ভুল প্রমান করতে অতীতের বিভিন্ন বিকৃত ধর্মগ্রন্থের বানী গুলোর সাথে তুলনা করে ফলে পরিপূর্ন সঠিক তথ্য না পেয়ে সকল ধর্মকেই কাল্পনিক ধরে নেয়, কিন্তু বিজ্ঞান বা অন্য যেকোন কিছুর ক্ষেত্রেই হোক না কেন তুলনা করতে হলে সর্বশেষ অবিকৃত ধর্ম ইসলাম ধর্মের প্রধান গ্রন্থ আল কুরানের সাথে তুলনা করে মিলিয়ে দেখতে হবে, আবার কুরান যেহেতু আরবি ভাষায় এবং বেশিরভাগই কাব্যিক ভাষা তাই সরাসরি শাব্দিক অর্থ করলে ভুল হতে বাধ্য তাই স্কলারদের সাহায্য নিয়ে শানে নুযুল অনুযায়ি অর্থ বের করলে কখনই ভুল হবে না ।
উধাহরনস্বরুপঃ- ইসলাম ধর্মমতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেন- তিনিই আল্লাহ যিনি সর্বদাই ছিলেন, তাঁর না আছে অতীত এবং না আছে ভবিষ্যৎ, যখন কোন স্থান ছিল না তখনও তিনি ছিলেন, সবকিছু যখন তিনি ধ্বংস করবেন তখনও তিনি থাকবেন, বস্তুতঃ স্রষ্টাই থাকবেন আর সকল কিছুই সৃষ্টি হবে আবারও ধ্বংস হবে, সৃষ্টির যেহেতু শুরু আছে তাই শেষও আছে কিন্তু স্রষ্টার না আছে শুরু না আর না আছে শেষ, সৃষ্টিজগৎ এর পূর্বে শুধু তিনিই ছিলেন আর কোনকিছুই ছিল না।অর্থাৎ সর্বশেষ ধর্ম ইসলাম অনুযায়ি এই জগৎ সৃষ্টির পূর্বে শুন্যতার কথাই বলা হচ্ছে তবে তাকেও কিন্তু এবসুল্যাটলি নাথিংনেস বলা যায় না কারন ঈশ্বর তো ঠিকই ছিলেন, তবে কি ঈশ্বর ব্যাতীত এমন পরম শুন্যতার কথা বলা হচ্ছে? যে সম্পূর্ন নাই থেকে এত কিছুর সৃষ্টি করেছেন। নাহ! এমনটাও বলা হচ্ছে না কারন ইসলাম ধর্মে সৃষ্টির যে তথ্য দেয়া হয়েছে এমনকি অন্নান্য ধর্মমতেও যা বলা হচ্ছে তাতে খুব সহযেই বুঝা যায় যে সৃষ্টির পূর্বে শুধুই ঈশ্বর তো ছিলই পাশাপাশি ঈশ্বরের চেহারা বা মুখমন্ডল, হাত, পা ইত্যাদির সাথে ঈশ্বরের মস্তিষ্কও তো ছিল সুতারাং সেই মহান মস্তিস্কে তাঁর চিন্তা/কল্পনাও ছিল । আর বর্তমান বিজ্ঞানের এত উন্নতি এবং কসমোলজি নিয়ে অসংখ্য গবেষনার দরুন অবশেষে মানুষ এতটুকু বুঝতে সক্ষম হল যে সমস্ত সৃষ্টির মৌলিক উপাদান যাকে আমরা এনার্জি নাম দিয়েছি সেটি আসলে আর কিছু নয় বরং ঈশ্বরের মস্তিস্কের মাঝের চিন্তা বা কল্পনার ফসলই সেটি, অর্থাৎ সমস্ত সৃষ্টিজগৎ কেই ঈশ্বর কল্পনার মাধ্যমে ধারন করে আছেন আর আমরা শুধু তাঁর মস্তিষ্কের চিন্তার মাঝেই বেঁচে আছি। সুতারাং আমরা আসলে থেকেও নেই বা একসময় থাকবই না এমনকি অতীতেও ছিলাম না, তাহলে সত্যিকার্থে শ্বাষত ও চিরন্তন অস্তিত্ব শুধু ঈশ্বরেরই রয়েছে কিন্তু আমাদের নেই আর সমস্ত সৃষ্টিসহ আমরা শুধুমাত্র তাঁরই একধরনের ইলুইশন বা কল্পনার মত একটি ব্যাপার মাত্র। আর এটার বৈজ্ঞানিক প্রমান মিলল ২০২০ সালের দিকে এসে আরও ভালভাবে তাছারা মহাবিশ্বের সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যক্রমের সাদৃশ্য বিষয়ক নানান থিওরি দীর্ঘদিন ধরেই চলে এসেছে। অনেকেই আবার এমনও প্রশ্ন তুলেছেন যে মহাবিশ্ব কী আসলে একটি অতিকায় মস্তিষ্ক? কয়েক বছর ধরে যৌথ গবেষণাটি চালিয়েছেন ইতালির জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্কো ভাজা এবং স্নায়ুশল্যবিদ আলবের্তো ফেলেত্তি। ফ্যাঙ্কো ভাজা ইতালির ইউনিভার্সিটি অফ বোলোনার সহযোগী অধ্যাপক, আর আলবের্তো ফেলেত্তি যুক্ত আছেন ইউনিভার্সিটি অফ ভেরোনার সঙ্গে। সম্প্রতি একজন নিউরোলজিস্ট ও একজন অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট মিলে এই প্রশ্নের অনুসন্ধান করেন, দেখা গেছে যে কর্মপদ্ধতি ও উপাদানের অনুপাতের দিক থেকে মহাবিশ্বের সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কের সাদৃশ্য রয়েছে। মানুষের মস্তিষ্কের প্রায় ৭৭ ভাগই জলীয় উপাদান, আর মহাবিশ্বে প্রায় ৭২ শতাংশ হলো ডার্ক এনার্জি বা তমোশক্তি। অর্থাৎ, দুটি সিস্টেমের মধ্যেই বেশিরভাগ খালি অংশ এবং এতে কানেকশন নড রয়েছে। যার অনুপাতও অনেকটা একই রকম।এই দুই উপাদানকে দৃশ্যত নিষ্ক্রিয় দেখালেও এরাই দুটি ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখতে বড় ভূমিকা রাখে। দুটি ব্যবস্থাতেই জালের মতো দারুণ সুবিন্যন্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে, যার মাধ্যমে মস্তিষ্কের নিউরন এবং মহাবিশ্বের ছায়াপথগুলো পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। মহাবিশ্বের অগণিত ছায়াপথ বা গ্যালাক্সির নেটওয়ার্ক যেভাবে কাজ করে মানুষের মস্তিষ্কের নিউরনের নেটওয়ার্কও ঠিক তেমন। ছায়াপথের সর্পিলাকার গড়নের(গোল্ডেন স্পাইরাল)সঙ্গে মিল রয়েছে মাথার ককলিয়ার। গবেষক দলটি মহাবিশ্ব ও মস্তিষ্কে ছড়িয়ে থাকা জালের ধরনও বিশ্লেষণ করেছে। ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার ৭০০টি কসমিক ওয়েব পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, মহাবিশ্ব জালের প্রতিটি সংযোগস্থল গড়ে ৩.৮টি থেকে ৪.১টি ওয়েব রয়েছে। অন্যদিকে মানব কর্টেক্সে এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার নিউরন তন্তুজাল বিশ্লেষণে প্রতিটিতে সংযোগের গড় পাওয়া গেছে ৪.৬ থেকে ৫.৪টি। গবেষণার ফলাফল জানিয়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্র্যাঙ্কো বলেন, ‘আমরা দুটি ব্যবস্থার সর্পিল ঘনত্বের পরিমাপ করেছি। আমাদের বিশ্লেষণে দেখা গেছে সেরিবেলাম নিউরোনাল নেটওয়ার্কে বস্তুগত ঘনত্ব এক মাইক্রোমিটার থেকে ০.১ মিলিমিটারের মধ্যে। মহাজগতের ঘনত্বের আনুপাতিক হারও অনেকটা একই, যদিও বিপুল বিস্তৃতির কারণে সেখানে বস্তুগত ঘনত্ব পাঁচ মিলিয়ন থেকে ৫০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ। সমীক্ষায় দেখা গেছে, মানব মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি প্রায় ৪.৫ পেটাবাইট। মহাবিশ্বের জটিল কাঠামোর জন্য যে পরিমাণ মেমরি ক্ষমতা দরকার তার পরিমাণ প্রায় ৪.৩ পেটাবাইট। মানুষের মস্তিষ্কের সেরিবেলামে রয়েছে ৬৯ বিলিয়ন নিউরন পর্যবেক্ষনযোগ্য মহাবিশ্বে আছে ১০০ বিলিয়ন গ্যালাক্সি।মহাবিশ্ব এবং মানব মস্তিষ্কের কার্যক্রম একই ধরনের জটিলতা এবং স্বনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। দুটি ব্যবস্থার একদম উৎপত্তির জায়গাতেও আছে অনেক মিল। তুলনা করে দেখা গেছে, নিউরন ও ছায়াপথ- দুটি ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ ব্যাসার্ধ থাকে, যার মান গোটা ব্যবস্থার জালের একটি ভগ্নাংশ। তাছাড়া একেকটি নিউরন বা ছায়াপথের মধ্যে তথ্য ও শক্তির যে প্রবাহ রয়েছে, তার পরিমাণ গোটা ব্যবস্থার ভর ও শক্তির ২৫ শতাংশের কাছাকাছি। তবে একজন মানুষের মস্তিষ্কের তুলনায় মহাবিশ্বের আকার কয়েক শ কোটি গুণেরও বেশি। ফলে আকারের দিক থেকে কোনো তুলনায় যাননি। তারা খুঁজে দেখেছেন, গাঠনিক সাদৃশ্য। অর্থাৎ মহাবিশ্বের এই ক্ষুদ্র সংস্করণটি হলো মানুষের মস্তিষ্ক। শুধু গঠনের দিক থেকে নয়, সক্রিয়তার দিক থেকেও অদ্ভুত মিল রয়েছে মানব মস্তিষ্ক ও মহাবিশ্বের। গবেষকরা তাদের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলেন, “এই দুটি কাঠামোর মধ্যে গঠনগত সাদৃশ্য খুবই অবাক করা। এমন হতে পারে যে দুটি কাঠামোই একই মূলনীতি অনুসরণ করে বিবর্তিত হয়েছে।” ‘দ্য কোয়ান্টেটিভ কমপেরিজন বিটুইন দ্য নিউরোনাল নেটওয়ার্ক অ্যান্ড দ্য কসমিক ওয়েভ’ শিরোনামে তাদের গবেষণা নিবন্ধটি গত ১৬ নভেম্বর ফ্রন্টিয়ার্স অফ ফিজিক্স জার্নালে প্রকাশিত হয়। লিংক Click This Link
সুতারাং সকল কিছুই ঈশ্বরের মস্তিস্কের মাঝেই চিন্তা আকারে হয়ে চলছে আর আমরা একেক জন তাঁরই ভাবনার মাঝে কল্পিত চরিত্র মাত্র, বৈজ্ঞানিকভাবে যেটা প্রমান করা গেছে সেটা হল মানুষ যেভাবে মস্তিষ্ক দ্বারাই চিন্তাভাবনা করে ঠিক একইভাবে এই মহাবিশ্বের গঠনগত ছারাও আরও অন্নান্য দিক দিয়েও প্রমান করা যায় যে এটিও কোন মহান মস্তিষ্কেরই চিন্তার ফসল আর মানুষই যেহেতু ঈশ্বর সৃষ্ট সবচেয়ে উন্নত ও বুদ্ধিমান প্রানী তাই ঈশ্বরের চিন্তা করার ধরনের সাথে মানুষেরও চিন্তা করার ধরনেরও কিছুটা মিল রেখেছেন । আর তাই আজকে বিজ্ঞানীরাও এটা প্রমান করতে পারছে যে মানব মস্তিষ্কের সাথে মহাবিশ্বের গঠনগত ছারাও আরও অনেক মিল রয়েছে কিন্তু ঈশ্বর মস্তিষ্ক তো দূরের কথা ঈশ্বরের মস্তিষ্কের চিন্তার মাঝের ক্ষূদ্র পরিসরে যে মহাবিশ্বের অস্তিত্ব কল্পিত হয়ে আছে তার সাথে মানুষের মস্তিষ্কের আকারগত তুলনা করাই চলে না বলে বিজ্ঞানীরাও সে দিকে যাননি । তাই যেভাবে প্রমান হয়েছে মানব মস্তিষ্কের সাথে মহাবিশ্বের আকারগত মিল নেই ঠিক একইভাবে এটাও বুঝা যায় যে মহাবিশ্ব বা মানুষের মস্তিস্ক এমনকি মানব গঠনের সাথেও স্রষ্টার কোন আকারগত মিল নেই এমনকি মানুষের চিন্তা করার ধরনের সাথেও স্রষ্টার হুবহু মিল নেই যা নিচের উদাহরন হতে খুব ভালভাবেই বুঝা যায় যেমনঃ- ১) এদেশের একজন মানুষ বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে নিজের জন্য কল্পনা করবে ভবিষ্যতের তার যে ধরনের ঘর,বাড়ি-গাড়ি স্ত্রী সন্তান-সন্ততির, এমনকি সেই কল্পনার সংসারে সে যা যা করবে তার সাথে তার অতীতের আশ-পাশ হতে অর্জিত জ্ঞান অভিজ্ঞতার পরিপূর্ন প্রভাব পরবে অর্থাৎ তার কল্পনায় সে যে ধরনের ঘর-বাড়ি, নারী সৃষ্টি করবে তা অবশ্যই তার দেশীয় ঘর,বাড়ি-গাড়ি ও নারীর ন্যায় হতে বাধ্য কিন্তু আমেরিকায় শুয়ে যদি কেই একই ধরনের কল্পনা করে তবে দেখা যাবে দুজনেরই কল্পনার ঘর, বাড়ি-গাড়ি ও নারীর ধরন ও বৈশিষ্ট্য সম্পূর্নই আলাদা । এখন যদি এই দুই জন ব্যাক্তিরই আশপাশের পরিবেশের সাথে না মিশতে দিয়ে বা কোন কিছুই না দেখতে দিয়ে ছোট হতেই এক অন্ধকার ঘরে রাখা হয় এবং তখন তাকে এই ধরনের সংসার কল্পনা করতে দিলে সে অনেক কিছু কল্পনাই করতে পারবে না, অর্থাৎ মানব মস্তিস্কের কল্পনাও হল পরনির্ভরশিলতায় দুষ্ট বা স্বাধীন নয় কিন্তু ঈশ্বরের কল্পনা এসব হতে মুক্ত। অর্থাৎ মানব মস্তিস্ক কল্পনায় যা যা সৃষ্টি করবে সেসবের মতই অনেক কিছুই পূর্ব হতেই তার আশপাশেই সৃষ্ট হয়েছিল কিন্তু ঈশ্বর সৃষ্টি কার্য শুরুর পূর্বে ঈশ্বর ছাড়া আর কোন সৃষ্টিই পূর্ব হতে ছিল না।
২) কেউ বিছানায় শুয়ে একাধারে যে ভবিষ্যতের একটি পরিপূর্ন সংসার কল্পনায় সৃষ্টি করবে তার সম্ভবনাও কম কারন যে কেউ এসে তার কল্পনায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে বাস্তবে ফিরিয়ে আনতে পারে অথবা সে কল্পনার মাঝামাঝিতেই ঘুমিয়ে যেতে পারে আবার কল্পনাগুলোও যে খুবই সুন্দর বা পরিপাটি হবে এমনও নয় কেননা মস্তিকে কল্পনার সময় সে এমন কিছু সমস্যায় পরবে যাতে করে সে নিজে যেভাবে কল্পনা করতে চেয়েছিল ঠিক হুবহু সেরকম না হয়ে অন্যরকম হতে পারে ফলে সে কল্পনা করে নিজের ইচ্ছেমত সৃষ্টি করতেও পরিপূর্ন স্বাধীন নয় অথচ আল্লাহ সুবঃ এসব হতে সম্পূর্নই মুক্ত।
৩) মানুষ যখন কল্পনায় কিছু সৃষ্টি করে তাকে শুধু অলীক বা অবাস্তবই বলা যায় কারন এখানে তিনটি জিনিস থাকে প্রথমত বাস্তব সে নিজে ২য়ত বাস্তব অন্নান্য জিনিস ৩য়ত তার কল্পনা আর স্রষ্টার ক্ষেত্রে তিনি নিজে থাকেন এবং থাকে তাঁরই একমাত্র কল্পনা এছারা আর কোন কিছুরই অস্তিত্ব নেই। তাছারা ঈশ্বর যা কল্পনা করছেন তাই আমরা এবং এই বিশ্বজগৎ বলে একে ঈশ্বরের কল্পনা না বলে ঈশ্বরের সৃষ্ট বাস্তবতা বলতে হবে অর্থাৎ ঈশ্বর তাঁর কল্পনাকে পরিপূর্ন বাস্তবে প্রতিফলিত করছেন সর্বদাই কিন্তু কোন মানবই স্বাধীনভাবে তার কল্পনাকে পরিপূর্ন বাস্তব সত্যে রুপান্তর করতে পারবে না।
৪) মানুষ সাধারণত মুভি তৈরী করে অনেকজন মিলে আবার মুভিতে অভিনয় করেও অনেকে এবং মুভি দেখে থাকেও অনেকজনই কিন্তু স্রষ্টা এই বিশ্বের সকল কিছুই অনেকটা মুভির মত করে(অথবা উদাহরন হিসেবে বলা যায় যে তিনি হাই কোয়ালিটির ভিডিও গেম একা বানিয়ে একাই খেলছেন) একাই সৃষ্টি করেছেন যেমন- ১মে মুভির স্ক্রিপ্ট লিখেছেন লাওহে মাহফুজে যাকে চিরন্তন ভাগ্য হিসেবে সকলেই জানে এটাকে অবশ্য ঈশ্বর সৃষ্ট কলমের দ্বারা মূল গল্প/উপন্যাস/সাহিত্যও বলা যেতে পারে । আবার স্রষ্টার সৃষ্ট এই বাস্তব জগতের মুভির মাঝে স্বয়ং স্রষ্টা নিজেই বা অন্য কোন ঈশ্বর বানিয়ে তাদেরকে দিয়েও সরাসরি অংশগ্রহন করাননি বরং তাঁর মস্তিস্কের চিন্তার দ্বারা বর্তমানে বিজ্ঞানীরা যাকে এনার্জী হিসেবে বুঝে সেই চিন্তার এনার্জী দিয়ে তাঁর সেই মুভিতে বিভিন্ন ধরনের এনভায়রনমেন্ট এবং বিভিন্ন ক্যারেক্টার সৃষ্টি করেছেন । শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি বরং সেসব ক্যারেক্টার এর মাঝে তিনি রুহ ফুঁকে দিয়ে জীবে রুপান্তর করেছেন, নিজেই ভালভাবে ক্যারেক্টারের ফিলিংসগুলোকে ভালভাবে অনুভব করার জন্য অথবা বলা যেতে পারে তাঁরই নিজস্ব বিনোদন উপভোগ করার জন্য। আর সবচেয়ে বড় কথা হল স্রষ্টার তৈরী এই বাস্তব সত্য মুভি তিনি একাই তৈরী করে একাই দেখছেন এমনকি তার এই মুভি হতে সর্বচ্চ বিনোদন একমাত্র তিনিই নিতে সক্ষম । মানব সৃষ্ট মুভিতে মুভির সৃষ্টিকারী, অভিনেতাগন ও মুভির দর্শক উভয়েই একই ধরনের জীব অর্থাৎ সকলেই মানুষ কিন্তু ঈশ্বর সৃষ্ট মুভিতে আসল স্রষ্টা এবং সত্যিকারের দর্শক স্বয়ং ঈশ্বর নিজেই আর তাঁর সৃষ্ট মুভির মাঝে তিনি কিন্তু স্বশরীরে নেই বরং তাঁরই চিন্তা/বস্তু(এনার্জী) এবং তাঁর সৃষ্ট রুহ/জীব(সম্ভবত বল/ফোর্স) গুলোরই অস্তিত্ব রয়েছে আর এই দুধরনের জিনিস দিয়েই(কম্পিউটারের বাইনারি সিস্টেমের মত) তিনি তাঁর কল্পনায় এই বিশ্বজগতের মত বিশাল মুভি বানিয়ে নিজেই চালাচ্ছেন একই সাথে নিজে দেখে চলেছেন। সুতারাং স্রষ্টা আর তাঁর মস্তিস্কের মাঝে সৃষ্ট কল্পনার মুভি বা ভিডিও গেমস মোটেও এক নয় সুতারাং ঈশ্বরেরই সৃষ্ট এই মুভির মাঝে আমরা বাস করে কিছুতেই ঈশ্বরকে ইহকালেও দেখতে পারব না এমনকি কোন ফেরশতা, নবী, অবতারও তাঁকে কখনও দেখেননি তবে তাঁর কথা শুনেছেন আর তাঁরই সৃষ্ট আসন দেখেছেন মাত্র তবে আশার কথা হল পরকালে সকলেই তাঁকে দেখবে।সুতারাং শুধুই ঈশ্বর আর ঈশ্বর মস্তিষ্কের মাঝে এই সৃষ্ট জগৎ দুটো সম্পূর্ন ভিন্ন জিনিস কেননা তিনি সর্বদাই বর্তমান ছিলেন আর তাঁর সৃষ্টি এই জগৎ একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে চলমান আছে এবং ধ্বংস করে আবারও সৃষ্টি করবেত। মানব সৃষ্ট সরাসরি মুভিতে যা দেখা যায় তা সম্পূর্নই চোখের ধাঁধা ও শব্দের খেলা অর্থাৎ অবাস্তব বিষয় কিন্তু ঈশ্বর সৃষ্ট এই চলমান মহাবিশ্বে মুভির মত যা যা হয়ে চলছে বা হবে তা কিন্তু ঈশ্বরসহ আমাদের সকলের কাছেই সম্পূর্নই বাস্তব সুতারাং এটাও হলফ করে বলা যাবে না যে শুধুমাত্র ঈশ্বরের কল্পনার মাঝেই এই মহাবিশ্বের সকল কিছু মুভি সিনেমার মত হয়ে চলছে বরং তিনিই ভাল জানেন আসলে কিভাবে কি হচ্ছে তবে অসংখ্য বৈজ্ঞানিক তথ্যভান্ডার আর ধর্মগ্রন্থের আলোকে এই ধরনের ব্যাখ্যাকে যুগ অনুযায়ি উত্তম উদাহরণ হিসেবে ধরা যেতে পারে।

৫) প্রায় সব ধর্ম মতেই এমনকি ইসলাম ধর্ম মতেও ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টির(কল্পনার) সাথে বাস্তব যোগাযোগ সহ আত্মার মাধ্যমে সৃষ্টির মাঝে পরিপূর্ন অনুভব বা সত্যিকারের ফিল করতে পারেন এমনও হতে পারে যে তিনি বল/ ফোর্সের মাধ্যমে সকল সৃষ্টিকে স্পর্শ ও পরিপূর্ন কন্ট্রোল করতে পারেন এবং একমাত্র তিনিই সময়ের অতীতে ও ভবিষ্যতে গমনের পাশাপাশি বর্তমানেও থাকেন কিন্তু মানুষ কল্পনার মাধ্যমে এমন করতে পারবে না তবে তাদের মস্তিস্কের কল্পনার জ্ঞান দিয়ে ঈশ্বরের ব্যাপারে সৃষ্ট জগতের মাঝে সবচেয়ে বেশি মানুষই বুঝতে সক্ষম হবে অথচ মানুষের সেই চিন্তাশক্তি দিয়ে তাঁকে না চিনে আজ সকলেই সস্তা বস্তুবাদ, বিজ্ঞান ও ঈশ্বরকে নাকোচ করার কাজে লাগাচ্ছে যার পরিনাম সকলেই খুব শীঘ্রই হারে হারে পাবে।
যদিও অনেক বিজ্ঞানী এটাও স্বিকার করেছে যে এই মহাবিশ্ব নিশ্চয় অন্য কারও সৃষ্টি, অর্থাৎ এমনি এমনি সৃষ্ট নয় আর যারা বা যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি অবশ্যই অনেক অতিউন্নত এবং অতি বুদ্ধিমান সত্তা যেমনঃ- হার্ভার্ড বিজ্ঞানী বলেন- সম্ভবত এই মহাবিশ্ব কোন এক অতিউন্নত সভ্যতার পরিকল্পনা অনুযায়ি তাদের একটি ল্যাবে তৈরী করা হয়েছে- অধ্যাপক আব্রাহাম লোয়েব।
শুধু তাই নয় স্টিফেন হকিংও বলেন “যেদিন জানা যাবে থিয়োরি অফ এভরিথিং সেদিন বোঝা যাবে ঈশ্বরের মস্তিষ্ক” যিনি কিনা বলেছিলেন ঈশ্বর নেই তা আমি প্রমান করতে পারব না তবে ঈশ্বরের আমাদের দরকার নেই।
তাছারা বিজ্ঞানীদের এই আবিস্কারের মাধ্যমে এটাও জানা যাচ্ছে যে সমস্ত সৃষ্টিই স্রষ্টার সাথে এমনভাবে সম্পর্কযুক্ত যেভাবে পূর্বে অনেক আস্তিকরাও ভাবেনি অর্থাৎ ঈশ্বরের সাথে সমস্ত সৃষ্টির সম্পর্ক অনেকটাই এমন যেভাবে একজন ব্যাক্তির সাথে তার মস্তিস্কের মাঝে মনের কল্পনাজগতের সম্পর্ক অর্থাৎ আমরা সবাই তাঁর কল্পনার ভিতরে বেঁচে আছি বা তাঁরই কল্পনার ফসল। তারমানে সৃষ্টি কখনও স্পর্শ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে ঈশ্বরের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না এমনটাই মনে হয়, এমনকি ঈশ্বর দেখতে কেমন তা মানুষ কল্পনায় আনতেও ব্যার্থ। এই ধরনের কথা অবশ্য দ্যা গ্রান্ড ডিজাইন বইয়েও স্বিকার করা হয়েছে যে আমরা সবাই অতিবুদ্ধিমান প্রানীর স্বপ্ন বা সেকেন্ড লাইফ অনেকটা বর্তমানের মানুষগুলো যেভাবে অনলাইন দুনিয়ায় সেকেন্ড লাইফ ভোগ করে, এক্ষেত্রে হলিউডের “ম্যাট্রিক্স” চলচিত্রের ব্যাপারটাও উদাহরন হিসেবে দেয়া হয়। তারমানে হল হকিং বুঝাতে চেয়েছে আমাদের এই বিশ্বজগত হয়ত খুবই বুদ্ধিমান কেউ সৃষ্টি করেছে তবে সেই বুদ্ধিমান স্বত্বা হিসেবে একমাত্র ঈশ্বরের নাম না উল্লেখ করে সে এক লাইন বেশি বুঝে বলেছে যে এই বিশ্বজগত হয়ত খুবই বুদ্ধিমান কিছু এলিয়েনরা তৈরী করেছে আর সে যা বলেছে হলিউডের জনপ্রিয় “থর” মুভিতেও কিন্তু অনেকটা তাই বুঝানো হয়েছে মানুষের ব্রেইন ওয়াশ করার জন্য। বর্তমান বিজ্ঞান আমাদের ঘুরেফিরে শয়তানের চক্রান্তে সেই আদিম যুগের অজ্ঞ মানুষেদের মত দেবতাদের বা এলিয়েনদেরই স্রষ্টা, ঈশ্বর ইত্যাদি মানতে বাধ্য করছে যদিও তারা অনেক সত্যই উদঘাটন করেছে তবু তারা পরিপূর্ন সত্যের উপর আসতে পারছে না তাদের এক চোখা দৃষ্টিভংগির জন্য, আর যদি কোন বিজ্ঞানী মহাবিশ্ব সৃষ্টি একজন ঈশ্বরই করেছেন এমন থিউরী বা এর কাছাকাছি থিউরীও প্রদান করে তবে সেসব থিউরীকে হাইলাইট না করে বরং আরও ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে।
বর্তমান বিজ্ঞানের আপডেট তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে অনেক আস্তিকরাও আবার ভুলবশ্বত মানুষের মস্তিস্কের কল্পজগত আর ঈশ্বরের কল্পনার এই সৃষ্টজগত একই ধরনের ভেবে মহাভুল করে বসতে পারে যে ভুল অতীতের অনেক দার্শনিকরাও করে এসেছে তবে উপরে উদাহরনের মাধ্যমে কিছুটা হলেও ধারনা দেয়া হয়েছে যে মানুষ বা অন্য যেকোন বুদ্ধিমান প্রানীর সৃষ্ট কল্পনা জগৎ আর ঈশ্বরের কল্পনার দ্বারা এই সৃষ্টি জগৎ এই দুইয়ের মাঝে বিশাল পার্থক্য রয়েছে অর্থাৎ দুটি সম্পূর্নই আলাদা ব্যাপার তবে ঈশ্বর কিভাবে তাঁর সৃষ্টি জগতের মাঝে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন এবং আরও অনেক ক্ষমতার উদাহরণ ভালভাবে বুঝার জন্য মানব মস্তিষ্কের কল্পনাকে সৃষ্ট জগতের মাঝে সবচেয়ে উত্তম উদাহরণ ধরা যায়। তাই প্রতিটা মানুষেরই প্রথমে নিজেকে ভালভাবে চেনা উচিৎ যা কিনা নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম সহ অতীতের সকল নবী এমনকি দার্শনিকগনও বলে গেছেন যেমন সক্রেটিসও একই কথাই বলে গেছে তবে মাথামোটা নাস্তিকরা প্রথমে নিজেকে চেনা তো দূরের কথা এরা নিজেকেই তো স্বীকার করে না অর্থাৎ নিজের আত্মাকেই স্বীকার করে না শুধু তাই না নিজে সহ সমস্ত প্রানীকে রোবটের মত যন্ত্র মনে করে কারন নাস্তিক বিজ্ঞানীদের কাছে এই ধরনের বিষয় পছন্দের না বলে বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই বলে আত্মা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত না কিন্তু এটিও একটি অপপ্রচার কারন- বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর একজন ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী ও রসায়নবিদ তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন যে এমনি এমনি প্রান সৃষ্টি বা প্রাথমিক জীবন জড় পদার্থ থেকে তৈরি হতে পারবে না অর্থাৎ তিনি আত্মার অস্তিত্ব প্রমান করেন শুধু তাই না বর্তমানেও বৈজ্ঞানিকভাবে আত্মা্র অস্তিত্ব প্রমান হচ্ছ যেমন- গবেষনায় দেখা গেছে মানুষ মারা যাবার পর এবং একদম মৃতপূর্ব অবস্থার ওজন নিয়ে দেখা গেছে যে ওজনের তারতম্য ঘটে অর্থাৎ আত্মার উপস্থিতিতে অতিরিক্ত ভরের সৃষ্টি হয় কিন্তু একে দেখা সম্ভব নয় অনেকটাই ফোর্সের মত ব্যাপার আর একথা ধর্মগ্রন্থেও উল্লেখ আছে যে, একবার প্রান হরনকারী যমদূত বা আজরাইল আঃ কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে আপনি কি আত্মাকে দেখতে পান ? তিনি বলেন- না ! আমি রুহ কবজ করার সময় আমি কখনই রুহুকে দেখিনি তবে আমার হাতে রুহ নিয়ে আসার সময় ওজন অনুভব করেছি।




যাইহোক এখন স্টিফেন হকিং সহ বর্তমান বিজ্ঞানীদের আপডেট সব থিউরীগুলোর সর্বশেষ আলোচনা করা হবে। এখন কিন্তু নাস্তিক বিজ্ঞানীসহ মোটামুটি বিজ্ঞান জানা যেকোন নাস্তিককে জিজ্ঞাসা করলেই সে বলবে- মাধ্যাকর্ষণের মতো সূত্র থাকার কারণে, মহাবিশ্ব নিজেকে শূন্য থেকেই সৃষ্টি করতে পারবে অর্থাৎ Gravityএর কারণে এ মহাবিশ্ব নিজেই নিজেকে শূন্য থেকে তৈরি করতে পারে।
(মহান ঈশ্বরের কৃপায় আপগ্রেড হতে থাকবে)চলবে



এবারে জানতে হবে মানুষের ১ম অবস্থা বা আদিপিতা এর ব্যাপারে । এখন নাস্তিকদের বিশ্বাস হল মানুষের আদিপিতা আদম বা কোন মানুষ নয় বরং ডারউইনের থিউরীতে যা বলা হয়েছে তাই কিন্তু এটা ঠিক না ভুল সেটি এখানে আলোচনা করলে অনেক দীর্ঘ হবে তাই যারা এই বিষয়টি আলাদাভাবে জানতে ইচ্ছুক তারা( প্রেম,ভালবাসা, বিয়ে এবং নর-নারী প্রসংগ- Click This Link) এই লেখাটিতেও একটু চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। এই লেখার মাঝের ৩য় ও ৪র্থ পর্বে ডারউইনবাদের প্রায় কমপ্লিট আলোচনা করা হয়েছে ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এখন পৃথিবীতে আস্তিক বেশী না নাস্তিক?
ভিন্নধর্মী বা মুর্তিপুজকরা নাস্তিকদের চেয়ে ভাল না খারাপ?

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ২:০৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: নাস্তিকের সংখ্যা এখন বেড়ে চলছে

২| ২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১১

কানিজ রিনা বলেছেন: ঢাকার পিঁপড়া জানেনা লন্ডন নামক একটা
শহর আছে। নাস্তিকদের দশা তেমন বাংলার
নাস্তিক দেশে বসে বাংলা মদ গিলে আর
লন্ডনে যেয়ে হুইস্কি ব্রান্ডি পান করে। এই
ডিফারেন্স ছাড়া আর কিছু বুঝার ক্ষমতা
রাখেনা।
একটা জানেন সবার মস্তিস্ক সমান ভাবে
সৃষ্টি না। উন্নত মস্তিস্ক কেউ বিজ্ঞানী দর্শন
কেউ কেউ ধর্মীও দর্শন নিয়ে কাজ করে।
ধর্মীয় দর্শন বলে জম্ম কেন নিয়েছি,
কি করতে এসেছি, কেন চলে যেতে হবে।
এই প্রশ্ন উদয় হওয়ার অর্থই ধর্মীয় দর্শন।

ধর্মীয় দর্শনে আত্বার শক্তির বিন্যাশ নাই।
বিজ্ঞান দর্শনে বলে শক্তির কোনও বিন্যাশ
নাই। তাহলে আত্বার শক্তি ধর্মীয় বিশ্বাস
এজগৎ কেউ না কেউ অদৃশ্য শক্তির হাতে
সুনিপূন ভাবে নিয়ন্ত্রন করছে তার নাম আল্লাহ্
বা সৃষ্টি কর্তা। পড়ে আবার আসব ধন্যবাদ।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ২:১০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন

৩| ২৮ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়িনি।
না পড়েই মন্তব্য করছি শুধু মাত্র শিরোনাম পড়ে-
ঈশ্বর বলতে কিছু নেই।

৪| ২৯ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:৪১

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ইশ্বর একটি কল্পনা

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ২:১১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: এটাও আপনাদের একটি কু-ধারনা

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: একটু প্যারা করে লিখলে বুঝতে সুবিধা হয়। ধর্মগ্রন্থগুলোর ডাবল স্ট্যান্ডার্ড, মহাবিশ্ব সম্পর্কে ব্যাক্ষা, মানুষের পৃথিবীতে কোন একটি নির্দিষ্ট ভাষা নিয়ে আগমন এগুলো পড়লেই বোঝা যায় ধর্ম মানবসৃষ্ট। ঈশ্বর যেকোন ফরম্যাটে থাকলেও থাকতে পারে।।

০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ২:১৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ২য় অংশ পড়ার আমন্ত্রন রইল ১ম অংশে শুধুমাত্র হিন্টস দেয়া হয়েছে - এ থেকে কোন সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না

৬| ০১ লা জুন, ২০১৮ রাত ২:৩০

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আমার তরফ থেকে প্রথম লাইকটি গ্রহণ করুন। এ ধরনের লেখা আমি অনেক পছন্দ করি। আল্লাহ তায়ালার অপার মহিমা দেখে পুলকিত বোধ করি। এই পোস্টের একটা মজার বিষয় হলো শিরোনাম দেখে যে কেউ মনে করবে যে আপনি বুঝি ঈশ্বরের অস্তিত্বে সন্দেহ পোষণ করছেন। কিন্তু পোস্ট পড়ার পর বুঝা যায় যে আপনি আসলে বিভিন্ন ভাবে নাস্তিকদের বিশ্বাস ও যুক্তিকে খন্ডন করেছেন।

৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:১০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: হ্যা ! আপনি ঠিকই ধরেছেন

৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি কি ব্লগে নিয়মিত নন । সনেট কবি সাহেব তো - কয়েক ডজন পোস্টিং দিয়েছেন এই ফোরামে , এই বিষয়ে এবং আজও দিয়ে , জাচ্ছেন । আপনারা যাদেরকে নাস্তিক বলছেন , তারা কিন্তু আসলে নাস্তিক নহে , তারা সৃষ্ঠিকর্তার অস্তিত্বকে বিশ্বাষ করে , তবে তারা মনে করে পৃথিবীর যত ধর্ম আছে ( ৪৩০০ অফিশিয়াল লিস্টেড ) -- সব মানুষের বানানো । তারমানি তারা নাস্তিক নহে ,তারা ধর্মহীন ।
তারা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিশ্বাষ করে এবং বলে --- সৃষ্ঠিকর্তা থাকলেও থাকতে পারে কিন্তু সাইনটিফিকাললি এখনো প্রমাণ হয় নি তার অস্তিত্ব ,ভবিষ্যতে হয়ত সেটা প্রমাণ হতে পারে। যদি সাইনটিফিকাললি সৃষ্ঠি কর্তার অস্তিত্ব কোন দিন প্রমাণ হয় , তখন তারা ধর্মিক হবে না ,তারা হবে ধর্মহীন , তারা এখন যেমন মনে করে, ঠিক তখনো মনে করবে দুনিয়ার সব ধর্ম মানুষের বানান ।
সুতরাং নাস্তিকে নিয়ে এতো মাথা ব্যথা করার কোন কারন নেই , আল্লাহর অস্তিত্ব সাইনটিফিক ভাবে প্রমাণ হোলে, কোন নাস্তিক আস্তিক হবে না , হবে ধর্মহীন ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: অনেকটাই তাই

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: এটিও পড়তে পারেন নাস্তিকদের সাথে তর্ক Click This Link

৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ১ম পর্বের লিংক Click This Link

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আলামিন১০৪ বলেছেন: ভাই কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স নিয়ে একটু পড়াশুনা করেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.