নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম, ভালবাসা, বিয়ে এবং নর-নারী প্রসংগ

২৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯


পর্ব-৪
আর ডারউইন যখন নিজেই কিছুটা হলেও বুঝতে পারল যে তার মিউটেশন নামক আধামিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে ফেলার মত থিউরীটি কিছুতেই পরিপূর্ন হচ্ছে না বিজ্ঞান মহলে, তখন সে বিবর্তনবাদ প্রমানের জন্য উক্ত মিটেশন নামক অর্ধমিথ্যাকে আরো সত্য করে তুলতে ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন নামের আরেকটি মতবাদ দ্বার করেছিল যাতে করে সে নিজের মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে খৃষ্ঠধর্মকে নির্বাসনে পাঠাতে পারে। কিন্তু তা তো সম্ভব হলই না উল্টো আরো তার মতবাদটি চরমভাবে বিজ্ঞান মহলে সমালোচিত হতে লাগল কিন্তু তাতে কি? সে তো ঠিকই গোঁজামিল দিয়ে হাজার হাজার বোকা মানুষকে নাস্তিক বানাতে সমর্থ হচ্ছিল, তাই এখন আমাদেরকে তার দেয়া ন্যাচারাল সিলেকশনের মত আরেক গোঁজামিল সম্পর্কেও ভালভাবে জানতে হবে।
সংক্ষেপে ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন বলতে যা বুঝায় তাকে সংক্ষেপে প্রকাশ করলে বলা যায়- ডারউইন ভু-তত্তবিদ চার্লস লায়েলের লেখা Principle of Geology' বইতে লেখা ভূতত্তের সদা পরিবর্তনশীলতার মতবাদটি পড়ে মনে প্রানে বিশ্বাস করেছিল যে, কোন প্রকার ঐশ্বরিক শক্তি ছাড়াই ভূ-প্রকৃতির এমনি এমনি পরিবর্তন হয়ে চলছে যেমন- অনেক বছর পর কোন স্থানে পাহাড়ের পরিবর্তে সূমদ্র বা সূমদ্রের মাঝেও পাহাড় বা দ্বীপ ইত্যাদি সৃষ্টি হয়ে সেই স্থানে একেবারেই সম্পুর্ন নতুন এমনি পরিবেশ সৃষ্টি করবে যেন সেই স্থান দেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কেউ আর ভাবতেই পারবে না যে অনেক পুর্বে ঐখানে একদমই অন্যরকম ভূ-প্রকৃতি ছিল, আর লায়েলের এই লেখা বইয়ে ভূ-পৃষ্ঠের বস্তুগত পরিবর্তনের থিউরী হতেই হুবহু আরেকটি থিউরী সে উদ্ভিদ এবং প্রাণীর বেলাতেও প্রনয়ন করে যাকে আপাত দৃষ্টিতে খুবই যুক্তিযুক্ত মনে হলেও প্রকৃত দৃষ্টিতে কিন্তু পুরোপুরি সত্য নয় যেটা বর্তমান বিজ্ঞানের চরম উন্নতির ফলে আজ প্রমান করা সম্ভব হচ্ছে যে বস্তুগত পরিবর্তন আর জীবদেহের পরিবর্তন হুবহু এক নয় এমনকি উদ্ভিদ আর প্রানীর দেহও আলাদা এবং পরিবর্তনের নিয়মও সম্পূর্ন আলাদা আর মৌলিক গঠনেও রয়েছে বিস্তর ফারাক যেমন- উদ্ভিদের জন্য আরএনএ এবং প্রানীদের জন্য ডিএনএ। তাই বিগত শতাব্দিতে মাত্র কয়েক বছর লায়েলের লেখা বই হাতে নিয়ে শুধুমাত্র সূমদ্রের বিভিন্ন কিনারায় অবস্থিত বন জংগলের ভূ-প্রকৃতি আর প্রানীর বাহ্যিক আকৃতি পর্যবেক্ষন করে কিছুতেই উপসংহারে আসা সম্ভব নয় যে –"ভূতত্তের সদা পরিবর্তনশীলতা যেমন প্রাকৃতিকভাবেই হয়েছে ঠিক একইভাবে অনেক পশু-পাখির বেলাতেও কিছুটা এমন ঘটলেও সকল প্রানীর ক্ষেত্রেই যে হুবহু তাই হয়েছে বা মানুষের মত জটিল এবং বুদ্ধিমান প্রানীর বেলাতেও তাই হয়েছে।" কিন্তু মিঃ ডারউইন এমনটাই ভেবে বসলেন আর ধারনা করলেন কোটি কোটি বছর ধরে চলে আসা প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তিত পরিবেশে যোগ্যতমরা টিকে থাকবে ও অযোগ্যরা বিলুপ্ত হবে এবং বেঁচে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো পরবর্তী জেনারেশন প্রাপ্ত হবে।একটা উদাহরণ দেখা যাক- ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রহিম মিয়া একটি এন্টিবায়োটিক খেলো এতে যেসব ব্যাকটেরিয়া ডাইরিয়ার জন্য দায়ী তাদের জন্য নতুন পরিবেশ সৃষ্টি হলো। এই এন্টিবায়োটিকের বিষক্রিয়া সহ্য করার ক্ষমতা সকল ব্যাকটেরিয়ার জন্য সমান নয়। কিছু ব্যাকটেরিয়া অল্প ডোজেই অক্কা পাবে আবার কিছু এই এন্টিবায়োটিক ক্ষমতা অর্জন করবে। বস্তুবাদীরা এইসব ব্যাকটেরিয়ার রিজিসট্যানস দিয়ে ডারউইনবাদ প্রমাণ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ব্যাকটেরিয়া এন্টিবায়োটিক রিজিসট্যানস তৈরি হওয়া মানে কখনোই অন্য প্রাণীতে বিবর্তিত হওয়া প্রমাণ করেনা। কারণ ব্যাকটেরিয়া তার ডিএনএ রিকম্বিনেশনও অন্য ব্যাকটেরিয়া থেকে ডিএনএ শেয়ারের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে যেখানে নতুন কোনো ফাংশনাল তথ্য যোগ করেনা। তাই ব্যাকটেরিয়া থেকে অন্যকোন প্রাণীতে বিবর্তনও অসম্ভব। এই প্রক্রিয়া যত সময় ধরেই চলতে থাকুক না কেন তা ব্যাকটেরিয়া থেকে মাছ বা অন্যকোনো প্রানীতে পরিবর্তিত হবেনা। কারণ তা ফাংশনাল কোনো অঙ্গ তৈরি বা নতুন তথ্য যোগ করেনা। উদাহরণস্বরুপ- যুগের পর যুগ ধরে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করে ব্যাকটেরিয়া বাগ শক্তিশালী হওয়া মানে তার অভ্যন্তরিন শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে বলা যাবে কিন্তু বিবর্তনের মাধ্যমে সম্পূর্ন নতুন প্রজাতির জন্ম হয়েছে বলা যাবে না কেননা তাকে আমরা এখনও ব্যাকটেরিয়া বলেই জানি যদিও এরা অন্য সাধারন ব্যাকটেরিয়ার সাথে সংগম করতে অনিহা প্রকাশ করুক। আর নির্দিষ্ট সীমার মাঝে কোষ বিভাজনরুপি অল্প পরিবর্তন এর ফলে সমগোত্রীয় সংগম না হওয়াও অসম্ভব কিছু না কেননা এটা শুধুমাত্র স্বতান্ত্রিকভাবে কোন প্রানীর পছন্দনীয়তার উপর নির্ভর করে বলে খুব বেশী লম্বা-মোটা মানুষকেও যদি স্বইচ্ছার উপর ছেরে দেয়া হয় তবে কিন্তু সেও নিজেদের মতনই দেখতে লম্বা -মোটা স্ত্রীলিঙ্গকেই বেছে নিবে আর এই প্রক্রিয়া অনেকদিন ধরে চলমান হলে এশিয়া প্রদেশের বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় কিছু বামন প্রজাতির মানুষের সাথে সংগম করানোটাও প্রায় অসম্ভবই মনে হতে পারে কিন্তু তাই বলে এশিয়ার এমন বামন মানুষ আর অন্য অঞ্চলের লম্বা পাহাড়ী মানুষগুলো কি সম্পূর্নই আলাদা প্রজাতির, তা কেউ কি কখনও ভাবতে পারে ? বিশেষ করে বিবর্তনবাদীদের পূর্বে ?
আর ডারউইনের মত নাস্তিক বিজ্ঞানীদের ধর্ম সন্মন্ধে তেমন জ্ঞান না থাকায় তারা ভাবত ভূ-প্রাকৃতিক পরিবর্তনের দ্বারা পাহাড়, নদী, সূমদ্র ইত্যাদির সৃষ্টি হবার কথা বিভিন্ন ধর্মে শাব্দিবভাবে হুবহু যেভাবে বলা হয়েছে ঠিক সেভাবেই। এভাবেই তারা ভুল বুঝত যে হয়ত ঈশ্বর নিজ হাত দিয়ে বা ফেরেশতাদের হাত দিয়ে এসব সৃষ্টি করার কথা বলছে অথচ নাস্তিকরা বুঝত না যে তারা যাকে প্রাকৃতিকভাবে হয় ভাবে আসলে সেটাও কিন্তু ঐশ্বরিক ভাবেই হয় কিন্তু এসব দৈবিক ব্যাপারগুলো খালিচোখে দেখা যায় না। তাই সাধারন ধার্মীক মানুষ প্রাকৃতিক ব্যাপারগুলোকেও ঈশ্বরের মাধ্যমে হয়েছে বলে এযাবৎ মেনে আসছে তবে কৃত্তিম ব্যাপারগুলোকে মানুষ বা অন্য কারো দ্বারা হয়েছে মনে করে থাকলেও তবুও সেটি ঈশ্বরের ইচ্ছেতেই হয়েছে তথা স্বয়ং ঈশ্বরই করেছে তা কিন্তু ঠিকই বুঝতে পারে।
তাই প্রাকৃতিক নির্বাচন এর মাধ্যমে কিছু প্রানীর ডিএনএ রিকম্বিনেশন ও অন্য প্রানীর থেকে ডিএনএ শেয়ারের মাধ্যমে বা সামান্য পরিমানে কোষ বিভাজিত হয়ে তার আশপাশের পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে কিছু অভ্যন্তরিন শক্তি অর্জন করে কিন্তু নতুন কোনো ফাংশনাল তথ্য যোগ করেনা বলে একে বিবর্তিত হয়ে সম্পূর্নরুপে অন্য প্রানীতে রুপান্তরের প্রাথমিক পর্যায়ও বলা যাবে না যদিও এই প্রক্রিয়া লক্ষ কোটি বছর ধরে চলুক । তাছারা ডারউইন যখন এই মতবাদ প্রনয়ন করে তখন কিন্তু আইনষ্টাইনের সময়ের আপেক্ষিকতার সুত্রও আবিস্কার হয়নি তাই ডারউনের সময় এর আপেক্ষিকতা সম্পর্কেও তেমন জ্ঞান ছিল না। তবুও ডারউইনের জীবদ্দশা হতেই অনেক বিজ্ঞানি বিবর্তনবাদীদের “বানর আর মানুষের মাঝামাঝি প্রজাতির ফসিল” প্রমানের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুরে দিয়েছিল কিন্তু বিবর্তনবাদী ডারউইন হয়ত নিজেও বুঝতে পেরেছিল যে বানর আর মানুষের মাঝামাঝি প্রজাতির প্রমান নিয়ে আসা সম্ভব না তাই তার এই ব্যার্থতাকে ঢাকতেই টাইম সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ মিঃ ডারউইন লক্ষ কোটি বছরের সময়ের ব্যাবধানে এই ন্যাচারাল সিলেকশনের মাধ্যমে প্রকৃতিতে অনেক প্রানের বিলুপ্তি ঘটেছিল এমন একটি আজব মতবাদের উত্তপত্তি করেছিল অথচ বিভিন্ন ধর্ম গ্রন্থে উল্লেখ আছে মাত্র হাজার হাজার বছর পুর্বে মানব প্রজাতির আবির্ভাব হয়েছিল। বিবর্তনবাদীদের দেয়া কোটি কোটি বছরের বিপরীতে ধর্মগ্রন্থে মাত্র কয়েক হাজার বছর উল্লেখ থাকার ফলে ধর্মের সাথে এই মতবাদ চরমভাবে বিরোধপূর্ন হয়ে উঠে কেননা তখনও বিজ্ঞান মহল সময়ের আপেক্ষিকতা এবং পৃথিবীর সত্যিকারের বয়স নির্ধারনের সঠিক পদ্ধতিটি বুঝতে পারেনি যদিও এখনও অনেক কিছুই অজানাই রয়ে গেছে বিশেষ করে কার্বন ডেটিং এর যে পদ্ধতিটি বর্তমানে চালু আছে সেটাও যদি বর্তমান ঘড়ির কাঁটার গতি অনুযায়ি হিসেব করা হয় তবে কিন্তু সময়ের হিসেবের খাতায় শুধু শুধু সংখ্যা মানের আধিক্যই দেখা দিবে বলে সর্বসাধারনও বিভ্রান্ত হবে। বাইবেলসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে যে মাত্র ছয় হাজার বছর পূর্বে মানব জাতির উৎপত্তির কথা বলা হয়েছে তা আসলে রাত এবং দিন মিলে একটি দিবস আর চন্দ্র মাস অনুযায়ি ২৯/৩০ দিনে মাস ধরে হিসেবটা করা হয়েছে কিন্তু তারপরও এত সময়ের তারতম্য হবার মূল কারনটি বুঝতে হলে আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের আপেক্ষিকতাসহ জোতির্বিজ্ঞান এর কিছু জিনিস জানা থাকতে হবে অথবা ধর্মে বিশ্বাসি হবার পাশাপাশি ধর্মের জ্ঞানও থাকতে হবে তবেই সে টাইম এর আপেক্ষিকতা বুঝতে সক্ষম হবে যা আইনস্টাইন একবিংশ শতাব্দিতে বিজ্ঞান মহলে প্রমান করে ক্লাসিক পদার্থ বিজ্ঞানকে মডার্ন পদার্থ বিজ্ঞানে রুপদানে সহায়তা করেছিল কিন্তু গোঁড়া বিবর্তনবাদীরা বস্তুগত বা জড় কোনকিছুর ব্যাপারে মডার্ন ফিজিক্স মেনে নিলেও জীব ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তারা আজও সেই ডারউইনের শতাব্দীতেই পরে আছে, তাই তাদের দেয়া সময়ের হিসাব আর সত্যিকারের সময়ের হিসাব অনেকটাই আলাদা যদিও ঘুরেফিরে মূল হিসাবটা কিন্তু একই থেকে যায় অর্থাৎ দশকের ঘরে শুন্য সংখ্যার শুধু হেরফের হয়। আর এরকম হবার মূল কারন হল আইনষ্টাইনের থিউরী অফ রিলেটিভিটির উপর ভিত্তি করেই দীর্ঘদিনের ব্যাবধানে সময়ের সংকোচনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া অর্থাৎ সামনের দিনগুলো যতই অগ্রসর হচ্ছে ততোই সময় সংকুচিত হয়ে আসছে
এর একটি সহজ উদাহরণ দিলে বুঝতে সুবিধা হবে যেমন- সাধারনত আমরা একদিন গত হয়েছে বলি তখনই যখন একটি পূর্নাংগ রাত এবং দিন সম্পূর্ন হয় আর স্বাভাবিকভাবে দিন অথবা রাতের পূর্নাংগ ভাবি ১২ ঘন্টা হলেই কিন্তু ভালভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে যে সবদিনই ১২ ঘন্টায় তা না হয়ে বেশিরভাগই ১১ বা ১০ ঘন্টায় তা হচ্ছে এমনকি ১৩ ঘন্টার উপরেও তা হয় কিন্তু পরিপূর্ন রাত দিন মিলে ঠিকই ২৪ ঘন্টাই হয় কেননা বর্তমানে পৃথিবী মোটামুটি ২৪ ঘন্টাতেই একটি পূর্নাংগ ঘূর্নন সম্পন্ন করছে কিন্তু কোন কারনে যদি পৃথিবী ২৪ ঘন্টাতে একটি পূর্নাংগ ঘূর্নন সম্পন্ন না করে কখনও ১ ঘন্টা বেশীতে বা কখনও ১ ঘন্টা কমে করে থাকে তখন কিন্তু মোট দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘন্টা না হয়ে দেখা যাবে যে মোট দিন ২৫ ঘন্টায় বা ২৩ ঘন্টায় হচ্ছে আর এরকম হতে পারে প্রধানত পৃথিবীর ঘূর্ননের গতির তারতম্যের কারনে আর এই ঘূর্ননের তারতম্য হবার মূল কারন হল- মহাকর্ষীয়ভাবে অন্যান্ন গ্রহ এমনকি নক্ষত্রও যদি কোনভাবে দ্রূত ঘূরতে থাকে তবে তাদের আকর্ষনে পৃথিবীও দ্রুত ঘুরতে থাকবে যারফলে রাত ও দিন খুবই দ্রুত সংঘটিত হবে আর সময়ও খুবই দ্রুত চলে যাবে যদিও তারিখ সপ্তাহ মাস এগুলো ঠিকই থাকবে, সাধারনত এটিই প্রধান কারণ হলেও আরেকটি কারণ বিজ্ঞানীরা বুঝতে সক্ষম হয়েছে আর তা হল আমাদের পৃথিবী নামক গ্রহটি যদি বিভিন্ন প্রাকৃতিক বা কৃত্তিম দূর্যোগের ফলে আকারে ছোট হতে থাকে তবেও রাত দিনের সংঘটনের মাধ্যমে একটি পূর্নাংগ ঘূর্নন কিন্তু আগের চাইতে দ্রুত হবে বলে সময়ও হ্রাস পাবে। উদাহরণস্বরুপ- সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার সুনামীর দূর্যোগের ফলে পৃথিবীর আকৃতি বা ব্যাস কিছুটা ছোট হয়ে আসে তারপর হতেই সম্ভবত ১ মিনিটের বেশি সময় সংকুচিত হয়েছে, এই ব্যাপারটি আরো ভালভাবে বুঝতে একটি ছোট পরিক্ষন করা যেতে পারে যেমন- ১টি বড় আকৃতির মিষ্টি কুমড়া এবং ১টি আপেল নিতে হবে এর পর এই ২টি ফলের মাঝ বরাবর ১টা সরু লৌহ দন্ড দ্বারা গেঁথে নিতে হবে অনেকটা শিক কাবাবের ন্যায় এরপর আপেল এবং কুমড়ার অর্ধাংশ কালো রঙ করতে হবে, এখন দুটি ফলসহ ঐ দন্ডকে যদি ছোট দুটি থাম্বার উপরে রেখে ধীরে ধীরে ঘুরানো হয় তবে দর্শক এক পাশ হতে দেখতে পারবে যে আকৃতিতে তুলনামূলক ছোট আপেলের কালো অংশ খুব দ্রুত শেষ হয়ে আপেলের আসল অংশটি দৃষ্টিগোচর হচ্ছে পক্ষান্তরে মিষ্টি কুমড়ার বেলায় তা ধীরে সম্পন্ন হচ্ছে শুধুমাত্র আকৃতির পার্থক্যের কারনে, এভাবেই প্রমান করা যায় যে পৃথিবীর আকৃতি ছোট হলে রাত দিনও ছোট হয়ে আসবে বা সময়ের সংকোচন হয়ে টাইম দ্রুত চলে যেতে থাকবে।
আবার ঐ দন্ডটি যদি দ্রুত ঘুড়ানো হয় তবেও দেখা যাবে যে ফলদুটির কালো অংশ খুব দ্রুত শেষ হয়ে ফলের আসল অংশটি দৃষ্টিগোচর হওয়া শুরু হয়েছে, এক্ষেত্রে কালো অংশকে রাত আর অপর অংশকে দিন ধরতে হবে আর এই পরীক্ষনের দ্বারা প্রমান করা যায় যে মহাকর্ষীয় প্রভাবে যদি পৃথিবীর ঘূর্ণন বৃদ্ধি পায় তবেও সময় সংকুচিত হয়ে দিন রাত দ্রুত শেষ হবে। আর দিন যতই যাচ্ছে ততোই সময়ের সংকোচন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর প্রমান পাওয়া যায় বিংশ শতাব্দির সবচেয়ে বড় আবিস্কার " মহাবিশ্ব খুব দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে" এই থিউরীর মাধ্যমে, কারন হাবল টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা গেল যে যেসব তারকা গ্যালাক্সি কাছাকাছি ছিল তা অনেক দূরে চলে যাচ্ছে আর এরকম হলে মহাকর্ষীয় টান বৃদ্ধি পাবার কথা আর তাই যদি হয় তবে পৃথিবীসহ অন্নান্য গ্রহগুলোও দ্রুত ঘুরতে থাকবে ফলে সময়ের সংকোচন ঘটবে এমনকি পৃথিবীর বুকে যে ঘড়ি আমরা ব্যাবহার করছি তার কাঁটাকেও দ্রুত ঘুরতে বাধ্য করতে হবে আর ইত্যাদি সব কারনে অতীতে আমাদের এই পৃথিবীতে আমাদের পূর্বপুরূষ যারা ছিল তাদের কাছে সময় ছিল অনেক বড় এমনকি আশ্চর্য্যের বিষয় হলেও এটাই সত্যি যে বর্তমানে আমরা একদিনে যতটুকু সময় পাই তারচেয়ে ৭ গুন বেশি সময় পেত আমাদের প্রায় দুই হাজার বছর আগের পূর্বপূরুষরা অর্থাৎ তাদের ১দিন সমান হচ্ছে আমাদের ১ সপ্তাহ।
আর এইভাবে সঠিক পদ্ধতিতে হিসাব করলে দেখা যাবে যে পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব মোটেও মিলিয়ন বছর পূর্বে নয় বরং কার্বন ডেটিং এর মাধ্যমে বর্তমান ঘড়ির সেকেন্ড মিনিটকে আদর্শ না ধরে যদি এই পৃথিবীতে মোট কতগুলো রাত আর দিন সংঘটিত হয়েছিল তা হিসাব করা হয় তবে ঠিকই দেখা যাবে যে বাইবেলসহ অন্নান্য ধর্মগ্রন্থেও উল্লেখিত ঠিক ছয় হাজার বছর পূর্বেই মানুষের আবির্ভাব হয়েছিল যদিও পৃথিবীর আসল বয়স আরো বেশী আর মানুষ পৃথিবীতে অনেক পরেই এসেছিল। আরেকটি সহজ উদাহরণ দেয়া যেতে পারে- ধরুন আপনার দাদা বা নানা ১১০ বছর বেঁচে ছিল এখন যদি আপনার দাদার সঠিক জন্মদিন যদি লিখিত থাকে আর যদি আপনি আপনার দাদার মৃত্যুর পর ১২০তম জন্মবার্ষিকীতে গিয়ে আপনার দাদার মৃত শরীর হতে কার্বন ডেটিং করতে যান তবে দেখা যাবে কার্বন ডেটিং অনুযায়ি আপনার দাদার বয়সের ফলাফল ১২০ এর চাইতে কিছু দিন,মাস বেশি আসবে। আবার একইভাবে ৫০০বছরের পূর্বের কোন মানুষের কার্বন ডেটিং বর্তমান ঘড়ির হিসেবে করলে আরও বেশি অর্থাৎ বছরেরও বেশি দেখাবে, এভাবে যতই পিছনে যাওয়া যাবে ততোই সময় বেশি দেখাবে।
ডারউইনের শতাব্দিতে বিজ্ঞান টাইম সংক্রান্ত এসব জটিল জিনিস আবিস্কার করতে পারেনি বিধায় তখনকার সময়ের নাস্তিকরা ডারউইনের থিউরীকে ধর্ম বিনাশের ক্ষেত্রে বড় হাতিয়ার হিসেবে দেখত যদিও এখনও কিছু নাস্তিক এখনও ব্যাকডেটেডই রয়ে গেছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য হল যেকোন ভাবে ধর্মকে ভুল প্রমান করা আর সেটা ডারউইনবাদ দিয়েই হোক না কেন। তাই তারা বিভিন্ন ফসিল আবিস্কার করে যাচ্ছে কিন্তু তাতে কোনই লাভ হচ্ছে না কেননা অনেক বিজ্ঞানি বিবর্তনবাদীদের ব্যাকটেরিয়া হতে বহুকোষী বা মাছ প্রজাতির মত কঠিন কিছুর প্রমান আনতে না বলে বরং সহজ প্রমান- বানর আর মানুষের মাঝামাঝি প্রজাতির ফসিল প্রমানের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুরে দিয়েছিল কিন্তু বিবর্তনবাদী ডারউইন সহ সকল বিবর্তনবাদীরা হয়ত নিজেও বুঝতে পেরেছিল যে বানর আর মানুষের মাঝামাঝি প্রজাতির প্রমান নিয়ে আসা সম্ভব না তাই তারা টাইমের ধোকাবাজিমূলক থিউরী প্রদানের পাশাপাশি বুঝাল যে বানর আর মানুষের মাঝামাঝি প্রজাতি খুবই দূর্বল আর অযোগ্য ছিল তাই প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে এগুলোর বিনাশ হয়েছে তাই সে তার অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য “প্রাকৃতিক নির্বাচন” এর থিউরী জনগনকে গিলাতে চেয়েছিল অথচ যেখানে প্রকৃতিতে আজও খুবই দূর্বল আর অযোগ্যদেরও টিকে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সুতারং তার এই থিউরী ধোকাবাজী ছাড়া আর কিছুই নয় তবু তারা ডাইনোসরের মত শক্তিশালী এবং যোগ্য প্রানীদের ফসিলকেও পেশ করে চ্যালেঞ্জ এ জিততে চাইছে কিন্তু অযোথা লক্ষ লক্ষ ডলার ব্যায়ের দ্বারা অপব্যায়কারী ফসিল আবিস্কারকদের মতন ডারউইন ভক্তদের আজ শুধুই ডাইনোসরের ফসিল দেখিয়ে বিলুপ্ত প্রানীর উদাহরন দিয়ে আর কাজ হবে না কেননা এন্টার্টিকায় বরফের মাঝে ডাইনোসরের ডিম এখনও অফুটন্ত থাকলে তাদেরও পরিপুর্ন বিলুপ্তি হয়েছে ধরা যায় না।
বিগত উনিশ শতক ও বিশ শতকের শুরুর দিকে বিজ্ঞানীরাই মিউটেশন ও ন্যাচারাল সিলেকশনে ভুল রয়েছে বলে রায় দেয়া শুরু করে কিন্তু ডারউন তখন ফরাসি জীববিজ্ঞানী ল্যামার্কএর অনুকরনে তারচাইতেও উন্নত ধরনের আরেকটি গোজামিল থিউরী প্রদান করে যাকে "কমন ডিসসেন্ট" বলা হয় যদিও এই থিউরীকে বিজ্ঞানীরা প্রথম দিকে সঠিকই মনে করত। এতে প্রমাণ হিসেবে দেখানো হতো ডিএনএ সিকোয়েন্স ও বাহ্যিক সাদৃশ্য। আর শিম্পাঞ্জির সিমিলারিটি ৯৮% মানুষের সাথে যা দেখানো হত তা ছিল শুধুই ডিএনএ সিকোয়েন্স ও বাহ্যিক সাদৃশ্যগুলোর মিল মাত্র। আর এতেই বানর স্বভাবের নাস্তিকরা নাচানাচি শুরু করে দিয়েছিল যে তাহলে মানুষ পূর্বে বানরটাইপ ছিল এই থিউরীও ভুল ছিল না অর্থাৎ মানুষের পূর্বপূরুষ ঠিকই বানর টাইপেরই ছিল আর ডারউইনও তার জাহাজ ভ্রমনের বেশী সময় কাটিয়েছিল দক্ষিন আফ্রিকা এবং দক্ষিন আমেরিকার শিম্পাঞ্জির আর আফ্রিকার বনমানুষদের সাথে যাদের চেহারা আবার শিম্পাঞ্জির সাথেই বেশী মিল ছিল। আবার অন্যদিকে শিম্পাঞ্জির বুদ্ধিমত্তা ও চেহারার সাথে মানুষের চেহারা ও বুদ্ধিমত্তার আশ্চর্য্য রকম মিল ছিল, তাই এটিও ডারউইনকে ভীষন চিন্তায় ফেলে দিয়ে অনেকটা নিজের মাথার চুল ছেরারই উপক্রম করে দিয়েছিল। তাই সে ল্যামার্কএর থিউরীকেই পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করতে আরো গোজামিল দিয়ে আরো একটু উন্নত ব্যাখ্যা দিয়ে "কমন ডিসসেন্ট" এর থিউরী প্রকাশ করে বিজ্ঞানীদের মাথাই ঘুরে দিল কিন্তু সত্য তো আর কখনও চিরকাল চাপা থাকতে পারে না সুতারাং এরপর বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে ১৯৫৩ সালের পরে মানুষ যখন ডিএনএ এর প্রোটিন কোডিং সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত জানল এবং বিশেষ করে ১৯৭৭ ও ১৯৮৩ সালের পরে জিনের একাধিক প্রোটিন কোডিং করার ক্ষমতাসহ জিনের ভাষা সন্মন্ধেও জানল, এমনকি একটা প্রোটিন বিভিন্ন কাজ করতে পারে ও আলাদা ফাংশন তৈরি করতে পারে এবং অনেকগুলো প্রোটিন একসাথে একটা ফাংশন তৈরি করতে পারে এসব ব্যাপারে বিস্তারিত পরীক্ষা করা যখন সম্ভব হল তখন ডারউনের কমন ডিসসেন্ট থিউরীটাও পূর্বের মতই ধরা খেল। যদিও নাস্তিকরা ডারউইনের এই থিউরীকে সহজ করে বুঝাতে evolutionary tree পর্যন্ত বানিয়ে ব্রেইন ওয়াশের চেষ্টা করে।
অতঃপর শিম্পাঞ্জির সাথে শুধুই ডিএনএ সিকোয়েন্সের ও বাহ্যিক সাদৃশ্যগুলোর মাধ্যমে মানুষের সাথে সিমিলারিটি ৯৮% রয়েছে যতটুকুই দেখানো হত তাও চরমভাবে পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হয় কারণ পূর্বে মনে করা হতো জিন শুধুই ওয়ান টু ওয়ান কাজ করে এবং একটা জিন শুধুমাত্র একটাই প্রোটিন কোড করে কিন্তু না সেটা ভুল। একটা জিন একাধিক প্রোটিন কোড করতে পারে। একই জিন একশো বা হাজারটা জিন কোড করতে পারে alternative splicing- এর মাধ্যমে। আবার একটা প্রোটিন বিভিন্ন কাজ করতে পারে ও আলাদা ফাংশন তৈরি করতে পারে এবং অনেকগুলো প্রোটিন একসাথে একটা ফাংশন তৈরি করতে পারে।যদিও আমাদের ও শিম্পাঞ্জীর ডিএনএ সিমিলারিটি ৯৮% তথাপিও আমারা তাদের চেয়ে অনেক ভিন্ন। কারণ তাদের চেয়ে আমাদের প্রোটিন ৮০% ডিফারেন্ট। ডিএনএ ই প্রোটিন তৈরি করে আর প্রোটিনই জীবের সকল কাজ ও ফাংশন তৈরি করে। তাই শুধুই সিকোয়েন্স এর বাহ্যিক মিল কখনোই বিবর্তনবাদ প্রমাণ করেনা। শুধু তাই নয় কাল্পনিক থিউরীকে সত্য প্রমান করতে কিছু নন- কোডিং ডিএনএ দিয়ে প্রচার শুরু হলো যে এইসব জাষ্ক ডিএনএ বিবর্তনের ধারায় রয়ে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা ভুল বলে প্রমাণ হয়। কারণ যাকে জাষ্ক ডিএনএ বলা হতো তা জাষ্ক ডিএনএ নয় বরং তার রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মোট কথা ডারউইন বিবর্তনবাদ প্রমান করতে সর্বশেষ "কমন ডিসসেন্ট" নামক যে থিউরীটা দিয়েছে তা অনেকটা এরকম যে মিঃ ডারউইন আপেল এবং মাকাল ফলের বাহ্যিক আবরনের মিল দেখেই "কমন ডিসসেন্ট" থিউরী দিয়ে এমন অবস্থায় পটল তুলল, জীবনে সে অনেক আপেল খেলেও কখনও মাকাল ফল নিজে খেয়ে পরখ করার সুযোগ হয়নি, কিন্তু পরবর্তীতে কিছু বিজ্ঞানী সত্যি সত্যিই মাকাল ফলও খেয়ে দেখল অতঃপর মাকাল আর আপেল ফল যে ভিতরে ভিতরে এত বেশী বৈসাদৃশ্য বহন করে চলেছে তা তারা এবার হারে হারে টের পেল এবং ডারউইনের "কমন ডিসসেন্ট" থিউরীকেও অবাঞ্চিত ঘোষনা করল।
যাইহোক এখনও যারা চাপাবাজি করে বলেই যাচ্ছে যে বিবর্তনবাদ প্রমাণিত, তাদের কাছে প্রশ্ন--১। এককোষী কিভাবে বহুকোষী হবে? তার কোনো প্রমাণ আছে? ২। ব্যাকটেরিয়ায় কিভাবে নতুন ফাংশনাল অঙ্গ তৈরি হবে? এমন কোনো অবর্জাভাবল প্রমাণ আছে?এভাবেই একবিংশ্ব শতাব্দিতে এসে ডারউইনের বিবর্তনবাদের থিউরী আজ বৈজ্ঞানিকভাবেও মুখ থুবরে পরেছে কিন্তু সনাতন দার্শনিক মন-মানিষকতা সম্পন্ন নাস্তিকরা তা মানতে নারাজ আর এত কিছুর পরও বিবর্তনবাদের পক্ষে আজও তারা বিভিন্ন অযুক্তি-কুযুক্তি খুজেই চলেছে। বিজ্ঞানের সামান্যত্তম জ্ঞান যাদের আছে তারাই স্বিকার করতে বাধ্য যে যে জিনিসের পক্ষে গানিতিক ভাবে হিসাব মেলানো যায় না সেটি ভুল হবার সম্ভাবনা ৯৯% তবু নাস্তিকরা একে সত্য বলে প্রচার করছে কেননা বিবর্তনবাদের থিউরী দ্বারাই ধর্মকে প্রায় অনেকাংশেই ভূল প্রমান করা যায়।
(চলবে)

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ইন্টেলেকচুয়াল ট্রোল হাউস-এর চেয়ে lame কিছু জীবনে শুনি নাই। নাস্তিকদের না গুতিয়ে, যুক্তি সহকারে, সুন্দর করে লেখা উপস্থাপন করুন। লেখা ভালো হয়েছে, তবে আরো প্যারা করলে পড়তে সুবিধা হয়। লাইক দিলাম

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৯ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: ব্যাপক গবেষণা।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: হ্যা।

৩| ২৯ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ইয়ো ব্রো!!!
ছবি দুটো দারুন! ;)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৯ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

দিলের্‌ আড্ডা বলেছেন: ডারউইনের থিউরি দিয়ে নাস্তিকতা আগের মতো জমে না হয়তোবা।
এসব মতবাদ একরকম মাঠেই মারা গেছে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ঠিক ধরেছেন

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: ম্যাও ম্যাও।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বিবর্তনবাদ সত্যি হইলে বানর সম্প্রদায় এতদিন বিবর্তিত হইয়া ডারউইন হইয়া যাইত !!!!!!!! :P

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৩১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: এরকমই তো হবার কথা

৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: কিছু বিষয় জানার প্রয়োজন। যেমন, ভাষার বিবর্তন, হোমো সেপিয়েন্স এর বিবর্তন। আধুনিক মানুষ কত লক্ষ বছরের। বিবর্তন কি কয়েকশ বা কয়েক হাজার না কয়েক লক্ষ না কয়েক কোটি বছরের ব্যাপার সে সম্পর্কে। থিসিস, হাইপোথিসিস, প্রকল্প ইত্যাদির মধ্যে পার্থক্য। প্রবর্তন আর তার পরবর্তী বিকাশের মধ্যে সম্পর্ক। ডারউইন শুধুমাত্র তত্ত্ব দিয়েছিলেন। তারপর বিবর্তনবাদ নিয়ে কত লক্ষ, কত কোটি গবেষণা হয়েছে সে সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে। ডারউইন প্রায় দুইশ বছর আগে শুধু একটা তত্ত্ব দিয়েছিলেন। তখন এর চেয়ে বেশি কিছু সম্ভব ছিলোনা। এখন বিবর্তনবাদ নিয়ে তথ্য প্রমাণাদি কোন পর্যায়ে গেছে সেটা সম্পর্কে জানতে হবে। না জেনে আলগা প্যাচাল পেরে কি লাভ, বলুন মশাই? আমাদেরকে অনুসন্ধিতসু মন নিয়ে জানতে হবে। জ্ঞানই মুক্তির পথ দেখাতে পারে, তর্ক নয়।

৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৪

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: মাত্র দুইহাজার বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষদের একদিন সমান আমাদের একসপ্তাহ। আপনি মহাবিজ্ঞানী নাকি বিকৃত মতিষ্কের এলএসডিখোর বুঝতে পারলাম না।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনি কি সাইন্সের ছাত্র নাকি তারপরেও কলা বিজ্ঞানীই রয়ে গেছেন বুঝলাম না কারন সাধারন ভূগোল এবং বিজ্ঞান সম্পর্কে মূটামুটি ধারনা থাকলেও টাইম সম্পর্কে কিছুটা ধারনা থাকার কথা যেমন- বর্তমানে আমরা যে দিন অতিবাহিত করি মাত্র ১০০ বছর পূর্বেও তারচেয়ে বেশি সময় দিনের দৈর্ঘ্য ছিল। এটা বিজ্ঞানীরাই প্রমান করেছে আমার নিজস্ব কোন গবেষনা নয় শুধু তাই নয় সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় সুনামীর কারনেও আমরা পূর্বের তুলনায় কয়েক মিনিট সময় সংকুচিত হয়ে গেছে। আপনাদের মত মানুষ যারা নতুন কোন সত্যকে মেনে পারেন না এবং পুরাতন আঁকরেই পরে থাকার অভ্যাস তাদের দিয়ে নতুন কিছু আবিস্কার বা নিজে থেকে কিছু করানো সম্ভব হয় না তবে আপনাদেরকে দিয়ে অসংখ্য পুস্তক মুখস্ত করানো যায় আর করানো যায় চাঁমচামি।

৯| ১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @প্রজ্জলিত মেশকাত-আপনি দেখছি সবজান্তা শমসের আলী। বেশি জেনে গেছেন?
কেনো যে নিজেদের বেশি জ্ঞানী মনে করেন বুঝি না। আপনাদের এমন ভাব্ সবকিছু আপনারাই জানেন!
আমরা মাকাল ফল!.....।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:১৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: সঠিক মন্তব্য

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: পরবর্তী পর্বের লিংক Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.