নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমগ্র মানবজাতিকে ঐক্যে আনবে যে পদ্ধতি

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪২







-----@(৪র্থ ভাগ)(শীয়া +সুন্নি ঐক্য)@---------
সকল প্রশংসা আল্লাহ সুবহানা তায়ালার এবং তাঁর নামে শুরু করলাম। ( প্রথমেই বলে নেয়া হচ্ছে - মুসলিম উম্মাহর ভিতরের দলগুলোর মাঝে কি করে ঐক্য আনতে হবে তা নিম্নের আহব্বান থেকে বুঝে নিতে হবে)। সাহাবীদের জামানা হতেই মুসলিম উম্মাহ শীয়া ও সুন্নি প্রধান দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পরেছে এবং দেখা যায় এর পর পরই কিন্তু মুসলিম উম্মাহর অধঃপতন শুরু হয়েছে আর তা শেষ হয়েছে নিজেদের নেতৃত্ব ও ক্ষমতাকে বিসর্জন দেওয়ার মাধ্যমে আর বর্তমানে তো ইসলামের শত্রুরা এই দুই দলের মাঝে বিদ্যমান মতভেদকে উস্কিয়ে দিয়ে মুসলিম জাতিটাকেই ধংসের পায়তারা করছে। এই প্লান বাস্তবায়নে তারা খুবই সফল কারন তারা ইতিমধ্যেই কিছু ফিতনা এমনভাবে পরস্পরের মাঝে ছরিয়ে দিয়েছে যে এর মাধ্যমে তাদের বাদবাকী প্লানও খুব সহযেই বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হবে যদি না আমরা এখনও সচেতন না হই আর এক আল্লাহ এক নবী এক উম্মাহের ভিত্তিতে পরস্পর ঐক্যে না আসি।
আর এটা খুবই লজ্জার বিষয় যে এই প্রধান দুই দলই কিন্তু তাদের পাঁতানো সেই ফাঁদেই পা দিয়ে ভাবছে- আমাদের দলটাই বুঝি টিকে থাকবে আর বিপক্ষ ধংস হওয়াতে আমাদের আরো লাভ সুতারং প্রয়োজনে কাফেরদের সাথে হাত মিলিয়ে হলেও বিপক্ষকে আগে ঘায়েল করি তারপর দেখা যাবে অন্যদের, কারন আমরাই হলাম একমাত্র সঠিক দল, পরিপূর্ন বিজয় আমাদেরই আসবে। কিন্তু উভয় পক্ষের এই কাল্পনিক স্বপ্ন কখনই বাস্তবায়ন হবে না কেননা শীয়া আর সুন্নিদের মাঝে কি কি নিয়ে দ্বন্দ আর কিভাবে এই দ্বন্দকে আরো বাড়িয়ে পরস্পরকে সংঘাতে লিপ্ত করা যায় সেটা নিয়ে তাদের গবেষনা অনেক আগে থেকেই তাইতো কিছুক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের অভ্যন্তরিন বিষয়ে আমাদের চাইতে তারাই বেশি জানে। প্রথম দিকে কিন্তু তারা নিজেরা নিজেরাই ইউনাইটেড হয়ে মুসলিম উম্মাহর মাঝে ডিভাইড এন্ড রুলড নীতি প্রয়োগ করে রাতারাতি আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়।
সুতারাং আমাদেরকেও এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে বৃহত্তর মুসলিম জামাতের সাথে ইউনাইটেড থাকতে হবে, আমাদের নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ আছে থাক, তাই বলে এই দুর্বলতার সুযোগ ইসলাম বিরোধীদের দিয়ে নিজেও মরতে এবং অন্য মুসলিমদেরও মারতে দেওয়া কতটুকু বুদ্ধিমানের কাজ বা ইসলামে তা কতটুকু বৈধ ? এখন কেউ যদি ভাবে, শীয়ারা বা সুন্নিরা আমাদের এই এই ক্ষতি করেছে বা কাফের বলে তবে কিভাবে তাদের সাথে ঐক্য করব ? হ্যা ! যারা কাফের বলে তারা তো ঐক্যেই আসবে না কিন্তু যারা ঐক্য গড়তে চায় তাদের সাথে ঠিকই ঐক্য গড়তে হবে আর ভুল বুঝে যারা অতীতে বিপক্ষ মনে করে ক্ষতি করেই ফেলেছে তাদের কেউ যদি ক্ষমা চেয়ে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয় তবে মুসলমান হিসেবে তাকে ফিরিয়ে দেয়া মোটেও ঈমানদ্বারের লক্ষন নয়। এখন বড় সমস্যা হল -যাদের দলের নেতা অনেক পূর্ব থেকেই বিদ্যমান এবং সেই দলসহ নেতাকেই তারা সঠিক এবং বাকী সবাইকে যারা ভ্রান্ত ভাবে তাদের এটা জানা উচিত যে কাফের মুশরিকদের সাথেও নবী সাঃ শান্তির জন্য কুটনৈতিক চুক্তি করেছেন আর আমরা যদি সামান্য ভ্রান্ত মুসলিমদের সাথেই শান্তিচুক্তি করতে না পারি তবে সেই নবীর কেমন উম্মত হলাম ? আর এভাবে যদি শান্তিকামী শীয়া ও সুন্নিরা যদি শান্তিচুক্তি করেই ফেলে তবে একে অপরের সাথে ভালভাবে মতভেদমূলক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাবে এতে করে অনেকেই নিজেদের দলেও তো ভিরতে পারে কারন অবশেষে সত্যের দিকেই মানুষের ফিরার প্রবনতা বেশী। তাই যেসব শান্তিকামী শীয়া বা সুন্নি ভাইরা পরস্পরের সাথে শান্তিচুক্তি করতে ইচ্ছুক তারা এখানে উল্লেখিত শান্তিচুক্তি এবং পরে আলোচনার প্রেক্ষিতে চুক্তিনামা অনুযায়ি একে অন্যের প্রতি ভ্রাতৃত্বের হাত বাড়িয়ে দিন। আল্লাহ সুবঃ আমাদের কবুল করুন – আমিন ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

রসায়ন বলেছেন: দ্বন্দ কাটাকাটি এগুলো শুরু থেকেই ইসলামে আছে । নবীর বংশধররা নির্বংশ হলো , অনেক সাহাবী মরেছে এই মুসলিমদের হাতেই । তাই ঐক্য কিছুটা দুরূহ ।

২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৪৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ইমাম মাহদীর যুগে আবারও ঐক্য আসার কথা হাদিসে এসেছে

২| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো লাভ নাই।

ফলাফল শূন্য।

২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ফলাফ ইনশাহ আল্লাহ খুব দ্রুতই দেখতে পাবেন

৩| ১২ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

কানিজ রিনা বলেছেন: ইরান সৌদী দন্দ যতদিন থাকবে ততদিন
মনে হয়না এসমস্যা মিটবে তবে আমাদের
দেশে দলবেদল মিলে এক হওয়ার ডাক
দিলে নিজেরা নব্বইভাগ মুসলিমদের ভিতর
শান্তি আসতে পারে। তিন দশক থেকে
আমাদের দেশের মুসলিমরা দলগত বিভক্ত
বেশী অসান্তি শুরু হয়েছে। আর তার কারন
একদল আহলে হাদীস তারা বেদাত বেদাত
বলে নতুন বেদাত করে অপরের ঘারে চাপিয়ে
নিজেদের শক্তি জাহেরী করছে,তিন দশক
আগেও এসব ফেতনা দেখিনাই।
এসব ফেতনা যতদিন থাকবে ততদিন আমাদের
দেশেও একতা আসবে না। সব সময় মনে
রাখতে হবে আমরা মুসলিম একই জাতি
চার খলিফার অনুসারী কিছু রকম ফের
থাকতে পারে তাই নিয়ে দলগত বিভেদ ফেতনা
রেখে মুসলিম এক হওয়ার সংকল্প করতে
হবে। ধন্যবাদ আপনার লেখায় মুসলিম ঐক্য
গড়ার মানুষীকতা এগিয়ে আসুক ইহাই কামনা।

২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:৫১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: যাজাকাল্লাহ খাইরান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.